মার্চ ফরওয়ার্ড !

  • 11 March, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 573 view(s)
  • লিখেছেন : সরিতা আহমেদ
কাঠের উনানে জোরে জোরে ফুঁ দিচ্ছিল তুলসি। সেই কোন ভোর পাঁচটায় উঠেই কাজে লেগেছে সে। এখনো কলমি শাক রাঁধা বাকি। বেলা কত হল কে জানে। ওদিকে বাপটা খক খক কাশছে আজই বেশি। আজ তো ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সে বেরোবে কি করে! পা-টা ব্যথায় এখনো টনটন করছে। বসে বসে কুটনো কাটতে গিয়েও শিরায় টান ধরছে। কাল রাতে খামোকাই দামড়া দাদাটা পিটালো তাকে, মা-টাও তাল মিলিয়ে “বিয়ে করবি কিনা বল, নইলে ঘাড় ধইরে বাইর কইর‍্যা দিব।”

কাঠের উনানে জোরে জোরে ফুঁ দিচ্ছিল তুলসি। সেই কোন ভোর পাঁচটায় উঠেই কাজে লেগেছে সে। এখনো কলমি শাক রাঁধা বাকি। বেলা কত হল কে জানে। ওদিকে বাপটা খক খক কাশছে আজই বেশি। আজ তো ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সে বেরোবে কি করে! পা-টা ব্যথায় এখনো টনটন করছে। বসে বসে কুটনো কাটতে গিয়েও শিরায় টান ধরছে। কাল রাতে খামোকাই দামড়া দাদাটা পিটালো তাকে, মা-টাও তাল মিলিয়ে “বিয়ে করবি কিনা বল, নইলে ঘাড় ধইরে বাইর কইর‍্যা দিব।” শাসাচ্ছিল।

সেও পালটা মুখ চালাল— “মুকে তাড়াইলে তুদের ঘর কেমনে চলবেক রে মা। ক’ দিকি! মুই আছি, তাই তুরা খাতি পাস। ফিরিতে পাই লা রে, গতর খাইট্যা কাম করি। আর ই যে বড়লাটের ব্যাটা, কামকাজ লাই, খালি দিনমান বুনটার পিছনে লাইগতে আসা! উহহ, মরদ হইছে!”

তারপরেই ধাঁ করে তার পায়ে আছড়ে পড়ল চ্যালাকাঠ। তুরন্ত মাথাটা নামিয়ে নিয়েছিল বলে রক্ষা, নইলে অজ্ঞান হয়ে যেত। মা-দাদার মার, ঘাড় ধাক্কা আর হম্বিতম্বি আজকাল তার গা সওয়া। কিন্তু আজ শরীরটা জুত হচ্ছে না। ভাতের মাড় গালতে গিয়ে মাথাটাও ঘুরে গেল ক’চক্কর। আজ কি যাওয়া হবে না তাহলে! এখনো কলমি চাপানো হয়নি, কয়লা তোলা হয়নি, উঠান ঝাঁট বাকি, যক্ষারোগী বাপের আর পোয়াতি দিদির পথ্যি দেওয়া বাকি। বুড়োটা কাশছেও আজ বেশি। নাহ, আজ আর কামে যাওয়া হবেনি, জুত হচ্ছে না। কোমর থেকে নিচেকার পুরো শরীলটা আজ টনটনাচ্ছে। ওদিকে ওদের চিৎকারও বাড়ছে। বুড়ো বাপটার দিকে চেয়েও কেউ থামায় না ঝগড়া। হঠাৎ ধপ শব্দ। কি হল! তুলসি পা টেনে টেনে কোনোক্রমে ছুটল বাইরের উঠানে।

খবরের কাগজটা হাতে নিয়ে মোহর স্তম্ভিত। বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী দুর্ঘটনায় প্রয়াত। ইস, স্কুপটা সে মিস করে গেল। সুনীলদা আজ অফিসে নির্ঘাত ডেকে পাঠাবেন। বাড়ির এত কাছে ঘটনাটা ঘটেছে, অথচ সে টেরও পেল না— এটা অফিসের কেউ বিশ্বাস করবে না। আসলে কাল পাপাইয়ের বায়নাক্কা এত চরম ছিল, গ্যালাক্সি ম’ল আর কেএফসি গেলে ছেলের তো হুঁশই থাকে না। তার ওপর এখন পরীক্ষা শেষের সিজিন। উইকএন্ড মানেই মায়ের কাছে এটাসেটা বায়না। মোহর হাজার চেষ্টাতেও ‘না’ করতে পারে না। পাপাইয়ের বাবা আর মা দুইই সে। কালও একগাদা আবদার মিটিয়ে ছেলের ক্যারাটে ক্লাসের পাঁচটা এটাওটা কিনে যখন ফিরল রাত তখন ১০টা পার। সুনীলদা ফেব্রুয়ারির শেষেই বলে রেখেছিলেন মার্চে ‘নারীদিবস’ নিয়ে এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ চাই প্রখ্যাত লেখিকার। সেটা নিয়েই এদ্দিন ব্যস্ত ছিল মোহর, লেখিকার ডেট পাবে কি তার আগেই তাঁর সেক্রেটারির নাম্বার জোগাড় করতেই কালঘাম ছুটেছিল তার। তারপরও ডেট-টাইমিং নিয়ে হাজারো ম্যাও সামলে কালই একটা এক্সক্লুসিভ নামিয়েছে। সেটার ফাইনাল এডিট নিয়ে রাতেই বসেছিল।

এরমধ্যে কখন যে ঘটনাটা ঘটল সে টেরই পায়নি। সুনীল ওঝা এমনিতে ভাল ‘বস’, সহকর্মীদের সাথে বন্ধুর মতই আচরণ করেন, সমস্যায় পড়লে সবার আগে হাত বাড়িয়ে দেন, মোহরের মত কর্মঠ জার্নালিস্ট তার অন্যতম ফেবারিট। কিন্তু খবরের স্কুপ মিস করলে এ হেন সুনীলদার মাথা ঠান্ডা করতে বেগ পেতে হয়। যাক গে, পরে একদিন না হয় শিল্পীর বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-পুত্রের ইন্টারভিউ নিয়ে একটা পেজ-থ্রী আর্টিকেল নামিয়ে দেবে।

টোস্ট চিবোতে চিবোতে পরপর ইস্যুগুলোকে সাজিয়ে নিচ্ছিল সে। প্লেটটা রান্নাঘরে দিতে গিয়ে আজকের ‘নারীদিবস’ নিয়ে লেখিকার ইন্টারভিউতে হালকা চোখ বুলিয়ে নিল। নাহ, আপাতত কিছু ভুলভ্রান্তি নেই। এটা জমা দিয়ে আজ সুনীলদাকে ম্যানেজ করতেই হবে।

ঢং ঢং !! ন’টা। সুজাতা রান্নাঘর থেকেই চেঁচালো— “আজও কি সে মহারানী আসবে না, নাকি গো! সব্বার ছুটি আছে, খালি এই সুজাতার নেই, না গো দিদি।”

—আহ! চুপ কর তো। দাঁড়াও দেখছি।

তুলসির নাম্বারটা ট্রাই করল, কিন্তু সেই নট রিচ্যবেল। উফ, কি যে করে মেয়েটা। তিনদিন ধরে কামাই, ফোনেও নেই। একদম বেপাত্তা। কিন্তু বিনা নোটিশে কামাই করার মেয়ে তো তুলসি নয়। মোহরের কপালে ভাঁজ পড়ল। দশটার ক্যাবে বেরোতেই হবে। এরমধ্যে পাপাইকে ঘুম থেকে তোলা, স্কুলের জন্য রেডি করানো।

“অ্যাই পাপাই ... পাপু সোনা ... এবার ওঠ ...” ডাকতে যাবে, এমন সময় কলিং বেল ক্যাড়ক্যাড় করে উঠল।

সুজাতাই দরজা খুলেছে। আর তারপরেই বাজখাঁই কন্ঠে “বাব্বা! কে এইয়েচে রে! কদ্দিন বাঁচবি রে তুই, মেলা লম্বা জীবন তোর। দিদি গো দেখ দেখ মহারানী এয়েছেন...”

পাপাইকে বাথরুমে দিয়ে তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে মোহর দেখল দরজায় তুলসি।

এসেই কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে, সুজাতার কথার জবাব পর্যন্ত না দিয়ে অভ্যাস মত ছুটে গেল ব্যলকনি। র‍্যাক থেকে ঝাড়ু তুলে, ঝড়ের গতিতে ঝাঁট দিতে লাগল, যেন এই ক’দিনের না আসাটা আদৌ ঘটেইনি। ঘড়ির কাঁটাও বোধহয় ছোটার বেগ মাঝে মাঝে কমিয়ে ফেলে, কিন্তু তুলসির বেগের খামতি নেই।

মোহর খানিকক্ষণ ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তুলসির সামনে দাঁড়াল।

—কিরে! একটু দাঁড়া। বাব্বা, এদ্দিন এলি না তার কোনো জবাব দিবি না! কী হয়েছিল?

—কিছুই না, শরীলটা জুত ছিল নি। বাপের অসুখ বেড়েচে, আমার জ্বর, গায়ে-পায়ে, সারা শরীলে ব্যথা। তাই...

—“বাপ্স! বলিস কি! একসাথে শরীরের এত কিছু বিকল হয়ে গেল তোর!” হাসি চেপে মোহর আবার বলল, “জানিস, কাল আমাদের বাইপাসে এক বিখ্যাত গায়কের এক্সিডেন্ট হয়েছে। আমি তো জানতেই পারিনি রে। তুই কিছু শুনেছিস?”

—না তো। কে গো? খুব বড় কেউ?

মোহর পেপারে ছাপা ছবিটা দেখায়। তুলসির মুখের কোনো রেখা বদলায় না। ‘অহ’ বলে নিচু হয়ে ঝাড়ু তুলতে যাবে দেখে মোহর অবাক স্বরে বলে, “কিরে চিনতে পারলি না! টিভিতে দেখিসনি! নামও জানিস না?”

—কে জানে গো দিদি। আমি চিনি নে। 

এবার একটু ঠোঁট ফুলালো মোহর। চারবছর ধরে যে মেয়ে কাজ করছে তার ঘরে, যাকে বোনের মত করে একটু একটু করে শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছে সে, সে আজ এত বড় একটা খবরে গ্রাহ্য করছে না! এত নামিদামী মানুষকে ‘চিনি না’ বলে দিল!

—বল তো, আজ কী দিন?

—(ঝাড়ু থামিয়ে) আজ তো... সোমবার গো।

— ধুর, কী বার সেটা বললি! আজ কোন দিবস জানিস?”

—তারিখ বলছ?

—আরে তারিখ নয়। আজ ‘নারীদিবস। তোকে লাস্ট ইয়ার বললাম না! আজ আমাদের দিন, মানে মেয়েদের দিন। গর্বিত মোহর ভুরু নাচাল।

—আজ কি মেয়েদের ছুটি মেলে?

—ছুটি! মানে? দাঁড়া তোকে গল্পটা বলি— সে অনেক কাল আগের কথা। ১৮৫৭ সালে আমেরিকায় নিউইয়র্কে শ্রমিকদের মজুরির ফারাক দূর করতে পথে নেমেছিল সুতো কারখানার নারীশ্রমিকরা। অনেক আন্দোলন করে তারা নিজেদের অধিকার আদায় করেছিল। তাই ৮ মার্চকে তাদের উদ্দেশ্যে স্মরণ করে বিশ্বের সব কর্মরত মহিলাদের জন্য ‘নারীদিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

ড্রেস করতে করতে যখন তুলসিকে এত লম্বা লেকচারটা দিচ্ছিল মোহর, তখন তুলসি একমনে সবটা শুনছিল কিন্তু ‘হুম’...’অ’ ছাড়া বিশেষ সাড়া দিচ্ছিল না।

পাপাইকে দুধের গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে মোহর বলল, “ কিরে , সব তো শুনলি ; বল তো ‘নারী’ বানান কী? সেদিনই তোকে সরল বানান শিখিয়েছি না, দেখি কেমন মনে আছে।”

—মনে লাই গো। এক মুখ হেসে তুলসি জানালো।

—কি রে! ছ’মাস আগে হুট করে বললি পড়তে চাস। বই দিলাম, খাতা পেন দিলাম। অক্ষর  পরিচয় শেখালাম। দিব্যি দশ অবধি নামতা মুখস্থ করেছিলি। গত সপ্তাহে বানান শেখালাম। আর এখন কিছু ‘মনে লাই’? আচ্ছা, বল তো যিনি মারা গেলেন তাঁর নামটা কী? এটা কিন্তু এক্ষুনি বলেছি। মনে করে বল।

—“হে হে! মনে লাই গো। এক জেবনে সবাইরে কি চেনা যায় দিদি! নামিদামি, আতিপাতি... কত কিছু রয়ে যায়, চিনাই হয় না, জানাই হয় না। আমি চিনি লাই উনাকে। চিনলে কি লাভ হবেক বল!’’ লম্বা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দ্রুত হাতে ন্যাতা চালায় তুলসি। চিরুনি ধরা হাত চুলের ভেতরেই থেমে গেল মোহরের। মেয়েটার গলার স্বর এমন কেন! বুকের ভেতর যেন ছ্যাঁত করে লাগল। ওপাশে সুজাতার প্রেসার কুকারেও ছ্যাঁ ছ্যাঁ করে সিটি পড়ল ঠিক তিনটে। পাপাই স্কুল ড্রেসে তৈরি হচ্ছে আর সুজাতার সাথে কি নিয়ে হাত পা নেড়ে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে গপ্প করছে।

—“অ্যাই ! কী হয়েছে রে তোর? পাকা পাকা কথা বলছিস বড়! শরীরটরির আজো খারাপ, নাকি! কিছু তো নিশ্চয় ঘটেছে এই ক’দিনে, খুলে বল দিকি।”

—“নাহ্‌ দিদি, বাপের মুখটা মনে পড়ছে গো ...শরীল ঠিকই আছে। পরশু রাতে ওরা ফের মেরেছে আমারে। মেলা ঝগড়া হয়েছিল দাদাটোর সাথে। চ্যালাকাঠ দিয়ে মেরেছে। মুই ডরাই লাই। খুব ঝেড়েছি। খাইও লাই সারারাত। সকালেও তড়পানি থামায়নি, তাই দেখে ১০০ ডায়াল করছিলুম, ফোনটা কাড়ি লিয়ে ভাট্টিতে জ্বালাই দিল মা’টো। ইদিকে বাপটা উয়াদের আটকাইতে গেইয়ে ধাক্কামুক্কায় পড়ে গেল। দিয়ে মাথা ফাটিয়েছে। কাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি। কাশিটা কমছে না, জানো। রক্ত আসছে ক্ষণে ক্ষণে। তার উপর মাথায় সেলাই। এখুনু অনেকগুলা ওষুধ কেনা বাকি। এ মাস ফুরাতেও মেলা দেরি। টাকা পাইব্য কেমনে! এই হাবিজাবি ভাবি আর ঘুম হয় নাই, শরীলটায় জুত পাচ্ছি না। কুনোবার তো ইমন হয় না, কিন্তু ইবার ডর লাগছে গো।”

ভেজা গলায় খুব অনুচ্চ স্বরে এতটা বলে তুলসি একবার চোখের খুঁট মুছে নিয়ে তাড়াতাড়ি কাপড় কাচতে চলে গেল।

মোহর স্থাণুবৎ দাঁড়িয়ে রইল। ঘড়িতে তখন দশটা পাঁচ। ক্যাব মিস হয়ে গেছে, অনেকক্ষণ।

বিছানায় খানিক্ষণ বসে থেকে পার্স খুলে তুলসিকে ডাকল সে, “এটা রাখ। আর কিছু লাগলে বলিস। আজ থেকে ক’দিন তোকে আসতে হবে না। বাবার ওষুধ কেনার পর নিজের জন্যও কিনবি। আর এই ধর, এই মলমটা দিলাম। পা তো ফুলে গেছে দেখছি। গরম জলে সেঁক নিয়ে রাতে লাগাবি। চিন্তা করিস না, তোর মত মেয়ে যে বাবার আছে তার এত সহজে কিছু হবে না। যা এবার। বাবা সুস্থ হলে, তুই সুস্থ হলে তবে আসিস কাজে। কেমন!”

দৃশ্যতই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তুলসি জিজ্ঞেস করল “এত্ত গুলান টাকা দিছ! ছুটিও দিছ দিদি। আমার কাজ ছাড়াই করি দিবে না তো?”

—“ধুর পাগলি, এবার মার খাবি। আজ নারীদিবস না? ধরে নে এটা বকশিস। এবার যা পালা।“

ডুকরে উঠল মেয়েটা। মেঘেঢাকা মুখটায় আবছা আলো খেলল কি! মোহর ওর মাথায় হাত বুলিয়ে নরম গলায় বলল ‘চিন্তা করিস না, বাবা ভালো হয়ে যাবেন। কিছু লাগলে জানাস। আর এবার চোখ মোছ। চোখের জল অত সস্তা নাকি রে পাগলী!’

পাপাইয়ের স্কুল বাসের হর্ণ শোনা গেল। ছেলের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে সামনের একটা কৃষ্ণচূড়ায় চোখ আটকে গেল মোহরের। কিছুদিন আগেই ওটার মরা ডাল ছাঁটার জন্য মেশিন এসেছিল। এখন সেই শুকনো ডালের ক্ষতস্থান জুড়ে সবুজ পাতার বাহার। কিছুদিন বাদেই গোটা গাছের দখল নেবে লাল ফাগুন। গাছটির নিচে দুটি ফুটপাতবাসী বাচ্চা। অপুষ্ট দুটি শরীরের বয়স সাত কি আট। তবে ওদের উজ্জ্বল হাসিতে ঢেকে গেছে সব মলিনতা। ছেলেটি খুব যত্নে বোনের চুল বেঁধে দিচ্ছে। অপূর্ব মায়াবী দৃশ্যটি থেকে চোখ ফেরানো দায়। মোহর স্পষ্ট টের পেল মনের মেঘ দ্রুত কেটে থোকা থোকা রোদ হেসেখেলে বেড়াচ্ছে। বড্ড হালকা লাগছে তার।

লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার

ছবি  : সংগৃহীত

0 Comments

Post Comment