- 03 February, 2022
- 0 Comment(s)
- 466 view(s)
- লিখেছেন : তামান্না
কখনো আমি স্বপ্ন দেখি যদি
স্বপ্ন দেখবো একটি বিশাল নদী।
নদীর ওপর আকাশ ঘন নীল
নীলের ভেতর উড়ছে গাঙচিল।
আকাশ ছুঁয়ে উঠছে কেবল ঢেউ
আমি ছাড়া চারদিকে নেই কেউ।
কখনো আমি কাউকে যদি ডাকি
ডাকবো একটি কোমল সুদূর পাখি।
পাখির ডানায় আঁকা বনের ছবি
চোখের তারায় জ্বলে ভোরের রবি।
আকাশ কাঁপে পাখির গলার সুরে
বৃষ্টি নামে সব পৃথিবী জুড়ে। (কখনো আমি, হুমায়ুন আজাদ)
কিছুদিন আগে 'ছোড়ি' সিনেমা দেখছিলাম। হরর সিনেমা, পরতে পরতে ভয় থাকবে সেটাই স্বাভাবিক; ফলে সিনেমা দেখতে দেখতে প্রচণ্ড ভয় লাগবে এরকম একটা মানসিকতা নিয়ে সিনেমা দেখা শুরু করেছিলাম। সিনেমা দেখতে দেখতে বিষাদে মন ভরে উঠেছিল। যখন সিনেমাটি শেষ হয়ে গেলো অদ্ভুত এক কষ্ট আঁকড়ে ধরলো! কন্যা ভ্রুণ হত্যার মতো নৃশংস দিক এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাতে গ্রামের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বধূ ভানো দেবী চরিত্রটি বারংবার জানিয়েছেন-সমাজে ছেলেরাই সর্বেসর্বা। যে মা কন্যা সন্তান প্রসব করে তাঁর বাঁচার কোনও অধিকার নেই!
কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া ‘মহাপাপ’। এছাড়া ছবিতে এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে যা দেখে রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে, হতাশায় চিৎকার করতেও ইচ্ছা করেছে। একটি দৃশ্যের কথা এই আলোচনায় উল্লেখ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সিনেমায় একটি শুকিয়ে যাওয়া কুয়োর মধ্যে মৃত কন্যা শিশুদের দেহের স্তূপের দৃশ্য দেখে মন ও শরীর স্বাভাবিক ভাবে বিচলিত হয়ে পড়ে! আবার এই দৃশ্য দেখেই ২০১৭ সালের একটি সাড়া জাগানো খবর মাথার মধ্যে ঝিলিক মারে। সাড়া জাগানো খবরটি ছিল- "মুম্বাই থেকে প্রায় চারশো কিলোমিটারের মত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি শুকিয়ে যাওয়া খাল। এলাকাটি জনবিরল, যদিও খালটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের খুব পাশেই এবং সেখানে দাঁড়িয়ে মহাসড়কটি ধরে ছুটে যাওয়া যানবাহন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।
এই খালের বাদামি নরম মাটিতেই পোতা ছিল উনিশটি কন্যা শিশুর ভ্রূণ। কয়েক সপ্তাহ আগে, মাটি খুঁড়ে সেগুলোকে উদ্ধার করা হয়।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এই মানবশিশুগুলোর দেহাবশেষ ছিল ছোট ছোট নীল রঙের এক একটি প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো।
পুলিশের ধারণা কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যাকারীদের একটি বড়সড় চক্র এই এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। পুরো ঘটনাটি বেরিয়ে আসে যখন গর্ভপাত ঘটানোর সময় এক তরুণীর মৃত্যু ঘটে।" (তথ্যসূত্র:বিবিসি নিউজ বাংলা,১০ এপ্রিল ২০১৭)
গত ২৪ জানুয়ারি দেশজুড়ে 'জাতীয় শিশুকন্যা দিবস' পালন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, যে কোন বিশেষ দিবস পালন করা নিয়ে দুটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়- ক) বিশেষ দিবসটি কেন পালিত হচ্ছে?
খ) বিশেষ দিবসটি পালনের প্রয়োজন রয়েছে?
আমাদের এখন তাহলে প্রশ্ন 'জাতীয় শিশুকন্যা দিবস' কেন পালন করা হয়, আমাদের মহান দেশের পিতারা নানান ভাবে মগজ ধোলাই করে, সমাজের আনাচেকানাচে বৈষম্য সৃষ্টি করে রেখেছেন। এরফলে নারীসমাজ অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। সেইজন্য আমাদের দেশে নারীদিবস, শিশুকন্যা দিবসের মতো 'দিবস' অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৮ সাল থেকে শিশুকন্যা দিবস ভারত সরকার পালন করছে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি 'জাতীয় শিশু কন্যা দিবস' হিসেবে পালন করার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। ১৯৬৬ সালে, ইন্দিরা গান্ধী দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সেই কারণে ২৪ জানুয়ারি ভারতের ইতিহাসে এবং নারীর ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক এই বিশেষ দিনে দেশবাসীকে লিঙ্গসমতা সম্পর্কে সচেতন বার্তা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে আজও এ দেশে কন্যাভ্রূণ হত্যা ও কন্যাশিশু হত্যার ঘটনা দেখে শিহরণ জাগে। সচেতন করতে অবশ্যই শিশুকন্যা দিবসের প্রয়োজন আছে। প্রতিদিন নারীদের উপর অকথ্য অত্যাচার, বৈষম্য দেখে নানান প্রকল্প নিয়েছেন ভারত সরকার। বিশেষ এই দিনটিতে সরকার নারী ও শিশুকন্যার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা প্রকল্পে প্রচার করেন। এর মধ্যে রয়েছে-- 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও ' (Beti Bachao Beti Padhao), কন্যাশিশু বাঁচাও ( Save the Girl Child), মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বা কম খরচে শিক্ষা ইত্যাদি। তবে এখানেও 'কিন্তু' একটা থেকেই যাচ্ছে। এইসকল প্রকল্প যাঁদের কথা ভেবে করা হয়েছে, তাঁরা কতটা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে? আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন থেকে জানা যাচ্ছে-"জাতীয় শিশু কন্যা দিবস। কথাটা শুনলেই মনে হয়, নিশ্চয়ই দেশের কন্যাসন্তানদের জন্য রাষ্ট্র আলাদা ভাবে ভাবছে, করণীয় দায়িত্ব পালন করছে। মনে হয়, নিশ্চয়ই আমাদের দেশের ‘বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও’-এর মতো প্রকল্প দেশের মেয়েদের মুখে হাসি ফিরিয়েছে। কিন্তু বাস্তব? সম্প্রতি ২৪ জানুয়ারি, জাতীয় শিশুকন্যা দিবস উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনা সভায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মেয়েরা নিজেদের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরল। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েদের সহজে ধরা যায়নি। সংস্থার দিদিদের দিয়ে বোঝাতে হয়েছে— কী করে জ়ুম মিটিং-এ ঢুকতে হয়। তার পর তো স্মার্টফোন জোগাড়ের ঝক্কি, ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়া, নেট-প্যাক ভরানোর ঝামেলা।" (তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২) এক্ষেত্রে তাই দেখা যাচ্ছে প্রকল্পগুলি সেই বিশ বাঁও জলে ডুবে আছে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ - ২০২০ সালের জুন মাসের এক রিপোর্টে জানিয়েছে , গত ৫০ বছরে ভারতে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে। প্রতি বছর ভারতে গর্ভপাত ঘটিয়ে ৪৬ লাখ কন্যা ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলা হয় এবং জন্মের পর কন্যা শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করার কারণে জন্মের পর কন্যা শিশুমৃত্যুর হার খুবই বেশি। ভারত সরকারের ২০১৮ সালে প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলে সন্তান চেয়ে মেয়ে হয়েছে এমন অবাঞ্ছিত মেয়ে শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা ঐ রিপোর্টে দেখা যায় যে বহু দম্পতি একটি ছেলে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চা নিতেই থাকে। দিল্লিতে বিবিসির ভারতীয় নারী ও সমাজ বিষয়ক সম্পাদক গীতা পাণ্ডে বলেছেন, ভারতীয় সমাজে পুত্র সন্তানের প্রতি পক্ষপাত দীর্ঘদিনের একটা সংস্কৃতি। এছাড়াও তিনি জানান, পরিবারগুলোর এখনও বিশ্বাস যে ছেলে সন্তান পরিবারকে আর্থিকভাবে দেখবে, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মার দেখাশোনা করবে এবং বংশ পরিচয় বাঁচিয়ে রাখবে। অন্যদিকে, মেয়েরা বিয়ে করে পরের বাড়ি চলে যাবে এবং তার বাবা-মাকে মেয়ের বিয়ের সময় বিশাল যৌতুকের বোঝা টানতে হবে। (তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০)
২০২০ সালে আরও একটি খবর দেখে শিহরিত হয়েছিলাম!
স্ত্রীর গর্ভের সন্তান পুত্র নাকি কন্যা, জানতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর এক ব্যক্তি। আগত সন্তান পুত্র নাকি কন্যা এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া তুঙ্গে ওঠে। তার পরেই ভয়ঙ্করকাণ্ড করে বসে পান্নালাল নামে ওই ব্যক্তি। ধারাল একটি অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট চিরে ফেলে সে। তার পাঁচটি কন্যা সন্তান ছিল। তাই সে জানতে চেয়েছিলেন, এবারের সন্তান পুত্র নাকি কন্যা।
ঘটনার পরই পান্নালালের মারাত্মক জখম স্ত্রীকে বেরিলির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, পাঁচ মেয়ের পর পান্নলাল একটি ছেলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছিল। সেই জন্যই সে স্ত্রীর পেটে কেটে সন্তান পুত্র নাকি কন্যা তা দেখতে গিয়েছিল। (তথ্যসূত্র:, zee ২৪ ঘন্টা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০)
অতি সাম্প্রতিক কয়েকটি খবর দেখে এদেশ সম্পর্কে, দশ সম্পর্কে ভয়ানক ভাবনা শুরু হয়েছে। মাঝেমধ্যে এইসব খবর দেখে নির্লিপ্ত থাকি! কী হবে এত শত ভেবে, দূরছাই, আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকবো, না সব ছেড়ে তিব্বতে চলে যাবো; ভাবতে ভাবতেই, আবারও ফোনের নোটিফিকশন ভরে ওঠে মনখারাপের খবরে। চলুন, কয়েকটি মনখারাপ করা খবর দেখি-
কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় বছর দুয়েক ধরে গৃহবধূর (House Wife torture) ওপর চলছিল নির্যাতন। তা এবার চরমে পৌঁছল গতকাল শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের (Harish chandrapur) কাগমারি গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নুরসেবা খাতুন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২ বছর আগে মেয়ে হওয়ায় পরেই স্বামী নির্যাতন (Housewife torture) শুরু করে। (তথ্যসূত্র:abp আনন্দ, ১৮/১১/২০২১)
ভালোবেসে মনের মানুষকেই বিয়ে করেছিলেন পূজা মার্ডি ৷ বিয়ের পর সুখে স্বামীর ঘরও করছিলেন ৷ গোল বাধে একবছর পর ৷ কন্যাসন্তানের (Girl Child) জন্ম দেওয়ায় তাঁকে ‘ত্যাগ’ করলেন পূজার স্বামী (Husband left Wife) সুরজ বেসরা ৷ প্রত্যাখ্যান করেছেন সদ্যোজাত মেয়েকেও ৷ সন্তান-সহ প্রসূতিকে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে রেখে পালিয়ে গিয়েছেন সুরজ ৷ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের তরফে পূজার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি ৷ টানা ২২ দিন মা ও সদ্যোজাতকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়ছে তারা ৷ পুলিশের সহযোগিতাতেই পূজা ও তাঁর মেয়ের ঠাঁই হচ্ছে সরকারি হোমে ৷ (তথ্যসূত্র :Etv ভারত পশ্চিমবঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর,২০২১)
কন্যা সন্তান হওয়ায় এক গৃহবধূর উপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ। শারীরিক নির্যাতন করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ৯ মাসের শিশু কন্যা নিয়ে ঘরছাড়া গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। (তথ্যসূত্র: খাসখবর, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২)
পরপর দু'বার কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় তরুণীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে । তাঁর যৌনাঙ্গে লোহার রডও ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার বাঘনা পাড়ার বিজার গ্রাম এলাকার । গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । (তথ্যসূত্র:Etv ভারত পশ্চিমবঙ্গ, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২)
আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে- "বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কন্যাভ্রূণ হত্যার ধারা অব্যাহত থাকিলে ২০১৭-২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বৎসর মাতৃগর্ভেই নাশ হইবে ৪,৬৯,০০০ কন্যা। ২০২৬-২০৩০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা পৌঁছাইবে প্রতি বৎসর ৫,১৯,০০০-এ। অর্থাৎ , ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ হইতে জন্মের পূর্বেই মুছিয়া যাইবে প্রায় ৬৮ লক্ষ কন্যাসন্তান। সমীক্ষা আরও জানাইতেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই বিষয়ে দেশে প্রথম স্থানটি দখল করিবে উত্তরপ্রদেশ। ভয়ঙ্কর চিত্র, সন্দেহ নাই। অথচ, দেশে কন্যাভ্রূণ হত্যা রোধে একটি সুস্পষ্ট আইন রহিয়াছে। ১৯৯৪ সালের সেই আইন অনুসারে, ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং কন্যাভ্রূণ হত্যা উভয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তৎসত্ত্বেও এই মারাত্মক অপরাধ বন্ধ করিতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির যে কঠোর পদক্ষেপ করিবার প্রয়োজন ছিল, তাহা হয় নাই। ফলত, আইনের আড়ালেই অবাধে চলিতেছে লিঙ্গ নির্ণয় এবং কন্যাভ্রূণ হত্যা।" (তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন, ২৮ অগস্ট ২০২০)
মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে ছোট থেকে বিভাজন করা হলে, মেয়েদের অন্যের সম্পদ ভাবলে, আর্থিক বোঝা, দায়ভার ইত্যাদি তকমায় মেয়েদের বেঁধে দিলে; সত্যিকার অর্থে কোন লাভ হবে না। যে আইন হোক না কেন, আখেরে কোন লাভ নেই! 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' স্লোগানের জিগির তুলে আমাদের সরকার সমস্ত দায়ভার ঝেড়ে ফেলতেও পারে না! এইক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির। সু শিক্ষায় প্রতিটি মেয়েকে শিক্ষিত করতে হবে। আশা করি তাহলে হয়তো, আমাদের কন্যারা আগামী দিনে স্বনির্ভর হয়ে তাঁদের স্বপ্ন পূরণের উড়ান দেবে!
0 Comments
Post Comment