- 05 March, 2024
- 0 Comment(s)
- 400 view(s)
- লিখেছেন : সরিতা আহমেদ
আবার এই দিনটা এসে গেল । ৮ মার্চ !
গোলাপি তোয়ালে,
গোলাপি ফ্রক
গোলাপি ঠোঁট
গোলাপি ব্যাগ ও বোতল
গোলাপি বহুজাতিক এটিএম
গোলাপি সিনেমা
গোলাপি অটোট্যাক্সি
ভ্যালেন্টাইন ডে-র মতই গোলাপি প্রজাতির জন্য ৮ মার্চ আরেকটা ব্র্যান্ড - রকমারি বেচাকেনার বিবিধ অফার দেওয়ার খাসা দিন! খোলসা করে বললে চৈত্র সেলের মতই এটা ‘পিংক-পার্লার-ডিস্কাউন্ট’ দেওয়ার বইমেলা পরবর্তি এক পার্বণ 'নারী দিবস '।
নারী দিবসের ইতিহাস ৯০ ভাগ লোক জানে না। ফেসবুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে হোয়াটসআপ স্কুলের হাত ঘুরে যেসব টুকরো ইতিবৃত্ত আমজনতা ‘শেয়ার’ করে তাতে নারীদিবস’কে একটা কেজো স্যালুট ঠোকা ছাড়া খুব বেশি ভাবনা কাজ করে না। ইন্টারন্যাশানাল উইমেন্স ডে নিয়ে ১৯৭৫ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে প্রাপ্ত স্বীকৃতি পুরনো। প্লাস্টিক যুগের স্মার্টফোন প্রজন্মের কাছে ৮ মার্চ নারীশ্রমের সমানাধিকার উদযাপন করার দিন না – এটি বর্তমানে হোয়াটস্যাপে কিছু পুরুষ পেটানো জোক ‘শেয়ার’ অথবা মারকুটে কোটেশান দিয়ে ‘হ্যাপি নারী দ্য বস্’ উইশ করা অথবা বাড়ির প্রিয় নারীদের জন্য বাজারি ডিস্কাউন্টে কিছু কেনাকাটা করে দিনটিকে ‘বিশেষ’ বানিয়ে জাস্ট একটা ডে'সেলিব্রেট করার ‘বিশেষ দিন’।
একটা দিন বছরে স্মরণ করা যেতেই পারে কিন্তু নারী দিবসের বিজ্ঞাপণসর্বস্ব প্রচারে নারী হিসেবে নিজেকে কেমন যেন 'বিচিত্র জীব' বলে মনে হয়। মানে 'এই যে দেখ, আমরা এখনো বেঁচে আছি। যতই লাথ মারো মরি নি, ডাইনোসরের মত অপঘাতে লুপ্ত হই নি। আসলে একটা দিবস যদি বিশেষ কিছু কীর্তির স্মরণে পালিত হয়, তাতে সেই লোকদেখানো শ্রদ্ধার সঙ্গে কেমন যেন 'আত্মার শান্তি লাভ হোক' গোছের বার্তা থাকে। তারপর দিন ফুরালেই সব উৎসাহ শেষ। সব পাখি ঘরে ফেরে, পড়ে থাকে নিরালা শুকনো ফুল আর জনতা ব্যস্ত হয়ে পড়ে “ইট’স ম্যানস্ ওয়ার্ল্ড, মাই লেডি!”-র প্রাত্যহিক জাঁতাকলে।
বেলা গড়ানোর সাথে সাথে আবারো বাসে- ভিড়ে কনুই খাওয়া, স্কার্টের হিপে পেছনে দাঁড়ানো পুরুষের একুশতম আঙুলের ঘষা খাওয়া, সতীত্ব-সৌন্দর্য নিয়ে স্ট্রিট লাইটের তলায় দাঁড়ানো, কন্যাভ্রূণে নুন মরিচ মাখানো, যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো এরকম আরও কিছু খবর ডানা মেলে।
খুব অসহ্য লাগছে! আচ্ছা, সহজ করে দিই ।
পিঙ্ক- ডিস্কাউন্ট-ডে সেলিব্রেশনের পর থেকেই আবার ঋতুস্রাবের ধর্মীয় অশুচিতা নিয়ে নিষেধাজ্ঞার ফতোয়া,
নিচু গলায় আর কালো প্যাকেটে "প্যাড আছে" ইশারা,
সবার খাওয়ার পরে বৌয়ের পাত পড়া, মেয়েদের জন্য শিক্ষকতাই একমাত্র 'ভদ্র চাকরি ' বলা,
২ – ৯২ বয়সী কেউই দিনেরাতে রাস্তায়-বাসে 'সেফ নয়' ধ্বনি তোলা,
রেপ ভিক্টিম শেমিঙের প্রতিবাদে কালোকাপড় মুখে মোমবাতি মিছিলে হাঁটা – চলতে থাকে।
তারই ফাঁকেফাঁকে ১০০ দিনের 'ছোটলোকি ' কাজ শেষ করে মদের ভাটা জ্বালায় কোনো গ্রামের ছাপোষা এক গুলাবী গ্যাং।
অথবা তিন বাড়ি কামিন খেটে বন্ধুর বাল্যবিবাহ আটকে দেয় কন্যাশ্রী ক্লাবের সুহানি খাতুন, দীপা বাউড়িরা।
অথবা বাবার ক্যনাসারের ট্রিটমেন্ট করাতে দিনে চারটে ট্যুশান সেরেও উচ্চমাধ্যমিকে ৭৮% পায় কোনো এক সঞ্জু টুডু।
এই খবরগুলো যখন পাই তখন বড্ড ইচ্ছে হয় একটা দিন হোক না একটু আলাদা।
একটা দিন থাক না একটু আহ্লাদী মেজাজ।
একটা দিন খেটে খাওয়া মলিন চেহারায় পড়ুক 'ছাড়ে'র পার্লারের পালিশ।
একটা দিনে প্লাস্টিকের ফুলদানিতে জমুক তাজা গোলাপগুচ্ছ।
যোনিপথের গোলাপি রং যখন একটা প্রজাতির আইকার্ড হিসেবে বিশ্বময় ডিস্কাউন্টে 'উদযাপিত ' হয়, তখন খুব ইচ্ছে হয়, মোদীফায়েড ভারতে স্যানিটারি প্যাডে '২০% ডিস্কাউন্ট', '৫০% অফ' অথবা '১০০% ট্যাক্স-ফ্রী' ট্যাগ বসুক।
আফটার অল 'স্বচ্ছতা' আর "বেটি বাঁচাও" প্রশ্নে এই উপমহাদেশ বিশ্বজুড়ে পোস্টার ছেপেছে, আর সেই প্রজেক্টের পোস্টার বয় হলেন ৫৬" ইঞ্চির গেরুয়া পাগড়ি।
কিন্তু তবু বেঁচে থাকা বেটিদের স্বচ্ছ্ব জীবনশৈলীর জন্য স্যানিটারি প্যাডের চিরস্থায়ী ট্যাক্স ফ্রী দাবী (পড়ুন পিটিশন) তামাম ন্যাতাদের ঘুম কেড়েছে। আচ্ছা, ৮ মার্চকে কেন্দ্র করে একটা দিন স্যানিটারি প্যাডে ছাড় চাওয়া কী খুব বেশি চাওয়া!!
অবশ্য মেয়েমানুষের চাওয়ার আবার বেশী কম থাকতে নেই মোটে। না চাইলে, না রাগলে, মুখ না খুলে বুক ফাটালে, দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে গেলে আমরণ লোকে বলে ‘ভাল মেয়ে’। আর ভাল মেয়ের শিরোপা কে না চায়!
আর এই ভালত্বের খাতায় নাম তুলতেই অনেক শিক্ষিত চাকুরে উদারমতি মেয়েরা নিজেদের নারীবাদী বা ফেমিনিষ্ট শব্দটি নামের সাথে জুড়তে চান না। নাক সিঁটকে বলেন ‘দেখুন ভাই আমি কিন্তু মানবতাবাদের পক্ষে সওয়াল করি ,ওসব কেতামারা ফেমিনিষ্ট নই।’
অথচ হাস্যকর সত্যিটা হল মানবতাবাদ বলে কিছু হয় না। মানবতা বা Humanity হল একটা মানবিক আবেগ বা গুণ। আর মানববাদ বা Humanism হল একটা চিন্তাধারা বা আদর্শ যার প্রতি কিছু মানুষ বিশ্বাস রাখেন। অথচ নারীবাদকে অস্পৃশ্যর চোখে দেখা অনেক ডিগ্রীধারী সুশীল সমাজের মতে - যে বা যারা ফেমিনিষ্ট হবে তাঁদের আচারবিচার সবই হবে উগ্র। মদ-মাংস-মোচ্ছবের মেদযুক্ত কোনও একমুখী আন্দোলন। তাই আজকের দিনেও বিভিন্ন সামাজিক দাবীতে, আন্দোলনে পথে নামা, মিছিলে হাঁটা, যুক্তিবাদী সভায় অংশ নেওয়া বুদ্ধিজীবীগণ সন্তর্পণে বলেন ‘এগুলোর সাথে কিন্তু ফেমিনিষ্ট আন্দোলনের যোগ নেই। আমরা শুধু মেয়েদের নিয়ে কথা বলি না। পুরুষ নারী শিশু সবাইকে নিয়েই চলি। বুঝলেন! হেঁ হেঁ!”
এই ডিসক্লেমারধারীদের প্রতি করজোড়ে প্রশ্ন –‘ফেমিনিজম মানে শুধু নারীদের কথা বলা’ এই ধারণা কোথায় পেলেন? আর ফেমিনিষ্টরা সবাই মেয়েই হয় এটাই বা কে বলেছে? নারীবাদের সাথে মানববাদেরই বা সংঘাত কোথায়?’
যতটা সংবেদনশীল হলে একজন মানুষ মানববাদী হয়ে ওঠে, ততটা মানবদরদী হলে সে মানুষ নারীবাদী হয়ে ওঠে। নারীবাদ বুঝতে হলে মানববাদ বুঝতে হয় আগে ।
একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটার চলা তো দূর, দাঁড়াতে পারে না - সে কথা মানতে তখন আর যুক্তি-তক্ক-গপ্পের ধার ধারতে হয় না। যে মানুষ নিজেকে মানববাদী বলে দাবী করে, অথচ নারীবাদী বলতে কুণ্ঠিত হয়, ভাবে এটা বুঝি নেতিবাচক কিছু, সে আসলে নারীবাদ-কে নয় নিজেকেই শ্রদ্ধা করেনা। নিজেকেই 'মানব' ভাবে না। মানববাদের মুখটা আসলে তার বর্মঢাকা মুখোশ মাত্র!
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে –আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ফিলিপিন্স, নিউজিল্যান্ড , জার্মানি, ডেনমার্ক-এর মত হাতে গোণা কয়েকটি দেশেই লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারিভাবে। বিশ্বের মোট ১৯৫ টি দেশের মধ্যে এই ১০-১২টা দেশের বাইরে বাকি প্রায় ৯০% দেশে এখনো লিঙ্গবৈষম্যধারী আইন (Sexist Law) রয়েছে।
এমন অন্ধকারের ছবির পাশে একটা চমকপ্রদ উজ্জ্বল খবর হল একটি সমীক্ষায় প্রায় ৩০ জন নামকরা সফল পুরুষ নানা কর্মকাণ্ডে তাঁদের সুচারু ছাপ ফেলে সাগ্রহে নাম তুলেছেন ‘ফেমিনিষ্ট’ হিসেবে ,যেমন - Joseph Gordon-Levitt, Harry Styles, Eddie Vedder, Mark Ruffalo , John Legend, Jon Hamm, Chris Martin , Chris Hemsworth, Will Smith, Daniel Craig , Justin Trudeau (কানাডার প্রধানমন্ত্রী যিনি প্রথম লিঙ্গসাম্যের ক্যাবিনেট গঠন করেন) – প্রমুখ ।
ফলে বোঝাই যায়, অন্যান্য মতাদর্শ কিম্বা বিশ্বাসের মতো ফেমিনিজম বা নারীবাদও একটা চিন্তা। যারা এই ধারণার চিন্তক তাঁরাই নারীবাদী । আলাদা করে তাঁর লিঙ্গ দেখার কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু অন্যান্য অনেক ভ্রান্ত ধারণার মতই নারীবাদ নিয়েও আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের একটা নাক-সিঁটকানো চরমপন্থী মনোভাব আছে। যার অনেকটাই নেতিবাচক এবং গোঁয়ার্তুমির সংকীর্ণতায় দুষ্ট। আর এইসব ফ্যাশানিস্ত বুদ্ধিজীবীদের জন্যই নারীদিবস এবং তাকে ঘিরে চলা বিবিধ অনুষ্ঠানের মাহাত্ম্য একটা ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়ে গেছে যেখানে কী, কেন ও দরকার কী প্রশ্নগুলোই অন্ধকারে নিমজ্জিত।
ফলে যেটা জনতার সরল মগজে সহজে ঢুকছে তা হল ‘১৪ ফেব্রুয়ারির মতই ৮ মার্চেও ভাল অফার পাওয়া যায়।” হ্যাঁ এরকম অফার সর্বস্ব দুনিয়ায় ফেসবুকে, ম’লের বিজ্ঞাপনে,হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবেই টিকে আছে মেয়েদের দিন।
মেয়েদের দিবস, মেয়েদের মঞ্চ, মেয়েদের দাবী ইত্যাদি তো অনেক হল।
একটা ৮ মার্চ এমন আসুক যেদিন কোনও মেয়ে নয়, ছেলেরা এগিয়ে এসে নারীদিবসের মঞ্চের মাইক টেনে নিয়ে আওয়াজ তুলবে –
*যেদিন সকালের কাগজে একটাও ধর্ষণের খবর ছাপবে না, সেদিন নারী দিবস পালন করবো ।
*যেদিন মেয়ের বাবা পণ স্বরূপ পাত্রপক্ষকে এক কানাকড়িও পণ দিতে নাকচ করবে, সেদিন পালন করবো নারী দিবস।
* যেদিন কোনও ছেলে পণ দিতে ইচ্ছুক কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার আবেদন সক্ষেদে নাকচ করবে সেদিন পালন করব নারী দিবস ।
*যেদিন কোনও মেয়ের পোষাক তাঁর চরিত্রের বিজ্ঞাপন হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়াবে না, সেদিন পালন করবো নারী দিবস।
* যেদিন বেপাত্তা হওয়া মেয়ে রাতে বাড়ি না ফিরে পরের দিন সকালে মাথা উঁচু করে ঘরের চৌকাঠে পা রাখবে, সেদিন পালন করবো নারী দিবস।
*যেদিন মেয়েরা বাবা, দাদা, বন্ধুবান্ধবকে বিনা সংকোচেই বলতে পারবে, 'আজ আমার পিরিয়ড হয়েছে, বেশী কাজ করতে পারব না” সেদিন পালন করবো নারী দিবস।
* যেদিন লেডিস সীট, লেডিস লাইন আর লেডিস কামরার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে পুরুষ সহযাত্রীদের সহযোগিতায় – সেদিন নারী দিবসের সত্যিকারের জয় হবে।
আমার নষ্টকলম বিনি সুতোর আখরমালা গাঁথে, যদি কোনও সাহসী ছেলের জবানবন্দী শুনতে পাওয়া যায়, সেই আশায় -
" নষ্টপদ্য "
তারা বাংলার বুকে এসেছিল,
ভিড়ে মিশেছিল, ভালোবেসেছিল ।
তারা শোয়নি, রাত জেগেছিল ।
তারা হেসেছিল, কথা কয়েছিল –
তারা স্বপ্নের পথে ধেয়েছিল
বেড়ি পরালে তারা রুখেছিল ।
তারা তরুণের বাণী গেয়েছিল ,
তারা উল্টোস্রোতে ভেসেছিল ।
তারা নির্ভীক, তারা বন্য –
তারা বিপথে যায়নি অন্য ।
তারা বজ্র, তারা প্রেয়সী ,
তারা দ্রৌপদী নয় , শ্রেয়সী ।
তারা আঁচল-ঢাকা মা-মাসী
তারা উপোসি নয়, সাহসী ।
রান্নাঘর থেকে তারা অফিসে
স্বেদ-রক্ত মেশায় পাপোশে ।
তারা স্বাধীনতা , মুক্তিযুদ্ধ –
তারা দূর্বার , নয় রুদ্ধ ।
তারা কলম চালায় হাতিয়ার ,
বলে,”হুঁশিয়ার ! হও তৈয়ার !”
তারা যৌবন মেঘমল্লার
তারা শান্ত নয় , হৈ-হল্লা ।
মার খেয়েছে, তবু লড়েছে
থেমে যায়নি, তারা হারে নি ।
আজ তাদেরই ‘নারী-দিবসে’
হল পণ্য তারা হোর্ডিং-এ -
রেড-লাইটের নীচে বসবাস
তারা ছিন্ন , ক্লাবে-কেবিনে।
সতীত্ব নিয়ে প্রশ্নে হা-হা হেসে
করে প্রতিবাদ ;
ধর্ষক গণতন্ত্র , দেয়
‘ধর্ষিতা’ নামে অপবাদ!
এভাবেই তারা মারমুখ,
লাথি মেরে ফেলে সব সুখ।
নয় দুর্গা, নয় চণ্ডী।
তারা ‘মানুষ’-এর চায় অধিকার ;
যাবে কার কাছে তারা লড়তে
বুঝি জজ-কোর্ট দেবে সুবিচার ।
হায় ! শেষমেশ জায়া-জননী
গায়ে কালশিটে তবু মরেনি ।
প্রতিপদে তার পুং-পদাঘাত -
তারা ফুটপাথ, তারা মাটিতে
মোমবাতিতে আর লাঠিতে ।
চলে এগিয়ে , বাধা ডিঙ্গিয়ে ।
নয় ডাস্টবিন, তারা কন্যা
মরুভূমিতেও আনে বন্যা ।
সমাজের তারা ললনা –
না রাঁধলে ভাত জোটে না ।
আর ‘পুরুষের জাত’ বাঁচে না !
তবু কাজলাদিদিরা হন্যে
তার ‘নষ্ট’ নামের জন্যে ।
বিশ্বায়নের ভোগ্যপণ্য হয়ে ওঠা ৮ মার্চ নারীদিবস বাজারি অফারে উদযাপন করার মত কোনও দিন নয়। নিজের ভাবনাচিন্তাকে শান দেওয়ার দিন। এই দিন প্রতিবছর স্মরণ করায় এখনো আমাদের সমানাধিকারের লড়াই শেষ হয়নি, এখনো কাঁটামুক্ত হয়নি মেয়েদের চলার পথ, এখনো কার্যক্ষেত্রে সমান অধিকারের দাবীতে ধর্না দেওয়া হয়নি শেষ। এই দিন তাই ক্যালেন্ডারের ক্ষত হয়েই ফিরে ফিরে আসে।
0 Comments
Post Comment