- 21 April, 2022
- 0 Comment(s)
- 327 view(s)
- লিখেছেন : শতরূপা সিংহ
২৭ এপ্রিল, ২০২০। অলকা রায়ের আজ শ্রাদ্ধ। মাত্র পঁয়ষট্টি বছর বয়সেই অলকা প্রাণ হারালেন কোভিডে। বড়ছেলে ঈশান আগে জার্মানিতে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করত। কিন্তু লকডাউনের বাজারে চাকরি সে খুইয়েছে। ছোট মেয়ে ইশাও চাকরি করে নাগপুরে একটা আইটি সেক্টরে। যদিও কোভিডের জন্য এখন সে হাওড়ার ফ্ল্যাটে বসেই অনলাইনে চাকরি সামলাচ্ছে। মারা যাওয়ার খবরটা পেয়েই তার স্বামী সুমনকে নিয়ে শ্রাদ্ধের দুদিন আগে থেকেই এসে হাজির হয়েছে পৈতৃক ভিটেতে। কলকাতা শহরের পুরনো একটা দোতলা বাড়ি। একশো দেড়শো বছর হয়ত বয়স হবে বাড়িটার। সংস্কারের দীর্ঘ অভাবে তার এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। দেশভাগের সময় ঠাকুরদা একদেশ ত্যাগী মুসলমানের কাছ থেকে বাড়িটা অনেক সস্তায় কিনে নেন। ইশার বাবা মারা গেছেন আজ আট বছর হল। এতদিন মা একাই বাড়ি ঘর সব কিছু সামলেছেন। বাড়িটার একতলায় একটা খুপড়ি ঘর আছে। সেখানে বাবা একটা মুদির দোকান দিয়েছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মা ব্যবসার হাল ধরেন। তার ব্যবসায়িক বুদ্ধির জোরে ব্যবসাও সমান তালে বাড়তে থাকে আড়ে বহরে। তবে অলকা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই চির তরে ঝাঁপ নেমে যায় দোকানে। ইশা জানে তার দাদা মায়ের কখনো কোনও খেয়াল রাখেনি। লকডাউনের আগে জার্মানিতে থাকাকালীনও না আর লকডাউনের সময় ঘরে বসে গেলেও না। নিজের জমানো পুঁজি খরচা হওয়ার পরে মায়ের কাছেই হাত পেতে এসেছে এতদিন। ইশা আগে মানি অর্ডারে কিছু টাকা মায়ের জন্যে পাঠিয়ে দায় সারলেও ঈশান ঐ বাড়িতে এসে জোটার পর থেকে তাও বন্ধ হয়ে গেছে। ইশা ঈশানকে এখন আর একদমই বিশ্বাস করতে পারে না। আদপেও ওর পাঠানো টাকা মায়ের হাত পর্যন্ত এসে পৌঁছাবে কি না সন্দেহ আছে। সেই ছোটবেলা থেকেই ইশা দেখে আসছে যে ঈশান মাকে যতই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করুক না কেন অলকা চিরকালই তার মেয়ের থেকে ছেলেকে বেশি ভালবাসেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে চলে যাবে অন্য পরিবারে, কেবল ছেলেই যে শেষ বয়স পর্যন্ত মায়ের সেবা করবে এটাই তার দৃঢ় বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে এসেছে ঈশান। মা বাবার ফেলে যাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য এখন কেবল মাত্র তার। কলকাতার বড় রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই ব্রিটিশ আমলের দোতলাবাড়ি ও সেই বাড়ি সংলগ্ন দোকানের ভবিষ্যৎ যে এখন কী হবে তা কেবল ঈশানই জানে। মায়ের মৃত্যু সংবাদ হাসপাতাল থেকে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রমোটারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছে সে। ঐ গোটা জায়গাটা জুড়ে তৈরি হবে একটা বিশাল মাল্টিস্টরেড ঝাঁচকচকে শপিংমল। ইশা অবশ্য এই প্ল্যানটার কথা কিছুই জানে না। সে শুধু এইটুকু জানে, যদি সে যথাসময়ে তার স্বামীকে নিয়ে এ বাড়িতে আস্তানা না গাড়তে পারে তবে মায়ের সম্পত্তির আর সিকিভাগও তার কপালে কোনদিন জুটবে না। সমস্ত গয়নাগাটি দাদা বিক্রি করে দেবে টাকার জন্য।
এখন রাত আটটা। সকাল থেকে গোটা বাড়ি জুড়ে অনুষ্ঠানের যে হৈহট্টগোলটা চলছিল, সেটা এখন দূরে মিলিয়ে গেছে। আত্মীয়সেবা থেকে শুরু করে ব্রাহ্মণবিদায় – শ্রাদ্ধের সমস্ত নিয়মকানুন পালিত হয়েছে নিষ্ঠাভরে। শুধু আফসোস একটাই যে কোভিডে মারা যাওয়ার কারণে অলকার মৃতদেহ হসপিটাল থেকে তার বাড়ি অবধি আনা যায়নি। হসপিটালের ওয়ার্ডবয়রাই দায়িত্ব নিয়ে সৎকার কার্য সমাধা করেছেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে অলকার ছেলেমেয়ের ওপর যে খুব গভীর শোকের ছায়া পড়েছে তা বলা যায় না। একদিক থেকে ভালোই হল, শ্মশানে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এই বীভৎস গরমে মশার কামড়গুলো সহ্য করতে হল না। এখন সারাবাড়ি জুড়ে বিরাজ করছে একটা নিস্তব্ধ অন্ধকার। শুধুমাত্র দোতলা্তে সিঁড়ির সামনের একটা ঘরে আলো জ্বালিয়ে উপহারে পাওয়া নিজের জিনিসগুলোকে গুছিয়ে রাখছিল ঈশান। এই কাজে অবশ্য তাকে সাহায্য করছিল তার ভাবী স্ত্রী বিনীতা। এবার তারা ঝটাপট বিয়েটা সেরে ফেলতে চায়। এতদিন মাই যা ওদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই সে বাধা সরে যেতেই তারা শুভকাজে আর বেশি বিলম্ব করতে চায় না। ঠিক এমন সময় ইশা হন্তদন্ত হয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে বলল, ‘দাদা জিনিষপত্র পরে গোছাবি। আগে আসল আলোচনাটা সেরে ফেল।’
ঈশান অবাক হওয়ার ভান করে জিজ্ঞাসা করে, ‘কোন আলোচনা ?’
ঈশানের এমন প্রতিক্রিয়ায় ইশা এবার একটু অধৈর্য্য হয়ে বলে ওঠে, ‘বাড়িটার কী হবে?’
- ‘তুই কী ভেবেছিস, তোরা এখানে কেন এসেছিস তা আমি জানি না? সম্পত্তির লোভ এড়ানো বড় মুশকিল।’
- ‘তুই যে শেষে এমনটাই বলবি, সেটা আমি আগে থেকেই আন্দাজ করেছিলাম। তবে একটা কথা ভালো করে জেনে রাখ, আমি মায়ের সমস্ত সম্পত্তি কিছুতেই তোকে একা ভোগ করতে দেব না। এ বাড়ির ওপর আমার লিগ্যাল রাইট আছে।’
এমন সময় চেঁচামেচি শুনে সুমনকে ঘরে ঢুকতে দেখে বিনীতা ছুটে যায় তার দিকে, ‘সুমন, তুমি তোমার বউকে বোঝাও। আজকের দিনে কি এই আলোচনাটা না করলেই নয়? বুঝতেই তো পারছো ঈশানের মনের অবস্থাটা। মা তো আর নেই…’
সুমন শান্ত স্বরে বলল, ‘সবই বুঝলাম। কিন্তু ইশাতো ভুল কিছু বলেনি। সব ঝামেলা একেবারে মিটিয়ে নিয়ে আমরা ফিরে যাব। তারপর তোমরা নিজেদের মত থাক, আমরা তো আর তাতে বাধা দিইনি। এমনিতে শাশুড়িমা বেঁচে থাকলে তুমি এই বাড়িতে ঢুকতেও পারতে না কোনো দিন।’
বিনীতা সুমনের এই মিষ্টি অপমানকে গায়ে মাখল না। ঐদিকে ততক্ষণে ইশা আর ঈশানের ঝগড়া অনেকখানি গড়িয়ে গেছে। ইশা বলছে, ‘তুই ওপরতলাটা নে, আমি নীচের তলাটা নেব।’
- ‘কী করবি তুই বাড়ি ভাগ বাটোয়ারা করে? তুইতো এখানে থাকবি না। আর তাছাড়া আমি কোনো তলাই তোকে দিতে পারব না। প্রমোটরের সাথে আমার কথা হয়ে গেছে।’
চেঁচাতে চেঁচাতে ইশার গলা ধরে আসছে, ‘তা বললে হবে না। আমার অংশটায় আমি ভাড়া বসাবো।’
- ‘বললাম তো তোর কোন ভাগ নেই এখানে।’
ঈশানকে এবার হাত ধরে টেনে সরিয়ে এনে বিনীতা নিচু গলায় বলল, ‘মায়ের গয়নাটয়না কিছু দিয়ে ওদেরকে বিদেয় কর না। এইসব ঝুটঝামেলা আর ভাল লাগছে না। ওদের সঙ্গে ঝগড়া অশান্তি বাড়িয়ে কোন লাভ নেই। ও আটঘাট বেঁধে এসেছে, সহজে তাড়াতে পারবে না। কি ভাগ্যিস তখন বুদ্ধি করে তোমাকে দিয়ে তোমার মাকে উইল করা থেকে আটকে ছিলাম। মা তোমাকে খুব বিশ্বাস করতেন, তাই কিছু বুঝতে পারেননি।’
ওদের কথোপকথনের মাঝেই ইশা আবার হুংকার ছাড়ল, ‘তুই তাহলে রাজি হবি না তো? ঠিক আছে, আমিও দেখে নেব তুই না দেওয়ার কে? আমি উকিল নিয়ে এসে সব সম্পত্তি সমানভাগে ভাগ করে নেব।’
ঈশানও সঙ্গেসঙ্গে গর্জে উঠল, ‘উকিলের ভয় দেখাচ্ছিস আমাকে? ঠিক আছে, আমিও দেখে নেব। মায়ের কাছে একদিনও তো দেখা করতে আসতিস না। সে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, সেই খবরটুকু নেওয়াও তোর কাছে সময় নষ্ট বলে মনে হত। আর এখন শকুনের মত গন্ধ শুঁকেশুঁকে এসেছিস সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে? দূর হয়ে যা …’
খট্ খট্ খট্
আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ। ইশা আঙুল তুলে আরও কিছু বলতে গিয়েও থমকে গেল। রাত হয়ে গেছে অনেকটা। চারিদিক একেবারে নিঝুম। তাই কড়ানাড়ার আওয়াজটাও বোধ হয় একটু জোরেই হল। কয়েক মুহূর্ত পরে আবার – খট্ খট্ খট্। ইশা ও ঈশান দুজনেরই ঝগড়ার ফলে কান মাথা গরম হয়ে ভোঁভোঁ করছে। ক্ষণিকের এই বিরামে অসার হয়ে মূর্তিবৎ দাঁড়িয়ে পড়েছে দুজনে। বিনীতা এই নিস্তব্ধতা ভেঙে বলল, ‘আমি দেখছি।’
তারপর গোটা বাড়ি আবার শুনশান। মাঝে কেবল স্তব্ধতা ভঙ্গকারি কতকগুলো শব্দশোনা গেল মাত্র – বিনীতার দুপদাপ্ করে সিমেন্টের উঁচু সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নামার শব্দ, সদরের সরু গলিটা দৌড়ে পার করার শব্দ, দরজার খিল খোলার শব্দ। ব্যস্, আবার সব চুপ। এক মিনিট এভাবে কেটে যাওয়ার পর ঈশান নড়েচড়ে উঠে দোতলা থেকে হাঁক পেড়ে জিজ্ঞাসা করলো, ‘কে এল?’
এই প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া গেল না। ঈশান এবার অধৈর্য্য হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল। নিচে এসে বিনীতার পাশে দাঁড়িয়ে সে চোখের সামনে যা দেখল তাতে সেও বিনীতার মতই পাথর হয়ে গেল। আরও মুহূর্ত কাটতে নেমে দেখতে এল ইশা এবং তার পিছু পিছু নেমে এল সুমনও। এখনতো আর কোনও অতিথির আসার কথা নয়। তাদের চারজোড়া চোখ দেখল দরজার বাইরে আবছা অন্ধকারে গায়ে ধূসর পাতলা চাদর মুড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটা ছায়ামূর্তি। মা! বুকের ভেতরটা ধড়াস্ করে উঠলো ইশার। মা ফিরে এসেছে! দূরের স্ট্রিট ল্যাম্পের মিহি আলোয় তার মুখের ওপর আলো আঁধারির এক অদ্ভুত রহস্যময় খেলা চলছে।এরমধ্যেও দুই ভাইবোনের আজন্ম পরিচিত মায়ের সেই মুখ চিনে উঠতে কোনও অসুবিধা হল না। সুমনই প্রথমে ঢোক গিলে সাহস এনে বলল, ‘মা, আ-আপনি ফিরে এসেছেন?’
- ‘হ্যাঁ বাবা। আমি সুস্থ হয়ে গেছি দেখে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিল। তোমরা তো কেউ নিতে এলে না। তাই একাই চলে এলাম।’
সুমন আবার জিজ্ঞাসা করলো, ‘কবে ছেড়েছে?’
- ‘এইতো কালকে। গোটা একদিন বসে অপেক্ষা করলাম। তারপর নিজেই আস্তেআস্তে বেরিয়ে চলে এলাম।’
অলকার গলায় কোন গাম্ভীর্য নেই, আছে কেবল একটা থমথমে ভাব। কিন্তু সকলের অতি পরিচিত সেই গলার স্বর এখন এ বাড়ির সকলের কাছেই একটা পারলৌকিক স্বর বলেই মনে হচ্ছে। ইশা এবার গোঙাতে গোঙাতে বলল, ‘মা, তুমি ফিরে যাও। আমরা ভালো করে তোমার শ্রাদ্ধ করেছি। কোনও খামতি রাখিনি।’
অলকা যেন অবাক হয়েই বললেন, ‘ফিরে যাব কিরে?’
এতক্ষণ পর নিজের দুটো ঠোঁট ফাঁক করার শক্তি পেল বিনীতা, ‘হ্যাঁ মাসিমা, আপনি ফিরে যান। এ বাড়ির মায়া আর রাখবেন না। আপনি না ফিরে গেলে আপনার ছেলেমেয়েরই অমঙ্গল হবে।’
ঈশান এবার একটু ধাতস্থ হয়ে চোখের পলক ফেলে বলল, ‘মা, তুমিতো মারা গেছো। হসপিটাল থেকে ফোন করে আমাকে জানিয়েছে। ওখান থেকে এই সেদিন তোমার ডেথ সার্টিফিকেটটা নিয়ে এলাম। সেটা এখনও আছে আমার কাছে। তুমি চলে যাও মা, আর ফিরে এসো না। আমরা ঘটা করে তোমার বাৎসরিকও করব।’
- ‘পাগল নাকি তোরা? আমি বেঁচে আছি আর তোরা আমার শ্রাদ্ধ করে ফেললি!’
বলতে বলতে বিনীতাকে ঠেলে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়লেন অলকা। অলকার ঠান্ডা হাতের স্পর্শে একটা শিহরণ খেলে গেল বিনীতার সারা শরীরজুড়ে। ঈশানের সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষা একটা বহুতল বাড়ির মত এই বীভৎস ভূমিকম্পের প্রকোপে পড়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে। সুমন অবিশ্বাসের সুরে বলার চেষ্টা করলো, ‘মা আপনি তা হলে সত্যিই বেঁচে আছেন?’
অলকা এবার মেজাজ হারিয়ে ফেললেন, ‘একই কথা আর কত বার বলব? হ্যাঁহ্যাঁ, আমি বেঁচে আছি। হাসপাতালটা এইরকম ভুল না করলে তোমাদের সবাইকে হয়ত আর কোনোদিনই ঠিকমত চিনতে পারতাম না। যত সব লোভীর জাত। সম্পত্তির লোভে আমার শ্রাদ্ধ পর্যন্ত করে ফেলেছে! আর কীই বা আশা করা যায় তোমাদের থেকে? তবে কান খুলে সকলে একটা কথা শুনে রাখ এ বাড়ি আমি কাউকে দেব না। বেঁচে থাকলেও না, মরে গেলেও না। এটা আমি সরকারকে দান করব, তার যা ইচ্ছা হয় সে করবে।’
ঈশান এবার এক প্রকার মরিয়া হয়ে বলে উঠলো, ‘বাড়ি দেবে নাতো, আমিও তোমার খাওয়া পরার কোন খরচা বইতে পারব না।’
অলকা তেড়ে এসে বললেন, ‘কবে দিয়েছিলি তুই আমাকে খাওয়া পরার খরচা? শেষের দিকে নিজেই উল্টে আমার কাছে হাত পাততিস নির্লজ্জের মত। আমি দোকানটাকে আবার ঢেলে সাজাব। কাউকে আমার দায়িত্ব নিতে হবে না। কারোর সাহায্য কিংবা সহানুভূতির আমার কোন প্রয়োজন হবে না।’এই বলে অলকা ঠক্ ঠক্ করে সিঁড়ি বেয়ে সোজা দোতলায় উঠে গেলেন।
0 Comments
Post Comment