একটি না দেখা ভোরের জন্য

  • 26 March, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 676 view(s)
  • লিখেছেন : নার্গিস পারভিন
স্বামী, পুত্র, বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে তার সংসার। স্বামীর অফিস, ছেলের স্কুল, পড়াশোনা, শ্বশুর-শাশুড়ির অসুখ বিসুখ, সংসারের কাজকর্ম, রান্নাবান্না। পার্টি-সাটি, লোক-লৌকিকতা, ব্যাঙ্ক-বাজার-সপিংমল। একটা গোল রিং-‌এর যেমন কোনো থামা থাকেনা, কেবল পুনরাবৃত্তি থাকে, ঠিক সেইরকম। চলছে চলছে। কখনো দ্রুত কখনো ধীরে। পর্ণার আবর্ত নিয়েই এই গল্প। 

এ বাড়িতে কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া সাধারণত প্রতিদিন যে মানুষটি প্রথম ঘুমের বিছানা ত‍্যাগ করে এবং সবার শেষে আরামের বিছানায় নিজেকে বিছিয়ে দেয়, সে পর্ণা। ওরফে শ্রীপর্ণা। ইঞ্জিনিয়ার স্বামী, এক পুত্র এবং বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে তার সংসার। স্বামীর অফিস, ছেলের স্কুল, পড়াশোনা, শ্বশুর-শাশুড়ির অসুখ বিসুখ, সংসারের কাজকর্ম, রান্নাবান্না। পার্টি-সাটি, লোক-লৌকিকতা, ব্যাঙ্ক-বাজার-সপিংমল আক্ষরিক অর্থে সবই পর্ণা। নিজে। সঙ্গে ঠেকা দেওয়ার মত সহযোগিতা পায় ঠিকে ঝি মিতালির। ব্যস আর চিন্তা কি! মিতালিতো আছে, বাকিটা পর্ণা সামলে নেবে। বাড়ির লোক ভাবে। পর্ণা নিজেও তাই মনে করে। সারাদিন তার আর কাজটাই বা কি? এটুকু দায়িত্ব সে নেবে না? কি আর এমন! একটু সকাল সকাল উঠে চা-জলখাবার বানানো, ছেলের টিফিন তৈরি করা, ছেলেকে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করা। তার মাঝেই হাতে হাতে মিতালির সাহায্য নিয়ে অফিসের জন্য ডাল-সব্জী ভাত আর মাছের ঝোল। বাকি আরও দুটো পদের আনাজ কাটার দায়িত্ব মিতালির হাতে সঁপে দিয়ে পর্ণা তার স্বামী অরিজিৎকে খেতে দেয়। শ্বশুর-শাশুড়িকেও ব্রেকফাস্ট দেয় ওই সময়। তারপর অরিজিতের লাঞ্চ প্যাক করে। তার জন্য ইস্তিরি করা শার্ট-প্যান্ট, রুমাল-মোজা বার করে রাখে। অরিজিৎ বেরিয়ে গেলে ব্রেকফাস্ট সারে পর্ণা। মিতালিকেও দেয়। অতপর বাকি রান্না সারা, মিতালিকে কাচার জন্য জামা-কাপড় বের করে দেওয়া, মিতালির ঘরমোছার তদারকি করা। নিজের স্নান সারা, পুজো দেওয়া, স্কুল থেকে ছেলেকে আনতে যাওয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। চলতেই থাকে। শেষ নেই এর। রেখাংশের মত কোথাও গিয়ে থামা নেই। খালি আবর্ত আছে। একটা গোল রিং-‌এর যেমন কোনো থামা থাকেনা, কেবল পুনরাবৃত্তি থাকে, ঠিক সেইরকম। চলছে চলছে। কখনো দ্রুত কখনো ধীর। এটাই পর্ণা। সে নিজেকে এভাবেই ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করে। কি করবে সে? সে যে চুপচাপ বসে বসে সময় নষ্ট করতে পারেনা। তাই বাড়িঘরকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। বাড়ির মানুষগুলোকেও বড় যত্ন করে সে। এটা যে তার নিজের সংসার! সবাই যে তার বড় আপনজন! তাকে ছাড়া তারা যে বড় অসহায়! কিছুটা আত্মশ্লাঘাও বোধ করে পর্ণা। সে যে এই বাড়ির জন্য কত অপরিহার্য তা অনুভব করে আর নিজেকে আরও বেশি বেশি করে এই বাড়ির ছাঁচে ঢালে। আরও বেশি বেশি নিখুঁত হয়ে ওঠে। উপযুক্ত হয়ে ওঠে। যেদিন প্রথম সে এ বাড়িতে এসেছিলো, সেদিন সে এক্কেবারে আনাড়ি। কিচ্ছু জানতো না। কত যে হাত পুড়িয়েছে রান্না করতে করতে! কত পোড়া রান্না আর গলা ভাত যে খেতে হয়েছে বাড়ির সকলকে! পর্ণার শাশুড়ি তাকে নিজে হাতে একটু একটু করে গড়ে তুলেছিলেন‌। আর আজ এ বাড়ির সকলে পর্ণার উপর নির্ভর! শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনের কাছেও অরিজিতের স্ত্রী এক পরিচিত মানুষ, কাছের মানুষ। শাশুড়িমায়েদের ভালো বৌমা। দেওর-ননদদের মিষ্টি বৌদি। অরিজিতের অফিসেও সে সকলের প্রিয় বৌদি। পর্ণার রান্না নিত্য-নতুন ডিশের স্বাদ প্রায় সকলেই গ্রহণ করেছেন। এরজন্য অরিজিৎ নিজেও বেশ গর্ব বোধ করে। অফিস ফেরত অরিজিৎ পর্ণার বানানো চায়ে উষ্ণ চুমুক দিতে দিতে এর রহস্য জানতে চাইলে পর্ণা বলে ওঠে— ‘‌এগুলো করা খুব সহজ। এরজন্য মনের মধ্যে একটু আন্তরিকতা থাকা প্রয়োজন। আর কি? আমি তোমাদের জন্য সবসময় ভাবি বলেই পারি।’‌

সেদিন দুপুরে পর্ণা আনমনে হোয়াটস্আ্যাপ দেখতে দেখতে তার বন্ধুর পাঠানো একটা গান শুনলো। আসলে রোজ দুপুরে তার ছেলে যখন ঘুমায় তখন সে ছেলের পাশে বসে মোবাইলটা একটু নাড়াচাড়া করে। কোনোদিন গান শোনে, কোনোদিন টুকটাক চ‍্যাট করে। বন্ধুদের সঙ্গে তাদের স্বামী-সন্তান কিংবা পরিবার নিয়ে কথা বলে। কোনো কোনো দিন মাকে ফোন করে। মায়ের শরীরের খবর নেয়। অথবা অরিজিৎ কিংবা তার ছেলের গল্প করে। সেদিনও এইসব করতে করতে পর্ণা দেখলো তার কলেজের বন্ধু তৃষা তাকে কিছু পাঠিয়েছে। একটা গান। তার কৌতূহল হলো। হেডফোন কানে লাগিয়ে গানটা শুনতে শুরু করলো। খুব যে আগ্রহ নিয়ে শুরু করলো ঠিক তা নয়। শুকনো জামাকাপড় ভাঁজ করবে সে তাই ভাবলো কাজ করতে করতেই শুনে নেবে। বন্ধুকে একটা রিপ্লাই তো দিতে হবে। পর্ণা হাতের কাছে নিয়ে বসলো শুকনো জামাকাপড়। পাট করবে। গানটা বাজছে। একটি হিন্দি গান। একটা রবীন্দ্রসঙ্গীতের হিন্দি ভার্সান। কথা রচনা করেছেন কবি গুলজার, সুরে শান্তনু মৈত্র আর কণ্ঠে সান ও শ্রেয়া ঘোষাল। হেডফোন কানে দিয়ে, জামা গুছোতে গুছোতে গানটি শুনতে লাগলো পর্ণা। ওই সেই গানটা— ‘‌‘‌বুঝ্গয়া থা কিঁউ দীয়া? / জ্য়াদা হী বচায়া থা মিলন কি রাতমে জাগকর....’‌’‌ প্রথম দুটো তিনটে লাইন অতোটা মনোযোগ পেলোনা। তৃতীয় লাইন থেকে গানটার মধ্যে ডুবে গেলো পর্ণা। যেখানে শ্রেয়া ঘোষাল গানের মধ্যে সানকে প্রশ্ন করছে— ‘‌কিসলিয়ে সুখী নদী?’‌ শান উত্তর দিচ্ছে— ‘‌বাঁধ বাঁধা থা জরুরৎকে লিয়ে উসপর হামেশাকে লিয়ে রাঁখলু,— ইসলিয়ে সুখী নদী’‌ একবার নয়, দুইবার নয় পাঁচ থেকে ছয় বার গানটা শুনলো পর্ণা! শুরু থেকে শেষ। কোনো শব্দ যেন বাদ না পড়ে যায়! তার হাতের কাজ হাতেই রয়ে গেলো! সে ভুলে গেলো তার ছেলেকে ঘুম থেকে জাগাতে হবে, তাকে পড়াতে হবে! সব ভুলে সে কেবল গানটা শুনতে থাকলো! শব্দগুলো তার অর্থ নিয়ে পর্ণার মর্মে প্রবেশ করতে থাকলো! ‘‌বাঁধ বাঁধা থা জরুরৎকে লিয়ে। ইসলিয়ে সুখী নদী’‌! কিংবা ‘‌দিয়েছিনু ঝংকার তাই / ছিঁড়ে গেলো তার।’‌

গানটা শোনার পর থেকে এক ভাবনার ঘোরে চলে গেলো পর্ণা। দুপুর থেকে রাত, সব কাজ সে যন্ত্রের মতো করে গেলো। তার সেই অন্যমনস্কতা সকলের চোখে পড়লো। পর্ণা নিজের মতো করে উত্তর সাজিয়ে পাশ কাটালো। পর্ণার মনে তখন ঝড় উঠেছে! এ কোন্ অবিচার সে নিজের উপর করে চলেছে বছরের পর বছর? রাতে সবাই তখন শুয়ে পড়েছে। অরিজিৎও পর্ণার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। সাধারণত সব কাজ শেষ করে পর্ণার ঘুমাতে আসতে আসতে প্রায়ই অরিজিৎ ঘুমিয়ে পড়ে। সেদিনও অরিজিৎ ঘুমিয়ে গেলো। পর্ণা আলুথালু মনে আয়নার সামনে দাঁড়াল। চমকে উঠলো! নিজেকে দেখে! এ কোন পর্ণাকে দেখছে সে? এ কোন পর্ণা? কোন শ্রীপর্ণা? পর্ণা আয়নাকে প্রশ্ন করে ‘‌কে তুমি?’‌ আয়নার ওপারের জন শ্লেষের সঙ্গে জবাব দেয়, ‘‌কেনো? চিনতে পারছো না? আমিইতো সেই। তোমাদের শ্রীপর্ণা! চিনবে কেমন করে? এই এতোগুলো বছর আমাকে তো একবার ফিরেও দেখোনি! অথচ দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আমি অপেক্ষায় থেকেছি, কবে তুমি একবার নিজের কাছে ফিরবে, নিজেকে দেখবে এই প্রত‍্যাশায়! আর তুমি! আয়নার সামনে তো তুমি রোজ আসো। তুমি আসো, অরিজিতের স্ত্রী রূপে। গৃহস্থের গৃহবধূ রূপে। তোমার সন্তানের মাতৃরূপে। শরীর জুড়ে তোমার এয়োস্ত্রীর সাজ। কপালে সিঁদুর, হাতে নোয়া, চোখে কাজল। আর ঠোঁটে প্রশান্তির হাসি। ঘুরে ফিরে তুমি অরিজিতের স্ত্রী রূপে নিজেকে দেখো আর গর্ব বোধ করো। কখনো তো নিজেকে দেখোনি পর্ণা! আর আজ এতো বছর পরে তুমি তাকে খুঁজতে এসেছো? আজ তো সে অনেক দূরে! তুমি তো তাকে আর পাবেনা! তোমার পর্ণা গান গাইতো! নাচ করতো! বই পড়তো! তার খলখল হাসি যেন বয়ে যাওয়া নদী। তার স্বতস্ফূর্ত হৈ-হুল্লোড় যেন বাড়িতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতো! আর এখন! কে তুমি? তুমি তো পর্ণা নও!’‌ বিধ্বস্ত শ্রীপর্ণা দূরে সরে যায় আয়নার সামনে থেকে। আয়নার অভিযোগের সামনে টিকে থাকতে পারে না সে। শনিবারের সেই রাতে আর ঘুম আসে না পর্ণার। জানালার সামনে দাঁড়িয়ে উথাল-পাতাল ভাবনার ঝড়ে টাল-মাটাল হতে থাকে সে। 

পরের দিনের ভোর। রবিবারের ভোর। আবছা আঁধার, আবছা আলোর ভোর! সকাল হতে তখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি। সবার অলক্ষে পর্ণা চুপচাপ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে! সে চলতে থাকে। তার সঙ্গে চলতে থাকে তার ভাবনা। সে একাই ভাবছে, একাই বলছে! নিজেকে বলছে, ‘‌আমার জীবনটা প্রকৃতই প্রয়োজনের তাগিদে বেঁধে ফেলা নদীর মতো। স্বীকার করি। বিগত কয়েক বছর ধরে আমার জীবনের সকাল এসেছে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে। কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার কেটে, রাস্তার লাইটপোস্টের আলোগুলো ম্লান করে কীভাবে পৃথিবীতে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে তা আমি রোজ দেখি। আজ আমি রাস্তায় নেমেছি। আজ প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখবো। একটা না দেখা সূর্যোদয়ের জন্য আমি হেঁটে যাচ্ছি এক আধো-অন্ধকারের ভোরের রাস্তায়। রাস্তার দুইধারে তখনও নিশ্চুপ, হিমেল গাছেরা শেষ ঘুমে অচেতন। গাছেদের ফাঁক-ফোঁকোর দিয়ে এসে পড়া লাইটপোস্টের মৃদু আলো রাস্তার উপর গড়ে তুলেছে এক অলীক ছায়া-আলপোনা! এ রাস্তা যেন আমার রোজকার হেঁটে চলা সেই চেনা রাস্তা নয়! সত্যিই তা নয়তো! আগে তো কখনও চলা হয়নি এই পথে! যেন আমি হঠাৎই এসে পড়েছি কোনো স্বপ্নপুরীতে! এ পুরীতে যেন আমি ছাড়া আর সবাই ঘুমিয়ে থাকে।’‌... এরই মধ্যে ভোরের নরম সূর্য এসে ছড়িয়ে দিলো জিওন আলো! গাছেরা আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠলো। গাছেদের মাথায় মাথায় পাখিদের মর্নিং বেল্ খুব কাছ থেকে শুনলো পর্ণা। চমকিত পর্ণা ভাবলো এই কলোনিতে বুঝি সে ছাড়া কেবল পাখিরাই থাকে। সে ভুল ভাঙ্গিয়ে দিয়ে সাইকেলের বেল বাজিয়ে তাকে পাশ কাটালো নিউজপেপার বয়। আরও একটু এগিয়ে যেতেই বাঁ দিকে, বাজারে পর্ণার চোখে পড়লো ডেয়ারি মিল্কের গাড়ি।  ডেলিভারি বয়রা ব্যস্ত-সমস্তভাবে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছে। এক্ষুণি শুরু হবে তাদের তৎপরতা। পর্ণার বাড়ির কথা মনে পড়লো। তার ছেলের কথা, সকালের চা, জলখাবার, ইত্যাদি ইত‍্যাদি। সকলে অপেক্ষা করবেন তার জন্য। অথচ সে বাড়ি নেই! সে বাড়ি ফেরার টান অনুভব করলো। তার খেয়াল হলো সে অনেকটা চলে এসেছে। ফিরতে তার বেশ দেরি হয়ে যাবে! বাড়িতে সকলে তাকে খুঁজবে। ছেলেটাও হয়তো জেগে উঠেছে। হয়তো ক্ষিদে পেয়েছে তার! ইস্! আজ সে ধোসা বানাবে ঠিক করেছিলো! আজ সব বিলম্ব হবে। আজ দুপুরে খাওয়ার পর একটু বাইরে বেরোনোর কথা ছিল। কাজ শেষে সিনেমা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো অরিজিৎ! আর কখন হবে!

এইসব ভাবতে ভাবতে বাড়িমুখী হতে যাবে পর্ণা, এমন সময় তার ভিতরে জেগে উঠলো আয়নার পর্ণা। কাল রাতের পর্ণা। বলে উঠলো, ‘‌এতো উতলা হওয়ার কি আছে? একটা দিনের মাত্র কিছুটা সময় সে নিজের মতো করে কাটিয়েছে, তারজন্য  ভয় কেনো পাবে সে! এতো কিসের ভাবনা? না হয় আজ একটু দেরিতেই হবে সবকিছু! আজ নাহয় তারা সিনেমা যাবে না। এমনতো অনেকবার হয়েছে, অরিজিতের মুড ভালো নেই বলে প্রোগ্রাম বাতিল।’‌ পর্ণা রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসলো। চারদিকটা দেখতে থাকলো। রাস্তার দুই পাশে বেশির ভাগই দেবদারু আর অশত্থ গাছ।  কিছু বকুল গাছ। কী সুন্দর সাজানো তাদের এই কলোনি! অথচ কোনোদিন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে একাত্ম হয়নি পর্ণা। এই সময়, প্রকৃতির এই অনিন্দ্য সুন্দর রূপ তার নিজের কাছে নিজেকে ফিরে পাওয়া! পর্ণা যেন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছেনা!...হঠাৎ তার কণ্ঠ থেকে রবীন্দ্রসংগীত  বেরিয়ে এলো— ‘‌এই আকাশে, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’‌‌

পুনঃপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ ৩ নভেম্বর ২০২১

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও ছোট গল্পকার

ছবি: সংগৃহীত

0 Comments

Post Comment