- 02 August, 2024
- 0 Comment(s)
- 125 view(s)
- লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
[৮]
এই দেশে ভোট আসে। এই দেশে ভোট যায়। দিন বদলায় না। সুস্মিতাশ্রী অথবা সুবর্ণ সেন, বৃথাই তারা মরীচিকার পিছনে ছুটে বেড়ায়। কোন এক পাগলামির নেশায় তাদেরকে পেয়ে বসে, মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ। পথ শেষ হয়ে এলে তারা আবারও আগ্রহ ভরে তাকিয়ে দেখতে চায়। কেবল এক ভোট পেরিয়ে তারা দেখে, আরেক ভোট এসেছে ঠিক।
কিন্তু তারই মধ্যে সেদিনের সকাল। সুবর্ণ সেন মনের মধ্যে এতদিন ধরে জেনে আসা বিষয়গুলোকে পরের পর সাজিয়ে নিচ্ছিল। হিসেব কষছিল বোধহয়। সুখেনের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার পর এর মধ্যে বেশ কয়েকবারই তারা ফোন-হোয়াটস্যাপে একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এমনকি মিহিরের সঙ্গেও সুবর্ণের এক-আধদিন কথা হয়েছে। সোনালীদি’কে বিষয়টা জানানোর পর প্রথমদিকে দোটানায় ভুগলেও শেষমেশ সেও রাজি হয়েছে স্টোরিটা ভাসাতে। কিন্তু তার শর্ত কেবল একটাই, ভোট না মিটলে এই সিরিজ নয়। তার স্পষ্ট বক্তব্য, প্রথমত ভোটের সময় অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক খবরই ততটা মাইলেজ পেয়ে উঠতে পারে না। দ্বিতীয়ত, বিশেষ এই বিষয়টি যেহেতু যথেষ্টই স্পর্শকাতর এবং বেশ কিছু পরিচিত নাম তাতে জড়িয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা, কাজেই – ভোট চলাকালীন খামোখা এমন ঝামেলার সম্ভাবনা বাড়াতে নেই। বিষয়টার রাজনীতিকরণ যাতে না হয় সোনালীদি সেই দিকটাতে গুরুত্ব দিয়েই কথাটা বলেছে। সুবর্ণও আপত্তি করেনি। সেও চায় বিষয়টা যতখানি সম্ভব স্পষ্ট পরিবেশে বেরোক। অবান্তর জলঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা যত থাকবে, ততই কাজের কাজ না হওয়ার সম্ভাবনা। সুবর্ণ কেবল মালতীকে সসম্মানে জেল থেকে বের করে আনতে চায়।
এরমধ্যে একদিন সে জেল-ভিজিটে গিয়ে মালতীর সঙ্গেও দেখা করে এসেছে। চেষ্টা করেছিল সরকারি হোমে গিয়ে রানীর সঙ্গেও যোগাযোগ করার। কিন্তু সে অনুমতি মেলেনি। মালতীর সঙ্গে প্রথম কথা বলে তার মনে হয়েছে সে যথেষ্ট শক্ত মেয়ে, এবং এখনও সে শিরদাঁড়া সোজা রাখতে চায়। কেবল লোহার গরাদের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে সুবর্ণের হাতদুটো শক্ত করে ধরে রাখতে রাখতে মালতী কাঁপা গলায় বলে উঠেছিল, “দেখবেন দিদি, আমার মেয়েটার যেন কোনও ক্ষতি না হয়। আর সবটুকু দিয়ে আমি লড়াই করব!”
এও কি বাস্তব?
নাকি কল্পনা বলে মনে হয়?
এদিকে মালতীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চুরি যাওয়া টাকার অঙ্কটা দ্বিতীয় শুনানিতেই পুলিশের তরফে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তদুপরি যোগ হয় আরও কিছু ‘নিখোঁজ গয়না’র হিসেব। সুদীপ সেনগুপ্তকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সুখেন বা মিহিরের কাছ থেকে যে তথ্য সুবর্ণ পেয়েছে, তাতে অবশ্য এই সবকিছুই সাধারণ ঘটনা বলে মনে হয়। এমন অন্ধকার সুবর্ণ এর আগেও দেখেছে। কিন্তু তেমন অন্ধকারের বিরুদ্ধেও বুক চিতিয়ে লড়ে যাওয়া মানুষ, এমন সে দেখেছে অনেক কম। স্টোরিটা মোটামুটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেবল সাক্ষী হিসেবে যদি অন্তত আরও দুএকজন, নিদেনপক্ষে একজনকেও যদি বা খুঁজে আনা যেত। সুবর্ণ তবু আপসোস করে না। প্রত্যেক স্টোরির একটা নিজস্ব চলন রয়েছে। সেই অনুসারেই সেগুলির বেড়ে ওঠা। সুবর্ণ এই স্টোরিটাকেও ঠিক সেই নিয়মেই বাড়তে দিতে চায়। সে কাগজপত্র গুছিয়ে নেয়। সকালে অফিসে বেরুনোর সময় হয়ে গিয়েছে। বকুল এসে তার গলা জড়িয়ে ধরে। সুবর্ণের ব্যস্ততার কারণে আজ চন্দনেরই উপর তাকে স্কুলে পৌঁছনোর ভার। সুবর্ণ মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আদর করে। একটিবার মাত্র তার রানীর কথা মনে পড়ে যায়। সে অস্ফূটেও কিছু বলে না। কেবল নিজের মেয়েকে সে আরও একটু কাছটিতে জড়িয়ে ধরতে চায়।
গাড়িতে উঠতে উঠতেই ফোন বেজে ওঠে। ফোনের ওপাশে সুখেনের গলার স্বর।
-“দিদি, একজনকে পেয়েছি যে কথা বলবে,”
-“বলছ? শেষ অবধি ডোবাবে না তো আবার?” সুবর্ণ জিজ্ঞেস করে। শিগগিরই এ লড়াই বড় কঠিন হয়ে উঠতে চলেছে। যদিও ঠিক সেই মুহূর্তে সুবর্ণ তার তল পেয়ে উঠতে পারে না। সে কেবল উৎসাহের সঙ্গে আবারও জিজ্ঞেস করে,
-“ভালো করে দেখেশুনে নিয়েছ তো সুখেন? শক্ত মনের লোক তো?”
-“আপনি নিশ্চিন্ত থাকুক দিদি, সুখেনের মানুষ চিনতে ভুল হয় না,”
-“কবে দেখা করাচ্ছো?” সুবর্ণ সুখেনের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এবারে জিজ্ঞেস করে।
-“কাল তো আবার ভোট। ভোটটুকু শেষ হয়ে যাক। কাল সন্ধ্যায় দেখা করাই?”
রাজি হয়ে যায় সুবর্ণ, “তাই হোক,” তাছাড়া আজ, এই ভোটের জন্যই আরও একটা ছোট্ট ফিল্ড-জব এখনও বাকি রয়েছে তার। চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধান তাই আপাতত মেনে নেওয়াই যায়। সে সুখেনকে সম্মতি জানিয়ে দেয়। কিন্তু দুপুর গড়াতেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।
দিল্লির কোনও এক শাসকনেতা, গতকাল ভোটপ্রচারের শেষলগ্নে এসে মফস্বলের কোনও এক সভায় রীতিমতো উসকানিমূলক ভাষণ দিয়ে গিয়েছিলেন। রাত না কাটতেই এলাকায় ছোটবড় গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে। শেষ অবধি তার রেশ শহরে পৌঁছে যায়। সুবর্ণেরা জানতে পারে কালীঘাট, ভবানীপুর, যদুবাবুর বাজার, এই সব এলাকাতেই গণ্ডগোলের দাপট খুব। জায়গায় জায়গায় আগুন লাগানো হয়েছে। দুখানি বাস, খানতিনেক বাসস্ট্যাণ্ড পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’দলের সংঘর্ষে আহত অনেকজন। সুবর্ণ সোনালী সামন্তকে জিজ্ঞেস করে সূরযকে সঙ্গে নিয়ে সে বেরিয়ে পড়বে কি না। কিন্তু সোনালীদি বারণ করে দেয়। অবস্থা খানিক নিয়ন্ত্রণে না আসা অবধি সে ঝুঁকি নিতে চায় না। এদিকে টিভির খবরে দেখাতে থাকে আশুতোষ মুখার্জি রোড ধরে কমব্যাট ফোর্স এবং আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা রুট মার্চ শুরু করেছে। পোড়া টায়ার আর লকলকে আগুনের তেজ, ফাঁকা রাস্তার ব্যাকড্রপ, অস্বস্তিকর ছবিগুলো লুপে চলতে থাকে। সুবর্ণ নিরাশ হয়ে কপি লিখতে চেষ্টা করে কিছুক্ষণ। নতুন করে কোনও হিংসার খবর আর পাওয়া যাচ্ছে না।
সে একবার চন্দনকে ফোন করে। বকুলের স্কুল যদিও সল্টলেক সেক্টর থ্রিয়ের কাছে। আপাতত সেখানে গণ্ডগোলের কোনও খবর নেই। তবু সে জিজ্ঞেস করে নেয়। স্কুল থেকে জানায় আজকের জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিকেল সাড়ে পাঁচটা অবধি স্কুলেই রেখে দেওয়া হবে। তারপর স্কুলবাসে করে প্রত্যেককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই, যারা বাসে যাতায়াত করে না সেই সব ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গেও স্কুল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। সুবর্ণ আশ্বস্ত হয়। সে আবারও ফোন রেখে ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করতে থাকে। শহরের গণ্ডগোল খানিক থিতিয়ে এসেছে বলে মনে হয়।
কিন্তু কোথাও যেন একটা অস্বস্তির ভাব জিইয়ে থাকে। সুবর্ণের ভালো লাগছে না। অদ্ভুত এক অন্ধকার। অফিসের নিস্তব্ধতা তাকে ভাবিয়ে তোলে। সোনালীদি ইচ্ছে করেই তাকে গ্রাউণ্ডে পাঠায় না। আপাতত সরকারি নিউজফিড থেকে খবর আসুক। চারটে নাগাদ সুবর্ণ চেষ্টা করে দেখবে আরেকবার। কিন্তু তার আগেই সোনালীদির ফোন বেজে ওঠে। ফোন রেখে সে সুবর্ণের দিকে তাকায়। কিছু একটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সুবর্ণ …
[***]
গোখেল রোড অঞ্চলে যখন গণ্ডগোল শুরু হয়, সুখেন বাড়ি ছিল না। এদিকে নিজের তাগিদেও সে সুবর্ণের সঙ্গে দেখা করতে চায়নি আজ। কারণ সুখেনের আরও একটা পরিচয় আছে। সাংবাদিক সুবর্ণও এতদিনে সেই পরিচয় জেনে গিয়েছে। সুখেন নিজে রাজনীতি করে। সরকারবিরোধী দলের বিপজ্জনক রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে তার। বিগত বেশ কিছু বছরে স্থানীয় শাসকনেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হওয়ার ক্ষেত্রে, এই সুখেনই ক্রমশ এলাকার পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। তবু আজকের গণ্ডগোলে অন্তত তার পক্ষের কোনও লেনদেন ছিল না। যা কিছু মারামারি ভাঙচুর সব ওই কেন্দ্র-রাজ্যের দুই শাসকদলেরই হট্টগোল-দলাদলির বিষয়।
অন্তত তাই জানত সুখেন। তাই বাজারে গিয়ে ঝামেলা বেঁধেছে শুনে সে সামনাসামনি অতটাও ব্যস্ত হয়ে পড়েনি। সে মনে করেছিল তাদের বস্তি এই হামলা থেকে নিরাপদ। সেখানে কেবল স্থানীয় শাসকদলেরই আধিপত্য। কেন্দ্রের ভুঁইফোড়েরা এখনও অবধি সেই বস্তিতে থাবা বসাতে পারেনি। কিন্তু তার হিসেবেও কিঞ্চিৎ ভুল হয়ে গিয়েছিল। এই আগুনের চরিত্র ছিল অন্যরকম। অন্য কোথাও থেকে আলাদা করে নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছিল তার।
বিশেষ পতাকা নিয়ে একদল মুখ ঢাকা লোক সুখেনদের বস্তিতে ঢুকে পড়তেই ব্যাপারটা বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই সুখেন হাতের বাজার রাস্তার একপাশে ফেলে দিয়ে ছুটতে শুরু করে। বস্তিতে তখন হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে গিয়েছে। কয়েকটা ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে কারোর তরফে প্রচার করা হয়েছিল এই বস্তিতেই কোনও এক দলের গুণ্ডারা এসে আশ্রয় নিয়েছে, আর সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। ঝামেলাটা যেন লেগেছিল সুখেনের বাড়ির আশেপাশেই …
“দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু! এ পিওর কেস অব এ্যাসফিক্সিয়েশন”, দেহ দেখে পুলিশের ডাক্তার বলেন, “আপাতত দেহ মর্গে চালান দিন!”
[***]
পড়ে থাকা লাশের সামনে পাথরের মতো হাঁটু গেড়ে বসেছিল সুখেন। পাশে দাঁড়িয়ে সুবর্ণ। আরও অজস্র সাংবাদিক, বুম-ক্যামেরার ঝলকানি। মন্ত্রী-স্তরের একজনেরও আসার কথা রয়েছে। সুখেন কোনও কথা বলছে না। সুখেনের দলের কিছু লোক বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু সে সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে চারপাশ ঘিরে রেখেছে। সুবর্ণ একবার সুখেনের পিঠে হাত রাখে। ভিড় ঠেলে কাউন্সিলর লক্ষণ মজুমদার এসে পৌঁছলেন। তাঁর পাশের মানুষটিকেও চিনতে পারে সুবর্ণ। সামনাসামনি আলাপ না হলেও অম্বরীশ মিত্রের ছবি সুবর্ণ এর মধ্যে ইন্টারনেটে, খবরের কাগজে অনেকবার করে খুঁজে দেখে নিয়েছে। কাছ থেকে দেখলে অবশ্য আরও বোঝা যায় ভদ্রলোক রীতিমতো ত্বকের যত্ন নেন। তাঁর দুহাতে বেশ কয়েকটি দামী আংটি। মিত্রমশাই ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে এসে সুখেনের পিঠে হাত রাখেন।
-“বেরতে পারলেন না বল? কি আর করা যাবে – অদৃষ্ট!” অম্বরীশ মিত্র দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
-“বাপ আমার ঠিকই বেরতে পারত,” হঠাৎ হিসিয়ে ওঠে সুখেন, “বাইরে থেকে শেকল তুলে দিয়েছিল কেউ!”
-“আহা তাই তো তাই তো!” অম্বরীশের গলায় আক্ষেপের সুর, “এইসব গণ্ডগোলে কে কোথায় কি ঝামেলা করে বসে, দেখছেন আপনারা?” তিনি যেন জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। সুবর্ণ একপাশ থেকে সুখেনের কাঁধ ছুঁয়ে রয়েছে। সে জানে সুখেনের এখন নীরব থাকা প্রয়োজন। কারণ তাদের হাতে কোনও প্রমাণ নেই। লক্ষণ মজুমদার পাশ থেকে কথা বলে ওঠেন।
গতানুগতিক সেই এক বক্তব্য। কিভাবে বিশেষ একটি দল শেষ দফার ভোট শুরু হওয়ার আগেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে, কিভাবেই বা লক্ষণ মজুমদারের দল সাধারণ মানুষের স্বার্থে সেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে … মাথা ঝিমঝিম করে সুবর্ণের। ঠিক সেই সময়েই সে শুনতে পায়, লক্ষণ মজুমদার আরও বলছেন, “কেবল শান্তি বেরা’ই নয়, আমাদের দলীয় কর্মী ছকু মাইতি – তারও দেহ খালপাড় থেকে এইমাত্র উদ্ধার করা হয়েছে!” সুবর্ণ অবাক হয়ে তাকায়। আরও একটা লাশ!
সুখেনের বলা নামটা সুবর্ণ মনে করতে চেষ্টা করে। সুখেন যার সঙ্গে তার দেখা করাবে বলেছিল। নামটা মনে পড়তেই সে সুখেনের দিকে তাকায়।
ওদের মনে হতে থাকে অতল অন্ধকারের সামগ্রিক চরিত্রটা যেন তার সমস্ত নখদাঁত নিয়ে গুহা থেকে বের হয়ে এসে ওদের দুজনের সামনেটায় বেয়াব্রু হয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে।
(চলবে)
আগের পর্বের ঠিকানা – https://nariswattwo.com/welcome/singlepost/the-siege-serialised-novelette-series-seven
লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক
ছবি : সংগৃহীত
0 Comments
Post Comment