- 14 May, 2020
- 0 Comment(s)
- 809 view(s)
- লিখেছেন : তামান্না এমি
"বাঘের ভয়ে উঠলাম গাছে
ভূত বলে পেয়েছি কাছে।" (প্রবাদ)
সমসাময়িক অবস্থার সঙ্গে উপরের এই প্রবাদের অনেক মিল পাওয়া যাচ্ছে। কীভাবে, সে প্রসঙ্গে যাবার আগে চট করে আমরা দুটো ঘটনা জেনে নেব। দিল্লির আমার এক বান্ধবী কয়েকদিন আগে ফোন করেছিল। তাদের কমপ্লেক্সে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সে খুবই চিন্তিত। তার খুব ছোট একটি কন্যা আছে। কিন্তু ওর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে টের পেলাম সে খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছে। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললো একবার। হতাশ হয়ে জানালো অনেক সমস্যার মধ্যে আছে। রান্নার মাসি আসছে না, ফলে তাকে রান্নাবান্না করতে হচ্ছে। রান্নায় সে অপটু তাই তাকে বরের কাছে গঞ্জনা শুনতে হচ্ছে। (বেচারি আমাকে WhatsApp করে মাঝেমধ্যে রেসিপি নিচ্ছে আজকাল) আমার বান্ধবীর শ্বশুর, শাশুড়ি কলকাতাবাসী, কিন্তু তার একমাত্র দেওর তাদের সঙ্গে থাকে। সে তৈরি ছেলে, নানারকম উপদ্রব করে বাড়িকে মাথায় তুলে রেখেছে। তার খাবার পছন্দ হয় না, তাই খাবার খায় না, তার লকডাউনে কিছু ভাল লাগে না, ঘরের দোর খোলে না চার-পাঁচ দিন। মাতাল হয়ে ঘরে অশান্তি করে। ফোন রিসিভ করে না। এবং সেই ছেলের যাবতীয় দায়ভার আমার বান্ধবীকে নিতে হয়। শাশুড়ি ফোন করে তির্যক কথা শোনায়। ভাই খাচ্ছে না বলে বর কান্নাকাটি করে ভাতের থালা ফেলে উঠে পড়ে। যতরকমভাবে পারা যায় তাকে হাবেভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সব দোষ নন্দ ঘোষের। আমার বান্ধবী postpartum depression-এর সঙ্গে লড়ছিল, এখন লকডাউনে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে গার্হস্থ্য হিংসা। সে ফোনে কথা বলতে বলতে জানিয়েছিল, মাঝেমধ্যে বাড়িতে এত অশান্তি হচ্ছে, মনে হচ্ছে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিই ! সে দশতলায় থাকে, যদি সত্যিই এই কাণ্ড করে ফেলে, ভেবে আমি শিউরে উঠি, অনেক বুঝিয়ে তাকে ঠান্ডা করি সে যাত্রায়। দিল্লির উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের চিত্র এটি।
লকডাউনের ফাঁদে পড়ে আমি আটকে আছি গাজিয়াবাদে। এক বান্ধবীর বাড়িতে। এই বাড়িতে আমার অবাধ যাতায়াত। ফলে সেই সুবাদে এ বাড়ির গৃহকর্মীর সঙ্গে আমার সদ্ভাব গড়ে উঠেছে। লকডাউন তিন-এ কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাই সে কাজে আসছে। কিন্তু সদা হাস্যময় মেয়েটির মুখের হাসি কোথায় মিলিয়ে গেছে! আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে? সে জানালো তাদের অবস্থা খুব খারাপ। টাকাপয়সা হাতে নেই, লোকাল নেতারা সাহায্য করবে বলেছিল। কিন্তু কোনো সাহায্য পায়নি। মেয়েটি আঠারো বছরের। মা-বাবা-ছোট একটা বোনপোকে নিয়ে তাদের চারজনের সংসার। মা-বাবা জামাকাপড় প্রেস করতো। কিন্তু লকডাউনের জন্য সে পাট চুকেছে। সবার কাজ বন্ধ, তাই বাড়িতে নিত্যদিন বাবা-মা-মেয়ের ঝগড়া হচ্ছে। কখনও বা সে রেগে গিয়ে ছোট বোনপোকে মারছে। এইভাবে তাদের দিন চলছে। মেয়েটি আমাকে বললো - বহত বুরা হাল হো গ্যায়া দিদি, কিয়া কারু! উত্তরপ্রদেশের নিম্নবিত্ত পরিবারের কাহিনি এটি।
করোনা বাঘের ভয়ে এখন আমরা সবাই গৃহবন্দি। আতশ কাঁচ দিয়ে নিরীক্ষণ করলে দেখা যাবে প্রায় সব বাড়িতেই ভূত লুকিয়ে আছে। দার্শনিক অরিন্দমযে চক্রবর্তীর মতে, হিংসাচক্র কখনোই সম্পূর্ণ রূপে সুবিচার করতে পারে না, তাই এর শেষ হয়তো ধ্বংসে। (তথ্যসূত্র : হিংসার পুরোবাক, পুরোবাকের হিংসা: সন্ত্রাস ও প্রাত্যহিকের বিপর্যাস, সম্রাট সেনগুপ্ত) এইসময় (লকডাউন) সারা বিশ্বে গার্হস্থ্য হিংসা বেড়ে চলেছে। বলা বাহুল্য ভারতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া যেহেতু দুম করে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সেহেতু সরকার যেমন ভাবে ভুলে গেছে অসহায় শ্রমিকদের কথা, চিকিৎসা করতে গিয়ে আটকে পড়া মানুষদের কথা, তেমনি ভুলে গেছে নারী-সুরক্ষা, শিশু-সুরক্ষার কথা। কিংবা আদতে এই বিষয় সম্পর্কে সরকার ওয়াকিবহাল? মনে এ প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে! পাঁচ হাজার বছর আগে যে পিতৃতন্ত্রের উদ্ভব, এত সহজে তার নিস্পত্তি কী করে ঘটবে! নারীদের কি মানুষের তালিকা ভুক্ত করেছে আমাদের সরকার বাহাদুর? উদাহরণ শুধু শ্লোগানে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’। অথচ এই তৃতীয় বিশ্বে দাঁড়িয়ে নারীর সুরক্ষা চাওয়াই এখন বড় বাড়াবাড়ি।
এবার আমরা দেখে নেব, বিদেশের অবস্থা কি রকম।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের মহিলাদের উপর পারিবারিক হিংসা বেড়ে গেছে। বাড়িতে বেশি সময় থাকার জন্য অকারণে ছেলেরা বিরক্ত হচ্ছেন। খাবারের সমস্যা হচ্ছে। একঘেয়েমি বাড়ছে। বন্দি থাকার ফলে অনেকেরই মানসিক সমস্যা হচ্ছে। সমস্ত রাগ মহিলাদের উপরে পড়ছে। খুব দুঃখজনক বিষয়। বিশ্বের সবাইকে আমি অনুরোধ করছি নিজের বাড়িতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বাস করতে।
বিদেশেও লকডাউনের কারণে গার্হস্থ্য হিংসা বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা ভারি হয়েছে বিবাহবিচ্ছেদেরও। চিনে লকডাউনের ফলে অনেক বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তুরস্কে লকডাউনের পর চারগুণ বিচ্ছেদ হয়েছে, সেই তথ্য দিয়েছেন সে দেশের আইনজীবীরা। দুবাইতেও একই ঘটনা ঘটেছে। ইউকে, ইউএসএ, ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন, গ্রিস সব স্থানে গার্হস্থ্য ঝামেলা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। কবির ভাষায় বলতে গেলে- "পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন।"
স্পেন সরকার জানিয়েছে মহিলারা যদি হিংসার শিকার হন তাহলে এই লকডাউনেও অভিযোগ জানাতে রাস্তায় বেরতে পারবেন। এমনকি সেই দেশের সরকার সাংকেতিক সংখ্যা দিয়েছেন মহিলাদের, কোন মহিলা ওষুধের দোকানে গিয়ে যদি জানান মাস্ক ১৯ দরকার, তাহলে তাকে সাহায্য করা হবে। পুরুষরা বাড়িতে থাকছেন, ফলে অনেক দেশে বার্তা পাঠিয়ে ভিক্টিমরা সাহায্য চাইছেন। ইটালিতে ফোনের থেকে বার্তা পাঠিয়ে নিজের দুরবস্থার কথা বেশি জানানো হচ্ছে। আবার ইউএসএ-তে বাচ্চারা তাদের হেল্প লাইনে ফোন করে মায়ের জন্য সাহায্য চাইছেন।
আমাদের দেশেও খুব স্বাভাবিক ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসা বেড়েছে। কখনো লুডো খেলায় বউয়ের কাছে হেরে, বর্বর বর বউয়ের কোমর ভেঙে দিচ্ছে। কখন পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে ঝাঁজ লাগায় বউকে মেরে পাটপাট করে দিচ্ছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসছে। লক ডাউনের আগে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে একশো ষোলটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। লকডাউন শুরুর পর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল দু'শো একানব্বই। ইমেল মারফত বেশি অভিযোগ আসছে। ফোনে কিংবা ডাকে অভিযোগ জানালে এই পরিসংখ্যান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা জানাচ্ছেন, লকডাউন কালে গৃহহিংসার অভিযোগ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। উত্তর ভারতে (উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব) সব থেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। রেখা বলেছেন, “বাড়িতে বসে থেকে থেকে পুরুষেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন আর সেই হতাশা তাঁরা উগরে দিচ্ছেন বাড়ির মেয়েদের উপর।” (তথ্যসূত্র : ফেমিনা, ৯/৪/২০২০)
উনিশে এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র এগারো দিনে জাতীয় মহিলা কমিশনে প্রায় ৯২ হাজার গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জমেছে। (তথ্যসূত্র: Zee ২৪ ঘন্টা, ১৯/৪/২০২০)
ইউ.এন.এফ.পি.এ-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর নাটালিয়া কানেম বলেছেন, “সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়তে চলেছে মহিলা ও তরুণীদের উপর। এই সংক্রমণ লিঙ্গবৈষম্য আরও বাড়াচ্ছে। মহিলারা তাঁদের নিজেদের ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে বিপদের মুখে পড়ছেন। ৬ মাসের লকডাউন আরও ৩ কোটি ১০ লক্ষ গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা বাড়াবে বিশ্বের মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশে। যা প্রতি তিন মাসে বাড়বে অন্তত দেড় কোটি করে।” (তথ্যসূত্র : এইসময়, ৬/৪/২০২০)
লকডাউনের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পরিকল্পনা মাফিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
ফ্রান্সে ভিক্টিমদের সরকারি খরচে হোটেলে রাখা হচ্ছে। ব্রিটেনে কেউ অত্যাচারিত হলে লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে নিজের সুবিধা মতো ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে সরকার আশ্বস্ত করেছে। আমাদের সরকার কী করেছে আমাদের জন্য? মদের দোকান খুলে দিয়েছে! আর কি চাই? একশো তিরিশ কোটি ভারতবাসী আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। সব রাজ্যে মদের দোকান খোলা হয়েছে। কি পরিমাণ হিংসা বাড়বে আন্দাজ করা যাচ্ছে না! অর্থনৈতিক মন্দা কাটাবার জন্য নাকি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে WHO কড়া ভাষায় জানিয়েছিল এলকোহল পান করলে ইমিউনিটি কমবে, গার্হস্থ্য হিংসা বাড়বে তাই এসময় সাবধানতা বজায় রাখা উচিত। তবুও আমাদের সরকার অপ্রিয় পন্থা অবলম্বন করল। হঠকারিতার মাশুল ভারতবাসীকে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, জাভেদ আখতার, মালাইকা আরোরা মদের দোকান খোলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা জানান এতে গার্হস্থ্য হিংসা বাড়বে।
‘লকডাউন অন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স' নামে একটি ভিডিও প্রচারে অংশ নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট মহল ও সিনে মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। লকডাউনে গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলেছেন। এমনকি পুলিশে অভিযোগ জানাতেও বলেছেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে এই দেশের সরকার বাহাদুর বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়। লকডাউনের সময় একবারের জন্য কেউ ভাবেননি ভিক্টিমদের কথা। আচ্ছা, এখানে কি স্পেনের মত কোনো নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে? সরকারি হেল্প লাইন আছে, কিন্তু তার প্রচার কোথায় হচ্ছে? কোনো নির্দেশিকা জারি হয়েছে, কোথাও যদি কেউ হিংসার শিকার হয় তাকে কীভাবে দ্রুত উদ্ধার করা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর আছে আমাদের কাছে?
কেউ নির্যাতিত হয়ে যদি পুলিশের কাছে যাবার দুঃসাহস দেখান এই মহান দেশে তাকে পুলিশ কৌশলে বুঝিয়ে দেবে বৃথা ঝামেলা না করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে। ছোট থেকে একটা বাচ্চা শেখে তাকে কীরকম আচরণ করতে হবে। একটি শিশুকে যখন প্রতিনিয়ত তুমি ছেলে, তুমি ক্ষমতাধর বোঝানো হয়, সে মনের অজান্তে নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবা শুরু করে। তার প্রতিফলন পড়ে তার চলনেবলনে। সে বুঝে যায়, তার থেকে নিচে যে অধীনস্থ তাকে হেনস্থা করে পৈশাচিক সুখ পাওয়া যাবে। তাই খুব সহজে অর্জিত আচরণ তার মজ্জাগত হয়ে ওঠে।
পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে, অদূরভবিষ্যতে গার্হস্থ্য হিংসা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, সেইজন্য দ্রুত কার্যকরী পরিষেবা ব্যবস্থা চালু করে জরুরিভিত্তিক সাহায্য দেওয়ার কথা সরকারের বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।
“শতাব্দীলাঞ্ছিত আর্তের কান্না
প্রতি নিঃশ্বাসে আনে লজ্জা;
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা, আর না -
পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।” (সুভাষ মুখোপাধ্যায়)
কয়েকদিন আগে ভারতীয়ত্ব প্রমাণ দেবেন না বলে দিল্লির শাহিনবাগে, কলকাতার পার্ক সার্কাস অঞ্চলের অতি সাধারণ মহিলারা পথে নেমেছিলেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা কোনো অংশে কম যান না। তাদের রণচণ্ডী মূর্তি দেখে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল সরকার। আশা করা যায়, এবারো হয়তো তার অন্যথা হবে না। পদদলিত নির্যাতিতরা নিজের নিরাপত্তা ঠিক খুঁজে নেবেন, সোচ্চার হবেন তাদের দুরবস্থা নিয়ে। এ দেশের সরকার বাহাদুর নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকবেন বোঝা যাচ্ছে! নারীরা তাই যুগে যুগে কালে কালে বিপ্লব করে আজকে নিজের পায়ের তলার মাটি যেভাবে শক্ত করেছেন, তেমনি আগামীতেও অবশ্যম্ভাবী বিপ্লব করবেন। দূরে কোথাও, খুব দূরে যুদ্ধ-সজ্জা শুরু হয়ে গেছে!
ছবি: প্রতীকী
0 Comments
Post Comment