- 08 October, 2020
- 0 Comment(s)
- 1129 view(s)
- লিখেছেন : রাণা আলম
সালটা ছিল ২০১৬। মার্চ মাস। তামিলনাড়ুর এক ব্যস্ত রাস্তায় শংকর এবং কৌশল্যা নামের সদ্য বিবাহিত দম্পতি হাঁটছিলেন। হঠাৎ, তাঁদের আক্রমণ করে ছ’জনের একটি দল। শংকরের মৃত্যু ঘটে, গুরুতর আহত হয়েও কৌশল্যা বেঁচে যান। পুলিশি তদন্তে জানা যায় আততায়ীরা কৌশল্যার বাড়ির। উঁচু জাতের কৌশল্যা ভালোবেসে নিচু জাতের শংকরকে বিয়ে করেছিল। পারিবারিক সম্মানহানি হওয়ার অজুহাতে কৌশল্যার বাড়ির লোক তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এখনও মামলা চলছে, অপরাধীরা শাস্তি পায়নি।
২০১৭ সালের জুন মাস। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রাস্তার ধারে বাইশ বছরের গুলাফসা-র মৃতদেহ পাওয়া গেল। তদন্তে জানা গেল বাড়ির অমতে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর খেসারত দিতে হয়েছে ওই হতভাগ্য তরুণীকে।
বিজয়ওয়াড়ার কুড়ি বছরের ইন্দ্রজা নিচু জাতের ছেলেকে ভালোবেসেছিলেন। তার বাবা তাকে সম্মানরক্ষার দায়ে খুন করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বছর তেইশের অঙ্কিত সাক্সেনাকে খুন করা হয় একটি মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ‘অপরাধে’।
Honour Based Violence Awareness Network (HBVA)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছর হাজার পাঁচেক মহিলাকে পারিবারিক সম্মান রক্ষার অজুহাতে তাদের বাড়ির সদস্যরা খুন করে। যদিও লেখক Robert Kiener-এর মতে অনার কিলিংয়ে নিহত মহিলাদের আসল সংখ্যাটা প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি। কারণ অধিকাংশ ঘটনা পুলিশ অব্দি পৌঁছায় না।
অনার কিলিংয়ের ক্ষেত্রে মেয়েটির বাড়ির লোকজন বিশ্বাস করে যে মেয়েটির কোনো কাজের ফলে তাদের পারিবারিক সম্মানহানি হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে মেয়েটিকে খুন করে তারা কোনো ভুল করছে না।
পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য খুন— এই অপরাধটিকে আইনী পরিভাষায় ‘অনার কিলিং’ (Honour Killing) বলা হয়। Council of Europe Committee on Equal Opportunities for Women and Men এই অনার কিলিংয়ের একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন— “The Murder of a woman by a close family member or partner as a result of (suspected or alleged) shame being bought on a family by the action (a suspicion or allegation will be enough) of the woman”.
লেখিকা Norma Khouri-র মতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ‘‘women’s chastity’’-কে পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে ধরা হয়। এবং এই ধারণা খুব প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। Mathew A. Goldstein দেখিয়েছেন যে প্রাচীন রোমেও ‘অনার কিলিং’ হত। খ্রীষ্টপূর্ব্বাদ ১৭৯০ সালে ব্যাবিলনে কোড অফ হামুরাবি প্রবর্তিত হয়। সেখানে সমাজ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িতদের জলে ডুবিয়ে মারার নিদান দেওয়া হয়েছিল। গ্রেট ব্রিটেনে অষ্টম হেনরির পঞ্চম স্ত্রীকে পরকীয়ার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শেক্সপীয়রের ‘ওথেলো’-তে ডেসডিমোনাকেও খুন হতে হয় পুরুষতান্ত্রিক অধিকার চলে যাওয়ার ভয়ে।
ইউনাইটেড নেশনসের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ইকোয়েডর, ইজিপ্ট, ইরান, ইরাক, ইজরায়েল, ইতালি, জর্ডন, মরক্কো, সুইডেন, তুরস্ক আর উগান্ডাতে অনার কিলিং-এর ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়। এর বাইরে প্রথম বিশ্বের ইউনাইটেড কিংডম, কানাডা আর ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকাতেও অনার কিলিং হয়। ইউনাইটেড স্টেটস-এর ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস ২০১৪-তে জানিয়েছিল যে সেখানে প্রতিবছর গড়ে ২৩-২৪টি অনার কিলিং এর ঘটনা ঘটে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে গোটা বিশ্বে পাকিস্তানে সর্বাধিক অনার কিলিং হয়। শুধুমাত্র ২০০৯-তেই Human Rights Commission of Pakistan (HRCP) সেদেশে ৬৪৭টি অনার কিলিংয়ের ঘটনা নথিবদ্ধ করেছিল। তবে এই তথ্যগুলি থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে সম্মান রক্ষার দায়ে মহিলাদের খুন করার ব্যাপারে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলির সাথে উন্নত দেশগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।
ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯৪৭-১৯৫০-এর মধ্যে বড় সংখ্যায় অনার কিলিংয়ের নিদর্শন পাওয়া যায়। ব্লগার Sango Vidani লিখেছিলেন যে দেশভাগের পর ভারত পাকিস্তান দুই দেশেই হিন্দু ও মুসলমান মহিলাদের জোর করে বিবাহ করা হতে থাকে। তারপরে দুই সম্প্রদায়ের এই মহিলাদের সন্ধানে ‘উইচহান্ট’ শুরু হয়। সম্মানহানির দায়ে তাদের খুন করা হতে থাকে যাতে সেই পরিবারকে বাকিদের চোখে ‘সমাজচ্যুত’ হতে না হয়।
ইউনাইটেড নেশনসের মতে গোটা বিশ্বে অনার কিলিংয়ের প্রতি পাঁচ শিকারের একজন ভারতীয়। এদেশে অনার কিলিংয়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে। ২০১৪ সালে প্রথমবার ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) অপরাধের ক্রমতালিকায় অনার কিলিং ক্যাটেগরিতে খুন হওয়া মহিলাদের সংখ্যা গোণা শুরু করে। উত্তরপ্রদেশেই ১৩১টি খুনের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়। গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ পরের সারিতে ছিল। ২০১৫ সালে ২৫১টি অনার কিলিংয়ের মামলা নথিভুক্ত হয়।
শক্তি বাহিনী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল যে ভারতে অনার কিলিংয়ের ক্ষেত্রে অধিকাংশ কারণ ছিল ভিন্নজাতে বিবাহ এবং প্রেম। এবং ৯০% কেসে খুনী ছিল নিহত মহিলার বাড়ির লোক। এর আগে ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন ২০১০ সালে জানিয়েছিল ৩২৬টি অনার কিলিংয়ের কেসে ৭২% মহিলা খুন হয়েছিলেন ভিন্নজাত বা ধর্মে বিয়ে করার জন্য।
২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট অনার কিলিংয়ের অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের কথা বলেছিল। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড দিলেই কি এই অপরাধ থামানো যাবে? নির্ভয়া কান্ডের পর ধৃত এক অপরাধী জানিয়েছিল যে সে মনে করে নির্ভয়ার রাতে কোনো বাইরের পুরুষের সাথে একা বেরোনো উচিত হয়নি। দিল্লির এক আইনজীবীও একই মতামত দিয়েছিলেন। আজও আমাদের দেশে কোনো মহিলা ইভটিজিংয়ের শিকার হলে সর্বপ্রথমে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কেউ ধর্ষিতা হলে তার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যতই গার্গী, অপালার উদাহরণ আমরা বইতে লিখে রাখি, আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমাদের রূপকথায় রাজপুত্র রাজকন্যা পায় কিন্তু রাজকন্যা কি চায় সেইটে কোথাও লেখা হয়নি। হয়ত তার চাওয়াটা কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয় আমাদের কাছে।
অনার কিলিংয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে, শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশে কোনো মহিলাকে খুন করা যায়। প্রশ্নটা হচ্ছে যে কাল্পনিক সম্মানহানির ভিত্তিতে খুনটাকে জায়েজ করা হচ্ছে তার ব্যাখ্যাটা কী? গোটা পরিবারে মেয়েটিকেই শুধু সম্মানের ভার বইতে হবে কীসের জন্য, সে প্রশ্নের উত্তর নেই। আসলে এই সম্মানহানির কাল্পনিক অভিযোগ পুরুষতন্ত্রের পুরনো অভ্যেস মাত্র যেখানে মেয়েদের নিজস্ব সম্পত্তি ভাবা হয়। উপমহাদেশে মেয়েদের জন্মই হয় পুরুষের হুকুম পালন করার জন্য। সেখানে কেউ নিজের ইচ্ছেমত চললে পুরুষতন্ত্রের পক্ষে তা বরদাস্ত করা মুশকিল। তাই, অবাধ্য মেয়েটিকে খুন করাটা বাকিদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রাখার জন্য আবশ্যিক হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু একটি মেয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি পরিবারের ঠিক কী ধরনের সম্মানহানি হয়? মনোবিজ্ঞানীদের মতে এই অনার কিলিংয়ের কারণ হিসেবে extreme status anxiety কাজ করে। এক্ষেত্রে সারাক্ষণ সামাজিক সম্মান হারানোর ভয় থাকে। এবং এই সামাজিক সম্মান সামাজিক পরিচিতি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আমাদের সমাজে ব্যক্তি পরিচয় সাধারণত সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুষঙ্গগুলি দিয়ে গড়া হয়। আর মজার বিষয়টা হচ্ছে ব্যক্তি পরিচয় নির্মাণের প্রত্যেকটি উপাদানই পুরুষতন্ত্রের ধারণা তৈরির সহায়ক।
সহজ করে ভাবা যেতে পারে। আমাদের সমাজে ছেলেদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে বলা হয়। অর্থাৎ, মেয়েটি যে দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্য নয়, সেটা প্রকারান্তে মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যে পুরুষ স্ত্রীর কথা শুনে চলে তাকে ‘স্ত্রৈণ’ বলা হয়। ‘মেয়েরা হবে জলের মত, যে পাত্রে দেওয়া হবে তারই আকার ধারণ করবে’ গোছের বাক্যবন্ধ কিন্তু আদতে নারীর উপরে পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার অজুহাত মাত্র।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল male ego, যার মাধ্যমে পুরুষ সবসময় নারীদের থেকে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভেবে এসেছে। আর আমাদের সমাজে এমনিতেই মেয়েদের জীবনের মর্যাদা কম। ‘ভাগ্যবানের বউ মরে’ গোছের রসিকতা কিন্তু সেই ভাবনারই সাক্ষ্য বহন করে। আমাদের সমাজে আদর্শ মেয়ে সেইই যে বাড়ির পুরুষদের সবকটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে। একটি মেয়ের স্বাধীন এবং আলাদা অস্তিত্ত্ব আমাদের সমাজে স্বীকৃত হয় না। খোদ কলকাতা শহরেই এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরা একা বাড়িভাড়া পায় না।
সমাজবিজ্ঞানীরা ভারতীয় উপমহাদেশে অনার কিলিংয়ের কারণ হিসেবে একাধিক বিষয়কে তুলে ধরেছেন। সেগুলি হল লিঙ্গবৈষম্য, ধর্ম এবং জাতপাতের ভেদাভেদ, পারিবারিক এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থানের পার্থক্য। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নারীকে পণ্যের দৃষ্টিতে দেখা। তার মানবী অস্তিত্ব নিছক বইয়ের লাইনেই আটকে আছে আমাদের কাছে। উপমহাদেশের আদর্শ সমাজে একজন নারী কৈশোরে পিতার অধীন, যৌবনে স্বামীর অধীন এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীন।
তাহলে নারী-স্বাধীনতার ঢাক পিটিয়ে ঠিক কী লাভ হয়? আজও স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ওয়ার্কিং হলে, অফিস থেকে ফিরে নিরানব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে পরিশ্রান্ত স্ত্রীকেই রান্নাঘরে ঢুকতে হয়। যেহেতু, নারীর উপর পুরুষের অধিকার আমাদের কাছে অতি স্বাভাবিক ঘটনা, তাই আজও ম্যারিটাল রেপকে আমরা অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নই। আমাদের ‘ম্যাচিসমো’র ভাবনাটাই আটকে আছে মেয়েদের উপরে পুরুষের দখলদারির উপরে। তাই পুরুষের শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও সুন্দরী স্বল্পবাস মেয়েকে দাঁড় করাতে হয়।
অনার কিলিং বা সম্মানরক্ষার দায়ে খুন কিন্তু আদতে এই ভাবনারই ফসল মাত্র। উন্মত্ত পিতা যখন তার কিশোরী কন্যাকে হত্যা করছে তখন তার একবারও মনে হচ্ছে না তার মেয়ের নিজের শর্তে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে। তার কাছে আত্মজার অস্তিত্ব একান্তভাবেই তার নিজের ব্যবহৃত জড় পদার্থের মত।
প্রসঙ্গত, একটি বিষয় নিয়ে কথা বলা দরকার। নারী স্বাধীনতা বিষয়টি সুপার মার্কেটে পাওয়া যায় না বা পুরুষদের ‘বাপোত্তর’ সম্পত্তি নয়। এটি স্বাভাবিকভাবেই নারীদের নিজস্ব অধিকার। কিন্তু অধিকাংশ পুরুষই ভাবে যে তারা মেয়েদের স্বাধীনতা দিয়ে তাদের জীবন ধন্য করছে। ‘আমি আমার মেয়েকে তার বন্ধুদের সাথে রেস্তোরায় আড্ডা দিতে আটকাই না’, এইটে কখনই কাঙ্ক্ষিত বাক্য নয়। আমি আটকাবার কেউ নই, এই বোধটা থাকা জরুরী।
তাহলে সমাধানটা কোথায়? একের পর এক আইন, সেমিনার আর রিভিউ পেপার লিখলেই কি অনার কিলিংয়ের মত ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে?
উত্তরটা হচ্ছে ‘না’। আইনী রক্ষাকবচ, সামাজিক প্রচার, পুলিশি তৎপরতা এইসবের মাধ্যমে হয়ত অনার কিলিং খানিকটা আটকানো যাবে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার শিকড় ওপড়ানো না গেলে আমরা কখনই আমাদের মেয়েদের জন্য উন্মুক্ত আকাশ দিতে পারবো না। এবং তার জন্য শিক্ষার থেকে ভালো অস্ত্র হতে পারে না। মহিলাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে জোর দিতে হবে যাতে তারা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে। জোর দিতে হবে স্কুলস্তর থেকে শিক্ষায় লিঙ্গসাম্য শেখানোর উপর। শতাব্দীর পর শতাব্দী যারা চারপাশ থেকে শিখে এসেছে যে মেয়েদের পায়ের তলায় রাখাটাই পুরুষের ধর্ম, তাদেরকে নতুন করে শেখানোটা কঠিন অবশ্যই, তবে অসম্ভব নয় নিশ্চয়।
একটা লড়াই কখনই একদিনে জেতা যায় না। আমাদের সমাজে মেয়েরা এখন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে। স্বাধীনভাবে একা বাঁচার সাহস দেখাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেরা অনেকেই রান্না করা, কাপড় কাচাকে নিছক মেয়েদের কাজ বলে ধরছে না। একদিন এইভাবেই নিশ্চয় আমরা অনার কিলিংয়ের মত ঘৃণ্য অপরাধকে সমাজের বুক থেকে মুছে ফেলতে পারবো। জানি, সময় লাগবে। তবুও, স্বপ্ন দেখতে দোষ কি?
“You must burn in the fire of freedom with me
Arise, my love, for now you must march with me”
— কাইফি আজমি (অউরাত)
প্রতীকী ছবি সংগৃহীত
লেখক : অধ্যাপক ও প্রাবন্ধিক
0 Comments
Post Comment