- 26 October, 2022
- 0 Comment(s)
- 544 view(s)
- লিখেছেন : অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
কয়েকদিন আগে সারা দেশ জুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল। ওই দিন থেকেই আমাদের সংবিধানের যাত্রা শুরু। এই সংবিধান লিঙ্গ, জাতি, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের সাম্যের অধিকারের কথা বলেছে। আইনের চোখে সকল নাগরিক সমান। লিঙ্গ, জাতি প্রভৃতির ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও বৈষম্য করা হবে না, জনপরিসরে বিচরণের সবার সমান অধিকার, সমস্ত জনপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করার সমান অধিকার। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর এতগুলো দশক পেরিয়ে এসেছি আমরা। অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্য নিয়ে আলোচনা আপাতত থাক। কিন্তু লিঙ্গনির্বিশেষে সাম্য যে ভারতে এখনো মরীচিকা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়েদের সম্পত্তির অধিকারের বিষয়টিতে নজর দেওয়া যাক। সেই ঔপনিবেশিক যুগ থেকেই উত্তরাধিকারের প্রশ্নটি ব্যক্তিগত আইন বা পারিবারিক আইনের আওতার অন্তর্ভুক্ত। ব্রিটিশ আমলে এই আইনে একাধিকবার হস্তক্ষেপ হয়েছে। স্বাধীন ভারতের সরকার এই আইন নথিবদ্ধ করতে প্রয়াসী হয়েছে এবং প্রয়োজনমতো সংশোধন করেছে। কিন্তু লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি?
ভারতবর্ষে ব্রিটিশ প্রশাসনিক ব্যবস্থা কায়েম হবার অল্পদিনের মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে যে তারা শাসিত ভারতীয়দের ধর্ম ও বিধিব্যাবস্থায় অপ্রয়োজনীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। ১৭৭৩ সালের রেগুলেটিং অ্যাক্টে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে, সমস্ত দেওয়ানি মামলার বিচার হবে হিন্দু ও মুসলিম এই দুই সম্প্রদায়ের নিজস্ব আইন মোতাবেক। ১৭৯৩ সালে কোম্পানীর প্রশাসন ইংরেজ প্রশাসকদের নির্দেশ দেয় (Regulation IV Section 15) যে, তারা যেন হিন্দু ও ইসলামি আইন অনুসারে এই সব সম্প্রদায়ের উত্তরাধিকার, সম্পত্তিপ্রাপ্তি, বিবাহ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কিত মামলার নিষ্পত্তি করেন। এই নির্দেশ অনুসারে বঙ্গদেশের হিন্দু প্রজাদের এই সব বিষয় সম্পর্কিত বিচার শুরু হয় জীমূতবাহনের দায়ভাগ, রঘুনন্দন, কাত্যায়ন প্রমুখ স্মার্ত পণ্ডিতদের টীকা অনুসারে। অন্যদিকে বঙ্গের বাইরে অন্যান্য প্রদেশে হিন্দু প্রজাদের বিষয়াধিকার প্রভৃতি বিষয়সংক্রান্ত বিচার পরিচালিত হয় মূলত মিতাক্ষরা শাস্ত্র অনুসারে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় মিতাক্ষরা আইনের তুলনায় দায়ভাগ আইন মেয়েদের উত্তরাধিকারসূত্রে বিষয়প্রাপ্তিকে বেশি স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে সেই অধিকার ছিল খুবই সীমিত ও শর্তাধীন। পিতার মৃত্যু হলে তার কন্যার, সে বিবাহিত বা অবিবাহিতই হোক, তার সম্পত্তিতে সাধারণভাবে কোনও অধিকার ছিল না। তবে তার ভরনপোষণ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে দায়বদ্ধ ছিল তার দাদা/ভাই । একমাত্র মা বা দাদা/ভাই না থাকলে কন্যসন্তান পিতার সম্পত্তিতে সীমিত অধিকার পেত। তবে সে সেই সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রয় করতে পারত না। এবং তার মৃত্যু হলে তার পিতার অন্যান্য উত্তরসুরীদের কাছে সেই সম্পত্তিতে ফিরে যেত। একজন পুরুষের মৃত্যু হলে তার পুত্র বা পুত্রেরা উত্তরাধিকারসূত্রে তার সম্পত্তি পেত কিন্তু তার বিধবা স্ত্রী শুধুমাত্র ভরনপোষণের অধিকারী ছিল। পুত্রহীন বিধবার বিষয়াধিকার দায়ভাগ আইন অনুসারে স্বীকৃত, কিন্তু সে অধিকার সীমিত ও শর্তসাপেক্ষ। জীমূতবাহনের দায়ভাগ কী বলছে দেখা যাক – যে পুত্রহীন বিধবা তার পরলোকগত স্বামীর শয্যাকে নিষ্কলঙ্ক রেখেছে, নিষ্ঠার সঙ্গে সমস্ত ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠান পালন করেছে এবং স্বামীর প্রতি অনুগত থেকেছে, সে স্বামীর মৃতুর পর স্বামীর বিষয়ের ভোগাধিকার লাভ করবে। ধর্মীয় আচার পালনে নিষ্ঠার অভাবে সে অধিকার সে হারাবে, আর সে যদি তার স্বামীর শয্যা নিষ্কলঙ্ক না রাখতে পারে এবং স্বামীর প্রতি অনুগত না থাকে তাহলে তার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। স্বামীর শয্যা নিষ্কলঙ্ক না-রাখার অর্থ কী? ‘ব্যভিচারিণী’ হওয়া। অর্থাৎ, স্বামী ভিন্ন অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া। ‘সতী’ বিধবা স্বামীর সম্পত্তি লাভ করলেও সে এই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবে না এবং তার মৃত্যু হলে ওই সম্পত্তি তার উত্তরসূরি নয়, তার স্বামীর অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের হাতেই অর্পিত হবে।
১৮৫৬ সালে ঔপনিবেশিক সরকার প্রণয়ন করল বিধবাবিবাহ আইন। এই আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হল, বিধবা দ্বিতীয়বার বিবাহ করলে সে প্রথম স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। অর্থাৎ, সে কেবলমাত্র তার দ্বিতীয় স্বামীর সম্পত্তির অধিকারিণী হবে। সেই অধিকারও শর্তাধীন কি না স্পষ্টভাবে জানা যায় না। কিন্তু, বোধহয় প্রথম স্বামী হোক বা দ্বিতীয়, বিধবার মৃত স্বামীর সম্পত্তির অধিকার সবক্ষেত্রেই সীমিত ও শর্তাধীন। আর এই শর্তগুলো পূরণ করতে সক্ষম না হলে, স্পষ্টভাবে বলা না থাকলেও ধরে নেওয়া যায়, তার সম্পত্তির অধিকার থাকবে না। তবে পুনর্বিবাহ না করলেও হিন্দু বিধবাদের সম্পত্তির অধিকার দিতে পরিবারের ছিল ঘোরতর অনীহা। তাকে বঞ্চিত করতে জঘন্য চক্রান্ত্রে লিপ্ত হত তারা। ঔপনিবেশিক বাংলার পত্র-পত্রিকা নথিপত্র ঘেঁটে খুঁজে পাই বিধবাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ভুরিভুরি দৃষ্টান্ত। সবচেয়ে সহজ ছিল বিধবার গায়ে ‘অসতী’ তকমা এঁটে দেওয়া। আশ্চর্য কথা হল, ১৮৫৬ সালে হিন্দু বিধবার পুনর্বিবাহ আইন পাশ হবার পরও একজন মহিলার বৈধব্য-পরবর্তী প্রেমের সম্পর্ককে ‘ব্যভিচার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ১৮৭০ এর দশকে কয়েকজন ‘অসতী’ বিধবার বিষয়াধিকারসংক্রান্ত মামলা সমাজে হইচই ফেলে দিয়েছিল। হিন্দু সমাজের একটা বড় অংশ রায় দিয়েছিল, ‘ব্যভিচারিণী’ বিধবার মৃত স্বামীর সম্পত্তিতে কোনও অধিকার নেই। এবং সাহেবসুবো বিচারকেরাও বিধবাদের ক্ষেত্রে অবলীলাক্রমে ‘unchaste’ বিশেষণ প্রয়োগ করেছিল। স্বয়ং বিদ্যাসাগরের সুরও খুব ভিন্ন ছিল না। সে গল্প অন্যত্র।
1937 সালের Hindu Women’s Right to Property Act অনুসারে একজন হিন্দু পুরুষ উইল না করে মারা গেলে তার সম্পত্তিতে তার পুত্রের যতটা অধিকার তার বিধবা স্ত্রী বা স্ত্রীদের ঠিক ততটাই অধিকার। অবশ্য সেই অধিকার সীমিত।
মেয়েদের সম্পত্তির অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য ঔপনিবেশিক এবং স্বাধীন ভারতের সরকার উপর্যুপরি আইন পাশ করেছে। ১৯৫৬ সালের Hindu Succession Act অনুসারে একজন পুরুষ যদি উইল না করে মারা যান তাহলে তারা প্রথম শ্রেণীর উত্তরসুরীরা হল পুত্র, কন্যা, বিধবা, মা এবং নাতি-নাতনি।
‘Class I heirs are sons, daughters, widows, mother and grandchildren’।
অর্থাৎ উত্তরাধিকারীদের তালিকায় স্ত্রী ও কন্যারাও অন্তর্ভুক্ত হল। এই আইনের বলে তাদের অধিকার আর সীমিত নয়, চূড়ান্ত, নিরংকুশ। কিন্তু স্ত্রী পুনর্বিবাহ করলেও তার এই অধিকার অটুট থাকবে কি না তা স্পষ্ট করে বলা নেই। কিন্তু পরিষ্কার বলা আছে যে মৃত পুত্রের স্ত্রী বা মৃত পুত্রের মৃত পুত্রের স্ত্রী বা মৃত ভাইয়ের বিধবা যদি পুনর্বিবাহ করে তাহলে তার উত্তরাধিকার নেই।
… ‘Also if the widow of a pre-deceased son, the widow of a pre-deceased son of a pre-deceased son, or the widow of a brother has remarried, she is not entitled to receive the inheritance.’
১৯৮৩ সালে ১৮৫৬ সালের আইন রদ হল। ধরে নিতে পারি, পুনর্বিবাহ করলেও মৃত স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার নিয়ে আর কোন সমস্যা রইল না। ২০০৫ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধিত হল। এই আইনে বলা হল, পিতার সম্পত্তিতে পুত্রসন্তান ও কন্যাসন্তানের সমান অধিকার। অবশ্য পিতা যদি উইল করে কন্যাকে বঞ্চিত করে থাকে তাহলে অন্য কথা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মর্মে রায় দিয়েছে। ১৯৫৬ এর আগে পিতা উইল না করে মারা গেলেও তার কন্যা তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাবে। আবার সেই পিতার উইলের কথা। আর এই উইলই হচ্ছে যত গন্ডগোলের মূল। মাননীয় পিতৃদেব উইল করে কন্যাসন্তানকে এক কড়িও দিলেন না। সব আদরের পুত্রসন্তানকে লিখে গেলেন। কারুর কিছু বলার নেই। আবার উইলে সেই রকম কিছু না থাকলেও বা পিতা উইল না করে গেলেও পিতার মৃত্যুর পর মা বা দাদাভাইরা মেয়েটিকে বোঝালো, তুই শ্বশুরবাড়িত থাকবি, ওখানকার সব পাবি, তুই এখানকার দাবি ছেড়ে দে। আমাদের উপকার হয়। যাকে বলে ইমোশ্যনাল ব্ল্যাকমেইল। মেয়েটিও ভালবেসে দাদাকে ভাইকে সবটুকু ছেড়ে দেয়। আবার দেবো দেবো করে কোনও কোনও মায়ের আর মেয়েকে কিছু দেওয়া হয়ে ওঠে না। আর মেয়েও চক্ষুলজ্জা থেকে কিছু চাইতে পারে না। তাছাড়া আইন অনুযায়ী নারী সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে পিতা বা পতি অর্থাৎ পুরুষ অভিভাবকের মৃত্যুর পর। অভিভাবকের জীবিতাবস্থায় তার আশ্রয় ও ভরণপোষণের অধিকার থাকলেও অবিবাহিতা কন্যার পিতা চাইলেই তার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিতে পারে। আর, বিয়ের ব্যাপারে নিজের পছন্দ জাহির করলে এ ঘটনা তো হামেশাই ঘটে। সামান্য অজুহাতে স্ত্রীকে ঘর থেকে বিতাড়িত করার ঘটনা আজও জলভাত। অথবা, নিদারুণ অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে বধূটির পিত্রালয়ে ফিরে আসা। কিন্তু, মেয়েটির পিত্রালয়ে আশ্রয় জোটে কি? ‘মানিয়ে চলতে হবে’ এই কথা বুঝিয়ে তাকে আবার ফেরৎ পাঠানো হয় শ্বশুরালয়ে। তাই, আইন সত্ত্বেও মেয়েদের আজও কোন ঘর নেই। যে কোন মুহূর্তে সামান্য অজুহাতে তাকে পথে ঠেলে দেওয়া যেতে পারে। গণমাধ্যমেও, বিশেষত চলচ্চিত্রে ও টিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিকে, মেয়েদের জীবনের এই অস্থিতির প্রতিফলন ঘটে। পরিবারের সন্দেহ ও অবিশ্বাস বা, নিজের পছন্দ-অপছন্দ, আবেগ-অনুভূতি জাহির করার জেরে, পর্দার ছায়ামানবীদেরও গৃহচ্যুত করা হয় বারবার। মানবী ছায়া হোক বা কায়া, তাদের নেই কোন স্থায়ী ঠাঁই, নেই কোন স্থায়ী ঠিকানা। সুখী, স্থায়ী এক গৃহের সাধ মরীচিকা থেকে যায়। জ্যোতির্ময়ী দেবী সেই কত বছর আগে আক্ষেপ করে লিখেছিলেন :
জীবধাত্রী মেয়েরাই শুধু ‘কাকের বাসায় কোকিলের মতো আশ্রয় থেকে আশ্রয়ান্তরে – আশ্রয়চ্যুত হয়েও থাকতে বাধ্য হন। যার পায়ের তলার মাটি মুহূর্তে মুহূর্তে সরে যায়, ভূমিকম্পের মাটির মতোই। সেটা হল এক এক আশ্রয়দাতার বিধানে, বিয়োগে – অভাবে ও অনিচ্ছায় (জ্যোতির্ময়ী দেবী, ‘নারী জিজ্ঞাসা’, জ্যোতির্ময়ী দেবী রচনাবলী চতুর্থ খন্ড, ১৯৯৪, পৃ ২৩৪)।
এবার আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা বলি। আমার বাবা শুনেছিলাম একটা উইল করেছিলেন। কিন্তু বাবা চলে যাওয়ার পর আমায় ওই উইল দেখান হয়নি। পরিবারের পুজো রাতারাতি ভাইয়ের পুজো হয়ে গেছিল। বাড়ি বিক্রি করা হল, কিন্তু সেই বিক্রির টাকার ভাগ প্রায় কুড়ি বছর হয়ে গেল আমায় কেউ দিয়ে উঠতে পারেনি। আর আমিও চাইনি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, যেটুকু আমি নিজের উপার্জনে অর্জন করেছি সেটুকুই আমার নিজের। আইন আমার হক পাওনা বলে চিনিয়ে দিলেও আমি দাবি করি না। অবশ্য ভালবেসে কেউ দিলে আমার নিতে আপত্তি নেই কিন্তু আমার ভালবেসে কেউ যে কিছু দেয়নি! অবাঞ্চিত কন্তাসন্তান যে! শাশুড়ির ভিটেতে আজ কয়েক বছর হয়ে গেল আমি পা রাখি না। ওনার সঙ্গে বনে না। অবশ্য আমার মতো বেয়াড়া মেয়ের সঙ্গে কোন শাশুড়িরই বা বনত! তবে ওই ভিটে নির্মাণে ও সাজানোয় আমার অবদান খুব সামান্য ছিল না। কিন্তু আমি দাবি করি না। উত্তরাধিকারের দাবি নিয়ে যাই না আমার জন্মদাত্রীর কাছে। আইনের জোরে গায়ের জোরে এক্ষেত্রে অধিকার আদায় করায় আমি বিশ্বাসী নেই। আমার বসবাসের ঠিকানা যে ছোট ফ্ল্যাট সেটির আমি যৌথ মালিক। এবং এটির ঋণভার আমি এখনো বহন করে চলেছি। ওটা আমাদের। আমারও। ছোটবেলা থেকে আমি স্বপ্ন দেখতাম প্রকৃতির কোলে আমার একটা বাড়ি হবে। খোলামেলা। সামনে বাগান। ফুলফলের। রঙবেরঙের। ছোট্ট একটা পদ্মপুকুর। আমার বাড়ি। আমার নিজস্ব বাড়ি। সেই স্বপ্ন বোধ হয় আমার অধরাই থেকে যাবে। কারণ আমার নিজের উপার্জনে, সঞ্চয়ে বানাব আমার স্বপ্নের ঘর। আর আমার রোজগারের অনেকটাই খেয়ে, বেড়িয়ে, জামাকাপড় কিনে নিঃশেষ করে ফেলি। তাই আমার আর সত্যি করে বানান হয়ে উঠবে না স্বপ্নের ঘর। মনে মনেই বাস করব সেই ঘরে।
পুনঃপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
লেখক : অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক
ছবি : সৌজন্য ইন্টারনেট
0 Comments
Post Comment