৮ মার্চের বোধন ও শ্রমজীবী নারীদের সুরক্ষার বোধ

  • 09 March, 2025
  • 0 Comment(s)
  • 119 view(s)
  • লিখেছেন : সরিতা আহমেদ
মহিলাদের নিয়ে যে-কোনো ‘দিবস’ পালনের হুজুগ অথবা সোশাল মিডিয়ায় বাচ্চা-কোলে শ্রমিক মায়ের ‘দশভূজা’ ‘সতীলক্ষ্মী’ ট্যাগের ছবি নিয়ে আদিখ্যেতায় সামিল হওয়ার আগে জানা উচিৎ, মাতৃত্বকে এইরকম অমানুষিক পরিশ্রমের মাধ্যমে উদযাপন করাটা কোনো ভালো সমাজের দৃষ্টান্ত নয়। এরকম 'সুপার মাদার'কে প্রোমট করে মেয়েদের আদপেই কোনও উপকার হয় না, কেবল প্রাগৈতিহাসিক মনুবাদ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভণ্ডামির প্রচারই হয়।

কিছুদিন আগে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে নেটিজেনদের ধন্যি-ধন্যি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। সমালোচনাও কম কুড়ায় নি। ছবিতে কোনো এক স্টেশনে এক মহিলা নিরাপত্তাকর্মীকে দেখা গিয়েছিল বাচ্চা কোলে নিয়ে ডিউটি করছেন। ক্যাপশান ছিল- "মায়েরা সব পারে, মেয়েরা সব পারে"।

 

ছবিটা আমাদের, মানে মেয়েদের কাছে, অত্যন্ত সাধারণ একটি ছবি। আমরা শ্রমজীবী সংসারী মেয়েরা এভাবেই ঘর-বার সামলাই। পূণ্যার্থী-ভিড়ের সমতল হোক বা অফবিট ভ্রমণার্থীদের নিরিবিলি পাহাড় – রাস্তাঘাটে কর্মজীবী মায়ের পিঠে বা কোলে ক্যাঙারুর থলের মতো বেবি-কেসে দুধের শিশুকে লটকে থাকতে প্রায়শই দেখা যায়। আর তখনই কানে আসে পুরুষতান্ত্রিক শব্দবন্ধের ঢল- ‘মেয়েরা মায়ের জাত’, ‘নারী = দশভূজা’ ইত্যাদি। আমাদের দেশের ইতিহাসে মেয়েদের "ত্যাগ" নিয়ে যত গ্লোরিফিশান আছে, তার সবেতেই আছে ম্যাসোকিজমের গ্লোরিফিফেশান। অর্থাত নিজেদের প্রতি নারীর কঠোরতা, নির্মমতার মাহাত্ম্য প্রচার। অন্যের আয়ুবৃদ্ধির জন্য নারীর নিজের আয়ুক্ষয়ের উদাহরণ তো বাংলার সংস্কৃতিতে ভুরিভুরি – নির্জলা দোরোখা একাদশী, সোমবারের উপোস, স্বামী সন্তানের কল্যাণ চেয়ে কঠিন ব্রত পালন আজও বাংলার ঘরে-ঘরে। সতী কিম্বা সীতা সাজতে মেয়েদের সেদিনও ব্রেনওয়াশ করা যেত, এখনও যায়। সেদিনের সতীদাহ অথবা বাল্যবিবাহ কি মুছে গেছে নাকি! সতী দহনের আগুন আজও আনাচেকানাচে বহু শ্বশুরবাড়িতেই জ্বলছে, আমরা চোখ বুজে আছি তাই দেখতে পাচ্ছি না। আইনের বই যাই বলুক, বাল্যবিবাহ রোধে যতই ‘কন্যাশ্রী ভাতা’ চালু হোক, এখনও মেয়েরা খুব সহজে স্বামীর নামে, সন্তানের নামে, মাতৃত্বের নামে হাঁড়িকাঠে হেলায় মাথা গলায়। কারণ ‘সীতামাইয়া কি জ্যায়’ অথবা “বৌমা আমার সতীলক্ষ্মী” শুনতে আমরা ভালবাসি। মেয়েরা নিজের উপর যত কঠোর হবে পুরুষশাসিত সমাজে সে তত মহৎ হবে – এই শিখিয়েছে আমাদের সমাজের অভিভাবকগণ।

 

ছবিটিতে নারীশক্তির জয়গান গাওয়া জনতা একবারও ভেবেছে, কোলে বাচ্চা নিয়ে ডিউটি করতে শরীরের ওপর ওনার ঠিক কতটা ধকল পড়েছে ? গত দেড় মাস যাবত, পুণ‍্যলাভের আশায় কুম্ভস্নানে যাওয়া মানুষের ঢল নেমেছে স্টেশনগুলিতে। দেশে এত পাপী লোকজনের বাস, ‘মহাকুম্ভ ২০২৫’ না এলে জানাই হত না। আমরা দেখেছি, নিউ দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন বহু মানুষ। এমতাবস্থায়, একজন মায়ের বাচ্চা কোলে নিয়ে ডিউটি করা কি ঝুঁকিপূর্ণ নয়? প্রাণভোমরাকে হাতে মুঠোয় চেপে নিজের আত্মজ একরত্তিকে বুকে ঝুলিয়ে এত বিপজ্জনক পরিবেশে ডিউটি করতে কোন মায়ের দশভূজা সাজতে ভাল লাগে বলতে পারেন?

 

জানা গেছে মহিলা নিরাপত্তাকর্মীটি ছুটিতে ছিলেন। কুম্ভের ভিড় সামলানোর ডিউটির তলব হওয়াতে যোগ দিয়েছেন কাজে। যেকোনও চাকুরের মতো একজন মা’কেও ঊর্ধতনের তলবে হাজির হতেই হয়। নইলে শো-কজ লেটার সঙ্গে একটা অনুচ্চারিত থ্রেট আসে- ‘চাকরি গেলে খাবে কী, আর বাচ্চাকে খাওয়াবে কী?’ উক্ত মহিলা বলেছেন, “একটা কেয়ারগিভার পাইনি, পেলেই বাচ্চাটাকে রেখে আসতাম, সাবধানে আছি বাচ্চাটার যেন না লাগে।“

 

কতটা বিপন্নবোধ হলে সাংবাদিকদের কাছে এমনভাবে বলতে হয়! উনি খুব ভালো জানেন, পূণ্যার্থীদের ভগবান তাঁর চাকরিও বাঁচাবে না, দুর্ঘটনা থেকে শিশুকেও বাঁচাতে আসবে না। উলটে ভক্তের স্রোতে চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁকে। আর ইহজগতের কোনও ঈশ্বর নাকি, বিশ্বাসীরা বলেন, মানুষকে বিপন্নতায় ঠেলে কারোর মঙ্গল করতে চান না। সেইজন্যই লেখক সৌরভ ভট্টাচার্য স্বখেদে বলছেন “ভারতে একশো কিলোমিটার গেলেই একজন করে অবতার আছেন, দেবী আছেন। মহত্বের অভাব নেই দেশে। কিন্তু দোহাই আমাদের আর মহত্ব দরকার নেই, আমাদের দরকার একটু কাণ্ডজ্ঞান।" 

 

এবার দেখা যাক, আমাদের আইনি কাণ্ডজ্ঞান কেমন। অর্থকরী কাজের দায়িত্ব যাতে মেয়েদের পারিবারিক ভূমিকা পালনে অন্তরায় না হয় তাই পৃথিবীর সব দেশেই কম-বেশি সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ‘মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি’।

 

বিষয়টি নিয়ে বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মমতা চৌধুরী রায় ‘এই সময়’ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধে লিখেছেন-  ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে I.L.O (International Labour Organisation) 3rd কনভেনশনে থিম ছিল- শ্রমজীবী মেয়েদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা। সুপারিশ হয়েছিল গর্ভবতী মহিলা কর্মীদের (বিবাহিত ও অবিবাহিত, বৈধ বা অবৈধ সন্তান নির্বিশেষে) গর্ভধারণের মেডিক্যাল কাগজের ভিত্তিতে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা জরুরি। উপরন্তু কাজে যোগদানের পরে শিশু পরিচর্যার জন্য কাজের সময়ের মধ্যেই দিনে দু’বার বিরতি পাবেন।

 

এই উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করেছিল পূর্বের শ্রমজীবী মেয়েদের লাগাতার মিছিল আন্দোলন। ১৯৭১ সালে বস্ত্রশিল্পে কর্মরত নারীদের সমান খাদ্য বন্টন, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে যে আন্দোলন রাশিয়ার জার-শাসনের অবসানকে ত্বরান্বিত করল- সেই আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে নতুন রাশিয়া সরকার মেয়েদের সমান ভোটাধিকার দিল, যা অন্যান্য যুদ্ধদীর্ণ দেশগুলিতেও প্রভাব ফেলেছিল। বেশকিছু রাষ্ট্র সেইসময় শ্রমজীবী নারী আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কারণ যুদ্ধপরবর্তী-কালে শ্রমিক ও সৈন্য সরবরাহের জন্য বেশি সংখ্যায় সন্তান ধারণে নারীদের উৎসাহ দেবার প্রয়োজনবোধ করেছিল তারা। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত শ্রমিকদের লিঙ্গচরিত্র উল্লেখযোগ্যভাবে পালটে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্র ও মালিকশ্রেণি মেয়েদের দাবিগুলি নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয় এবং একদিন আসে আমাদের ৮ মার্চের ঐতিহাসিক দিনটি যা চিহ্নিত হয় ‘আন্তর্জাতিক (শ্রমজীবী) নারী দিবস’ হিসেবে। উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বে মেয়েদের পারিবারিক ও আর্থ সামাজিক অবদানের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা প্রচার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে শ্রমজীবী নারীদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষার পুর্নবিবেচনা করে I.L.O. । এর কিছুদিনের মধ্যেই স্বাধীনতা লাভ করে ভারতসহ কিছু তৃতীয় বিশ্বের দেশ, যাদের স্বাধীনোত্তর আইনের বইয়ে অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার ছিল লিঙ্গনির্বিশেষে নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি। ঔপনিবেশিক অর্থনীতির অবলুপ্তির পরে শ্রমবাজারে আরও বেশি সুলভ শ্রমিকের (নারী) চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ১৯৫২ সালে আবারও I.L.O মাতৃত্বকালীন সুরক্ষাকে থিম বানিয়ে তাদের ১০৩ তম কনভেনশান ডাকে। এরপরেও ২০০০ সালে একই বিষয়ে ১৮৩ তম কনভেনশান হয় যাতে মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধির প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারত, চিন ও বাংলাদেশের মতো এশিয়ার ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলি I.L.O প্রস্তাবিত মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা বিষয়টিকে অনুমোদন দেয় নি।

 

কাজের মধ্যে ১৯৬১ সালে ভারত সরকার ‘মেটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট’ পাশ করে ও ১২ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটির আইন চালু হয় - যা ২০১৭ সালে সংশোধিত হয়ে ২৬ সপ্তাহ অবধি করা হয়। কিন্তু এর বাইরে সন্তান প্রতিপালনে কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম সুবিধা কিন্তু আজও সদ্য মায়েদের কাছে অধরা।' 

 

রাষ্ট্র- ঘোষিত সুরক্ষা সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র শ্রমজীবী মেয়েদের কাছে না পৌঁছানোর জন্য নারীদের মধ্যে বৈষম্য বেড়েই চলেছে। সরকারি, আধা-সরকারি অথবা বেসরকারি কিছু সংস্থা বাদে বাকি যে এক মহাসাগর দরিদ্র শ্রমজীবী মহিলা কাজ করছেন ভারতের অলিগলিতে তাদের মাতৃত্বজনিত সুরক্ষা রাষ্ট্র কেন নেবে না? বাজেট আসে যায় প্রতিবছর, কিন্তু সরকারি অর্থ সুনির্দিষ্টভাবে কর্মজীবী মায়েদের মাতৃত্বজনিত সুরক্ষা খাতে খরচের বিন্দুমাত্র উদ্যোগ দেখা যায় না। অথচ এই ‘আর্থিক সুরক্ষার বরাদ্দটি নিতান্তই মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতের বিনিয়োগ হিসেবে ধরা যেতেই পারে। কারণ একটি দেশের শিশুদের বয়স-ভিত্তিক গড়-স্বাস্থ্য ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির চরিত্র নির্ধারণ করে। সুতরাং শিশু পরিচর্যার জন্য ছুটি ( চাইল্ড কেয়ার লিভ) এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষার সুরক্ষা ব্যবস্থার এতটুকু অপব্যবহারকে কঠোর ভাবে নির্মূল করার দায়িত্ব নারী আন্দোলনের অঙ্গ হওয়া বাঞ্ছনীয়।‘

 

সুতরাং আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস প্রতি বছর ৮ মার্চে জয়ডঙ্কা বাজিয়ে মহাসমারোহে এলেও আমাদের দেশের শ্রমজীবী নারীরা বাস্তবে কর্মক্ষেত্রে অথবা বাড়িতে কেমন আছে তার নমুনা – আবারও যা দিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম, সেই ছবিটিতেই ফিরে আসে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে। এসব অন্যায়ের ঢাকনা হিসেবেই ব্যবহৃত হয় ‘মাতৃত্বের জয়জয়কার বুলি’ ও ডিসকাউণ্টে ভর্তি ‘মা-দিবস’ পালন। শ্রমজীবী মায়েদের দাবিগুলি অচ্ছুৎই থেকে যায় প্রতিবার। সেইজন্যই এখন সোচ্চারে বলা হোক, আমরা চাই না এরকম অতিরিক্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে ‘গ্লোরিফায়েড’ হতে। "আমরা নারী / তাই সব পারি"-- ধরনের বাক্য দিয়ে মেয়েদের ঘাড়ে কাজের বোঝা চাপিয়ে শারীরিক মানসিকভাবে নিষ্পেষিত করা বন্ধ হোক।

 

বাচ্চা কোলে কর্মরতার ছবিটি একটি ব্ল্যাক-স্পট আমাদের সামাজিক কাঠামোর উপরে। কারণ ছবিটি ভারতীয় উপমহাদেশের স্ত্রীর উপরে সংসারের দশভূজার মতো দায়িত্ব পালনের অব্যক্ত মানসিক চাপ, সন্তান প্রতিপালনের দোহাই দিয়ে ঘরে-বাইরে একা হাতে নারীদের অমানুষিক পরিশ্রমের জ্বলন্ত প্রমাণ।

 

এটি মোটেও ইতিবাচক বার্তা বহন করে না, ফলে তা কারো অনুকরণীয় নয়, বরং বর্জনীয় উদাহরণ।

 

একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে মেয়েদের কেবল ভোটার ও গৃহশ্রমের যন্ত্র ভাবাটা একটি মারাত্মক অসুখ। তৃতীয় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার আস্ফালন করা দেশের কর্মজীবী মায়েদের / প্রসূতিদের জন্য কর্মস্থলে কোনো আলাদা বিশ্রামঘর নেই, ব্রেস্টফিডিং রুম নেই, বাচ্চাদের জন্য ক্রেশ নেই, এমনকি সর্বত্র ঠিকমতো পরিষ্কার শৌচালয়ও নেই- ‘ভারত মাতা’র পঁচাত্তুরে স্বাধীনতার ডঙ্কা বাজানো রাষ্ট্রনায়কদের কাছে এটি জাতীয় লজ্জা।

 

মহিলাদের নিয়ে যে-কোনো ‘দিবস’ পালনের হুজুগ অথবা সোশাল মিডিয়ায় বাচ্চা-কোলে শ্রমিক মায়ের ‘দশভূজা’ ‘সতীলক্ষ্মী’ ট্যাগের ছবি নিয়ে আদিখ্যেতায় সামিল হওয়ার আগে জানা উচিৎ, মাতৃত্বকে এইরকম অমানুষিক পরিশ্রমের মাধ্যমে উদযাপন করাটা কোনো ভালো সমাজের দৃষ্টান্ত নয়। এরকম 'সুপার মাদার'কে প্রোমট করে মেয়েদের আদপেই কোনও উপকার হয় না, কেবল প্রাগৈতিহাসিক মনুবাদ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভণ্ডামির প্রচারই হয়।

 

এই নারী দিবসে ফরোয়ার্ডেড গ্রিটিং পাঠানোর ফুরসতে, আসুন, মহিলাকেন্দ্রিক বিষয়ে নিজের আবেগকে আরেকটু সংযত করি, মানবিক হই। বছরে একটা মাত্র দিন তাঁদের দেবীর সিংহাসনে না বসিয়ে, বরং প্রতিদিন সহনাগরিক খেটে-খাওয়া মানুষের পর্যায়ে বিবেচনা করি। সেটুকুই, জানবেন, যথেষ্ট।

লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার 

ছবি : সৌজন্য ইন্টারনেট 

 

0 Comments

Post Comment