- 24 February, 2022
- 0 Comment(s)
- 403 view(s)
- লিখেছেন : শতরূপা সিংহ
ঝিল্লির বাড়িতে তাপসদা আজকে আবার দুজন নতুন আগন্তুককে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। এরকম মাঝেমধ্যে অপরিচিত দু-একজন আসেন, ঝিল্লিদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেন, ঝিল্লির স্বামীকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, কখনও কখনও ঝিল্লি তাঁদের জন্য চা করে নিয়ে যায়। তবে তাঁরা বেশিক্ষণ থাকেন না আবার চলেও যান। মাঝেসাঝেই ওদের গ্রামে সরকারি কাজের জন্যে দু তিনজন লোক শহর থেকে আসেন, প্রতিবারেই গাঁয়ের মোড়লের অনুমতি নিয়ে তাপসদার সঙ্গে গোটা গ্রামটা একবার ঘুরে দেখেন, কোনও কোনও বাড়িতে অল্প কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাপসদাই তাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করিয়ে দেয়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ঝিল্লি এসব ব্যাপারে অত কিছু বোঝে না। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল বটে সে, কিন্তু তারপরেই একেবারে বিয়ে পাস। রোজ রাতে ঝিল্লির আর্তনাদ তার বাড়ির বাইরে থেকে শোনা যায়। সারাদিনের কাজের শেষে গলা পর্যন্ত মদ ঢেলে এসে ওর বর ওকে পেটায়। পেটানোরই কথা! ওকে ওর বর শাসন করবে না তো কে করবে? সারাদিন ধরে মানুষটাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দুটো টাকা রোজগার করতে হয়, কত ঝুটঝামেলা পোহাতে হয়। ভেতরে জমে থাকা রাগ বিরক্তিটা যদি বউয়ের ওপর প্রহার করে মেটাতে না পারে তো আর কার ওপর মেটাবে? স্বামীর সকল সুখদুঃখের ভাগীদার হওয়া একজন যোগ্য স্ত্রীর কর্তব্য। ঝিল্লি সেই কর্তব্যে অনড়। হ্যাঁ একথা সত্যি, যে স্বামীর হাতে মার খাওয়ার সময় ওর প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। ছেলেমেয়েরা চোখের সামনে মাকে রোজরোজ মার খেতে দেখলে কী শিখবে? তারাও শিখবে যে বিনাকারণে মায়ের গায়ে যখনতখন হাত তুলতে হয়। ঝিল্লি ভীষণ লজ্জা পায়। আর যাই হোক এখন সে দুই সন্তানের মা বলে কথা। যাক, সেকথা ভেবে ঝিল্লির কাজ নেই। স্বামী দুটো মনের কথা বলার যোগ্য ওকে মনে না করলেও নিজের গায়ের জ্বালাটা যে ওকে মেরে জুড়ায় তাই বা কি কম পাওনা হল? মানুষটাকে ভাল রাখার দায়িত্ব ঝিল্লি সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। সংসারকে শক্ত করে ধরে রাখতে গেলে স্ত্রীদের অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। সকলের মন জুগিয়ে চলতে হয়, একটু মানিয়ে নিতে জানতে হয়। ক্লাস এইটের পরীক্ষায় বসতে না পারলেও কোনও সমস্যা নেই কিন্তু সংসার ধর্মের পরীক্ষায় তাকে ফুলমার্কস পেতেই হবে। এখানে একদমই ফেল করলে চলবে না। স্বামী, এক ছেলে, এক মেয়ে, শাশুড়ি মা, মৃত শ্বশুরমশায়কে নিয়ে তার ভরা সংসার। সংসারে ওকে নিয়ে কোন ঝগড়া অশান্তি বাঁধুক তা ঝিল্লি মোটেই চায় না। ঝিল্লির স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। খুব কাজের লোক বলে বাজারে তার অনেক সুনামও আছে। যখন গঞ্জের হাটে গিয়ে শোনে রাজনৈতিক ঝান্ডাধারী নেতারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছে, ‘শ্রমিক, মজুর, কৃষক এঁরাই তো আমাদের প্রকৃত বন্ধু, দেশের চালিকাশক্তি…’ তখন ঝিল্লির বুকখানা গর্বে এত্তখানি ফুলে ওঠে।
—‘ও বউ, চা লিয়ে আয়।’
স্বামীর ডাকে ভাবনার ঘোরটা ভেঙ্গে যায় ঝিল্লির। এইসব কথা ভাবতে ভাবতে তার অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। বাইরে দুজন লোক বসে আছেন। ঝিল্লি তাড়াতাড়ি মাথার ঘোমটাটা বড় করে টেনে হাতের কালসিটের দাগটাকে সযত্নে শাড়ির আঁচলের তলায় লুকিয়ে রেখে চা নিয়ে বাইরে যায়। বাইরের দাওয়ায় গিয়ে দেখে একজন শহুরে পুরুষ ও তার সঙ্গে একজন শহুরে মহিলা দাওয়ায় রাখা দুটো জলচৌকিতে পা মুড়ে বসে আছেন। দুজনের পরনেই প্যান্টশার্ট। ঝিল্লি রান্নাঘর থেকে একটা স্টিলের থালায় করে তিন গ্লাস চা ও একবাটি মুড়ি এনে তাদের সামনে রাখে। শহুরে লোকটি বলে ওঠেন,—‘আপনাদের কাছে যা জিজ্ঞাসা করার ছিল, হয়ে গেছে। এবার আমরা ওনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই।’
লোকটি ইঙ্গিত করছে ঝিল্লির দিকে। ঝিল্লি দেখে গোটা গ্রামসুদ্ধ লোক এসে পিঁপড়ের মত ছেঁকে ধরেছে তাদের ছোট্ট কুটিরটিকে। ঝিল্লির স্বামীকে ইতস্তত করতে দেখে তাপসদা পিঠে আলতো চাপড় মেরে বলেন,—‘কী হে, তাহলে ঘরের ভিতর চল নন্দ। ওনারা বউদিরে যা জিজ্ঞাসা করার করুক।’
শহুরে লোকটি নন্দকে আশ্বস্ত করার জন্য বললেন,—‘চিন্তা নেই, আমার সঙ্গে যে ম্যাডাম এসেছেন তিনিই ওনাকে প্রশ্ন করবেন।’ এই বলে লোকটি উঠে গিয়ে উৎসুক গ্রাম্য জনতার ভিড় ঠেলে সরাতে নেমে পড়েন। নন্দকে নিয়ে তাপস ঘরের ভেতরে ঢুকে যেতে শহুরে মহিলাটি ঝিল্লির বাঁ হাতটাকে চেপে ধরে টেনে নিয়ে চলে যায় দাওয়ার পিছন দিকের একটা কোণায়। ঝিল্লির সমস্ত শরীরটা শিউরে ওঠে। একটা অস্ফুটে ‘উঃ!’ শব্দ করেই সে আবার চেপে যায়। তার হাতে ব্যাথার জায়গায় আবার চাপ পড়েছে।
ঝিল্লির বুকটা কেমন দুরদুর করতে থাকে। কে জানে এরা কেমন কী প্রশ্ন করবে। বাইরের লোকের সাথে মেলামেশা করার অভ্যাসটা চলে গেছে বহু বছর আগে। ঝিল্লির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এবার মহিলাটি বললেন,—‘আপনার নামটা একটু বলুন।’
বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর অপর দিক থেকে কোন উত্তর না মেলায় মহিলা আবার বললেন,— ‘ভয় নেই, আমাকে নিজের বন্ধুর মতোই ভাবতে পারো। তোমার নাম কী?’
—‘ঝিল্লি বাড়ুই।’
—‘বয়স কত তোমার?’
—‘এ বচ্ছরে আঠেরো অবে।’
—‘এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলেছ, আর স্কুলে গেলে না কেন?’
—‘বাপে জোর করে বেয়ে দি দিছে।’
মহিলা খুব ভাল ভাবেই জানেন যে সরকার বাহাদুরের নির্দেশ মতো তিনি যে সমীক্ষাটি এই গ্রামে চালাতে এসেছেন সেটা মোটেও খুব সহজ হবে না। তবে প্রথম থেকেই ঝিল্লির এই সংকুচিত ও অস্বস্তি মাখানো উত্তরগুলো পেয়ে আরও বেশি মুশকিলে পড়ে গেলেন। তবে হেরে যাওয়ার পাত্রীও তিনি নন। কাজটা যে তাকে সুসম্পন্ন করতেই হবে। তাই সর্বপ্রকার প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করার মত অস্ত্র সমেত নিজেকে প্রস্তুত করেই এসেছেন। এবার বোধহয় তার মধ্যে থেকে একটার প্রয়োগ না করলে আর সমীক্ষাটা এগাবেই না। মহিলা এবার জিজ্ঞাসা করলেন,— ‘আচ্ছা ঝিল্লি তোমার স্বামী তোমাকে মারেন?’
এই প্রশ্নের জন্য একেবারেই অপ্রস্তুত ছিল ঝিল্লি। সে জোরে জোরে মাথা এপাশ ওপাশ নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিল যে তার স্বামী তাকে কোনোদিন মারেওনি আর মারবেও না, এমন ঘৃণ্য কাজ তিনি কখনও করতেই পারেন না। শহুরে মহিলাটি একটু নড়েচড়ে উঠে বললেন,—‘দেখ, আমি তোমার হাতের কালশিটের দাগটা দেখতে পেয়েছি। মিথ্যে কথা বলে কোনও লাভ নেই।’ এরপর তিনি ঝিল্লির কানের কাছে একটু ঝুঁকে পড়ে বললেন,— ‘আমার বরও আমাকে রোজ রাতে পেটায়। তুমি আমাকে সবটা খুলে বলতে পারো, এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।’
ঝিল্লি ঘোমটার আড়ালে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল, কিছু বলল না। মহিলা বুঝলেন এই মিথ্যেটাতে আর কোনও কাজ হওয়ার নয়। তাই এবার তিনি অনেকটা বাতাস একসঙ্গে নিঃশ্বাসে ভরে নিয়ে আবার নতুন গল্প বানাতে আরম্ভ করলেন ঝিল্লির পেট থেকে সত্যি কথাটা আদায়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা তাকে করতেই হবে। মহিলা বলতে থাকলেন,— ‘আমারও এক বন্ধু ছিল, জানোতো। তোমাকে দেখে তার কথা মনে পড়ে গেল। সেও তোমার মতই গ্রামের মেয়ে, তেরো চোদ্দ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর পড়াশোনা তার লাটে উঠল। সারাদিন সংসারে খাটাখাটনির পর বরের কাছে পড়ে পড়ে মার খেত। ছেলে মেয়েদের সামনে মার খেতে লজ্জা লাগে না বলো?’ বলে মহিলা একটু থামলেন। তাঁর দৃষ্টি ঝিল্লির শান্ত মুখমণ্ডলের প্রতি গভীর ভাবে নিবদ্ধ। ঝিল্লির ঠোঁট থেকে এর প্রত্যুত্তরে বেরিয়ে এল কেবল একটি শব্দ ‘হুঁ’। মহিলা বলে চললেন,— ‘আমার বন্ধুটি আর বেশিদিন এসব সহ্য করতে পারল না। এর একটা প্রতিকার করতেই হবে। তাই সে কাউকে কিছু না জানিয়ে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়।’
—‘তারপর?’
ঝিল্লির মধ্যে যে একটা আগ্রহ ক্রমশ দানা বাঁধছে সেটা মহিলার আর বুঝতে বাকি রইল না। তিনি আবার বলতে শুরু করলেন,— ‘তারপর আবার কী, দু-তিনটে পাস দেওয়ার পর গ্রামের লোকেরা তাকে কত সম্মান করে, লেখাপড়া জানে বলে বরও আর মারার সাহস পায় না। আচ্ছা, বর যখন তোমাকে মারে খুব কষ্ট হয়, ভীষণ খারাপ লাগে তাই না?’
ঝিল্লি যেন এতক্ষণ কিছু একটা ভাবছিল, এবার সে অধৈর্য হয়ে বলল,— ‘আর সহ্য হয় না। রোজ রোজ মার খেতে আমি আর পারব না। মেরে মেরে আমারে বোধহয় মেরেই ফেলব ও একদিন।’
এই বলে ঝিল্লি ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে— ‘আমি আবার ইস্কুলি যাব।’ মহিলা তাকে যতটা সম্ভব সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঝিল্লির মত এমন গ্রাম্য লাজুক মেয়েও যে হঠাৎ এতটা ক্ষিপ্র হয়ে উঠতে পারে তা মহিলা কল্পনাও করতে পারেননি। তিনি প্রথমে বেশ ঘাবড়ে যান। এক অন্য ঝিল্লি যেন মাথা ঝাড়া দিয়ে আচমকা জেগে উঠেছে,— ‘এতদিন প্রতিকার করার কোন রাস্তা আমি খুঁজে পায়নি। কিন্তু আজ যখন খুঁজে পেয়েছি তখন এই সুযোগ আমি হাতছাড়া করবো না। কী করে ভত্তি হব ইস্কুলে?’
মহিলা নিজের বিস্ময়ের ভাবটিকে সরিয়ে রেখে বললেন,— ‘তুমি যদি ভর্তি হতে চাও তাহলে আমি স্কুলের লোকদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করে দিতে পারি।’
—‘বইখাতা, খরচাপাতি…’
—‘সে সমস্ত ব্যবস্থা আমি করে দেব, তোমার কোনও চিন্তা নেই। আমরা সরকারের লোক, আমরা আছি কীসের জন্য?’
এরপর সমীক্ষা আর বেশিক্ষণ চলেনি। ঝিল্লি কোনোক্রমে তার বাঁধভাঙ্গা কান্নাকে সামলে নিয়ে দাঁত দিয়ে শাড়ির আঁচলটাকে কামড়ে ধরে ছুটে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। মহিলাও তার দরকারি কাগজপত্র গুছিয়ে নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে সেখান থেকে পাত্তারি গোটান। দিনের বাকি সময়টা জুড়ে ঝিল্লি কিছু না কিছু ভেবেছে। স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুফল কুফলের কথা, স্বপ্নপূরণের কথা, স্বপ্নপূরণের পথে বাধার কথা, প্রতিবন্ধকতাকে জয় করার উপায়ের কথা, স্কুলজীবনের হারিয়ে যাওয়া পুরনো স্মৃতির কথা। অনেক কিছু সে ভেবেই গেছে। অনেক সম্ভাবনা অসম্ভাবনার দোলাচলে কখনও তার মুখ দীপ্ত হয়েছে আবার কখনও হয়েছে ম্লান। ঝিল্লি জানে তার স্বামী এতে মত দেবে না। তবুও ভাবনার তল নেই আর আশারও অন্ত নেই। হ্যাঁ এই অন্তহীন আশাকে বুকে আঁকড়ে ধরেই তো মানুষ বাঁচে। একটা গোটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে কেবল আশায় বুক বেঁধে। তাই ঝিল্লি ঠিক করে স্বামীকে কথাটা বলেই দেখবে, কী হয়।
সেই দিন রাতে নন্দ ভাত খেয়ে উঠে যাওয়ার পর ঝিল্লি এঁটো পরিষ্কার করতে করতে বলল, — ‘বলচি, আমারে ইস্কুলি যেতে দিবে গো?’
—‘ইস্কুলি!’
নন্দ যেন আকাশ থেকে পড়ে,— ‘কে ঢুকিয়েছে মাতায় এসব কতা? তুই ইস্কুলে গেলি মারে আর বাচ্ছাকাচ্ছা গুলারে দেকবে কে?’
ঝিল্লি বুঝল অনুনয় বিনয় করে আর কোনও লাভ নেই। সত্যি তো ঝিল্লি স্কুলে গেলে এদের দেখবে কে? কিন্তু আজ সংসার প্রতিপালনের থেকেও কেন যেন নিজের সম্মান আর স্বপ্নটা হঠাৎই ঝিল্লির কাছে অনেক বড় হয়ে উঠল। সে চোয়াল শক্ত করে বলল,— ‘আমি ইস্কুলে যাবই।’
নন্দ ওর কোনও কথা যেন কানেই তুলতে চায় না। সে আপনমনে দাওয়ায় বসে বিড়ির ধোঁয়া ছাড়ে। ঝিল্লির মনে হল স্বামীর কাছে তার ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দামই নেই। এটাও তার মনে হল যে এতদিন চুপ করে সব কিছু সহ্য করে যাওয়ার ফলে তার প্রতিবাদ করার ক্ষমতাটাও অনেকখানি ক্ষয়ে গেছে। তাই সে এবার সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে বলল, ‘আমি কালই ইস্কুলে যাব। তুমি কিছুতেই আটকাতে পারবে না।’
—‘তাই বুঝি, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা’ বলে নন্দ তার ডান হাত মুঠো করে ক্ষিপ্র বাঘের মত ঝিল্লির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে যায়, কিন্তু পারে না। তার পা টলতে টলতে নিজেকে সামলে নেয়। নেশাগ্রস্থ চোখ দুটো অস্বাভাবিক রকমের লাল হয়ে উঠেছে। তার নাক দিয়ে ফোঁস ফোঁস শব্দে নিঃশ্বাস জোরে জোরে পড়তে থাকে। নন্দ দেখে তার সম্মুখে দেবী শীতলা স্বয়ং ঝিল্লির রূপ ধারণ করে ঝাড়ু হস্তে দণ্ডায়মানা। তাঁর ক্রোধানলে ধীরে ধীরে দগ্ধ হতে থাকে নন্দের সর্বাঙ্গ।
ছবি : প্রতীকী
লেখক : কলেজ ছাত্রী, গল্পলেখক।
0 Comments
Post Comment