ঘেরাটোপ (পর্ব -২ )

  • 09 May, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 291 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
মুম্বাই থেকে ফিরে এসেছিল সুবর্ণ। তার মাও তখন তাই চেয়েছিলেন। অবশ্য সুবর্ণও তখন ফিরতে চেয়েছিল বোধহয় … কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, সুবর্ণও ফিরতে চেয়েছিল কলকাতায়। অন্ধকার আদতে অনেক রকমে মানুষকে গ্রাস করে। পাশে থাকা সব মানুষেরাই খবর পায় না তার। সুবর্ণ জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকায়। একেকটা পরতের মতো শহরের অস্তিত্বটা তার কাছে খুলে যেতে থাকে। ঠিক যেন এক বহুবর্ণী ক্যালাইডোস্কোপ। (ধারাবাহিক রচনা, পর্ব ২)

[২]

 

 

সুবর্ণের যা বয়স তাতে এই সময়ের মধ্যে কেরিয়রের সিঁড়িতে ওর অনেকটাই উঠে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তব জীবনের নিরিখে উচিত-অনুচিতের বিচার চলে না। গাড়িতে যেতে যেতে সুবর্ণ ভাবছিল।

 

 

 

বছর পনেরো আগেকার সুবর্ণ। সদ্য কলেজ পাশ করে বেরনো তারুণ্যের উজ্জ্বলতা। প্রথম ইন্টার্নশিপ ‘হিন্দুস্থান ক্রনিকলার্স’। তারপর সোজা মুম্বাই। ক্রাইম রিপোর্টিং নিয়ে কাজ করতে চাওয়া সুবর্ণ সেসময়ে সরাসরি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ‘ওয়েস্টার্ন এজ’এর মতো পত্রিকায়। তরতর করে না হলেও, যথেষ্ট তাড়াতাড়িই সে কাজ বুঝে নিতে শুরু করেছিল। বাড়িতে কেবল অপরাধ শব্দটুকুই জানত। সুবর্ণের কাজের ধরন-প্রকৃতি, কার না কার সঙ্গে তাকে মিশতে হয়, ঘুরে বেড়াতে হয় কোথায়, এই সব ব্যাপারে তার বাড়িতে জানত না কিছুই। সুবর্ণের মা এই নিয়ে হয়তো কখনও-সখনও অল্পবিস্তর চিন্তা করলেও, সুবর্ণের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা ছিলেন বাবা সৌরেন্দ্রনাথ। সেই ভরসার জায়গাটাই হারিয়েছিল হঠাৎ। দুম করে হার্ট এ্যাটাক, তিনদিনের মাথায় পরিণতি। মুম্বাই থেকে ফিরে এসেছিল সুবর্ণ। তার মাও তখন তাই চেয়েছিলেন।

 

 

 

অবশ্য সুবর্ণও তখন ফিরতে চেয়েছিল বোধহয়।

 

 

 

কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, সুবর্ণও ফিরতে চেয়েছিল কলকাতায়। অন্ধকার আদতে অনেক রকমে মানুষকে গ্রাস করে। সবসময়ে পাশে থাকা মানুষেরাই খবর পায় না তার। সুবর্ণ জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকায়। একেকটা পরতের মতো শহরের অস্তিত্বটা তার কাছে খুলে যেতে থাকে। ঠিক যেন এক বহুবর্ণী ক্যালাইডোস্কোপ।

 

 

 

একেকজন মানুষের মন, সেই মনের মধ্যেটায় যদি হঠাৎ কোনওভাবে দূরবীন বাগিয়ে ঢুকে পড়া যায় – বসে থাকা যায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, হয়তো বা আমরা দেখব একেকজন মানুষের মন ঠিক যেন সেই বহুবর্ণী ক্যালাইডোস্কোপ। যেখানে রঙের বিচ্ছুরণ, অথবা অদ্ভুৎ কোনও জটিল বিন্যাসের সমাহার। সুবর্ণ পকেটে হাত দিয়ে বুঝল মোবাইলে পরপর বেশ’কটা নোটিফিকেশন এসে চলেছে। বারংবার যন্ত্রটা কেঁপে কেঁপে উঠে ইঙ্গিত দিয়ে চলেছে। অনিয়মিত ব্যবধান অন্তর। ফোন বের করে সে যা দেখল তাতে তার খুশি হবারই কারণ। কিন্তু সুবর্ণ সে খুশি প্রকাশ করতে পারল না। ‘ডেইলি রিভিউ’এর স্টিকার লাগানো গাড়িটা ততক্ষণে গোখেল রোডের সামনেটায় এসে দাঁড়িয়েছে।

 

 

 

সামনেই একটা বাড়ির ফটকে কলকাতা পুলিশের লোহার ব্যারিকেড লাগানো। একজন অফিসার-ইন-চার্জ গোছের কেউ, আরও দু’চারজন কনস্টেবল এদিক-ওদিক ছড়িয়ে। সুবর্ণেরা বোধহয় দেরি করে ফেলেছে। গাড়ি থেকে নামতে নামতেই সুবর্ণ আশেপাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করল মিডিয়ার বাকি লোকজনেরা কোথায়। একেবারে সবাই লোকেশন ছেড়ে দিয়ে কেটে পড়েছে, সুবর্ণেরা এতখানিও দেরি করে ফেলেনি বোধহয়। একটুখানি চোখ ঘোরাতেই ‘নতুন খবর’এর অনিন্দ্যের সঙ্গে সুবর্ণের চোখাচোখি হয়ে গেল। পিছনে অনিন্দ্যের ক্যামেরাম্যান সেলিম।

 

 

 

-“আরে সুবর্ণ যে, এসো এসো। কি খবর?” সহাস্যে অনিন্দ্য জিজ্ঞেস করে।

 

-“দেরি করে ফেললাম নাকি অনিন্দ্যদা?” সুবর্ণ ভয়ে ভয়ে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। অফিসের গাড়ির জন্য অতক্ষণ অপেক্ষা না করে ক্যাব ডেকে চলে এলেই হতো। নিজেরই উপর বিরক্তিতে সুবর্ণ মনে মনে হাত কামড়াতে থাকে।

 

-“তা একটু করে ফেলেছ তো বটেই,” অনিন্দ্যের ঠোঁটে হাসি বহাল থাকে, “অবশ্য অফিস থেকে আনরেস্ট বলে পাঠিয়েছে তো তোমায়? তেমন কিছুই নয়। সামান্য ব্যাপার আর কি। চা চলবে তো?” হাত নেড়ে ‘নতুন খবর’এর অনিন্দ্য রায় ব্যাপারটা ঝেড়ে ফেলতে চায়। সুবর্ণ বোঝে তেমন কোনও জরুরি খবর আর মিলবে না। তবুও সে জিজ্ঞেস করে,

 

 

 

-“বড় অফিসারেরা কেউ এসেছিলেন নাকি? প্রেসকে কিছু বলেছেন?”

 

-“লালবাজার থেকে ডিসি ক্রাইম এসেছিলেন। কোনও কোনও চ্যানেল অবশ্য এও বলতে শুরু করেছিল যে কমিশনার সাহেবের আসার কথা রয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি তিনি আসেননি। এই আর কি,” আবারও অনিন্দ্য চুপ করে যায়।

 

-“আনরেস্ট বলতে তার মানে সেরকম বড় কিছুই ঘটেনি?” শেষ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সুবর্ণ।

 

অনিন্দ্য সুবর্ণের দিকে তাকায়।

 

 

 

-“না না তেমন কিছুই নয়। ডোমেস্টিক হেল্প যে, তার বয়স একেবারেই অল্প। তেরো না চোদ্দ বছর বোধহয়। মূল অভিযোগ তার মায়ের বিরুদ্ধে। দুজনেই কাজ করত এখানে। ছোট মেয়েটাকে নাকি সময়ে সময়েই খুব মারধোর করত বাড়ির লোক। সেই খবর তার মা’ই কোনওসময় পাড়ার দু’চারজনের কাছে গল্প করে বলেছিল বোধহয়। আজ সকালে বেমক্কা চুরির অভিযোগে হঠাৎ মেয়ে সমেত মা’কে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ায়, তখন সেই পাড়ারই দু’চারজন লোক খবর পেয়ে ভিড় করে চলে এসেছিল, এসব কেসে যেমনটা হয়। তা লোকাল কাউন্সিলর চলে আসাতেই মোটামুটি সব কথা বলে মিটমাট করে নিয়েছে,” অনিন্দ্য এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেল, “সে যা হোক, তাহলে এখন একটু চা চলুক?” সে স্পষ্টতই এবারে কথা এড়াতে চায়।

 

 

 

সুবর্ণ হাত নেড়ে বারণ করে দেয়। “থাক অনিন্দ্যদা। পরে একদিন হবে নাহয়।” সে আড়চোখে দেখে নিয়েছে মিডিয়ার প্রায় কেউই আর এখানে নেই এখন। এক-দু’জন যাও বা রয়েছে, তারাও পাততাড়ি গুটিয়ে অফিসে ফেরার তোড়জোড় করছে। এই সময় আরও একটুক্ষণ আশেপাশে ঘুরে দেখতে পারলে মন্দ হতো না বোধহয়। সুবর্ণও তাই অনিন্দ্যকে কাটাতে চেষ্টা করে। অতিরিক্ত নাটকের দরকার পড়ে না। সূরযকে নিয়ে খানিক এদিক-সেদিক করাতেই, অনিন্দ্যও আর না দাঁড়িয়ে সেলিমকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যায়। সুবর্ণ হাঁফ ছেড়ে ভাবতে চেষ্টা করে এবার।

 

 

 

এমনিতেও অফিসে সোনালীদি অথবা আর কেউ তো তার দেরি  হয়ে যাওয়ার অজুহাত শুনবে না। ফিল্ডের কাজে দেরি হয়ে যাওয়া মানে সাংবাদিকেরই ব্যর্থতা। সে এক ঝলক পুলিশি ব্যারিকেডের দিকে তাকায়। অফিসার-ইন-চার্জের মতো দেখতে লোকটাকে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়েই সুবর্ণের কেমন যেন খটকা লাগে কোথাও। কিন্তু সে প্রথমেই পুলিশের দিকে এগোয় না। বরং হাত নেড়ে সূরযকে কাছে ডাকে, “চা খেয়ে আসা যাক সূরয। এখানে একটা চায়ের দোকান আছে, অনেককাল আগে আমি বোধহয় একবার সেখানে খেয়েছিলাম।” সূরয ঘাড় নাড়ে। ক্যামেরা ব্যাগের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়। সুবর্ণের চা-প্রীতির বিষয়ে অফিসের অনেকেই ওয়াকিবহাল। যদিও পুরনো চায়ের দোকানটাকে সে আজ চট করে ঠিক কোথায়, খুঁজে বের করে উঠতে পারে না; আর তাতে অবশ্য লাভ বই লোকসান হয় না তার।

 

 

 

ব্যারিকেডের বাড়িটা থেকে একশো মিটারও নয়। মাঝবয়সী এক ভদ্রমহিলার চা-কেক-পান-সিগারেটের দোকান। সামনেই কোকাকোলা-সফটড্রিঙ্কসের দু’চারটি প্লাস্টিকের ক্রেট উলটিয়ে চা-পায়ীদের বসবার ব্যবস্থা। সুবর্ণ বা সূরয কেউই অবশ্য বসতে আগ্রহ দেখায় না। হাত বাড়িয়ে কাগজের কাপ হাতে নিয়ে সুবর্ণ চায়ে চুমুক দেয়।

 

 

 

-“সকালে খুব গণ্ডগোল হয়ে গেল বলুন?” আলতো করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সুবর্ণ।

 

-“গণ্ডগোল বলে গণ্ডগোল, প্রায় দেড়শো লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিল তো তখন - কি বলব আর!” ভদ্রমহিলা হাত নেড়ে বলেন, “নেহাত পুলিশ আসার পরেপরেই কাউন্সিলরের লোকজনেরাও সব এসে পড়েছিল। তাই রক্ষে। নয়তো শুধু পুলিশে কি আর সামলাতে পারত ওদের!”

 

-“বাবা এত লোক!” সুবর্ণ বিস্ময়ের ভাব করে। ভদ্রমহিলা সুবর্ণের গলার কার্ড, সূরযের কাঁধে ঝোলানো ক্যামেরা ঠিকই লক্ষ্য করেছেন। তবুও তিনি জোর করে বলে চলেন, “লোক বলে লোক। মালতী আর ওর ওই মেয়ের ওপর কম বাঁদরামোটা করেছে ওই মিত্তিররা! তা সেই মালতীর জন্য লোক জড়ো হবে না, তো হবে কোথায়! তবে কথায় বলে, টাকার জোর। মিত্তিরদের বিরুদ্ধে কি আর আমাদের মতো লোকেরা জিততে পারে? না কথা বলতে পারে?”

 

-“কিন্তু মালতী কি এইখানকারই মেয়ে নাকি?” সুবর্ণ জিজ্ঞেস করে, “লোকাল বলেই কি একবারে এত লোক জড়ো হয়ে গেল?”

 

এইবারে ভদ্রমহিলা যেন একটু সাবধানী হন, “তা এলাকার লোক না হলেও কি তার জন্য কারোর কথা বলতে নেই? মিত্তিরদের অনেক পয়সা। ওরা যা খুশি তাই করে বেড়ায়। আর কাউন্সিলরও তো -” কথার মাঝখানেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে চুপ করে যান মহিলা, “মানে ওই আর কি গো দিদিমণি, সবই তো বড়লোকদের জমানা এখন। জানোই তো সব,” সুবর্ণ আবারও পালটা প্রশ্ন করে, “মিত্তিরদের আপনারা বুঝি পছন্দ করেন না?” ভদ্রমহিলা জিভ কাটেন, “ওমা না না, সে কখন বললাম। তবে পয়সা থাকলে যদি পাড়ার দু’চারজনের জন্য ভাবে, করে, তাহলেই তো তাকে আর কি ভালো বলা যায়, তাই না?” ভদ্রমহিলা নিজেই এবারে প্রশ্ন এড়াচ্ছেন।

 

-“আপনার একার সংসার?” সুবর্ণও কথা ঘোরাতে চায়।

 

-“এক ছেলে আছে,” জবাব পায় সুবর্ণ।

 

-“স্বামী?”

 

-“নেই,”

 

-“আচ্ছা,” সুবর্ণ একটু থামে। ভদ্রমহিলা আবার কথা বলে ওঠেন, “তা, সে মানুষ থাকলে কি আর এত কষ্ট করতে হয়। গাড়ি এ্যাক্সিডেন্টে সেবার,” ভদ্রমহিলা ঢোক গিলে নিজেকে একটু সামলিয়ে নেন, “সেই সকাল পাঁচটা থেকে এসে দোকান খুলতে হয়। ছেলে থাকে কখনও কখনও। একটা কাজ নেই জানো ছেলের। সেই কবে, ক্লাস টেন পাশ দেওয়া থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঠিকমতো একটা কাজ জোটে না। তার উপর গ্যাসের যা দাম। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত। তারপরেও ঘুম আসে না। দুটো-আড়াইটে। কারও কারও কাছে কত টাকা, আর আমাদের মতো কারো-কারোর রাতে ঘুম নেই। কাল থেকে কিভাবে চলবে, সামনের মাসে কিভাবে চালাব,” ভদ্রমহিলা থেমে যান, “চা খাও গো তোমরা। এই দুঃখের কথা আর কি বলব। জানোই তো সব।” সুবর্ণ চুপ করে থাকে। এদেশে সুদিন এসেছে।

 

 

 

দূর থেকে দুহাতে করে, ভর্তি চায়ের ফ্লাস্ক নিয়ে একটি অবয়বকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। ভদ্রমহিলার ছেলের সঙ্গে সুবর্ণদের আলাপ হয়। সুবর্ণ আবারও জিজ্ঞেস করে, “বাইরের একজনের জন্য, লোকাল এত লোক কেন জড়ো হয়ে গেল বলতে পারো ভাই?” ছেলেটি একটু রুক্ষ ভাবে কাঁধ ঝাঁকায়, “আমি কি জানি, আমি তো ছিলাম না তখন।” সুবর্ণ মাথা নাড়ে। ওদের চা খাওয়া শেষ হয়ে গেছে অনেকক্ষণ।

 

 

 

পুলিশ অফিসারটির কাছ থেকেও বিশেষ তথ্য বের করতে পারে না সুবর্ণ। কেবল টাকার পরিমাণটুকু জানতে পারা যায়। মালতী আর তার মেয়ে রানীকে আপাতত দেড় হাজার টাকা চুরির অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে। কাল সকালের মধ্যে মিত্তিরদের তরফে সমস্ত বাড়ি-ঘরদোর খুঁজে দেখে জানানো হবে আর কোনও কিছু চুরি গিয়েছে কি না। ততক্ষণ অবধি আপাতত লক-আপ, নয়তো চুরির অভিযোগে আজ রাত্রেই হয়তো সরকারি ভাবে গ্রেফতার করে কাল দুপুরে দুজনকে কোর্টে তোলা হবে। নিজের কার্ডটা অফিসারকে দিয়ে রাখে সুবর্ণ। তাচ্ছিল্য ভরে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে অফিসার কার্ডটিকে পকেটে ভরে রাখেন। সুবর্ণ দেখতে পায়, তাঁর বুকের উপর কালো ফলকে জ্বলজ্বলে সাদা অক্ষরের নাম খোদাই করা রয়েছে। সুদীপ সেনগুপ্ত।

 

 

 

সুবর্ণের সকালের ছবিটা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

 

 

 

গাড়িতে উঠে অফিসে ফিরতে ফিরতেই মোবাইল খুলে সে নোটিফিকেশন দেখতে শুরু করে। সবকটা সোশ্যাল মিডিয়াতেই তার সকালের ছবিটা ঘুরেফিরে শেয়ার হয়ে চলেছে। সিটের উপর অবশেষে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বুজে ফেলে সুবর্ণ। অফিসার সুদীপ সেনগুপ্তকে কেন তার চেনা চেনা লাগছিল সেকথা নিয়ে এখন আর সে বিশেষ করে মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট করতে রাজি নয়। বরং সম্ভব হলে আগামীকাল সে একবার কোনওভাবে কোর্টে ঘুরে আসার চেষ্টা করবে। সুবর্ণ মনে মনে তার পরদিনের শিডিউল সাজাতে চায়।

 

 

(চলবে)

লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক 

ছবি ; সংগৃহীত 

 

0 Comments

Post Comment