তুরস্ক মহিলাদের প্রতি হিংস্রতা বিরোধী চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসে

  • 01 July, 2021
  • 0 Comment(s)
  • 509 view(s)
  • লিখেছেন : সিউ প্রতিবেদক
বুধবার ফেডারেশন অফ তুর্কি মহিলা সমিতির সভাপতি ক্যানন গুল্লু বলেন, "আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুরস্ক নিজের পায়ে নিজেই গুলি চালাচ্ছে।"

নারীদের প্রতি হিংস্রতা বিরোধী এক আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসে।

“ইস্তানবুল কনভেনশন” নামে পরিচিত নারীদের প্রতি হিংস্রতা রোধের জন্য বিশ্বের প্রথম বাধ্যতামূলক চুক্তি থেকে সরে আসেন রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়িপ এরদোগান মার্চ মাসে। এর বিরুদ্ধে তুর্কি মহিলারা দেশব্যপী প্রতিবাদের আয়োজন করেন। তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের সমালোচোনা করেন পশ্চিমের বহু দেশ। এরদোগানকে এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব জানান। তা সত্তেও বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ক এই চুক্তি থেকে সরে আসে।

বুধবার ফেডারেশন অফ তুর্কি মহিলা সমিতির সভাপতি ক্যানন গুল্লু বলেন, "আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুরস্ক নিজের পায়ে নিজেই গুলি চালাচ্ছে।"

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ৪৫ টি দেশ ২০১১ সালে এই “ইস্তানবুল কনভেনশন”-এ স্বাক্ষর করে। কনভেনশন অনুযায়ী, সরকারকে বৈবাহিক ধর্ষণ, গার্হস্থ্য হিংসা এবং মহিলা যৌনাঙ্গে হিংস্রতার (female genital mutilation) বিরুদ্ধে আইন পাস করাতে হবে।

তুরস্কের সিদ্ধান্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উভয়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জাগিয়ে তোলে। কনভেনশনের সমর্থকরা বলছেন যে আরও কঠোর বাস্তবায়নের প্রয়োজন তুরস্কে।

মহিলা অধিকার সংস্থাগুলির অভিযোগ যে সরকার রক্ষণশীলদের সন্তুষ্ট করতে এই চুক্তি থেকে সরে এসেছে। এই কনভেনশন পারিবারিক ঐক্যকে ক্ষতি করবে বলে মনে করে রক্ষণশীলরা।

মঙ্গলবার প্রশাসনিক আদালতে এক বিবৃতিতে এরদোগানের বলেন, "আমাদের দেশে সম্মেলন থেকে বেরিয়ে আসলেও নারীদের প্রতি হিংস্রতা রোধে কোনও আইনি বা রাজনৈতিক ঘাটতি হবে না।"

ছবি : সংগৃহীত

0 Comments

Post Comment