- 03 March, 2024
- 0 Comment(s)
- 413 view(s)
- লিখেছেন : পারমিতা মুখোপাধ্যায়
এই ভালোমন্দের-মাঝামাঝি সময়টায় দাঁড়িয়ে ঠিক ভুলের সূক্ষ্ম বিভাজন রেখাটা চিনতে চিনতেই এসে পড়ল আরেকটা নারী দিবস। আরও একটা মার্চ, নারীর আপন ভাগ্য জয় করার জয়ধ্বনি মুখরিত মার্চের আট, আরও একবার। আমার কাছে কী এই নারী দিবস? কেমন তার অবয়ব? কেমন সে আধার? নারী দিবস কি বারো মাসের বারোশ’ বিশেষ দিবস সম্বলিত দিনপঞ্জির কোনো একটা বিচ্ছিন্ন দিন? শাড়ী-গয়না-প্রসাধনীর বিশেষ ছাড় সমাবৃত শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মেলা?
শিশুর মন-পললে নারী-পুরুষ বিভাজন বোধের কিংবা ভালো ছোঁয়া খারাপ ছোঁয়ার পার্থক্যীকরণের ছাপ পড়ার ঢের আগে থেকেই অঙ্কুরিত হ’তে শুরু করে নিজেকে জানতে-চাওয়ার আগ্রহ। “...বুকের মাঝে বিশ্বলোকের সাড়া...” খোঁজার এই যাত্রার সেটাই প্রথম পদক্ষেপ। আর এই সফরে যিনি প্রথম স্বপ্ন দেখতে শেখান তিনি আমাদের মা। আমার কাছে নারী দিবস মানে আমার মাতৃশিক্ষার উদযাপন। আজন্মের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সামাজিক নির্মিতির (Social Construct) অযুক্তি কুযুক্তিকে ছাপিয়ে আমার মনের ভেতরের যুক্তির প্রদীপটিকে নিভতে দেন নি যিনি তিনি আমার বাবা। আমার কাছে নারী দিবস মানে আমার পিতৃশিক্ষার উদযাপন। আমার কাছে নারী দিবস সেই মাতৃত্বের উদযাপন যে মাতৃত্বের কোনো সমাজ-নির্ধারিত লিঙ্গ হয় না, যে মাতৃত্ববোধের জন্ম গর্ভধারণ-ধারণার গর্ভে নয়, সে মাতৃত্ববোধ জন্মায় লালনের আঁতুড়ে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে যে সমস্ত বিদগ্ধজনেরা অন্যায়ের অক্টোপাস থেকে বেরোনোর আগুন জ্বালিয়েছেন নারীর চেতনায়, আমার কাছে নারী দিবস মানে তাঁদের বরণীয় জীবনের উদযাপন। কিন্তু তার পাশাপাশি, আমার কাছে নারী দিবস মানে আমারই আশৈশবের রোজনামচায় সামান্য থেকে সামান্যতম মুহূর্তবন্ধনে জড়িয়ে থাকা সেইসব অজস্র মানুষের জীবনবোধের উদযাপন যাঁরা নানা সময়ে নানা ভাবে আমাকে শিখিয়ে গেছেন প্রগতির গভীর পাঠ। সে সব জীবনবোধ নারীচেতনার হীরে জহরতে সমুজ্জ্বল। সাধারণের ভীড়ে মিশে গিয়েও হারিয়ে-না-যাওয়া সেই মানুষগুলোর জীবনের এক একটা দিনই আমার কাছে এক একটা অনন্য নারী দিবস। তাঁদের নিজের জোরে ছিনিয়ে নেওয়া অধিকারের বিজয়রথ “শিখর হইতে শিখরে” ছোটার গর্ব বুকে নিয়ে লিখতে বসেছি এই সাধারণ চিঠি, সেই সাধারণত্বে অসাধারণ নারীদের, সেই সাধারণত্বে অসাধারণ পুরুষদের, যাঁদের ছাড়া নারী দিবসের উদযাপন অসম্পূর্ণ থেকে যায় আমার কাছে। এ চিঠি লিখছি নিজেকেও, নিজের মত ক’রে নিজেকে ভালোবাসছেন যে নারীরা এ চিঠি লিখছি তাঁদেরকেও...
এ চিঠি সেই সংগ্রামী নারীদের লেখা যাঁরা লক্ষ্যবিহীন সংগ্রাম ক’রে চলাকেই ভবিতব্য ব’লে মেনে নিয়ে নিজেকে অবক্ষয়ের অভ্যাস ক’রে ফেলেন নি, বরং বিশ্বাস করেছেন সৃষ্টিশীল সংগ্রামের লক্ষ্য আসলে উত্তরণ। সেই উত্তরণের পথই তাঁরা দেখেছেন, দেখিয়েছেন...
এ চিঠি সেই নারীদের লেখা যাঁরা চালিয়ে নিতে নিতে কখনও ভুলে যান নি যে সবকিছু চালিয়ে নেওয়া চলে না! এ চিঠি সেই স্পষ্টবাদীদের জন্য, যাঁরা বলতে পেরেছেন “আমি দশভুজা নই, হ’তে চাই-ও না। আমি রক্ত মাংসের মানুষ, ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে ওঠার অবাস্তব মহিমা আমার কাছে গর্বের কারণ নয়।“ এ চিঠি সেই ব্যাকরণ-ভাঙা কণ্ঠস্বরদের, যাঁরা চিৎকার ক’রে জানিয়েছেন তাঁরা সর্বংসহা নন, তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন না আদৌ।
এ চিঠি লেখা আরও অনেক অপরিচিত মানুষকে, যাঁদের “...প্রতিদিনের পথের ধুলায় যায় না চিনা...”, চিঠিখানা পড়তে পড়তেই হয়ত বড় বেশি চেনা হ’য়ে যাবেন তাঁরা...
১৯৯৯ সালের কথা। ডিসেম্বর মাসের শেষ। সেবার জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, যেমনটা পড়ত আর কী সে সময়। শীতের ছুটিতে মা বাবার সঙ্গে বেড়াতে গেছি ঝাড়খণ্ডের দেওঘর শহরে। পথে আলাপ হয়েছে আরেক ভ্রামণিক পরিবারের সঙ্গে। দেওঘর শহর থেকে কিছুদূর গেলেই তপোবন পাহাড়। টাঙ্গা থেকে নেমে জুতো জমা দিতে গিয়ে দেখি দুগ্ধপোষ্য শিশুকে বুকে জড়িয়ে জুতো সেলাই করছেন এক নারী। নাম বললেন তিলসুরনি। পাশেই একটা চেলাকাঠ-বেষ্টিত ঘর, সেটিই তাঁর আস্তানা ব’লে বোধ করি। সেখানে রান্নার কাজে ব্যস্ত এক পুরুষ। আমাদের সহযাত্রী পরিবারের এক সদস্যা বললেন, “এত ছোট বাচ্চা নিয়ে তুমি কাজ করছ কেন? তোমার বরকে করতে বলবে।“ পয়সার হিসেব করতে করতেই এক ঝলক চেয়ে দেখলেন তিলসুরনি। তাঁর উস্কোখুস্কো চুলের ফাঁক দিয়ে জ্বলজ্বল করছে একজোড়া কটা চোখ, দৃষ্টি জুড়ে মালভূমির রুক্ষ মায়া। হিন্দীমিশ্রিত বাংলায় বললেন, “আমি রান্নার কাম, ঘর কা কাম ভালো পারি না গো দিদি, উনি পারেন। উনি ঘর বাড়ী দেখাশোনা করেন, আমি এটা করি।“ আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্রী। সমাজপ্রণীত লিঙ্গ ভূমিকার (Gender Role) ধারাপাত বুঝে ওঠার আগেই সেদিন আমার মননে পড়ল কড়া করাঘাত। সেই প্রথম। বড় হ’য়ে বুঝেছি, সেদিনের সেই মুহূর্তটাই ছিল আমার জীবনে উদযাপিত প্রথম নারী দিবস। তিলসুরনি, পঁচিশ বছর আগের তিলসুরনি, এ চিঠি তোমায় লেখা... আজ নারী দিবসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তোমার গরাদভাঙা চিন্তনকে জানাই সেলাম!
সাল ২০০২। বসন্ত। কাকার বিয়ে। সদ্যবিবাহিত বরকনে কিছুক্ষণ আগেই আমাদের বাড়ীতে এসে পৌঁছেছে। তার ঠিক খানিকটা পরেই ছুটতে ছুটতে এলেন কাকিমার দাদা, জানা গেল কাকু-কাকিমা রওনা দেওয়ার একটু পরেই কাকিমার প্রথম চাকরির নিয়োগপত্র এসে পৌঁছেছে কাকিমার বাড়িতে। কাকিমার দাদা তাই তড়িঘড়ি এসে দিয়ে গেলেন। আগামীকাল বৌভাত, আগামীকাল সকালেই চাকরিস্থলে উপস্থিত হ’তে হবে কাকিমাকে। খুবই অল্প সময়ের জন্য হ’লেও উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। আমাদের বাড়ি থেকে সেই চাকরিস্থলের দূরত্ব-ও খুব বেশি নয়, তবে গুরুজনদের কপালের ভাঁজ তখন তার চেয়ে অনেক বেশি। নিমন্ত্রিতদের কিয়দংশের মধ্যে তখন গুজগুজ, ফিসফাস... বৌভাতের সকালে নতুন বৌ কি না চাকরি করতে যাবে! শ্যাওড়াফুলির ফুলজ্যেঠু অস্ফুটে বলতে চাইছেন ‘কোনো মানে হয়’! মুখ ফুটে তাঁর কথাটাই যেন ব’লে ফেললেন রাঙাদিদা, “না হয় একটাদিন পরেই যেও বৌমা! কাল সকালে বৌভাতের এত আচার অনুষ্ঠান! চাকরি তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। একটাদিন পিছিয়ে দাও, কী আর আছে!” এতক্ষণে কাকিমা প্রথমবার সোজাসুজি তাকালেন কোনো গুরুজনের দিকে। দৃষ্টি স্থির এবং শাণিত। কণ্ঠস্বর নম্র এবং অনমনীয়--- “বৌভাতের অনুষ্ঠানটা কয়েকঘণ্টা পিছিয়ে দিন জ্যেঠিমা। আমি দুপুরের মধ্যেই চ’লে আসব।“ বহু বসন্ত পেরিয়ে এসে এই উৎসবমুখর নারী দিবসের প্রাক্কালে বহু আলোচিত দারুণ আলোড়িত নারী স্বাধীনতার মন্ত্রোচ্চারণ করতে গিয়ে বুকের ভেতর প্রতিধ্বনিত হয় কাকিমার সেই দৃপ্ত স্লোগান “বৌভাতের অনুষ্ঠানটা কয়েকঘণ্টা পিছিয়ে দিন জ্যেঠিমা...”
এ চিঠি তোমাকে লিখছি, কাকিমা! সেদিন তুমি শিখিয়েছিলে একটা ছোট্ট “না” বলতে পারা কোনো ছোট কথা নয়! ছোট ছোট “না”-ও অনেকসময় খুব দামী প্রতিবাদ হ’য়ে দাঁড়ায়।
সাল ২০১৭। শিক্ষক শিক্ষণ পাঠক্রমের অঙ্গ হিসাবে গেছি মফঃস্বলের একটি সহ-শিক্ষা (Co-ed) বিদ্যালয়ে। সেদিন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ঢুকে দেখি কী যেন এক গোপন কারণে হাসির রোল উঠেছে শ্রেণিকক্ষে। সে হাসি কৈশোরের ঝলমলে হাসি নয়, বরং অসাবধানে কৈশোরের চৌকাঠ ডিঙোনোর অস্বস্তি ছড়াচ্ছে সে হাসির রোলে। হাসছে না কেবল দু’জন। অংশুমান আর পল্লবী। আমি ঢুকতেই ন’ড়েচ’ড়ে বসল সবাই, সবার অভিব্যক্তিতে হাসি চাপার চেষ্টা প্রকট। আমি কিছু জানতে চাওয়ার আগেই অংশুমান উঠে দাঁড়াল, সোজাসুজি তাকিয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে বলল, “আন্টি, পল্লবীর জামার পেছনে একটু রক্তের দাগ লেগে গেছিল আজ। সেই নিয়ে ওরা তখন থেকে ওকে ক্ষেপিয়ে যাচ্ছে। আমি ওদের কত ক’রে বলছি এটা নিয়ে হাসিস না, হাসিস না, তবু দেখুন ওরা হাসছে আর আমি কিছু বলতে গেলেই আমায় ভ্যাঙাচ্ছে, দেখুন না আন্টি!”
পল্লবীর কাছে আসার আগে আমি অংশুমানকেই জিজ্ঞেস করি, “তুমি এত কথা কী ক’রে জানলে, অংশুমান?”
-“আমাকে মা বুঝিয়েছে, আন্টি! বলেছে মেয়েদের এর’ম হয় সব মাসেই। মায়েরও হয়। মায়ের তখন খুব কষ্ট হয়। পেটে ব্যথা করে। আমি ঐ ক’টাদিন মা-কে জল তুলে দিই। ওদের মায়েদের-ও এর’ম হয়। ওরা জানেই না।“
গোটা শ্রেণিকক্ষ চুপ!
শিক্ষক শিক্ষণের গণ্ডী পেরোনোর পরেও কেটে গেছে বেশ ক’টা বছর। ফেলে এসেছি সেই বিদ্যালয়, ষষ্ঠ শ্রেণির সেই শ্রেণিকক্ষ। এতদিনে আরও অনেক বড় হ’য়ে গেছে অংশুমান। তবু, নারী দিবসকে ঘিরে অনেক গুরুগম্ভীর আলোচনা পর্যালোচনার নিনাদ ভেদ ক’রে আজও আমার বুক চিরে বেরিয়ে যায় অংশুমানের কথাগুলো... “আমি ঐ ক’টাদিন মা-কে জল তুলে দিই...”
অংশুমান, এ চিঠি তোমাকে লেখা। এই নারী দিবসে আমার শ্রদ্ধাবনত শুভেচ্ছা তোমায়, শুভেচ্ছা তোমার অভিভাবকদের... যেখানে শহরের অধিকাংশ তথাকথিত অতি শিক্ষিত অভিভাবকদের মস্তিষ্কময় পুত্রসন্তানের জন্য নির্দিষ্ট নীল রঙের জামা কিংবা কন্যাসন্তানের জন্য নির্দিষ্ট রান্নাবাটি খেলনার গণ্ডীই চুকিৎকিৎ খেলে চলে আজও, সেখানে দাঁড়িয়ে আরও বেশি ক’রে প্রণত হ’তে হয় তোমার অভিভাবকদের প্রতি...
মাত্র বছরখানেক আগের কথা। লিঙ্গ সমতার (Gender Equality) ওপর বিশেষ আলোচনাসভায় গুণীজনদের বক্তব্য শুনে বেরোচ্ছি এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আরও কয়েকজন পরিচিতা রয়েছেন সঙ্গে। ফেরার পথে অটোয় উঠতে হবে। প্রথম অটো এল, সামনের আসন ফাঁকা। পেছনের তিনটি আসনে তিনজন পুরুষ ব’সে আছেন। আমাদের মধ্যে একজনের একটু তাড়া ছিল, তাই ঐ একটি ফাঁকা আসনের প্রথম সুযোগ তাঁর-ই। অটোর পিছনের আসনে যে তিনজন ব’সে আছেন তাঁদের দিকে তাকিয়ে পরিচিতা এক মুহূর্ত থমকালেন, “তিনজন ছেলে ব’সে আছেন, দেখছেন একজন মেয়ে, তার ওপর শাড়ী প’রে আছি, একজন একটু সামনে এসে বসতে পারছেন না?”
ব্যাগের ভেতরে শংসাপত্রটা জানি না কোথায় মুখ লুকোলো এই সুবিধাভোগের লজ্জায়! সমতার সৌন্দর্য্য যদি কেবল অমৃতের ভাগাভাগির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হ’য়ে পড়ে, গরলের বেলায় যদি সমতার অপব্যবহার-ই আদর্শ হ’য়ে দাঁড়ায়, তবে, হে তেমন আদর্শ, এই নারী দিবসের শুভলগ্নে আমি তোমাকে অসম্মান জানাই। নারীবাদ যদি নারীর অন্তরাত্মার জাগরণের চেয়ে পুরুষবিদ্বেষে প্রয়োজনাতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে ফেলে, তবে, হে সেই নারীবাদ, জেনো আমি তোমায় শ্রদ্ধা করি না। এবং একইসঙ্গে এ চিঠি সেই বস্তাপচা পৌরুষকে, যে পৌরুষ নামক তামাশার হাস্যস্পদ আস্ফালনকে করুণার যোগ্য-ও মনে করি না আর।
এ চিঠি বিজ্ঞাপনী সংস্থাবৃন্দকেও। হে সৃজনশীল বিজ্ঞাপননির্মাতাগণ, আর ঠিক কত কাল উন্মুক্ত কটিদেশবিশিষ্ট নারীকে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ তাঁর শরীরে সুগন্ধি প্রয়োগ করবেন বলতে পারেন? পুরুষকে তাঁর নিজস্ব প্রয়োজনেই সুগন্ধি প্রয়োগ করতে হয়, এবার এই সত্যিটা আপনারাও একটু বিশ্বাস করতে এবং করাতে শুরু করুন।
ছবি প্রযোজকবৃন্দ, সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু ভালো বিষয়বস্তু আধারিত চলচ্চিত্র কিন্তু প্রমাণ ক’রে দিয়েছে যে জনপ্রিয়তার পারদের সঙ্গে আইটেম সং-এর (Item Song) নামে যুগের পর যুগ ধ’রে চ’লে আসা নারী পণ্যায়ন (Women Commodification)-এর আদৌ কোনো সমানুপাতিক সম্পর্ক নেই।
সময় বদলাচ্ছে। ওপরের সবক’টি চিত্রেই সুসময়ের তুলির টান পড়ছে একটু একটু ক’রে। “বিশ্বকাপ” বনাম “মহিলা বিশ্বকাপ” শিরোনামের অসাম্য কাটিয়ে ক্রিকেট পেরেছে “পুরুষ বিশ্বকাপ” আর “মহিলা বিশ্বকাপ”-এর সাম্যে ফিরতে। এভাবেই অসাম্য থেকে সাম্য, সাম্য থেকে ন্যায়--- মশাল হাতে এগোচ্ছি আমরা নিশ্চিতভাবে। তবু, হে সমাজ, সর্বপারদর্শী নারীর প্রশংসা করতে গিয়ে আর কবে তুমি বলা বন্ধ করবে যে “তোমার মেয়ে তো ছেলের কাজ করল!” এই একটা মাত্র তুলনা যে তোমার এত যুগের এত সাধনার প্রগতিশীলতাকে এক লহমায় ঠিক কতখানি পিছিয়ে দেয় সে বোধ কি তোমার কোনোদিনও হবে না?
লেখক : অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক
ছবি : সংগৃহীত
0 Comments
Post Comment