চলে গেলেন ঐতিহাসিক উত্তরা চক্রবর্তী। ২৯শে নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আমরা গভীর শোকে আচ্ছন্ন হলাম। দেহের নশ্বরতা জীবনের এক অবিসংবাদিত সত্য। একে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় কি?  তবে দেহ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও মানুষ থেকে যায়  কাছের মানুষদের স্মৃতিতে, তাঁর কাজের মধ্যে। যন্ত্রণাকে বুকে চেপে রেখেই ওঁর দেখানো পথে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। পেরোতে হবে আরো অনেক মাইল।  

ব্যক্তিপরিচয়ের মাধ্যমে তোমার লেখা, গবেষণা, ইতিহাসের শিক্ষকতা, পড়ায় নিবিষ্ট ছাত্রীতুল্য ব্যস্ততা, বন্ধুত্ব, নিমগ্নতা, আবার একই সাথে সাংসারিক দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠ, স্বামী-সংসার বন্ধুত্বের আবরণে ঘিরে রাখা সবই আমাকে মুগ্ধ করেছে, শিখিয়েছে। কলকাতায় তোমাদের বাসায় থেকেছি। দীর্ঘ সময় ধরে বারবার সেমিনার-সভা-গবেষণা ইত্যাদি সূত্রে তোমাদের বাড়িতে আপ্যায়িত হয়েছি, ধন্য হয়েছি।

দিদির লেখা বলতে গেলে সামান্য কয়েক পাতায় তা কুলিয়ে ওঠার কথা নয়। কারণ তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্রী-শিক্ষিকার গণ্ডি অতিক্রম করে বহু বছর আগেই এক আন্তরিক, গভীর মেলবন্ধনের মধ্যে বাঁধা পড়েছিল। শেখা ও শেখানোর পরিসর পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও বৃহত্তর জীবনদর্শনেও প্রসারিত হয়েছিল, এবং সেই শিক্ষার গুণে সমৃদ্ধতর হয়েছে আমার চলার পথ। দিদি হয়ে উঠেছেন আমার জীবনের পথপ্রদর্শক।

I really appreciate that how Ma’am taught me to behave like a matured academician. She guided me to present my papers in such a lucid way which would enable me to reach my audience. I can remember, after all the presentations both in India and abroad, being the fellow of The Asiatic Society, I used to call her. Uttaradi was very happy to hear that I got an opportunity to visit Pakistan and supported me to a great extent.

কয়েকদিন আগে খবর এলো দিদি (উত্তরা চক্রবর্তী) আর নেই। মনে হলো চারপাশের আলো কিছু কমে গেল। এমন মানুষগুলি আছেন এমন ভাবনাই অনেক শক্তি যোগায়, নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও। মনে মনে জানতাম দিদি আছেন, যে কোনও প্রয়োজনে আবারও যদি তাঁর আশ্রয় নিই তিনি ফেরাবেন না, সাথে থাকবেন, পরামর্শ দেবেন, হাত ধরে রাস্তাও চেনাবেন। সবার চলে যাওয়া প্রস্থান হয় না।