- 03 February, 2023
- 0 Comment(s)
- 385 view(s)
- লিখেছেন : সরিতা আহমেদ
“তারা একমাত্র সংযোগ সেতুটি ধ্বংস করেছে যা আমাকে আমার ভবিষ্যতের সাথে সংযুক্ত করতে পারতো।" – বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুদ্ধকণ্ঠে মেয়েটির দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ফুটে উঠল।
কাবুলের ওই গলিপথ এখন ফাঁকা যেখানে ইউ-টার্ণ নিলে একদিন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল ইমারতটি দেখে গর্বিত হত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রীটিকে নিয়ে গর্বিত ছিল তার পরিবারও।
মেয়েটির বহু চেনা নিত্যদিনের ওই রাস্তাটি আজ শুনশান। মেয়েদের কলকাকলিতে মুখরিত গলিটিও আজ বোবা। ওখানে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বিচিত্র দর্শন জীব- যাদের রোবটের মত চলাফেরা, হাতে বন্দুক, মুখোশ ঢাকা মুখে নিষেধের ফতোয়া আর ক্রূর চোখে প্রকট রক্তচিহ্ন। কিছুটা তফাতে দাঁড়িয়ে আছে আরও কিছু মানুষ। কেউ চিৎকার করছে, কেউ বা মৌন। ওদের চেহারা আলাদা, জন্মগত লিঙ্গ আলাদা, আলাদা চামড়ার রংও – কিন্তু ওদের একটাই পরিচয় ‘পরাধীন মানুষ’। আর এই পরিচয়টিই ওদের একসূত্রে বেঁধে আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে, বাধ্য করেছে মৃত্যুভয়কে পেছনে রেখে, কান্নাস্রোত মুছে চোয়াল শক্ত করতে । ওরা মুক্তিকামী শিক্ষিত সচেতন পরাধীন আফগান । ওদের সবার মুঠোয় মুক্তির দাবি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ক্রমশ কোণঠাসা করার ফতোয়া থেকে মুক্তি চায় ওরা, দেশের অগুনতি নিরীহ মানুষের লাশ দেখা সকাল থেকে মুক্তি চায় ওরা, কালোকাপড়ের আগ্রাসন থেকে মুক্তি চায় ওরা, প্রতিমুহূর্তের ভয় থেকে মুক্তি চায় ওরা। মুক্তি চায় দেশটিও – গত দেড় বছর ধরে যার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছে জঙ্গি তালিবানি শাসকের হাতে।
২০২১ সালের ১৫ই অগাষ্ট আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক দেশ পরিচালনার নামে একের পর অমানবিক সিদ্ধান্তের সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব, যার সাম্প্রতিক সংযোজন 'মেয়েরা বিয়েবাড়ি যাওয়ার মতো সেজেগুজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, যা ইসলাম বিরুদ্ধ' - এই যুক্তিতে নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা। ক্ষমতা গ্রহণের পর মাধ্যমিক পর্যায়ে নারীদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নানা শর্ত আরোপ করা ছাড়াও জিমনেশিয়াম, পার্ক (পাবলিক স্থানে) এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। গতবছর তালিবান সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আহমেদুল্লাহ ওয়াশিক স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করে, ‘‘যে কোনও খেলা, যাতে শরীর দেখা যায় তা মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।’’ ২০২২ এর ডিসেম্বর থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে তালিবান সরকার। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনায় ছাড় দিলেও মেয়েদের জন্য মিডল এবং হাই স্কুলের দরজা এখনও বন্ধ। কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক চাপে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-এর কাছে তালিবান সরকারের মুখপাত্র সুহেল শাহিন বিবৃতি দেয়, ‘‘এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে মেয়েদের উপর চিরতরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূল না হয়, তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিরোধী নয় সরকার। তবে তার জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। দেশের মেয়েরা যাতে আমাদের মূল্যবোধ এবং নিয়ম অনুসারে শিক্ষা পায়, সে বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান।’’
এই নরম সুরের পেছনে অনেকেই কূটনৈতিক ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন, যখন ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আগস্ট ২০২১ থেকে আজ অবধি তালিবান-শাসিত আফগানিস্তানে পাঠানো মার্কিনি সাহায্যের পরিমাণ আনুমানিক ১১০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৮৮০০ কোটি টাকা), যদি অবিলম্বে আফগান সরকার নিষেধাজ্ঞা না উঠিয়ে নেয় তবে এই বিপুল অর্থসাহায্য বন্ধ হতে পারে। চলতি বছরে ক’দিন আগেই তালিবান যখন ষষ্ঠ শ্রেণি অবধি পড়ার ছাড়পত্র দেয় মেয়েদের তখন মনে করা হয়েছিল হয়ত বা বিপুল এই অর্থ সাহায্য ভাণ্ডারে টান পড়ার আশঙ্কাতেই আফগান তালিবান প্রশাসনের এই ঔদার্য্য ।
কিন্তু ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ আবারও সমস্ত আশায় ছাই ঢেলে ‘নারী অধিকার ! পড়াশোনা! চাকরি! – আলবাত নয় !’ বলে সাফ জানিয়েছে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। সম্প্রতি তারা যে মেয়েদের
পড়াশোনার অধিকার ও এনজিও-সহ বহু সংস্থায় মেয়েদের চাকরি কেড়ে নিয়েছিল – তার সপক্ষে জাবিউল্লাহ ঘোষণা করেছে যে, যা হচ্ছে তা শরিয়া মেনেই করা হচ্ছে। বহির্বিশ্বে যত সমালোচনাই
হোক না কেন , তালিবান প্রশাসন তাদের নারীবিরোধী নীতি থেকে একচুলও সরবে না, শরিয়তের সামান্যতম বিচ্যুতিও সহ্য করা হবে না। নারী অধিকার নিয়ে তাবৎ সমালোচনা, এমনকি, ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গড়ে ওঠা ও.আই.সি (Organisation of Islamic Cooperation) –এর
অনুরোধেও মেয়েদের উপর এইসব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেনি তারা। এদিকে উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ায় আমেরিকাসহ একাধিক দেশ ও সংস্থা থেকে প্রদত্ত অর্থের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা হিসেব বলছে ,মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ায় ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে যা দেশের মোট জিডিপির ২.৫% । তবে এসব নিয়ে ভাবিত না হয়ে বরং তালিবান নিত্যদিন জোর গলায় বলছে,‘আমরা এমন কিছুই হতে দেব না যা ইসলামের পরিপন্থী। যা হচ্ছে সব শরিয়া মেনেই ।'
এবার দেখা যাক, ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে ?
১। সতর (ইসলামি শাস্ত্রমতে পুরুষ ও নারীর দেহের বিশেষ স্থান ঢেকে রাখার নাম) ঢাকা ওয়াজিব (ধর্মসম্মত)। আলী (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘তুমি নিজের ঊরু খুলো না। কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ঊরুর দিকে দৃষ্টি দিও না।’ (আবু দাউদ : ৪০১৭) অথচ অনেক খেলায় পুরুষের সতর খোলা থাকে। সুইমিং, সার্ফিং ইত্যাদি কিছু খেলায় সতর রক্ষা করা হয় না। অথচ নিষেধের ফতোয়া কেবল নারীদের উপরেই লাগু হয়।
২। হাদিস জানাচ্ছে ইসলাম শর্ত সাপেক্ষে খেলাধুলা সমর্থন করে। কারণ খেলাধুলার মাধ্যমে, শরীরচর্চার মাধ্যমে ইসলামি প্রশিক্ষণের কাজ হয়। তাই স্বাস্থ্যসুরক্ষা, রণ নৈপুণ্যের প্রয়োজনে তীর নিক্ষেপ,বর্শা চালনা, দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদিকে ইসলাম সমর্থন করে। হাদীসে বর্ণিত রয়েছে- নবীজি বলেন, ‘ঘোড়া অথবা তীর নিক্ষেপ কিংবা উটের প্রতিযোগিতা ব্যতীত (ইসলামে) অন্য প্রতিযোগিতা নেই।’ (তিরমিজি: ৫৬৪), ‘যে ব্যক্তি তীর চালনা শেখার পর তা ছেড়ে দেয় সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম: ৭৬৬৮) অর্থাত এসব খেলায় সম্মতি আছে, এগুলো শরিয়ত সিদ্ধ। বাকি বিনোদনমূলক বা শিক্ষামূলক খেলাগুলো হারাম।
৩। হাদিসে এসেছে, একবার কয়েকজন মুসলিম নারী রাসূলুল্লাহর (সা.) কাছে এসে উপস্থিত হয়ে আবেদন করলেন: ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! সবসময় পুরুষরা আপনার চারপাশ ঘিরে রাখে বলে আমরা
আপনার কাছে থেকে কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারি না। আমাদেরকেও আপনার কাছ থেকে মূল্যবান জ্ঞান অর্জনের সুযোগ দিন।’ এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে ইসলামের বিধিবিধান শিক্ষাদানের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে দেন। সাথে এও নির্দেশ দেন নারীকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে শরিয়তের অন্যান্য বিধি-নিষেধ মেনেই। জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া যাবে না (যেমন- ইসলামি শালীন পোশাক ত্যাগ করা যাবে না) বা শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজকে বৈধতা দেয়ার জন্য ‘জ্ঞান অর্জন’কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
৪। হযরত জুবায়ের ইবনে মুতইম (রা.) বর্ণিত হাদীসে আছে- ‘একবার এক মহিলা নবীজির দরবারে এসে কিছু বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করলো। বিদায় নিয়ে যাবার সময় নবীজি তাকে বললেন
‘আর জানার মত কিছু থাকলে অন্য সময় জেনে নিও।‘ মহিলাটি বললেন- ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনাকে না পাই তখন কী হবে?’ নবীজি (সা.) বললেন- ‘আবু বকর (রা.)-এর নিকট তখন শিক্ষা গ্রহণ করিও’ (বুখারী ও মুসলিম, তিরমিজী)
৫। হযরত আবু মুসা আশআরী (রা.) বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন- “আমরা রাসূল (সা.)-এর সাহাবীরা যখনই কোন মাসলার ব্যাপারে সন্দেহ বা সমস্যায় পড়তাম তখনই আমরা হযরত আয়েশা (রা.) এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করতাম এবং সঠিক সমাধান পেয়ে যেতাম” (তিরমিজী, মিশকাত শরীফ: পৃষ্ঠা-৫৭৪)।
এসব হাদিস দ্বারা বিভিন্ন ইসলামি স্কলাররা প্রমাণ করেন যে, মহিলাদের জন্য শিক্ষকতা করা বা মহিলাদের নিকট গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে ইসলামের কোনো বাধা নেই। তবে শর্ত হলো
সর্বদা পর্দা রক্ষা করতে হবে। তাঁরা আরও বলেন যে, শিক্ষার প্রসার সম্পর্কিত নির্দেশ কোরানেই আছে- ‘হে নবী পরিবার! তোমাদের গৃহে যে আল্লাহর বাণী পাঠ করা হয় এবং হিকমত পরিবেশন করা হয় তা তোমরা স্মরণ কর এবং প্রচার কর’ (সূরা আহযাব: আয়াত-৩৪)। মনে রাখতে হবে নারীদের জন্য এইসব দ্বীনি হালাল শিক্ষার সারবস্তু হচ্ছে শুধুমাত্র ধর্মশিক্ষা, যা আল্লাহর বাণী ও ইসলামের প্রশংসাসূচক প্রচারে উৎসাহ দেয়। যেখানে শিক্ষা নিজেই ধর্মের নাগপাশে আবদ্ধ সেখানে জাগতিক বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, পরিবেশ, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদি ‘দুনিয়াদারির শিক্ষা’র স্থান নেই। তালবানি ফতোয়ার প্রতিবাদে আজ গোটা বিশ্ব মুখরিত। শিক্ষাবঞ্চিত আফগানি নারীদের পাশে মহিলা অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো পুরুষদের সংখ্যা যত নগন্যই হোক – তা নিশ্চয়ই সাধুবাদ যোগ্য। কিন্তু জানমাল বাঁচানো যেখানে ‘ফরজ’ সেখানে কেবলমাত্র নৈতিক দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে কত দিন তারা নারী অধিকারের জন্য লড়াইয়ের ময়দান আঁকড়ে থাকবেন – তা নিয়ে সন্দেহ ওঠা স্বাভাবিক। কারণ প্রতিটি আন্দোলনের শেষে মেয়েদের বোঝানো হয় “লড়াইটা তোমার,তোমাদের। লড়তে তোমাদেরই হবে। আমরা আড়ালে বসে হাততালি দিতে পারি মাত্র!” বলা হয় ‘একজন পুরুষ শিক্ষিত হলে শুধু সে নিজেই শিক্ষিত হয়, কিন্তু একজন মহিলা শিক্ষিত হলে
তার পুরো পরিবার ও আগামী প্রজন্ম শিক্ষিত হয়।’ ফলে যদি কোনও জাতিকে গোড়া থেকে অন্ধ করার ইচ্ছে থাকে তবে প্রথম আঘাত হানতে হবে শিক্ষায়, আরও স্পষ্ট করে বললে মূর্খ করতে হবে শিক্ষককেই। মা-কে অশিক্ষিত করে রাখলে স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষিত প্রজন্মের গোটা সূত্রই বিনষ্ট হয়। যে যোগসূত্র দিয়ে চেতনা ও মানবজমিনের ভিতের সংযোগ স্থাপিত হয় তা সমূলে নষ্ট করাই যেকোনও স্বৈরাচারী শাসকের প্রধান লক্ষ্য। সুতরাং তালিবান আফগানি মহিলাদের জন্য উচ্চশিক্ষার দরজা কেন বন্ধ করেছে তা সহজবোধ্য। এবার যাঁরা সহি ইসলাম ও নকল ইসলাম নিয়ে অনর্গল কথা বলেন, শান্তির ধর্মের প্রচারে মুখরিত হন, তাঁদের মুখ খোলার সময় এসেছে। মরোক্কোর ফুটবলে উচ্ছ্বসিত,আরব্য-রজনীর গল্পে গর্বিত,প্যালেস্টাইন ইজরাইলের সংঘর্ষে উদ্বিগ্ন ইসলামিস্টরা আফগানিস্তানের শরিয়াবাদী নারীবিদ্বেষী
নৃশংস রক্তাক্ত ইসলামি শাসন ‘সহি’ নাকি ‘গলৎ’ তা নিয়ে কেন চুপ এখনও? শিক্ষা বিষয়ে শরিয়তে নারীবিরোধী যা কিছু বিধান আছে তা পালনে তালিবান কসুর করছে না, প্রকাশ্যে খুন ও
মূর্তিনিধনের পর্ব থেকেই তারা সেটা করেনি। অতএব যদি শরিয়তি বিধানকে সহি ইসলাম বলা হয়, তবে তালিবানের ফতোয়াকেও যুক্তিযুক্ত মানতে হবে। ধর্মের কেবল মাখন কিম্বা ছানাটুকু নেব আর রক্তাক্ত ফতোয়ার চোনাটুকু নেব না – এমন দ্বিচারী হওয়া কি সহি মুমীনের পরিচয় ? ভাবুন, ভাবা প্র্যাক্টিস করুন। এখনই সময় দেশ-বিদেশের সব শেকল ভাঙার পক্ষে ভোট দেওয়ার। সময় এসেছে কুঁয়ো থেকে বেরিয়ে জ্ঞানসাগরে চোখ খুলে সাঁতার দেওয়ার। নইলে নিজেদের উদাসীনতার জন্য আগামীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে বৈকি !
0 Comments
Post Comment