পুরুষ-নারী নির্বিশেষে আমাদের দায় নারীবাদী হওয়ার

  • 30 June, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 1506 view(s)
  • লিখেছেন : চন্দন আঢ্য
সংস্কৃতি মানুষকে তৈরি করে না, মানুষই সংস্কৃতির জন্মদাতা। যদি এমন কোন সংস্কৃতি থাকে যা মেয়েদেরকে 'অর্ধেক-আকাশ'-এর মর্যাদা দেয় না, তবে সময় হয়ে গেছে সেই সংস্কৃতিকেই খোলনলচে বদলে ফেলার। সমাজে প্রবহমান লিঙ্গবৈষম্যকে স্বীকার করে যারা সংশোধনের প্রয়াস করেন, তিনি পুরুষ বা নারী যেই-হোন না কেন, তিনিই প্রকৃতপ্রস্তাবে 'ফেমিনিস্ট'। আসুন, আমরা সকলেই 'ফেমিনিস্ট' হই।

পড়তে বসে একবারে, এক ঝোঁকে যা পড়ে নেওয়া যায়, তাই হল ছোটোগল্প--এমনই জেনে এসেছি স্কুলবেলা থেকে। অবশ্যই এটি পণ্ডিতি মত। চিমামান্দার লেখা ‘We Should All Be Feminists’ বইটি ছোটোগল্প নয়। ছোটো প্রবন্ধ। বলা ভালো একটি ছোটো বক্তৃতার লিখিত রূপ। কিন্তু এত আকর্ষক যে একবার বসেই পড়া শেষ করতে হয়। ঠিক উৎকৃষ্ট ছোটোগল্পের মতো। এমনই জাদুশক্তি চিমামান্দার বলায়। লেখায়।

‘ফেমিনিস্ট’ শব্দটি শুনলে আম-আদমির কী প্রতিক্রিয়া হয়, তার বর্ণনা দিয়েই বইটির পথ-চলা। ছেলেবেলাতেই তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মুখে শুনেছিলেন যে তিনি ‘ফেমিনিস্ট’। বয়স তখন চোদ্দো। শব্দটির মানেও জানতেন না পুরোপুরি। কিন্তু কথার সুরে বুঝেছিলেন তা বিদ্রুপাত্মক। এরপর বড়ো হলেন। লেখক হিসাবে ‘পারপেল হিবিস্কাস’ বইয়ের প্রচারে এলেন প্রিয়ভূমি নাইজেরিয়াতে। তখনও শুনলেন এক সাংবাদিকের প্রায় অনুরূপ সতর্কবাণী। চিমামান্দা যেন নিজেকে কখনোই ‘ফেমিনিস্ট’ বলে স্বীকার না করেন। কারণ ফেমিনিস্টদের বিয়ের বাজারে বর জোটে না। কেবল প্রিয় বন্ধু বা সাংবাদিক নয়, নাইজেরিয়ার শিক্ষাজগতের একজন মহিলাও চিমামান্দাকে জানিয়েছিলেন যে,  ‘ফেমিনিজম’ বিষয়টির কোনো শিকড় আফ্রিকান সংস্কৃতিতে নেই। এটি ‘পশ্চিমি-ঝঞ্ঝা’। ক্রমশ চারপাশের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বুঝেছেন, জনমানসে এমন ধারণাও বলবৎ আছে যে, ফেমিনিস্ট মাত্রই পুরুষ-বিদ্বেষী, রূপসজ্জাবিরোধী, রসবোধহীন। আবহমান কালের এই নেতিবাচক কথা শুনে চিমামান্দা বিরক্ত। তাই ব্যক্তিজীবনের নানা গল্পের আড়ালে তিনি আমাদের ক্রমাগত চিনিয়ে দেবেন সমাজের নানা খাতে নানা ভাবে বয়ে চলা এই নারী-বিদ্বেষের স্বরূপ আর হাতে ধরে শেখাবেন কীভাবে ছোটো ছোটো পদক্ষেপে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি এই লিঙ্গ-বৈষম্যের জগৎ থেকে।

এ কথা সত্য যে, পুরুষ ও নারী জৈবিকভাবে আলাদা। নারীরা সন্তান ধারণে সক্ষম, পুরুষরা নন। আবার দৈহিক শক্তির বিচারে পুরুষরা সাধারণভাবে একটু এগিয়ে। তার মানে এই নয় যে সমাজের সব উঁচু পদ পুরুষদের দখলেই থাকবে। বর্তমান যুগ তো শক্তির যুগ নয়, মেধার যুগ। নারী-মেধা কোনো অংশেই পুরুষ-অপেক্ষা ন্যূন নয়। তাহলে কেন এই বৈষম্য? এর উত্তরও দিয়েছেন চিমামান্দা। জানালেন : দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা লোক-অভ্যাস ‘স্বাভাবিক’ বলে পরিগণিত হওয়ার ফলেই মানুষের মনে গেঁথে গেছে এই বিভাজন। বন্ধু লুইস একবার তাঁকে জানিয়েছিলেন নারীদের অবস্থান আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো। এখন তো পুরুষ-নারী সমান-সমান। কিন্তু সেই বন্ধুরও ভুল ভাঙে একদিন যখন তিনি দেখেন গাড়ি পার্কিং-এর সুবিধা করে দেওয়ার জন্য একজন ছেলেকে চিমামান্দা বকশিশ দিলেও ছেলেটি ধন্যবাদ জানায় লুইসকে। বলে ‘Thank you, sah!’। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বন্ধুর (এক্ষেত্রে পুরুষ) সঙ্গে খেতে গিয়ে দেখেছেন হোটেলে যিনি খাবার পরিবেশন করছেন, তিনি কেবল পুরুষ বন্ধুকেই অভিবাদন করছেন। নাইজেরিয়ার কোনো অভিজাত হোটেলে তিনি ঘর ভাড়া নিলেও নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে ভেবে বসেন যৌনকর্মী। একা মহিলা নিজের উপার্জনে দামি হোটেলে থাকছেন, এ তাদের চিন্তার বাইরে। ব্যক্তিবিশেষের উপর রাগ নেই চিমামান্দার। তিনি জানেন ব্যক্তি তো সমাজ-মনের সৃষ্টি। অতঃপর তাঁকে বিশ্লেষণ করতে হয় সমাজ-মনকে।

চিমামান্দা জানাচ্ছেন, লিঙ্গবৈষম্যের এই ধারণা আমাদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে তৈরি করে দেয় স্কুল। কেবল মেয়ে হওয়ার অপরাধে শর্ত অনুযায়ী ক্লাসের পরীক্ষায় প্রথম হয়ে যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও তিনি ক্লাস মনিটর হতে পারেন না। এরপর পরিবার তাঁকে শিখিয়েছে ইচ্ছা এবং আগ্রহ থাকলেও তিনি কিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সিদ্ধান্তের সময় আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সংস্কৃতি জানিয়েছে পুরুষমুখিতাই নারীজন্মের সার্থকতার মূল। অফিস শিখিয়েছে নম্র হতে, নমনীয় হতে, নারীসুলভ হতে। তাঁরই এক মার্কিন মেয়ে-বন্ধু কিছুতেই অফিসে স্যারের প্রশংসা পান না। অথচ প্রতিবাদও করেন না তেমন জোরালো ভাবে। না, চাকরি যাওয়ার ভয়ে নয়। নারীসুলভ-গুণ হারানোর ভয়ে। মেয়েরা কিছুতেই ক্রোধী বা আক্রমণাত্মক হতে পারে না--এই শিক্ষাই তো সমাজ ক্রমাগত শিখিয়ে চলেছে মেয়েদের। তাই তিনি চুপ করে থাকেন। মুখ বুজে কেঁদে সব সহ্য করেন। অবাক লাগছে এমন কথা শুনে? তাহলে মন দিয়ে পড়ুন বেটি ফ্রিডানের ‘ফেমিনিন মিস্টিক’। এমন উদাহরণও সেখানে দেওয়া হয়েছে যে, গত শতাব্দীতে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে অনেক মহিলা ক্যানসারে রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, কিন্তু রোগের উপযুক্ত ওষুধ ব্যবহার করেননি, যেহেতু ওই ওষুধ প্রয়োগ করলে তাঁরা যথেষ্ট ফেমিনিন দেখতে থাকবেন না। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে অনেক মার্কিন মহিলা তাই পড়াশোনার বিষয় হিসেবে পদার্থবিদ্যাকে গ্রহণ করেন না যেহেতু সেটি ‘Unfeminine’। এভাবেই নারীরা বাঁচতে চান পুরুষতন্ত্রের নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুসারেই। তাঁরা বলেন, ‘’If I have only one life, let me live it as a blonde’’। বোঝা যায়, লিঙ্গবৈষম্যের এই স্বরূপ কিন্তু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বজনীন। সাময়িক নয়, চিরায়ত। সমাজের তৈরি এই বিভাজন দেখেই তো বোভোয়ার বলেছিলেন--কেউ নারী হয়ে জন্মান না, সমাজ তাঁদের নারী করে তোলে। 

এই সমাজই তো শিখিয়েছে যে, বিবাহই নারীজীবনের সাধনার মোক্ষধাম। পতি জ্ঞান, পতি ধ্যান, পতি চিন্তামণি। তাই এমন মেয়ের সন্ধানও চিমামান্দা তাঁর বইতে দেন যিনি কনফারেন্সে যাওয়ার সময় অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও একটি মিথ্যে বিয়ের আংটি আঙুলে গলিয়ে নেন। তিনি অবিবাহিত জানতে পারলে সামাজিক সম্মানহানি অনিবার্য। সমাজের সম্মানলাভের জন্য সর্বত্র এভাবেই চলে মেয়েদের নিরন্তর আত্মপ্রতারণা। কারণ, তাঁরা তো অর্ধেক মানবী আর অর্ধেক কল্পনা।

এই যে বৈষম্য, এত বঞ্চনা, সমাজের চোখে নারীদের এত পশ্চাদবর্তী অবস্থান--এর কারণ  কী? চিমামান্দা জানাচ্ছেন, আসলে ছোটো থেকেই আমরা একজন ছেলেকে যেভাবে বড়ো করি, একজন মেয়েকে সেভাবে গড়ে তুলি না। মেয়েদের শেখাই লজ্জা নারীর ভূষণ, পা খুলে বোসো না। গা-ঢাকা পোশাক পরো। অথচ ছেলেদের সহবত শিক্ষার তেমন কিছুই শেখাই না। বিনা পারিশ্রমিকে ভাঁড়ার ঘরের দায়িত্ব দিয়েছি মেয়েদের, অথচ অধিকাংশ জনপ্রিয় রোজগেরে 'শেফ' ছেলেরা। আবেগী শ্রমের ভারে ন্যুব্জ করেছি মেয়েদের, অথচ ছেলেদের দিয়েছি নিজের ইচ্ছায় বাঁচার সুযোগ। নারীকে শিখিয়েছি হৃদয়বৃত্তিতে শান দিতে, পুরুষকে বলেছি বুদ্ধিবৃত্তিতে। রবীন্দ্রনাথের  সাধারণ মেয়েকেও তাই দেখি অঙ্কে প্রথম হয়েও বলছে লোকেরা তাঁকে চিনুক শুধু বিদুষী বলে  নয়, নারী বলে। টেনিসন সাহেবও তাঁর ‘Princess’ কবিতায় শেখালেন “Man with the head and woman with the heart”। আর আমাদের গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী সমাজের এই বিভাজনের রাজনীতির শিকার হয়ে প্রশ্রয় দিলেন সমাজ-নির্দিষ্ট পুরুষের কর্তব্যকে : “সত্য বটে পুরুষের ধন  উপার্জন / করিয়া করিবে দারা-পুত্রের রক্ষণ।”

নারীদমনের এই পুরুষতান্ত্রিক কৌশল কি পুরুষের কোনো ক্ষতি করেনি? অবশ্যই করেছে। পৌরুষের ফাঁসকলে অনেক পুরুষেরই প্রাণ ওষ্ঠাগত। তবুও তারা কেঁদে মনকে হালকা করতে পারেনি, কোনো বিষয়ে ভয় পেলেও মন খুলে সে কথা স্বীকার করতে পারেনি। দৈনন্দিন জীবনধারণের উপযোগী রান্নার দায় মেয়েদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেদের আত্মনির্ভর হওয়ার মহতী সুযোগ থেকে চিরবঞ্চিত করেছে। মন সায় না দিলেও আচার-ব্যবহারে এনেছে দুর্বিনয়। পকেট রেস্তো না থাকলেও রেস্তোরাঁয় বিল মেটাতে হয় তাকেই। পুরুষতন্ত্র এভাবে পুরুষকেও একটি ছোটো খাঁচায় বেঁধে ফেলেছে। চিমামান্দা তাই সবচেয়ে অপছন্দ করেন একটি ইংরাজি শব্দ--emasculation। ‘পুরুষত্বহীনতা’।

এই বই কি তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমাজের ভুলত্রুটিই দেখিয়ে চলে? প্রকাশ করে চলে চিমামান্দার ন্যায়সংগত ক্রোধকে? কোনো উত্তরণের পথ কি তিনি দেখান না এখানে? অবশ্যই দেখান। বলেন শপথ নিতে। লিঙ্গবৈষম্যহীন জগতের স্বপ্ন দেখতে। আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ে  তোলার পরিকল্পনা করতে। আর এই কাজের শরিক হতে হবে নারী-পুরুষ উভয়কেই। ছেলেবেলা থেকেই মেয়েদেরকে স্বাধীনভাবে, সম-দৃষ্টিতে বড়ো করতে হবে। আর হ্যাঁ, অতি অবশ্যই ছেলেদেরকেও। শেখাতে হবে মিথ্যে অহং ত্যাগ করে মেয়েদের সম্মান করতে, স্বাভিমান বিসর্জন দিতে, সমান অংশীদারিত্বের শপথ নিতে, প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে। মেয়ে-বন্ধুকে অভিবাদন না-জানালে হোটেল-কর্মীর কাছ থেকে জানতে চাইতে হবে, “Why have you not greeted her?”। আর দেরি নয়। কাজ শুরু করতে হবে এখন থেকেই। কীভাবে শুরু করবো? চিমামান্দা উত্তর দিচ্ছেন এইভাবে : “This is how to start: we must raise our daughters differently. We must also raise our sons differently.”। সবার প্রতি তাঁর আহ্বান-- প্রত্যেকেই নারীবাদী হন। মেয়েরাও। ছেলেরাও। কারণ নারীবাদ জোর গলায় প্রচার করে পুরুষ ও নারীর মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাম্য। এত কিছুর পরেও কিন্তু তিনি মানবাধিকার-কর্মী হতে চান না। কারণ মানবাধিকারের সূত্রে নারীর অধিকারের প্রসঙ্গ এলেও নারী-সম্পর্কিত নির্দিষ্ট অভাব-অভিযোগ বা সমস্যার জায়গাগুলো আজও অমীমাংসিতই থেকে গেছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে শতাব্দীর পর শতাব্দী নারীকে নিজের লিঙ্গ-পরিচয়ের জন্যই বঞ্চিত, অত্যাচারিত হতে হয়েছে। ফলে তিনি চান নারীবাদীই হতে। শুদ্ধভাবে নারীর সমস্যা নিয়েই কথা বলতে, তার আশু সমাধান করতে। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে আমাদের সকলের তাই দায় নারীবাদী হওয়ার, সমদৃষ্টিতে নারী-পুরুষকে দেখার।

“Some people ask, ‘Why the word feminist? Why not just say you are a believer in human rights, or something like that?’ Because that would be dishonest. Feminism is, of course, part of human rights in general—but to choose to use the vague expression human rights is to deny the specific and particular problem of gender. It would be a way of pretending that it was not women who have, for centuries, been excluded”.

চিমানন্দ ছোটোগল্প লেখেন, উপন্যাস লেখেন। বইয়ের নামকরণে ব্যঞ্জনা তৈরির সুযোগ তাঁর হাতে নিশ্চয়ই ছিল। তবু তিনি এমন নাম বেছে নিলেন যা অতি স্পষ্ট, ব্যঞ্জনাহীন। বুঝিয়ে দিলেন বইয়ের মধ্যেও যা বললেন, তা যতই ক্লিশে বলে বিবেচিত হোক না কেন, তিনি তা বলবেনই অতি সরাসরি, কোনো ভণিতা না করে। নিজের পরিবারের উদাহরণ দিতেও তাই তিনি স্বছন্দচিত্ত। শুরু থেকেই আঘাত করতে থাকেন পাখির চোখ। প্রবেশ করেন সমস্যার মর্মস্থলে। শব্দ ব্যবহার করলেন মর্মভেদী। অথচ কোথাও নেই বিদ্বেষের ছোঁয়া। পুরুষতন্ত্র থেকে আলাদা করলেন পুরুষকে। তাই তো আজ অবধি ইউটিউবে তাঁর এই বক্তব্য শুনেছেন ষাট লক্ষের বেশি মানুষ। ফলে আর দেরি নয়। শপথ নিন সমানাধিকারের। কিনে ফেলুন চিমামান্দা নগোজি আডিচি-র বই ‘We Should All Be Feminists’। নিজে পড়ুন। সবাইকে পড়ান। আমাদেরও অস্থি-মজ্জায় মিশে যাক চিমামান্দার ব্রত। এদেশের বুকে চিমামান্দা আসুক নেমে।

পুনঃপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ ১১ জুন, ২০২০​​​​​​

বই : We Should All Be Feminist

লেখক : Chimamanda Ngozi Adichie

মূল ছবি : লেখক এবং বইয়ের প্রচ্ছদ

সমালোচক : অধ্যাপক ও সমাজকর্মী 

 

0 Comments

Post Comment