- 22 March, 2021
- 0 Comment(s)
- 839 view(s)
- লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
আমরা বলি যে, ‘A Man is known by the company he keeps’, কিন্তু এই কথাটির যে কতখানি প্রভাব পুরুষদের পরিবর্তে বরং আরও বেশী করে, সমাজের নারীদের উপরেই পড়ে থাকে আমরা কি সেটা ভেবে দেখেছি কোনোদিন? নারীর সমস্তকিছুকে নিয়েই আমাদের সমস্যা। তাঁদের পোশাক, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস, তাঁদের বন্ধুরা, তাঁদের বাড়ি ফেরবার সময় — তাঁদের প্রতিটি হাবভাব, চালচলন, আচার-ব্যবহার এই সব কিছুকেই আমরা চালুনিতে ছাঁকতে এবং তার বিচার করতে পছন্দ করি। কাজেই নারীর প্রতিভা বা অবদানের চেয়েও, তিনি কার সঙ্গে থেকেছেন, কিভাবে থেকেছেন, আর কিভাবেই বা তিনি আর কার কার সঙ্গে থাকতে পারতেন— এই সমস্ত বিষয়গুলিকে নিয়েই আমাদের আগ্রহ বেশী, চর্চাও। এই প্রসঙ্গে, এমিলি দ্যু শাতেলি’র বিষয়ে আলোচনা খুঁজতে গিয়ে যখন দেখি যে বিজ্ঞানচর্চার পরিবর্তে দার্শনিক ও লেখক ভলতেয়ারের সঙ্গে এমিলির সম্পর্ক নিয়েই অধিকাংশ জায়গাতে বেশ দু-চার কলম ব্যয় করা হয়েছে, আশ্চর্য হইনা। কারণ, এটাই সমাজের বাস্তব চিত্র। অবদানের চেয়ে বাঁকা সমালোচনাতেই সমাজের নারীচর্চার প্রকাশ।
এমিলি দ্যু শাতেলি, জন্ম ১৭ ডিসেম্বর, ১৭০৬ — মাতৃত্বজনিত কারণে মৃত্যু ১০ সেপ্টেম্বর, ১৭৪৯। তেতাল্লিশ বছরের জীবন। দার্শনিক, গণিতজ্ঞ, অনুবাদক। স্রেফ এইভাবে, এইটুকুতে এমিলি দ্যু শাতেলির অবদানকে বলতে গেলে তাঁর প্রতি চরম অসম্মান করা হবে। জীবদ্দশায় তাঁর নাম এবং অবদানের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভলতেয়ার, আইজ্যাক নিউটন, জোহানন বার্নৌলি, এমনকি লিওনহার্ড অয়লারের নাম। নামগুলিকে চেনা চেনা লাগছে বোধহয় অনেকেরই। হ্যাঁ, সত্যি করে বলতে গেলে এনারাই সেই জগদ্বিখ্যাত গণিতবিদ জোহানন বার্নৌলি, অথবা লিওনহার্ড অয়লার যাঁদের গবেষণার মধ্য দিয়েই প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসী ক্যালকুলাসের ধারণা পেয়েছিল। অথবা আইজ্যাক নিউটন, যিনি মাধ্যাকর্ষণের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। অথবা, ‘কাঁদিদ’ কিংবা ‘ওয়ার এ্যান্ড পীস’-এর মতো একেকটি গ্রন্থের রচয়িতা ভলতেয়ার। এঁদের প্রত্যেককে, তাঁর অবদানের মাধ্যমে কোনও না কোনও ভাবে সমৃদ্ধ করেছিলেন এমিলি, এক অনন্য প্রতিভার অধিকারিণী। অথচ এক বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে বহুদিন অবধি তাঁর পরিচয় সীমাবদ্ধ ছিল কেবল ভলতেয়ারের সঙ্গিনী হিসেবে। মেয়ে হয়ে জন্মানোটা কি কম সম্মানের নাকি! হায় মানবীরা, তোমরাই কেবল সে কথা বুঝলে না।
১৭৩৮ খ্রিস্টাব্দে ভলতেয়ারের কলমে প্রকাশিত হয়, ‘এলিমেন্টস অব দ্য ফিলজফি অব নিউটন’ – নিউটনের দার্শনিক অবদান সম্পর্কে ভলতেয়ারের ব্যাখ্যা ও আলোচনা। বইটির মুখচিত্রে দেখা যাচ্ছে, ঐশ্বরিক প্রতিভা হিসেবে নিউটনের জ্ঞানের দ্যুতিকে যেন বা আয়নার মাধ্যমে প্রতিফলিত করছেন এক বিদূষী রমণী, আর সেই দ্যুতি এসে পড়েছে ভলতেয়ারের উপর। ভলতেয়ার সেই আলোতে আলোকিত হয়ে লিখছেন। পাশ্চাত্য পুরাণের ধরন অনুসারে এই ধরনের বিদূষীকে আমরা মিউজ বলতে পারি, যাঁরা কিনা বিজ্ঞান, কলা, দর্শন ইত্যাদি যে কোনও সৃষ্টিশীল বিষয়ে স্রষ্টাকে অনুপ্রাণিত করেন। তাঁকে মনের রসদ যোগান। আশ্চর্যের ব্যাপার হল এই যে, ভলতেয়ারের উপরে উল্লিখিত বইটিতে মিউজ হিসেবে যাঁকে দেখা গেল — তিনি আর কেউই নন, এমিলি দ্যু শাতেলি স্বয়ং। এই একটিমাত্র ছবি থেকেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ভলতেয়ারের দার্শনিক জীবনেও এমিলি কতখানি সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন। এমন অনেক উদাহরণই আমরা ক্রমে ক্রমে আবিষ্কার করবো।
এমিলি ‘চাইল্ড প্রডিজি’ মার্কা ছিলেন না। কিন্তু কিশোরী বয়সেই তাঁর মেধার দীপ্তি নিয়ে নানা রকমের নানা গল্প শোনা যায়। এই প্রসঙ্গে বলা উচিত, এমিলির অধিকাংশ ছবিতেই দেখা যায় যে তাঁর হাতে রয়েছে একটি পেন্সিল-কম্পাস বা ডিভাইডার। এই নিয়েও লোকমুখে একটি মজার গল্প ছড়িয়েছে। শোনা যায় যে ছোটবেলায় এক পরিচারক নাকি এমিলির কম্পাস এবং ডিভাইডারের প্রতি অদ্ভুৎ আকর্ষণ দেখে একই সঙ্গে কিছুটা চমৎকৃত আর হয়তো বা কিছুটা বিরক্ত হয়েই বাড়ির সমস্ত কম্পাস, ডিভাইডারকে ছিট-কাপড় পরিয়ে ছেলে পুতুল, মেয়ে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। সেসব পুতুল তো এমিলির পছন্দ হয়ইনি, উলটে কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই সেই পরিচারক-ভৃত্যটি নাকি আবিষ্কার করেছিলেন যে তাঁর বানানো সাধের পুতুলগুলির সাজপোশাক ছাড়িয়ে ছোট্ট এমিলি আবার সেই কম্পাস ডিভাইডারগুলিকে পুনরাবিষ্কার করে ফেলেছে, এবং এটুকুতেই সে ক্ষান্ত হয়নি, বরং খুব মন দিয়েই সে সেই কম্পাস ডিভাইডারগুলিকে নিয়ে আবার নানা ব্যাসার্ধের বৃত্ত অঙ্কনে মনযোগী হয়ে পড়েছে।
এমিলির বাবা বিশেষভাবে মেয়ের শিক্ষার প্রতি নজর রেখেছিলেন। এমিলির মা এমিলির শিক্ষার বিষয়ে সত্যিই কতটা আগ্রহী ছিলেন নাকি ছিলেন না এই বিষয়ে বেশ কিছু পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। কিন্তু মোটের উপরে এটি বলাই যায় যে বাড়ির পরিবেশের কারণে এমিলির জ্ঞানচর্চার সঠিক বিকাশই ঘটেছিল। এমিলির বাবার সঙ্গে পরিচয়সূত্রে তৎকালীন ফ্রেঞ্চ একাডেমি অব সায়েন্সের সচিব স্বয়ং বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বাড়িতে আসতেন। তাঁর কাছেই মাত্র দশ বছর বয়সে এমিলির জ্যোতির্বিদ্যার মতো বিষয়ে হাতেখড়ি। এছাড়াও, বাড়িতে বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করতে করতে মাত্র বারো বছর বয়সের মধ্যেই এমিলি লাতিন, গ্রিক, ইতালিয়ান ও জার্মান ভাষাতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। বয়ঃসন্ধিতে হাতখরচ জোগাড় করতে গিয়ে এমিলি তাঁর গাণিতিক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে জুয়া খেলার নানারকম চাল নির্ণয় করে বন্ধুদেরকে চমৎকৃত করে দিতেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাতখরচ জোগাড়ের ক্ষেত্রেও খানিকটা সুবিধে হতো।
১৭২৫ খ্রিস্টাব্দে জনৈক মার্কুইস ফ্লোরেন্ট ক্লদ দ্যু চাস্তেল-লোমোঁ’র সঙ্গে এমিলির বিবাহ হয়। এঁর সূত্রে এমিলি তিন সন্তানের জননী হন। যদিও তৃতীয় সন্তানের অকালমৃত্যু ঘটে। ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে এমিলি আবার বিজ্ঞান ও গণিতচর্চার দিকে মনোনিবেশ করেন। এই সময়েই জোহানন বার্নৌলি, তাঁর ছাত্র মোরো দ্য মপারতুই এবং লিওনহার্ড অয়লারের সঙ্গে এমিলির পরিচিতি ঘটে। এঁদের কাছ থেকেই তিনি বীজগণিত এবং ক্যালকুলাসের প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেন। ১৭৩৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে এমিলি বিশেষ ভাবে এ্যালেক্সিস ক্লেরটের কাছে গণিতচর্চা শুরু করেন। ইতিমধ্যে এমিলির জীবনে এসে পড়েছেন ভলতেয়ার।
আন্দাজ করা যেতে পারে তাঁর পিতার সূত্রে খুব ছোটবেলাতেই এমিলির সঙ্গে ভলতেয়ারের প্রথম আলাপ হয়েছিল। যদিও, ভলতেয়ার নিজে বলেছেন যে ১৭২৯ খ্রিস্টাব্দে এমিলির সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে। ভলতেয়ারের মাধ্যমেই গণিতবিদ্যার জগৎ এবং বিশেষত নিউটনীয় বিজ্ঞান গবেষণার জগৎটি এমিলির সামনে উন্মোচিত হয়। এমিলি কর্তৃক রচিত ‘এসেই সুর লোপতিক’ বা ‘আলোকবিদ্যার উপরে প্রবন্ধ সমূহ’ রচনাটি প্রকাশিত হলে পরে তার একটি বৃহৎ অংশকে ভলতেয়ার তাঁর ‘এলিমেন্টস অব দ্য ফিলজফি অব নিউটন’-এ অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর ১৭৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্যারিস একাডেমির প্রতিযোগিতায় আগুনের প্রকৃতি নিয়ে ভলতেয়ার এবং এমিলি দুজনেই দুটি প্রবন্ধ জমা করেন। দুজনের কেউই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা না পেলেও, দুজনের গবেষণাই একাডেমির জার্নালে প্রকাশিত হয়। ‘দিসারতেসিওঁ সুর লা নাতুর এ লা প্রোপাগাসিওঁ দ্যু ফো’ অর্থে, ‘আগুনের প্রকৃতি ও তার গতিধর্মের বিষয়ে প্রবন্ধ’, এমিলির এই গবেষণাপত্রটিই প্রথম কোনও মহিলা গবেষকের গবেষণাপত্র হিসেবে প্যারিস একাডেমির জার্নালে প্রকাশের সৌভাগ্য লাভ করে। দার্শনিক হিসেবে এমিলি, জন লকের দর্শনের বিষয়ে রীতিমতো তত্ত্বমূলক আলোচনা করেন। তাঁর রচনা, ‘দ্য ফেবল অব দ্য বি’জ’ এই গ্রন্থটিতে এমিলি, বার্নার্ড ম্যান্ডেভিল এবং জন লকের দর্শন সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন। জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং পূর্বজ্ঞান অথবা অনুমান প্রসঙ্গে এমিলির বক্তব্য সমালোচকদের আলোড়িত করে। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি তাঁর ত্রয়োদশবর্ষীয় পুত্রের জন্য বিজ্ঞানের ধারণাগুলিকে সংকলন করতে গিয়ে রচনা করেন ‘ইনস্টিটিউশনস অব ফিজিক্স’ গ্রন্থটি, যাতে সেই সময় অবধি পদার্থবিদ্যা এবং দর্শনের মূল তত্ত্ব বা আবিষ্কারগুলি লিপিবদ্ধ রয়েছে। এই বইটি প্রকাশিত হলে পরে, এমিলিকে এর জন্য বোলোনা ইনস্টিটিউটের একাডেমি অব সায়েন্সের সম্মাননীয় সদস্য হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়।
এমিলি বিশেষ ভাবে গবেষণা করেন বল (Force) এবং গতিবেগের বিষয়গুলিকে নিয়ে। স্থিতিশক্তি এবং গতিশক্তির বিষয়ে তাঁর গবেষণা প্রণিধানযোগ্য। গটফ্রিড লিবৎনিজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এমিলি দেখান যে বিভিন্ন উচ্চতা থেকে নরম মাটির উপরে একই ওজনের একেকটি গোলককে বারংবার ফেলা হলে পরে প্রতিবারে বিচ্যুত মাটির পরিমাণ গোলকগুলির গতিবেগের বর্গের সঙ্গে সমানুপাতিক, যা কিনা প্রতিটি গোলকের অর্জিত গতিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি এও দেখান যে এই পরীক্ষায় প্রতিবারে বিচ্যুত মাটির পরিমাণ গোলকগুলিকে যে উচ্চতা থেকে ফেলা হচ্ছে, সেই উচ্চতার সঙ্গেও সমানুপাতিক — যা কিনা গোলকগুলিতে প্রাথমিক ভাবে সঞ্চিত স্থিতিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নিউটনীয় গতিবিদ্যার সঙ্গে এভাবে ক্রমশ জড়িয়ে যেতে যেতে জাড্যের ধারণা, শক্তির সংরক্ষণ সূত্র প্রভৃতির বিষয়েও অনস্বীকার্য অবদান রাখেন এমিলি। অবশেষে, ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে, যে বছরে এমিলি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তাঁর জীবনের সেই অন্তিম বছরেই প্রকাশিত হয় বিদূষী এমিলি দ্যু শাতেলি’র অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে যা গবেষক মহলে সমাদৃত, সেই ‘ফিলজফি নাতুরালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা’ অথবা বিশ্ববরেণ্য বৈজ্ঞানিক স্যার আইজ্যাক নিউটনের আকর গ্রন্থ ‘প্রিন্সিপিয়া’র প্রথম সটীক ফরাসি অনুবাদ সংস্করণ। আজও, এই বইটিকেই ‘প্রিন্সিপিয়া’র সার্থক ও সঠিক ফরাসি অনুবাদ বলে গণ্য করা হয়।
ইউরোপীয় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে তাই এক সার্থক নববিপ্লবের সূচনা করেন বিদূষী এমিলি দ্যু শাতেলি, ভলতেয়ারের প্রেয়সী তিনি — সাথে সাথে নিউটনেরও অনুবাদক ... তাঁর সম্পর্কে যতই বলবো ততই আর সে কথা ফুরোতে পারবে না। বিজ্ঞানের বাইরে গিয়েও তিনি বাইবেলের টীকা লিখেছেন, আনন্দ এবং আনন্দানুভূতির উপরে প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ‘ফেবল অব দ্য বি’জ’ গ্রন্থে জোর দিয়েছেন নারীশিক্ষার উপরে। অর্থনীতির বিষয়ে কিছু কিছু মতামত দিয়েছেন, ফিনান্সিয়াল ডেরিভেটিভসের বিষয়ে হাতেকলমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেষ্টা করেছেন। এক অনন্ত জীবন। এমন একেকজন মহীয়সীর জীবন সম্পর্কে জানতে পারা, সামান্য লিখতে পারাটাও বোধহয় গৌরবের। কেবল মনে হয়, এ কাজ বোধহয় আমাদের অনেকদিন আগেই করা উচিত ছিল।
সূত্রঃ
[১] ডেভিড বোদানিস, ‘প্যাশনেট মাইন্ডসঃ দ্য গ্রেট লভ এ্যাফেয়ার অব দ্য এনলাইটেনমেন্ট’, ক্রাউন, নিউ ইয়র্ক, ২০০৬
[২] ফ্র্যাঙ্ক হ্যামেল, ‘এ্যান এইটিন্থ সেঞ্চুরি মারকুইসঃ এ স্টাডি অব এমিলি দ্যু শাতেলি এ্যান্ড হার টাইমস’, স্ট্যানলি পল এ্যান্ড কোম্পানি, লন্ডন, ১৯১০
[৩] জুডিথ জাঁসের, ‘দেম দ’স্পিরিতঃ এ বায়োগ্রাফি অব দ্য মারকুইস দ্যু শাতেলি’, ভাইকিং, নিউ ইয়র্ক, ২০০৬
[৪] জুডিথ জাঁসের এবং জুলি হেইস কর্তৃক সম্পাদিত, ‘এমিলি দ্যু শাতেলিঃ রিরাইটিং এনলাইটেনমেন্ট ফিলজফি এ্যান্ড সায়েন্স’, ভলতেয়ার ফাউন্ডেশন, অক্সফোর্ড, ২০০৬
এমিলির ছবি সংগৃহীত।
লেখক : প্রযুক্তি বিদ্যার গবেষক, প্রাবন্ধিক
0 Comments
Post Comment