- 14 July, 2022
- 0 Comment(s)
- 938 view(s)
- লিখেছেন : নার্গিস পারভিন
কত রাত হয়ে গেল, এখনো বাড়ি এলনা ছেলেটা! সারাটা গাঁ ঘুমে ঢুলছে, তবু সে ছেলের হুঁশ নাই! পই পই করে বলিছি, বাপ, যেখানে যাচ্চিস যা, আলো থাকতে থাকতে বাড়ি ফিরিস। গাঁ-ঘরের অবস্থা ভালো নাই, চারিদিকে মারদাঙ্গা-লাঠালাঠি। কার মনে কি আছে কে বলতে পারে? তুই বাবা তাড়াতাড়ি ফিরিস। এই রাত-বিরেতে মাঠে-ঘাটে, রাস্তায়-রাস্তায় একা একা ঘুরিস না। আজ যদি তোর বাপ বেঁচে থাকত, তাহলে তো আর আমাকে ভাবতে হতনা! তিনি এক্ষুনি বেরিয়ে গিয়ে তোকে ঠিক খুঁজে নিয়ে আসতো। সবই তো তুই জানিস বাবা! এদিকে আমার এই খাটুনির দেহ, আর যে বইতে পারিনা! ভাবি একটু সকাল সকাল বিছেনে এলিয়ে দোবো শরীরটা, তা সেত হবেনা, সেই আমাকে ভাতের হাঁড়ি আগলে বসে থাকতে হবে! আপনমনে এইসব বিড়বিড় করতে করতে ঘর-বার করতে থাকে ইকরাতুন বিবি। গ্রামের একপ্রান্তে একটা পরিত্যক্ত গোরোস্থানের পাশে সস্তার ভিটেতে ইকরাতুন বিবির মাটির দুচালা। দু দুটো পুকুর আর ঐ পুরনো কবরখানা ইকরাতুন বিবির বাড়িটাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে গ্রামের মূল অংশ থেকে। চারপাশেও আর কোনো প্রতিবেশী নেই তার। দক্ষিণে আশরাফুল মোল্লার জংলা, পড়ো জমি; না হয় চাষ, না হবে কোনদিন ভিটে। উত্তর থেকে পূবে ছড়িয়ে কবরখানা আর পুকুর, পশ্চিমে ইকরাতুন বিবির বাড়ির শেষপ্রান্তে তার নিজেরই এক চিলতে একটা খামার, আর খামার লাগোয়া ছোট একটা নিজস্ব পুকুর। এই পুকুরেই তার চলাচল। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত ইকরাতুন বিবির এই বাড়ি জুড়ে জবর দখল করে থাকে কেবল চাপ চাপ আঁধার! তার বুকে যেমন চেপে বসে আছে অকালে স্বামী হারানোর চাপ চাপ দুঃখ, তার যখের ধন, আশার প্রদীপ একমাত্র ছেলেকে হারানোর অহেতুক ভয়; ঠিক তেমনি এই বাড়ির আনাচে-কানাচে, উঠনে-খামারে ছড়িয়ে থাকে এক ভয়ার্ত অন্ধকার! খামারের শেষ প্রান্তে পুকুরের পাড় জুড়ে বাবলাগাছ, কলাগাছ, সজনেগাছের আড়ালে আবডালে ভেসে থাকে এক স্বজন হারানো ভয়! তালগাছের পাতায় ঠেকে, রাতের অন্ধকারে বাবুই পাখির বাসা যখন হাওয়ায় দোলে, কিংবা বাদুড়ের হঠাৎ উড়ে যাওয়ার খড়খড় আওয়াজ ওঠে তখন ইকরাতুন বিবির কান খাড়া হয়ে যায়! তার হাতের কাছে জ্বলতে থাকা হ্যারিকেনের আলোটা উস্কে দিয়ে, হ্যারিকেনটা উঁচিয়ে ধরে, চারিদিকটা একবার দেখে নেয়। তার ঘরে কারেন্টের আলো নেই। এ গাঁয়ে দুটো চারটে বড়লোকের ঘরেই খালি কারেন্টের আলো জ্বলে। গাঁয়ে তো কারেন্ট এসেছিই হালে হালে। সেসব রোশনাই বড়লোকদের জন্যে, তাদের কি! ইকরাতুন বিবির মোটে দুটো হ্যারিকেন। একটা জ্বেলে ঘরের মধ্যেই রেখে দেয়, আর একটা নিয়ে কাজ সারে। দাওয়া থেকে নেমে গিয়ে, উঠনের এক কোণায়, পশ্চিম দিক ঘেঁসে তার রান্নার চালাঘর। রাতের রান্না সারতে সারতে যখন আঁধার নামব নামব হয়, অমনি ইকরাতুন বিবি হ্যারিকেন দুটো জ্বেলে দিয়ে একটা ঘরেই রেখে, অন্যটা চালায় নিয়ে আসে। দুপুরে গোসোলের আগেই খড়ের কিংবা ঘসির নরম, মিহি ছাই দিয়ে কাচ মুছে, কেরোসিন ভরে, হ্যারিকেন দুটো তোয়ের রাখে ইকরা বিবি। রাতকে তার ভীষণ ভয়! সেই যেদিন থেকে ইকরা বিবি স্বপনের বাপকে হারিয়েছে সেদিন থেকে তার আর রাত কাটতে চায়না! সন্ধ্যার আঁধার ঘনালেই তার বুক ভারী হয়ে যায়। একা বাড়িতে হ্যারিকেনের আলো জ্বেলে আঁধার তাড়াতে চায়। আঁধার আর ইকরাতুন বিবির মধ্যে লড়াই চলে! স্বপনের বাপ অকালে চলে যেতেই যে অন্ধকার তার জীবনে নেমে এসেছে, সে জানে, হ্যারিকেনের আলোয় তা যাবার নয়। যায়ও না! তবে হ্যারিকেনের আলো যেন তার সাময়িক রোধ! ঐ আলোটুকু যেন গণ্ডির মত তাকে নিরাপত্তা দেয়। তার চারদিকে ছড়িয়ে থাকা আঁধার চিতা বাঘের মত পা টিপে অপেক্ষায় থাকে, কখন তাকে গ্রাস করবে! ইকরাতুন বিবিও মনে মনে বিশ্বাস করে, তার এই আলোর গণ্ডি একদিন বড়ো হবে। স্বপ্ন দেখে, তার আশার প্রদীপ একদিন বিদ্যার আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তখন জীবনময়, বাড়িময় শুধু আলো আর আলো! থাকবে না কোথাও কোন আঁধার। সেই জন্যই তার সংঘর্ষ। স্বপনের বাপের দেখে যাওয়া অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ তাকে করতেই হবে, তবেই সে খান্ত হবে! নাহলে যে মরেও তার শান্তি নাই! তাইতো গাঁ-শুদ্ধু লোকের কথায় কান দেয়না ইকরাতুন বিবি। সবার এক কথা, “বাপ মরে গেছে, এখন ছেলের আর পড়াশোনা করার দরকার নাই, এখন সে বাপের জমি-জমা দেখুক, চাষ-বাস করুক।” ইকরাতুন বিবির সেই এক পতিজ্ঞে, ‘তার ছেলে পড়াশোনা করবে, তার বাপ বলে গেছে সে অনেক লেখাপড়া করে অনেক বড় মানুষ হবে’। ইকরাতুন বিবি তাই সাময়িকভাবে উপায়ন্তর না দেখে সব জমি ভাগচাষীর হাতে তুলে দিয়েছে। সে জানে সেই ভাগচাষী তাকে ঠকায়। তবু সে মনে ভাঙেনি, চুপ করে ছেলের বড় হওয়ার অপেক্ষায় থেকেছে। সে অবশ্য কয়েকবছর আগেকার কথা। এখন তার ছেলে আল্লার রহমতে বড় হয়েছে। খুদা মুখতুলে চাইলে আর হয়তো দু-তিনটে বছর! হঠাৎ একটা পাখি আকাশ বিদীর্ণ করে ডেকে উঠল! ইকরাতুন বিবির চিন্তায় ছেদ পড়ে, কান খাড়া হয়ে ওঠে! ‘ছেলেটা এখনও এলনা!’
হ্যারিকেনটা হাতে তুলে নিয়ে, ঘর দুটোই শেকল তুলে দিয়ে, বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ায়। মনটা কু গাইতেই থাকে! ‘নাহ, আর সময় ক্ষয় করা ঠিক হবে না’ ভেবে, ছেলের খোঁজে বড়রাস্তার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় মনস্থির করে ইকরাতুনবিবি। বড়রাস্তা চলে গেছে গাঁয়ের মাঝ বরাবর। দখিনে কাদিরপুরের ঘাট থেকে শুরু হয়ে, তাদের গাঁয়ের ভেতর দিয়ে উত্তরে হিজল গঞ্জের হাটে গিয়ে ঠেকেছে সেই রাস্তা। তার ছেলে সেই গঞ্জের হাটেই গেছে। সেখান থেকেই ফিরবে তার স্বপন। ইকরাতুন বিবির বাড়ি থেকে কবরখানার ওপর দিয়ে, দুইপাশের দুই পুকুরের পাড় ধরে একফালি হাঁটা পথ গিয়ে ঠেকেছে সেই বড় রাস্তায়। ঐ একফালি পথই তাদের মা-ছেলের চলাফেরার পথ। গ্রামের লোকজন বড়বশি কেউ আসেনা এদিকটায়। কালেভদ্রে কেউ এলে এই পথই ধরতে হয় তাদেরও। ইকরাতুন বিবির বাড়ির গা ঘেঁসে বিছিয়ে থাকা কবরখানায় ক্রমাগত একটা বেড়াল বাচ্চাছেলের মত কেঁদে চলেছে! ইকরা বিবির বুক ভারী হয়ে ওঠে! দ্রুত পা চালায়। অবশ্য এই গোরস্থানে পা রাখতেই তার মনটা একটু শান্ত হয়। তার মনে হয়, এইখানেই তো শুয়ে রয়েছে তাদের পূর্ব পুরুষরা, আপন জনেরা, গাঁ-ঘরের মানুষ জনেরা। তারা সবাই স্বপনের জন্য দোওয়া করে। স্বপনের ভালো চায়। এরা সবাই যেন তাদের মা-ছেলের দুঃখ বোঝে, যেন সে না বললেও তারা সাহস যোগায়। স্বপনের বাপের কবর অবশ্য এখানে নাই। এখানে সব তার দাদা-শ্বশুরের আমলের মানুষজন। স্বপনের বাপের কবর হয়েছে গ্রামের শেষ মুড়োই খালপাড়ের মাঠে, নতুন গোরোস্থানে। বড় রাস্তায় উঠে ইকরাতুন বিবি জোরে জোরে পা চালায়। রাস্তার দুই ধার ধরে ঘুমন্ত সব ঘরবাড়ি। কোনোটা মাটির চালা তো কোনোটা দালান। রাস্তায় লাইটপোস্টে মিটমিটে লো-ভোল্টেজের একটা দুটো ডুম। অমাবস্যার জমাট অন্ধকারে তারা জোনাকির থেকেও মলিন। সেই আঁধার কেটে, হ্যারিকেন হাতে এগিয়ে চলে সে। সেলিমদের দালানবাড়ী থেকে টিভি চলার শব্দ ভেসে আসছে। দুবছর আগে আজকের দিনই ইন্দিরা গান্ধীকে খুন করেছিল তার নিজের দেহ রক্ষী! তারই খবর চলছে। ইকরাতুন বিবি কেঁপে ওঠে! দুনিয়ায় অবিশ্বাসের কিছুই নাই! চলতে চলতে হঠাৎ এঁটেল মাটির হ্যাটাটিংড়ে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে ‘আঃ’ করে চেঁচিয়ে উঠলো সে। ‘খুব জোরে লেগেছে! রক্তও পড়ছে মনেহয়! আঁধারে তো ভালো দেখাও যায় না।’ রাস্তার ওপরেই মতিউলের বাড়ি, রাস্তা ঘেঁসা জানালাটা খুলে গেলো। মতিউলের বউএর গলা পাওয়া গেল ‘কে গো? কি হল গো? পড়ে গেলে নাকি?’
- ‘ আমি গো মা, আমি। হোঁচট খেয়েছি।’ পায়ে হাত বুলোতে বুলোতে জবাব দেয় ইকরা বিবি। জানালার কাছে এগিয়ে গিয়ে দুদণ্ড দাঁড়ায়।
- ‘এতো রাতে একলাটি কোথায় চললে চাচি?’
- আর বোলোনা মা, ছেলেটা এখনো বাড়ি আসিনি! এতোটা রাত হয়ে গেল! কানে ধরে বলে দিইছি ‘বাপ সারাদিন যা করছ করো, রাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরো। তা কে শোনে কার কথা!’ আমি মা হয়ে কিকরে ঘরে বসে থাকি বলোতো? তা সে ছেলে আমার কথা শুনলে তো!
- কোথায় গেছে স্বপন?
- গেছে তো হিজলগঞ্জে। তা গঞ্জ কি কম দূরের পথ? দুধারে শুনশান মাঠের মধ্যে দিয়ে কতখানি রাস্তা আসতে হবে বলোদিকিনি! আর এই চারদিকে চুরি-ডাকাতি, দলাদলি, হিংসা-হিংসি লেগেই আছে সব্বোক্ষণ! সে ছেলেকে বলতে যাও, হাসবে শুধু!
- তা তুমি চিন্তা কোরোনা চাচি। সুহিল্লেই ফিরবে স্বপন। তুমি বাড়ি ফিরে যাও।
- যাব মা। আর একটু এগিয়ে যাই আলোটা নিয়ে। তার সাথে লাইট আছে কি নাই তাও বলতে পারছিনা।
আবার চলতে থাকে ইকরাতুন বিবি। মতিউলের বউ জানালা বন্ধ করে বিছানায় ফিরতে ফিরতে আনমনা হয়ে যায়। ‘আহা মানুষটার জীবনভর শুধু দহন! স্বামীটা অকালে মরে গেল! শুনিছি চাশ্বশুরও ঠকিয়েছিল ভাইপো-ভাইপোবউকে!’
মতিউল বলে, ‘সেই দুঃখেই তো ঐ গোরোস্থানের পাশে গিয়ে দুচালা নামায় স্বপনের বাপ। ছোট বেলায় বাপ-মা দুইই গত হয় স্বপনের বাপেরও। তখন চাচার কাছিই বড় হতে থাকে। কি খাটনিই না খেটেছে স্বপনের বাপ, তার চাচার সংসারে! বিয়ে-থা হয়ে ইকরা চাচি সংসারে আসতেই গণ্ডগোল পাকল। এবার ওদের সংসার বাড়বে, আর তো শুধু পেটের ভাত দিয়ে খাটিয়ে নিলে চলবে না; তখন ঐ চাচাই স্বপনের বাপকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে শুধু হাত-পায়ে। বললে নাবালক বয়সে বাপ মরে গেছে, তোর আবার সম্পত্তি কিসের! স্বপনের বাপের ছিল খুব জেদ আর কাজ করার ক্ষমতা। নিজে গতরে খেটে এক এক করে সব করেছিল। বাড়ি-ঘর,খামার, পুকুর, মাঠে দশ-বারো বিঘে জমি। আর হেন গাছ নাই যা উনি লাগায়নি। ভালোই ছিল নিজের মত, তবে মনে খুব দাগা পেয়েছিল, নিজের চাচার অমন ব্যবহারে। তারপর এমন রোগে ধরল যে অকালে চলে গেল, ছেলেটাকে এতিম করে দিয়ে!’
মতিউলের বউ বলে, ‘সেই ছেলেকে বুকে আগলে মা বড় করে তুললে!’
হোঁচট লাগার কথাটা এতক্ষণ মনে ছিলনা ইকরার। একা হতেই, বেদনাটা আবার চেগে ওঠে। অন্য পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে আলগোছে ছুঁতেই ভিজে ভিজে চ্যাটচ্যাটে ভাবটা টের পায় ইকরা বিবি। এখন তার আর দেখার সময় নাই, কতটা জখম হয়েছে। চলতে চলতে ইকরা বিবি দূরে উল্টো দিক থেকে একটা টর্চ লাইটের আলো এগিয়ে আসতে দেখে। মায়ের মন আশান্বিত হয়! ইকরা বিবি দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায়, কাছাকাছি হতেই থেমে গিয়ে আলোটা উঁচু করে ধরে, জিজ্ঞাসা করে, ‘কে গা তুমি?’
বয়স্ক লোকটা দাঁড়িয়ে পড়ে, ‘কে, ইকরা ভাবি নাকি? আমি আজাহার।’ ইকরা ভাবি আঁধারেও মাথার কাপড় সামলাতে সামলাতে বলে ওঠে, ‘আজাহার ভাই? গঞ্জ থেকে আসছ ভাই?’
‘হ্যাঁ ভাবি। স্বপন ফিরিনি এখনো?’
‘না, আর বোলোনা ভাই, এই ছেলেকে নিয়ে আমার চিন্তার শেষ নাই!
‘অত চিন্তা করোনা ভাবি, সে ঠিক ফিরবে। তুমি বাড়ি যাও, বিশ্রাম করোগে।’
‘হ্যাঁ ভাই যাব। আর একটু এগিয়ে দেখি, যদি আসে!’ আর দাঁড়ায় না ইকরা বিবি। আজাহার ভাইও পা চালায়।
ঈদগাহ পর্যন্ত এসে থেমে যায় ইকরাতুন বিবি। এটাই গাঁয়ের শেষ সীমানা। এরপর রাস্তার দুই ধার জুড়ে খালি শুয়ে আছে দিগন্ত বিস্তৃত ধানীজমির মাঠ। কোথাও কোনো আলো দেখা যায় না। এই আঁধারের শেষে আছে সেই হিজল গঞ্জের হাট। যে হাটে আজ তার স্বপন গেছে, রোজই যায়। যে হাট থেকে স্বপন হয়ত ফিরে আসছে! হয়ত এই আঁধার চিরে এগিয়ে আসছে তার স্বপন, এগিয়ে আসছে আলোর কাছে, মায়ের কাছে! হয়ত এক্ষুনি এসে পড়বে। তবু মায়ের মন আশ্বস্ত হতে পারে না। দোদুল্যমান মন কখনো কখনো শঙ্কায় কাঁটা হয়ে ওঠে! ঐ আঁধার রাতের গহ্বরে, মুখে কাপড় বেঁধে দস্যুরা এসে তার স্বপন কে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে না তো! মুখ চেপে ধরে, মাঠে টেনে নিয়ে যাচ্ছে না তো! বাজ পাখির মত তীক্ষ্ণ হতে চায় তার নজর! হ্যারিকেনের আলোটা উঁচিয়ে ধরে রাখে ইকরাতুন বিবি। যেন এই আলোই স্বপন কে রাস্তা দেখিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনবে, যেন এই আলোই তার স্বপনকে সব রকম বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করে তার মায়ের বুকে ফিরিয়ে আনবে!
-------------------------------------------------------------------
পুনঃপ্রকাশ
লেখক : গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক
ছবি : সংগৃহীত
সৌজন্য, লাবণ্য পত্রিকা
0 Comments
Post Comment