বিস্মৃতি থেকে প্রত্যাবর্তন

  • 09 August, 2021
  • 1 Comment(s)
  • 803 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
রেবেকা লি ক্রাম্পলার, জন্ম ১৮৩১ – মৃত্যু ১৮৯৫। এমন একটা সময় রেবেকার জন্ম, যে সময়ে মনে করা হতো পুরুষদের মস্তিষ্ক নাকি মেয়েদের মস্তিষ্কের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ আকারে বড়। মেয়েদের কাজ কেবল তাই নিজেদের সৌন্দর্যকে সংরক্ষণ করা এবং সমগ্র পুরুষ জাতির প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য বজায় রাখা। এই সমস্ত কিছুকে বরণ করে নিয়ে রেবেকা লি ক্রাম্পলার এক পা এক পা করে এগিয়েছেন। আর সেই প্রতিটি পদক্ষেপ মানবতাকে এগিয়ে দিয়েছে আরও কয়েক কদম। নারীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে ধারাবাহিক (পর্ব ২৩)

রোজা পার্কস, রুবি ব্রিজেস, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র – ইতিহাসের পাতায় এঁদের নাম উঠতে তখনও দেরী আছে অনেক। কিন্তু বর্ণবিদ্বেষের অসুরের মুখে দাঁড়িয়েও একেকজন পদাতিক যোদ্ধা যে লড়াইটাকে শুরু করেছিলেন তারই পরিণতি ঘটেছিল রোজা পার্কস অথবা রুবি ব্রিজেসের একেকটি আন্দোলনের মাধ্যমে। অথবা ঘটেনি। ঘটেনি বলছি এই কারণে যে, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও বর্ণবিদ্বেষের সমস্যা এখনও প্রকট। এখনও সে প্রায় সমপরিমাণ শক্তি নিয়েই বিরাজমান। মার্টিন লুথার কিংয়ের আন্দোলনের পাঁচ দশক পেরলেও, এখনও তাই আমাদেরকে শুনতে হয় “আই কান্ট ব্রিথ”। আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে! সাদাকালোর এই লড়াইতে যে পৈশাচিকতা আজও, এখনও ওত পেতে থাকা চিতাবাঘের মতোই অপেক্ষা করে আছে – তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। আমরা কেবল মানবতার কাছে ক্ষমা চাইতে পারি। যেমনটা আমরা ক্ষমা চাইতে পারি রাষ্ট্রের গাফিলতির কারণে প্রাণ হারানো, পরিবার হারানো লক্ষ-লক্ষ অতিমারীর শিকার হওয়া মানুষদের কাছে। মানবাধিকারের বিচারে আমাদের কেবল ক্ষমা চাওয়ার অধিকারটুকুই কোনক্রমে অবশিষ্ট রয়েছে।

রেবেকা লি ক্রাম্পলার, জন্ম ১৮৩১ – মৃত্যু ১৮৯৫। তিনিই সেই প্রথম আফ্রো-আমেরিকান মহিলা যিনি কিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বীকৃত চিকিৎসক, সেবাব্রতী এবং চিকিৎসা-গ্রন্থের লেখক। আমরা তাঁর জীবনকে জানতে গিয়ে দেখবো কি আশ্চর্য এক নির্লিপ্ত, সাধিকার জীবন। সাধিকা অর্থে সন্ন্যাসিনী নয় – দিনের পর দিন, মাসের পর মাস একেকটা নীরবতা, বর্ণবিদ্বেষের আঘাত, সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিদিনকার সংগ্রাম, এই সমস্ত কিছুকে বরণ করে নিয়ে রেবেকা লি ক্রাম্পলার এক পা এক পা করে এগিয়েছেন। আর সেই প্রতিটি পদক্ষেপ মানবতাকে এগিয়ে দিয়েছে আরও কয়েক কদম।

এমন একটা সময় রেবেকার জন্ম, যে সময়ে মনে করা হতো পুরুষদের মস্তিষ্ক নাকি মেয়েদের মস্তিষ্কের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ আকারে বড়। মেয়েদের কাজ কেবল তাই নিজেদের সৌন্দর্যকে সংরক্ষণ করা এবং সমগ্র পুরুষ জাতির প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য বজায় রাখা। তার উপরে আবার রেবেকা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ সমাজের প্রতিনিধি। শ্বেতাঙ্গ, পুরুষ ডাক্তারেরা তাই তাঁর সঙ্গে সামান্যতম সহযোগিতাটুকুও করতে রাজি ছিলেন না। এতদসত্ত্বেও রেবেকাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি নিজের কাজগুলি নীরবেই সম্পন্ন করেছিলেন।

১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারে জন্মগ্রহণ করেন রেবেকা ডেভিস। পরবর্তীতে তিনি পেনসিলভ্যানিয়ায় তাঁর এক আত্মীয়ার কাছে মানুষ হন। এই আত্মীয়া ভদ্রমহিলা প্রথাগত ভাবে চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্রী না হলেও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সাহায্যে তিনি এলাকার সাধারণ পরিবারগুলির ছোটখাটো রোগব্যাধির চিকিৎসা করতেন। রেবেকার ডাক্তার হয়ে উঠবার লক্ষ্যে তাঁর এই আত্মীয়াই প্রাথমিক ভাবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৮৫২ সালে রেবেকা ম্যাসাচুসেটসের চার্লসটাউনে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানে তিনি নার্স হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখানে থাকতে থাকতেই কিছুকাল পরে তিনি নিউ ইংল্যান্ড ফিমেল মেডিকেল কলেজে, সেখানকার একমাত্র আফ্রো-আমেরিকান ছাত্রী হিসেবে পড়াশোনার সুযোগ পান। ইতিমধ্যে ১৮৫২ সালের এপ্রিল মাসে রেবেকা ডেভিস, জনৈক ওয়্যাট লি’কে বিবাহ করেন। এই ওয়্যাট লি ছিলেন একজন ভূতপূর্ব কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসও বটে। এটি রেবেকার প্রথম এবং ওয়্যাটের দ্বিতীয় বিবাহ। এই বিবাহের এক বছর কাটতে না কাটতেই ওয়্যাট লি’র প্রথম পক্ষের সন্তান আলবার্ট মাত্র সাতবছর বয়সে দুরারোগ্য অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করে। এর আগে যেমনটা আমরা আনন্দীবাই জোশীর ক্ষেত্রে দেখেছিলাম, তেমনই সন্তান আলবার্টের এই মৃত্যুও রেবেকার উপরে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে এবং রেবেকা লি এরপর থেকেই আরও বেশী করে নার্সিং এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।

১৮৬০ সালে রেবেকা নিউ ইংল্যান্ড ফিমেল মেডিকেল কলেজে প্রবেশাধিকার পান। ১৮৬০ সালে সমগ্র আমেরিকাতে চিকিৎসকের সংখ্যা ছিল ৫৪,৫৪৩ জন – যাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০ জন। কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা চিকিৎসকের কথা তখন স্বপ্নেও অনুধাবন করা যেতো না। এখান থেকেই লড়াইটা শুরু করেন রেবেকা। যদিও, দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি তাঁর। কলেজে পড়াকালীনই ১৮৬৩ সালের এপ্রিলে – রেবেকার সঙ্গে দ্বাদশতম বিবাহবার্ষিকীর মাত্র একদিন আগেই যক্ষ্মা রোগে অসুস্থ হয়ে স্বামী ওয়্যাট লি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তবু এতকিছুর পরেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রেবেকা তাঁর পরিশ্রমকে বজায় রাখেন। ১৮৬৪ সালে রেবেকা লি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রো-আমেরিকান মহিলা হিসেবে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করেন।

প্রথম কিছুদিন বস্টন শহরে চিকিৎসক হিসেবে নিজের পেশাগত জীবনকে শুরু করলেও রেবেকা বুঝতে পারেন এই সমাজ এতখানি সহজে তাঁকে চিকিৎসক হিসেবে মেনে নেবে না। পরে, আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শেষ হলে পরে, ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি রিচমন্ড, ভার্জিনিয়াতে মিশনারিদের দলের সঙ্গে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। এই সময় তিনি প্রায় ৩০০০০ কৃষ্ণাঙ্গ রোগীর চিকিৎসা করেন। মিশনারিদের পাশাপাশি তিনি ফ্রিডমেন’স ব্যুরো’র তত্ত্বাবধানে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। এই সংগঠনের অভ্যন্তরেও রেবেকাকে তাঁর বর্ণ ও লিঙ্গের কারণে চরম অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয়। এরই মধ্যে রেবেকা কিছুদিন গণিতশাস্ত্রেরও চর্চা করেন, এবং স্থানীয় কয়েকটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবেও তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। ততদিনে, ১৮৬৫ সালের মে মাসে রেবেকা লি, আর্থার ক্রাম্পলারের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।

এই আর্থার ক্রাম্পলারও প্রথম জীবনে এক ধনী শ্বেতাঙ্গ পরিবারের ক্রীতদাস ছিলেন। সেই বড়লোক পরিবার নানা আর্থিক কারণে আর্থারের পরিবারের আর সকল সদস্যকে ক্রীতদাস হিসেবেই অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। কিন্তু মালিক পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যের আর্থারের প্রতি বিশেষ টানের কারণেই শেষ পর্যন্ত আর্থারকে আর বিক্রি হতে হয়নি। কিন্তু শেষ জীবন অবধি আর্থার ক্রাম্পলার তাঁর এক দিদিকে ছাড়া, তাঁর পরিবারের বাকি আর কাউকেই, কোনোদিনও খুঁজে বের করতে পারেননি। এই আর্থারের সঙ্গেই তাঁর বাকি সারাটা জীবন কাটিয়েছিলেন রেবেকা লি ক্রাম্পলার। চূড়ান্ত বর্ণবিদ্বেষ এবং দাসপ্রথার মতো অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি অভ্যাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এক মহীয়সীর এই কৃতিত্ব-যাপন।

রেবেকার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ যে কৃতিত্ব, ১৮৮৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর সেই নিজস্ব গ্রন্থ ‘এ বুক অব মেডিকেল ডিসকোর্সেস’। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে আফ্রো-আমেরিকানদের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের মতো একটি বিষয়ে গ্রন্থ রচনার এটিই ছিল সর্বপ্রথম উদাহরণ। এমনকি, সেই সময় কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের তরফে কোনও বই প্রকাশ করতে গেলে বইটির মুখবন্ধে একজন শ্বেতাঙ্গের বক্তব্য বা ভূমিকা থাকাটা জরুরি ছিল। শ্বেতাঙ্গ কারোর তরফে এই স্বীকৃতি ভিন্ন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের পক্ষে কোনও বই প্রকাশ করাটাই কার্যত অসম্ভব ছিল। কিন্তু রেবেকাই সেই প্রথম মানুষদের মধ্যে অন্যতম, যিনি কি না কোনও শ্বেতাঙ্গের ভূমিকা বা বক্তব্য ছাড়াই, নিজেই নিজের বইয়ের মুখবন্ধ লেখেন এবং বইটিকে প্রকাশ করেন। ‘এ বুক অব মেডিকেল ডিসকোর্সেস’ – এই বইটি দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। প্রথম অংশে তিনি পাঁচ বছর বয়স অবধি শিশুদের হজম এবং অন্ত্রের সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন। পরবর্তী অংশটি ছিল মূলত ধাত্রী এবং মায়েদের জন্য লিখিত। এই অংশে গর্ভাবস্থা থেকে শিশুর জন্মের সময় অবধি কি কি নিরাপত্তা নেওয়া উচিত, কেমন ভাবে ডাক্তারি মতে সুস্থ জীবন যাপন করা উচিত ইত্যাদির বিষয়ে নির্দেশ ছিল। এমনকী, নিজের সুপ্ত সাহিত্যিক সত্তাটির প্রতিও লক্ষ্য রেখে – বইটির এই অংশে রেবেকা নিজের জীবনের কিছু কিছু অংশ, সামাজিক জীবনে লিঙ্গ, নারীত্ব এবং মাতৃত্বের বিষয়ে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই নিয়েও কিছু ব্যক্তিগত মতামত, আলাপচারিতাকে উল্লেখ করেছিলেন। এই সবকিছু মিলিয়েই বইটি ইতিহাসের পাতায় দলিল হয়ে রয়েছে।

অথচ রেবেকাকে কি আমরা মনে রেখেছি ?

রেবেকা লি ক্রাম্পলারের একটি স্বীকৃত ছবিকেও শেষ অবধি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বইতে একাধিক বারে তাঁর ছবি বলে যে ছবিগুলি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির একটিও ইতিহাসগত ভাবে যাচাই করা নয়। রেবেকার কোনও ছবি পাওয়া যায় না। ১৮৯৫ সালে প্রয়াত হন রেবেকা লি ক্রাম্পলার, ১৯১০ সালে মারা যান স্বামী আর্থার। ম্যাসাচুসেটসের ফেয়ারভিউ গোরস্থানে পাশাপাশিই তাঁদেরকে সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু, একটি সামান্য ফলকও লাগানো যায়নি তাঁদের সমাধির উপর। ঘাসজমি হয়েই পড়েছিল, হয়তো বা পড়েও থাকতো সমাধিক্ষেত্রের সেই অংশটি, যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন রেবেকা লি ক্রাম্পলার, প্রথম আফ্রো-আমেরিকান চিকিৎসক, চিকিৎসাগ্রন্থের লেখক। রোজা পার্কস, মার্টিন লুথার কিং, অথবা রুবি ব্রিজেসদের তখনও জন্মই হয়নি। সেই সব আন্দোলন তখনও দূর ভবিষ্যতের পাতায়। রেবেকা কেবল নীরবে ভাবীকালের সেই আন্দোলনগুলির মহরতের অনুষ্ঠানটুকুকেই কেবল, যেন নিজে হাতে শুরু করিয়ে দিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তাঁর কৃতিত্ব ইতিহাসে কেবল এইটুকুই।

মৃত্যুর ১২৫ বছর পর, ১৬ই জুলাই, ২০২০তে – ফেয়ারভিউ সমাধিক্ষেত্রে, রেবেকা ও আর্থারের সমাধির জায়গাটিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং আরও কয়েকটি সংগঠনের তরফে একটি স্মৃতিফলক অবশেষে স্থাপিত হয়। ১২৫ বছর পর, আবারও সেই ঘাসজমির ভিতরে শুয়ে থাকা মানুষদুটিকে আমাদের মনে পড়েছিল। মনে পড়েছিল অতিমারীর বছরে, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের ভুবন-মাতানো আন্দোলনের বছরে। রেবেকারা একক নন, সমষ্টিগত ভাবে তাঁরা উৎকর্ষের প্রতীক, মানবতার প্রতীক, বর্ণহীন-লিঙ্গহীন সমানাধিকারের এক পৃথিবীর প্রতীক। রেবেকারা আজও সেই ফেয়ারভিউতে - সেই সমাধিফলকের অন্তরালে, গভীরে শুয়ে আছেন। আমরা তাঁর স্মৃতিচারণ করব না। আমরা বরং তাঁর কাজকে উদযাপন করবো কেবল। আজ কেবল এইটুকুরই অঙ্গীকার থাকুক।

সূত্রঃ

[১] ‘ডক্টর রেবেকা লি ক্রাম্পলার – বায়োগ্রাফি’, চেঞ্জিং দ্য ফেস অব  মেডিসিন, ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন, ইউ এস এ

[২] হেনরি লুইস গেটস, এভেলিন ব্রুকস হিগিনবথাম, ‘আফ্রিকান আমেরিকান লাইভস’, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৪

[৩] জোনাথান ডেভিডসন, ‘উইমেন, রিফর্ম এ্যান্ড মেডিকেল লিডারশিপ’, ২০১৪

[৪] ‘রেবেকা লি ক্রাম্পলার বিকামস দ্য ফার্স্ট ব্ল্যাক উওম্যান টু রিসিভ এমডি ডিগ্রি’, দ্য শিকাগো সিটিজেন, ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

লেখক: প্রযুক্তি বিদ্যার গবেষক, প্রাবন্ধিক

ছবি: সংগৃহীত

1 Comments

Rishi Ghosh

15 August, 2021

অসামান্য লেখা!তথ্যমূলক ও সাহিত্যনিষ্ঠ!

Post Comment