- 24 July, 2025
- 0 Comment(s)
- 66 view(s)
- লিখেছেন : শতরূপা সিংহ
রাত ন’টার সময় পার্টি অফিসের সামনে এসে দেখলাম ঘরের মধ্যে আলো জ্বলছে। দরজা ভেজানো ছিল। দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতে গিয়ে বুঝলাম খুব চাপা স্বরে কোনো একটা বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের পার্টি অফিসটা বকুলতলা বাজার এলাকার একদম গা ঘেঁষে। বকুলতলায় রাত ন’টা মানে সন্ধ্যে। কলকাতার কর্মক্ষেত্রগুলো সব নিদ্রামগ্ন হয়ে গেলে বকুলতলার বাজার আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে ওঠে। এই মফঃস্বলের বেশিরভাগ মানুষ কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফেরার আগে বাজার-হাট, কেনাকাটা সব কিছু সেরে রাখতে চায়। তাই বাজারে পল্টুর চায়ের দোকান সারাদিন ঝিমানোর পর এই দু-তিন ঘণ্টার জন্য লোকজনের আড্ডায় সরগরম হয়ে ওঠে। বকুলতলার বাজারে জাগরণী সংঘের ক্লাবঘরটাই এখন আমাদের পার্টি অফিস। ঘরে ঢুকে দেখি পায়া ভাঙা পুরোনো কাঠের টেবিলটার ওপারে দরজার দিকে মুখ করে বসে আছেন পারোদি। তার ঠিক মুখোমুখি দরজার দিকে পিঠ করে বসে আছে পারোদির ডান হাত মনীষা কর্মকার। আমাদের পারোদি অর্থাৎ পারমিতা চট্টোপাধ্যায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একদিকে যেমন শাসকদলের প্রভাবশালী নেত্রী ও এলাকার কাউন্সিলার, অন্যদিকে তেমনই সমাজসেবী ও চিত্রকর। পারোদির বয়স আটচল্লিশের কাছাকাছি। গোলগাল চেহারা, চোখে হাইপাওয়ারের গোল কালো ফ্রেমের চশমা আঁটা, মুখে একটা হালকা হাসির রেখা সবসময় যেন লেগেই রয়েছে। আমি অর্থাৎ ভারতী সান্যাল এলাকায় সবার কাছে পারোদির বাঁ হাত বলে পরিচিত। পারোদির সমাজসেবী সংগঠন ‘বহ্নি’র সেক্রেটারির দায়িত্ব আমি সামলাই। দরজাটা আবার ভেজিয়ে দিয়ে আমি টেবিলের কাছে এগিয়ে একটা প্লাস্টিকের চেয়ার টেনে বসলাম। ওদের কাছ থেকে আলোচনার ব্যাপারে যা জানলাম তা সংক্ষেপে হল এই – পারোদি আজ সন্ধ্যে সাতটার সময় কল্লোল সেনকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতে দিয়ে তার মেয়ে সঙ্গীতার জোর করে বিয়ে দেওয়া থেকে আটকেছে। কল্লোল সেন নামের লোকটিকে আমি ভালোমতোই চিনি। এই এলাকাতেই থাকে। দিনে চিরন্তনদার ‘সুবাস’ পানমশলা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে আর রাতে মদের নেশায় চুর হয়ে এসে বউটাকে মারে। লোকটার স্বভাব-চরিত্রও ভালো নয়। তবে সঙ্গীতা ওর নিজের মেয়ে না, সৎ মেয়ে। সঙ্গীতার বাবা মারা যাওয়ার পর ওর মা এই মাতালটার উপদ্রব সহ্য করতে না পেরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। সঙ্গীতা পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো। সে এবছরই উচ্চমাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। এই কয়েকদিন আগেই আমরা ওর বাড়ি গিয়ে সংবর্ধনা জানিয়ে এলাম। পারোদি বললো, ‘চিরন্তনদার বড় ছেলের সঙ্গে মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। চিরন্তনদা নাকি মেয়েটার বাবাকে চার লাখ টাকা দিয়েছিল বিয়েটা করানোর জন্য।’ মনীষা বললো, ‘চিরন্তনদা মানে চিরন্তন রায়, কল্লোলদার ফ্যাক্টরির মালিক? চিরন্তনদার বড় ছেলের নামে কী একটা কেচ্ছা শুনেছিলাম না?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, ঐ একটা রেপ কেসে নাম জড়িয়েছিল বলে শুনেছিলাম। তাই এত তাড়াতাড়ি খরচাপাতি করে ছেলেটার বিয়ে দিতে চাইছে।’ পারোদি বললো, ‘আজ সকালে আমি যখন এখানে ছিলাম তখন মেয়েটা আমার কাছে এল। ওর মুখ দেখে বুঝলাম অনেকটা ভয় জয় করে ও কষ্ট সহ্য করে আমার কাছে এসেছে। আমি ওকে কাছে বসিয়ে একটু নরম সুরে কথা জিজ্ঞেস করতেই মেয়েটা ঝরঝর করে কেঁদে ফেললো। কান্নার ফাঁকে ফাঁকে যা বললো তা থেকে বুঝলাম যে এই বিয়েতে ওর কোনো মত নেই। মেয়েটা আরও পড়তে চায়। সে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। মেয়েটাকে সান্ত্বনা দিয়ে ফেরত পাঠিয়েই চিরন্তনদাকে ফোন করে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললাম। তারপর সন্ধ্যেবেলা কল্লোলদাকে ডেকে হাতে টাকাটা ধরিয়ে দিয়ে স্পষ্ট বলে দিলাম টাকাটা যেন সঙ্গীতার লেখাপড়ার কাজে লাগানো হয়।’ আমি বললাম, ‘চিরন্তন রায় কি রাজি হল?’ মনীষা বললো, ‘রাজি না হয়ে কোথায় যাবে শুনি? পারোদি নিজে ফোন করে বলেছে বলে কথা। তাছাড়া পারোদি না থাকলে কি আর এখানে সরকারি জমি বেদখল করে বছরের পর বছর ফ্যাক্টরি চালাতে পারতো?’ আমি বললাম, ‘সে ঠিক, কিন্তু চিরন্তন রায়কে শুধু শুধু চটিয়ে এভাবে তার পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কি ঠিক হচ্ছে?’ পারোদি বললো, ‘প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম ওদের এসব ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না। কিন্তু সঙ্গীতাকে দেখে আমার আজ থেকে তিরিশ বছর আগের সঙ্গীতারই বয়সী একটা মেয়ের কথা মনে পড়লো। আর তার সঙ্গেই মনে পড়ে গেল তখনকার লোকাল এম.এল.এ. অনীশ দাশগুপ্তের কথা। অনীশদা তখন ভগবানের মত এসে ঐ বিপদের সময় মেয়েটার পাশে না দাঁড়ালে…যাক সে কথা।’ আমি বললাম, ‘কোন মেয়ে, গল্পটা বলো না?’ পারোদি একবার দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকালো। রাত পৌনে দশটা বাজে। পারোদি গল্পটা বলা আরম্ভ করলো, ‘দিনটা ছিল বুধবার। সকাল থেকেই আকাশ কালো করে একনাগাড়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়েই চলেছে। মেয়েটা তখন সবে আঠারোয় পা দিয়েছে। প্রাইভেট টিউশন থেকে অঙ্ক শিখে ভিজে ভিজে বাড়িতে ফিরে সে দেখলো বাবার ঘরে দু’জন অপরিচিত লোক এবং দু’জন অপরিচিত মহিলা বসে কথা বলছে। মহিলা দু’জনের মধ্যে একজনের বয়স আন্দাজ পঞ্চাশের কাছাকাছি আর অন্যজনের বয়স আর একটু বেশি, হয়ত সত্তরের কোঠায় হবে। বাকি দু’জন লোকের মধ্যে একজন পঞ্চাশোর্দ্ধ অপরজনের বয়স চব্বিশ কি পঁচিশের বেশি নয়। মেয়েটিকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেই তার মা রান্নাঘর থেকে তাড়াতাড়ি ডেকে পাঠালো। মেয়েটি কাছে যেতেই মা তাকে হাত ধরে অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে নিজের একটা ভালো দামি শাড়ি বার করে পরিয়ে দিল। তারপর পরিপাটি করে চুল বেঁধে সাজিয়ে দিয়ে সোজা রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির হাতে একটি ট্রে তে চা ও লুচি, তরকারি, মিষ্টি এইসব সাজিয়ে দিয়ে মা বললো, ‘যা যত্ন করে ওনাদের দিয়ে আয়।’ মেয়েটি ঐ অপরিচিতদের মাঝখানে যেতেই মহিলা দু’জন বাজারে সবজি বেছে কেনার মত করে তাকে পরখ করতে শুরু করলো। মেয়েটির চুল, চোখ, নাক, কান, ঠোঁট, দাঁত, গলার স্বর, গায়ের রঙ, হাত, পা কোনোকিছুই তাদের পরীক্ষা করতে আর বাকি রইলো না। মেয়েটা হতভম্বের মত দাঁড়িয়ে থেকে দেখলো বাবা আর মায়ের মুখে হাসি আর ধরছে না। তারা ঐ অপরিচিত লোকগুলোর সামনে বাড়িয়ে বাড়িয়ে মেয়েটির মিথ্যে প্রশংসা করে চলেছে। লোকগুলির মুখের অভিব্যক্তি ঠিক বোঝা না গেলেও মহিলা দু’জনের মুখে তাচ্ছিল্যের ভাব অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল। কিন্তু পাকাদেখার কয়েকদিন পর তারা ফোন করে বিয়ের সম্বন্ধটিও পাকা করে ফেললেন। মেয়েটির ভাবী শ্বশুরবাড়ি বেশ বড়লোক। সেইদিন প্রথম দেখেই তাদের বেশভূষা থেকে মেয়েটি অনুমান করেছিল। মেয়েটি জানতে পারলো তার ভাবী শ্বশুর এই বিয়ের জন্য তার বাবাকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করতে রাজি হয়েছে। মেয়েটিকে আগেভাগে কিছু না জানিয়ে তার বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাক করা হয়ে গেলেও মেয়েটিকে বিয়েতে কিছুতেই রাজি করানো গেল না। সে কেঁদেকেটে চিৎকার করে বাড়িতে অশান্তি বাঁধিয়ে তুললো। বাবা তাকে একবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। একতলা টিনের চালের ইঁটের পাঁজর বেরিয়ে থাকা স্যাঁতস্যাঁতে ভাঙাচোরা বাড়ি, একটু বেশি বৃষ্টি হলেই ঘরে জল উঠতে শুরু করে, দিনের বেলাতেও ঘরগুলো ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। তার ওপর মেয়েটির একটি বছর পাঁচেকের ছোটো ভাই রয়েছে। এই অনটনের সংসারে মেয়েটির বোঝা বয়ে বেড়াতে তার বাবা অক্ষম। কিন্তু মেয়েটি যখন কিছুই বুঝতে চাইলো না তখন বাবা তাকে একটা ঘরে তালাবন্ধ করে আটকে রেখে দিলো। ঘরের ভিতর মেয়েটি বার বার ছটফট করে উঠতো। সে অসহায়ের মত চিৎকার করতো, ঘন ঘন দরজায় ঘা মারতো, চোখের জল ফেলতো, নিজের চুল খামছে ধরতো কিন্তু কেউ একজনও তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতো না। বন্ধ দরজার ওপার থেকে অনেক কথা তার কানে যেত। সে বুঝতে পারতো তার বিয়ের কেনাকাটা একে একে শেষ হল। বাবা বেশিদিন অপেক্ষা করতে রাজি ছিলেন না তাই পরের মাসেই বিয়ের লগ্ন স্থির হয়ে গেল। আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ পর্বও একদিন সম্পূর্ণ হল। তারপর একটা একটা করে মৃত্যুর মত হিমশীতল, অন্ধকারময় দিনগুলো একটা বিশ্রী দুঃস্বপ্নের আতঙ্কে কাটতে থাকলো। দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসে গেল। ঐ কয়েকটা দিনেই মেয়েটা একেবারে শুকিয়ে গিয়েছিল। বিয়ের দিন সে আর কোনো গণ্ডগোল করলো না। চুপচাপ সমস্ত আচার অনুষ্ঠান ভালোভাবে পালন করলো। সে কী করবে তা স্থির করে ফেলেছে। বিকেলের ফুরিয়ে আসা আলোয় মা তাকে মনের মত করে কনের বেশে সাজালো। রাত্রিতে বিয়ের লগ্ন পড়েছে। মা, মাসি, পিসিরা মেয়েটির শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার আসন্ন বিরহে অনেক কান্নাকাটি করলেন। মেয়েটি দেখলো তাদের একরত্তি জীর্ণ বাড়িটা কেমন আলো আর ফুলের মালায় সেজে উঠেছে। প্রতিটা ঘর লোকজনে গমগম করছে কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। বাইরের বারান্দায় সাউন্ড বক্সে হাই ভলিউমে একটানা সানাই বেজেই চলেছে। এত আলো, একঘেয়ে সানাইয়ের সুর, লোকজনের হট্টগোল একটা অজগরের মত যেন মেয়েটাকে অবশ করে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে আর ঠিক তখনই মেয়েটার সমস্ত অন্তঃকরণ আর্তনাদ করে উঠলো তাকে পালাতে হবে, সব কিছু ছেড়ে দূরে, অনেক দূরে। বাইরে একটা কলরব উঠলো, ‘এই বর এসেছে, বর এসেছে।’ মেয়েটাকে ঘিরে বসে থাকা সকলে বর দেখতে ছুটে বাইরে চলে যেতেই ঘরটা ফাঁকা হয়ে গেল। আর একমুহূর্তও সে অপেক্ষা করলো না। সবার অলক্ষ্যে মেয়েটা একছুটে মিশে গেল ভিড়ের মধ্যে। অনেকক্ষণ ধরে মেয়েটা উর্দ্ধশ্বাসে ছুটছিল। বাইরের শব্দ বা দৃশ্য কোনোকিছুই তার ইন্দ্রিয়পথে প্রবেশ করতে পারছে না। বিয়ের লাল বেনারসি বার বার তার পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেসব গ্রাহ্য না করেই সে পড়ি কি মড়ি করে ছুটে পালাচ্ছিল। তার মাথায় তখন কেবল একটাই চিন্তা ঘুরছে, যেভাবেই হোক তাকে সামনের রেলগেটটা পার হয়ে যেতেই হবে। বেশ কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর মেয়েটার মনে হল কারা যেন তার পিছনে ধাওয়া করে আসছে। কেউ বা কারা হয়ত তার নাম ধরে অনেকক্ষণ থেকে পিছনে ডেকে চলেছে। তাকে আরও জোরে দৌড়াতে হবে, আরও জোরে। ডানদিকে প্ল্যাটফর্মে তখন অ্যানাউন্সমেন্ট চলছিলো তিন নম্বর লাইন দিয়ে থ্রু ট্রেন যাবে। মেয়েটির দাঁড়ানোর সময় নেই। নরকের জীবন কাটানোর চেয়ে ট্রেনে কাটা পড়া অনেক ভালো। সে বন্ধ রেলগেটের ফাঁক গলে লাইনের দিকে ছুটে গেল। আর তখনই ডানদিক থেকে দ্রুতবেগে এগিয়ে এল একটা চোখ ধাঁধানো হলুদ আলো, সাইরেনের কান ফাটানো আওয়াজ আর ট্রেনের চাকার কর্কশ শব্দ। ট্রেনটা তীব্র গতিতে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্ল্যাটফর্মে বার দুই অ্যানাউন্সমেন্ট চলেছিল আর তার সঙ্গেই একটা ছোট্ট হাওয়ার ঘূর্ণিতে একরাশ শুকনো পাতা, ধুলো আর ছেঁড়া প্লাস্টিকের ভিড়ে পাক খেতে খেতে উড়ে যাচ্ছিল বিয়ের কনের মাথার একটা লাল ওড়না।’ এই পর্যন্ত বলে পারোদি জলের বোতল থেকে বেশ খানিকটা জল গলায় ঢাললো। মনীষা বললো, ‘মেয়েটা মারা গেল?’ পারোদি বললো, ‘সকলে প্রথমে তাই ভেবেছিল মেয়েটা বোধহয় ট্রেন অ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে। কিন্তু পরে জানা গেল যে না মেয়েটা সেদিন মরেনি। সেই রাতের অন্ধকারে পালিয়ে একটা বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে উঠেছিল। বন্ধুটি এবং তার মা বাবা অত্যন্ত ভালোমানুষ ছিলেন। তাঁরা মেয়েটিকে ঐ ট্রমার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক সাহায্য করেছিলেন। মেয়েটির পড়াশোনায় খুব আগ্রহ ছিল তাই তাঁরা বন্ধুটির সঙ্গে তাকেও একই কলেজে ভর্তি করে দেন। মেয়েটি বন্ধুর বাড়িতে কয়েকমাস থাকার পর কলেজের হোস্টেল রুম পাওয়া মাত্র সেখানে চলে যায়। তারপর হোস্টেলে থেকেই স্কলারশিপের টাকায় মেয়েটি তার লেখাপড়া শেষ করে।’ পারোদি থামার পর আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘মেয়েটা কে বলতো?’ পারোদি বললো, ‘মেয়েটাকে এখন তোরা সবাই চিনিস। তার নাম পারমিতা চট্টোপাধ্যায় ওরফে তোদের পারোদি।’
লেখক : শিক্ষার্থী, গল্পকার
ছবি : সংগৃহীত
0 Comments
Post Comment