শাপিতপুরুষ (ষোড়শ কিস্তি)

  • 13 March, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 546 view(s)
  • লিখেছেন : চন্দন আনোয়ার
পূর্বকথা- কট করে লাইন কেটে দিল সুমন। লক করে দিল মোবাইল। মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো চাকা চাকা রক্তের দিকে তাকিয়ে ভয়ে আঁতকে ওঠে সুমন। শরীরের লোম সজারুর কাঁটার মতো খাড়া হয়ে উঠেছে। এসব আমার রক্ত! কিন্তু এত রক্ত কপাল ফেটে বের হল কেন? লুকিং গ্লাসের সামনে দাঁড়াল। দুই হাতে মুখ ঢাকে। সমগ্র শরীরে রক্তের দাগ!

[২৫}

ধরা যায় না, দেখা যায় না, আঘাত রুখবো কিভাবে : রিমা 

অয়নের সাথে দেখা করবে বলে রাস্তায় বের হল রিমা। কেমন যেন থমথমে ভাব। এমনিতেই ইমারজেন্সি চলছে। মানুষগুলোর ভেতরে ভেতরে চরম অসন্তোষ। মরার উপরে খাড়ার ঘায়ের মতো আবার কী ঘটল রিমা বুঝে উঠতে পারে না। তবে কি সেনা শাসন ডিক্লেয়ার হয়ে গেল? এ রকম একটা গুঞ্জন বাতাসে ঘুরছে বছর ধরে। দশ-বার জন আমলা গোছের মানুষের হাতে এখন সমগ্র দেশ। এ কি সম্ভব? হতেই পারে একটা কিছু। দেশের যা অবস্থা! ছেলের হাতের মোয়া চাওয়ার মতো করে চাইলেই পাওয়ারটা ছেড়েছুঁড়ে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে! ভেতরে অস্থিরতা বোধ করে রিমা। বিষয়টা কী ঘটল? দোতালা বাসের দোতলায় উঠে বসে জানালার সিট ধরে। পাশের সিটেই বসা স্থূলকায় এক ভদ্রলোক। ফিসফাস করে রহস্যময় কী যেন বলছেন মোবাইলে। সন্তর্পণে কান পেতে রিমা দু’টি শব্দই শুনতে পাচ্ছে কেবল ‘বিচার’ আর ‘লুটেচেটে’। রিমা খেয়াল করল পাশের ভদ্রলোক একা নন। বাসের প্রত্যেকেই মোবাইল কানে ধরে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে গরম কিছু একটা বলছে। উৎসুক মুখে পরস্পরের দিকে চেয়ে আছে। রিমার ভেতরে কৌতূহল বেড়ে গেল। প্লিজ বলবেন কি? কিছু ঘটেছে? জিজ্ঞাসু চোখে তাকাল পাশের ভদ্রলোকের দিকে।

ভদ্রলোক বিস্ময়ে চোখ উল্টাল। আপনি কি চাঁদ থেকে পড়লেন এই মাত্র!

ভদ্রলোকের এই ধরনের কথায় রিমা বিব্রত।

কী ভেবে লোকটা হেসে স্বর পাল্টে বলে, সরি, উত্তেজনাবশত বলে ফেললাম। কিছু মনে করবেন না।

ইটস ওকে। কী ব্যাপার বলুন তো?

ভদ্রলোকের চোখ দু’টিতে যেন হাসি খেলা করে যাচ্ছে। স্থূলকায় শরীর ছোবল খাওয়া বিষাক্ত শরীরের মতো বেদম কাঁপছে। পাঞ্জাবি ভিজে গেছে।

বুঝতে পারলেন না? তারপরে ভদ্রলোক যা বললেন এবং যাদের নাম উচ্চারণ করলেন রিমার মাথায় যেন বাজ পড়ল। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ঢেউ খেলে যেতে লাগল মগজের ভেতরে। এমন মানুষও আছে এদেশে! এসব জাঁদরেল নেতাদের জেলে ঢোকানোর মতো মানুষ এখনো আছে এদেশে? তারপরেও রিমা বিস্ময়ের চোখে তাকাচ্ছে দেখে ভদ্রলোকটা তৃপ্তির হাসি দিয়ে বলে, বিশ্বাস করতে কষ্ট পাচ্ছেন? বুঝতে পারছি।

রিমা খানিকটা চিন্তিত। মোটের উপরে বিষয়টা কি দাঁড়াল?

আপনি এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাই না? ভদ্রলোক ভ্রূ কুঁচকে হাসে।

না, তা না। ভাবছি, এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। শেষমেষ না সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়ে। এদের তো কিছুই হবে না। জেলখানাব  শ্বশুর বাড়ির মতো বেড়াবে কিছুদিন। এরপর ঠিকই বেরিয়ে আসবে তাজা ফুলের মালা গলায় নিয়ে। ঠিকই এরা এমপি-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হবে।

কেমন! ভদ্রলোক বিস্ময়ের চোখে তাকাল।

রিমা শ্লেষের হাসি হাসে, কেমন আপনি নিজেও জানেন। সর্ব শরীরে পঁচন ধরলে মলম দেবার জায়গা থাকে? কিছুই হবে না। ওদের দাম-ক্ষমতা আরও বাড়বে বৈ কমবে না।

জ্বলন্ত প্রদীপ ফু দিয়ে নিভিয়ে দেবার মতো রিমা যেন মানুষটার আশার প্রদীপ ফু দিয়ে নিভিয়ে দিল। হতাশা-ভয় নিয়ে চুপচাপ বসে রইল। 

ভরদুপুর। গাড়ি দশ হাত যেতেই জোরে ব্রেক কষে ড্রাইভার। টানা জ্যাম। শরীর ঝাঁকিয়ে উঠলে ভয় পায় রিমা। খামছে ধরে সিট। ভ্যাপসা গরমে শরীর জ্বলছে প্রচণ্ড রকমে। ঘণ্টা দুই ধকল সয়ে নামল কারওয়ান বাজারে। এখানেই অয়নের ক্লিনিক। উঠবে উঠবে ভাব করছিল অয়ন। রিমাকে দেখেই চমকে ওঠে, আরে, ভাবি যে, এই শরীরে কষ্ট করে না এসে আমাকে খবর দিতেন।

আপনি যা ব্যস্ত ভাই। আপনাকে আবার কষ্ট দেই কী করে? চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলে রিমা।

কী খাবেন বলেন? দুপুরের লান্চ্ এখানেই হোক।

না ভাই ব্যস্ত হবেন না। বড় সংঘাতের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে অয়নদা।

অয়ন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, হ্যাঁ, আমি আইডিয়া করছি তাই।

কেমন?

মোবাইলে ওর সাথে কথা বলা কঠিন। খিস্তিখেউড় করে। আমি এখন কল করতে ভয় পাই রীতিমতো।

রিমার বুক ফেঁড়ে বের হয় লম্বা নিশ্বাস। আমরা আর একসাথে থাকতে পারব না অয়নদা? জোড়াতালি দিয়ে এভাবে আর কতদিন? আমিও তো মানুষ। আমি না হয় ওর হাতে খুন হলাম, কিন্তু পেটের বাচ্চাটা? বিপন্ন চোখে তাকায় রিমা।

কিন্তু আপনি ছাড়া এখন আর সুমনের কে আছে বলুন?

আর আমার? রিমার ঠোঁটে করুণ হাসি। জানেন, ও আমাকে খুন করবে বলে ভেবে রেখেছে।

ওর এসব কথা ধরবেন না ভাবি। সুমন শুধু আমাকে না, আমার  ছেলেকেও নাকি আমার সামনে কচু কাটা করবে। আমার  বউকে...

এবার কনসিভের পরেই সুমন মারাত্মকভাবে বদলে গেল! অবিশ্বাসের চোখে তাকায়। কেমন নোংরা ভাষা ব্যবহার করে! ওকে দেখলে এখন আপনার-ই চিনতে কষ্ট হবে। না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে শুকনো শুঁটকি হয়ে গেছে। হাড্ডিসার দেহ। কি মানুষ কি হলো—বলে রিমা ডুকরে কেঁদে ওঠে।

বিব্রত অয়ন ইজি চেয়ারে মাথা হেলিয়ে চোখ বুঁজে বাঁচাতে চাইছে নিজেকে। কী দুর্দান্ত সাহসী আর কী প্রত্যয়ী মেয়ের কী মুমূর্ষুদশা! অসম্ভব একটা জেদ নিয়ে, ধর্ম, সামজ, রক্তবন্ধন সব ছেড়েছুঁড়ে উল্টো স্রোতের জীবন বেছে নিল। সে জীবন-ই এখন মরণ কামড় দিচ্ছে।

খাঁ খাঁ দুপুরের নিস্তব্ধ সময় গড়ায়। ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিমা বলে,  জানেন দাদা, ও ডিপার্টমেন্টে বড় একটা যায় না। গেলেও রুমের মধ্যে নাকি চেয়ারে পা তুলে দিয়ে তিনমাথা হয়ে ঝিমায়।

কী বলেন! আঁতকে ওঠে অয়ন।

হ্যাঁ, ও নাকি ক্লাসে গিয়েও ভুলভাল বকে। এক কথা বলতে গিয়ে আর এক কথা বলে। দ্রুত বিষয় পাল্টায়। এক ছাত্র নাকি ক্লাসে কী বলেছে অমনি দুমদাম ধরে পিটাতে শুরু করেছে। এ নিয়ে কী হুলুস্থূল কাণ্ড! ছেলেরা শেষমেষ ভিসির কাছে নালিশ করে। এখন যিনি বিভাগের চেয়ারম্যান, উনি ওকে ছেলের মতো দেখেন। উনিই এ যাত্রায় সেভ করেছেন। এর আগে একদিন পিয়নকে পিটিয়েছে। চেয়ারম্যান স্যার সেদিন বাসায় এসে বুঝিয়ে গেছেন এ বয়সে ওর জন্য আর অপমানিত হতে পারবেন না। সাফ জানিয়ে গেছেন স্যার, এরপর একটা কিছু ঘটলে তিনি ওর পেছনে থাকবেন না। ভিসি সুমনের ওপরে চরম ক্ষ্যাপা। বিভাগের সব শিক্ষকই ওকে এড়িয়ে চলে।

তাহলে তো ওর চাকরি নিয়েই টানাহেঁচড়া বাঁধবে।

আমি তো সেই ভয়ে-ই আছি। এদিকে ওর পাগলামি দিনে দিনে বাড়ছে বৈ কমছে না। ওকে কে বলে খুন করবে। নাম বলে না। তাকানোর ভাবসাব দেখে মনে হয় আমার দিকেই ওর সন্দেহের আঙুল।

তাই নাকি? অয়ন বিস্ময় প্রকাশ করে। রিমাই যে খুন করবে—এ কথা অয়নকে বলেছে সুমন। এ মুহূর্তে চেপে গেল।

কোনকিছু দিয়েই আমি আর বিশ্বাস করাতে পরছি না যে, এবার রাখব ওর কথা। আমি মা হব। আসলে আমার উপরে আর একরত্তি বিশ্বাসও অবশিষ্ট নেই সুমনের। কি অপরাধ করলাম আমি? আমাদের এ রকম শপথই তো ছিল। কিচ্ছু মানবো না। আপনি তো সবই জানেন।

ধসে যাওয়া ব্রিজের মতো ভেঙেচুরে চুরমার রিমা কিছুক্ষণ নীরবে বসে রইল।

গাঢ় দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের মুখ খোলে। কী বলবো দাদা বিচ্ছিরি কথা! আমি ঘুমালে সুমন তলপেটে হাতায় প্রতিদিন। পেটে বাচ্চা আছে কিনা দেখে? আরও কী সব অদ্ভুত কাণ্ড করে। একদিন মাঝরাতে দেখি, রান্নাঘর থেকে থালা-বাটি নিয়ে বারান্দায় খেলা করছে। একদিন মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে গিয়ে দেখি, অন্ধকারে বেলকনিতে একাই সাপ-লুড খেলছে। আর একরাতে বিকট কাঁচ ভাঙার শব্দে হুড়মুড়িয়ে উঠে গিয়ে দেখি, টিভি ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলছে। বেদম হাঁপাচ্ছে বসে সম্পূর্ণ  জিভ বের করে। অথচ সকালে এমন হাবভাব দেখাল যে,  টিভিটা আমি-ই ভেঙেছি।

ও কী করে কিছুই মনে থাকে না পরে?

তাই তো দেখছি ।

এতসব ঘটে যাচ্ছে। জানান না কিছু-ই? অয়নের চোখে জিজ্ঞাসা চিহ্ন।

কী জানাব! এতদিন ভেবেছি সাময়িক পাগলামি। ছেলেরা এরকম করেই। ঠিক হয়ে যাবে পরে। এখন দেখছি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। ওর মুখোমুখি হওয়া, ওর সঙ্গে কথা বলা এখন রীতিমত ভয়ঙ্কর ব্যাপার।

দুম মেরে বসে রইল অয়ন। রিমা নখ খুঁটতে খুঁটতে নিজের ভেতরে নিজেই আলোড়িত হতে হতে ভাবছে, এভাবে সব কথা বলাটা ঠিক হল? কিন্তু বুকে চেপে থাকা ভারি পাথরটাকে হালকা বোধ হয়। বুকের ফ্রেমে আটকানো কষ্টগুলো প্রতিনিয়ত হাতুড়ি পেটা করে কে বা কারা যেন রিমাকে পরাজিত করে ক্রমেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে এক অনিশ্চিত কৃষ্ণগহ্বরের দিকে। অচিরেই রিমা হয়ত তলিয়ে যাবে সেই কৃষ্ণগহ্বরে। বুকের ভেতরে এখন সর্বক্ষণ ভাঙনের গুম গুম শব্দ শুনতে পায়। নিজের বিশ্বাসের পর্বত ধসে যাচ্ছে তাই দেখছে এখন। কিছুই বলার নেই। শুধুই তলিয়ে যাওয়ার পালা এখন। আর কিছুই করার নেই।

নৈঃশব্দ্য কাঁপিয়ে অয়নের মোবাইল বেজে ওঠে হঠাৎ—যাও পাখি বলো তারে সে যেন ভোলে না মোরে। স্ক্রিনে লাফিয়ে উঠছে সুমন সুমন। বিব্রত অয়ন লাইন কেটে দিল। সামনে বসে আছে রিমা। আরও পাকাপোক্ত হবে ওর সন্দেহ।

রিমা মৃদু হাসি দিয়ে বলে, ধরেন, দেখেন কী বলে?

ও যা বলে শুনলে আপনি তাজ্জব হবেন।

কী বলে? আপনার সাথে আমার রিলেশন।

অ্যা! অয়ন চমকায়। আপনি জানেন?

হরহামেশাই সুমন এ বিষয়ে আমাকে পেইন দেয়।

কিন্তু আপনি তো বলেননি কখন-ই।

কী বলবো? এসব কথা কি বলা যায় নাকি বলা উচিত। শুধু শুধু আপনাকে বিপদে ফেলছি। আমারই কর্তব্য ছিল আপনার সাথে যোগযোগ ছিন্ন করা। কিন্তু কী করবো বলুন? এ দুনিয়ায় কে আর আছে এভাবে আমাদের কষ্টকে চিনবে? তাই স্বার্থপরের মতো ছুটে আসি। কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলল, আমার একটা অনুরোধ রাখবেন অয়নদা?

অয়ন অপরাধীর চোখে তাকায়, ভাবি আমাকে আর লজ্জায় ফেলবেন না। কিছু করতে পারছি না সুমনের জন্যে। কত যে কষ্ট পাচ্ছি! সেই ছেলেবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি, কত স্মৃতি দুজনের, আমার মাকে মা বলে ডাকত, এক থালায় বসে খেয়েছি দিনের পর দিন, ওর কাছে আমি খুব ঋণী ভাবি, কিন্তু এখন আমি কিছুই করতে পারছি না। অয়নের চোখ টাই টাই করছে জলে।

রিমার চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসে বিন্দু বিন্দু অশ্রুকণা জমে। অয়নের মুখটাও ঘোলাটে লাগছে। আপনি একবার রাজশাহী আসুন অয়নদা। অন্তত এক দিনের জন্যে হলেও আসুন। আমি ঢাকা থাকতে গেলেই ভাল হয়। যদি ঢাকায় আনতে পারা যায়, ভালো একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাতে পারি। আমি বললে উল্টোটা ঘটবে।

ফের মোবাইল বেজে ওঠে ফের। সুমনের কল।

অনুরোধ করে রিমা, কল রিসিভ করে লাউড স্পিকার অন করেন প্লিজ।

ভেতরে দ্বিধা সংকোচ জড়িয়ে একশেষ অয়নের। কাঁপা হাতে রিসিভ বাটন টিপে কল ধরে লাউড স্পিকার অন করে। ওপাশ হতে ক্ষিপ্র কণ্ঠ নয়, বরং শিশুর মতো কান্নার শব্দ। অবশ হয়ে আসছে রিমা। কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলছে সুমন, অয়ন, দোস্ত...। সুমনের ভেতর হতে যে কান্নার ঢেকুর উঠছে তাতে মোবাইলে শাঁ শাঁ শব্দ হচ্ছে। নাক টেনেটেনে দম ফেলে ফেলে সুমন বলছে, অয়ন, তোর পায়ে ধরি, আমি তো আর বাঁচবো না। এক নজর দেখে যেতে চাই আমার বাবুকে। ওকে তুই হত্যা করিস না! ওকে তুই হত্যা করিস না! এত বড় ক্ষতি আমার করিস না! ওকে নিয়ে আফ্রিকার জঙ্গলে, না হয় এমন দেশে চলে যাবো যে দেশে ওর পরিচয় জানবে না। ওকে কেউ ঘৃণা ছুঁড়বে না। আমার মায়ের দুধের কসম খেয়ে বলছি, আমার বাবুকে বুকে চেপে এদেশ ছেড়ে চলে যাবো। এ কথাগুলো বলেই অসহায়ের মতো হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করে সুমন।

নির্বাক রিমা নিঃশব্দে উঠে দাঁড়াল।

[চলবে...]

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ) 

0 Comments

Post Comment