- 19 April, 2021
- 0 Comment(s)
- 595 view(s)
- লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
“So important is the doorway,
Occupying the throat of the mountain
Looking down from heaven,
The sun sees the Yellow river streaming …” -- ‘Transiting Tong Pass’, ওয়্যাং ঝেনিই (১৭৬৮-১৭৯৭)
নারীর জীবন কেবলই বয়ে চলার। কেবলই পথ অতিক্রম করার। আমাদের জীবনে, আমরা কেবল সহস্র রকমের সমাজ-সৃষ্ট বাইনারিতে সীমাবদ্ধ থাকতেই অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। নারী-পুরুষের বাইনারি কেবল সেই শত-সহস্র বাইনারির মধ্যে একটি বিশেষ বাইনারি মাত্র। এছাড়াও রয়েছে বিজ্ঞান ও কলাশাস্ত্রের মধ্যেকার বিরোধ, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিরোধ। এগুলিকে যদি বিরোধ বলে নাওবা চিহ্নিত করি – অবচেতনে কোথাও যেন আমরা এগুলির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা টানতে, অথবা একটি সুস্পষ্ট বিভাজনকে নির্দেশ করতে পছন্দ করি। তাই না চাইলেও বহুদিন ধরেই মনের মধ্যেটায় একটা খুঁতখুঁতুনি কাজ করছিল যে, অনেকগুলি পর্ব ধরেই আমরা মূলত ইওরোপীয় বিদূষীদেরকে নিয়েই কথা বলে চলেছি। তাহলে কি এটাই মেনে নিতে হবে যে বিজ্ঞান অথবা যুক্তির বিকাশ প্রাচ্যের তুলনায় পাশ্চাত্যেই অধিক পরিমাণে সাধিত হয়েছিল ? কালানুক্রম দিয়ে এই বিতর্ক চলে না। এর আগে আমরা গার্গী, মৈত্রেয়ী, খনা – প্রমুখকে দেখেছি, রুফাইদা আল আসলামিয়ার কথা শুনেছি। আসলে প্রাচ্যের জ্ঞানচর্চার বিষয়ে সঠিক অনুসন্ধানগুলিই ইতিহাসের গতিতে অনেকটা পরে শুরু হতে পেরেছে। যে কারণে হয়তো আমাদেরকে এই সময়ে দাঁড়িয়ে আরও বেশী করে প্রাচ্যের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তাতে নারীদের ভূমিকাকে নিয়ে সঠিক তথ্যলব্ধ গবেষণার বিষয়ে তৎপর হওয়া প্রয়োজন। ভুললে চলবে না যে, এই প্রসঙ্গে এশিয়াটিক সোসাইটির মহান প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্স ভারতে আসবার সময়ে ক্রোকোডাইল জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে উদার উন্মুক্ত ভারতবর্ষকে যেদিন প্রথম চোখের সামনে দেখেছিলেন – তাঁর কি অনুভূতি হয়েছিল। পরে ১৪ই জানুয়ারি, ১৭৮৪তে – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম প্রতিষ্ঠা-অনুষ্ঠানে তাঁর সভাপতির ভাষণে তিনি সে কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আমি যেন নিজেকে দেখতে পেলাম এক গ্রিক রঙ্গালয়ের মাঝখানে, যাকে ঘিরে রয়েছে এশিয়ার বিস্তৃত ভূখণ্ড – এই ভূমিই তো বহুবিধ বিজ্ঞানের ধাত্রী, গুরুত্বপূর্ণ ও নান্দনিক কলাবিদ্যার আবিষ্কর্ত্রী, গৌরবময় ঘটনাপ্রবাহের দৃশ্যপট, বহু প্রতিভাধর মানুষের উর্বর জন্মস্থান আর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক পরিবেশে পূর্ণ ...”
হয়তো এই অনুচ্ছেদটির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু দুটি বিশেষ কারণে এই অনুচ্ছেদটির অবতারণা না করে পারলুম না। প্রথমত, আগামী ২৭শে এপ্রিল পণ্ডিত উইলিয়াম জোন্সের মৃত্যুদিন, আমৃত্যু ভারতবর্ষ এবং এশিয়াকে ভালোবেসে চলা এই মানুষটির জন্যই আজ এশিয়ার বিষয়ে অগাধ জ্ঞানভাণ্ডারের উন্মোচন সম্ভবপর হয়েছে। এই মহান মানুষটি আমাদের শহর কলকাতাকে ভালোবেসে, এই কলকাতাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কলকাতার সাউথ পার্ক স্ট্রিটের সমাধিক্ষেত্রে আজও তাঁর সমাধি রয়েছে, উৎসাহী মানুষেরা সেই সমাধি দর্শন করে আসতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আজ যার সম্পর্কে লিখবো, সেই ওয়্যাং ঝেনিই – চীনদেশীয় জ্যোতির্বিদ, নিঃসন্দেহে প্রাচ্যদেশীয় নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু কোথাও গিয়ে মনে হল, লিখতে গিয়ে নিজেরও যখন এই প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের বাইনারির বিষয়টি মাথায় আসছে, সেই অনুভূতিকেও ব্যক্ত করা প্রয়োজন। আমরা সমস্তরকমের বাইনারির বিরোধিতা করবো। সে নারী-পুরুষের বাইনারিই হোক, অথবা প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের। মানুষের পরিচয় হবে একমাত্র তার উৎকর্ষে, তার যোগ্য অবদানে। তবেই আমরা ক্ষুদ্রকে ছাপিয়ে বিশালকে অনুভব করতে পারবো।
ওয়্যাং ঝেনিই, একাধারে তিনি কবি ও জ্যোতির্বিদ। জন্ম ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে চীনের আনহুই প্রদেশে। মৃত্যু ১৭৯৭তে, মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে – অথচ তারই মধ্যে এক বিস্ময়কর জীবন। আমরা তাঁর মায়ের বিষয়ে খুব একটা জানতে পারি না। শুধু এটুকু জানা যায় যে তাঁর পরিবার বলতে ছিলেন, তাঁর ঠাকুর্দা, ঠাকুমা এবং বাবা ওয়্যাং জিচেন। ছোটবেলাতেই তাঁর পরিবার আনহুই থেকে নানজিং প্রদেশে এসে বসবাস করতে শুরু করে। ঠাকুর্দা ওয়্যাং ঝেফু, জুয়ানহুয়া প্রদেশের প্রশাসক ছিলেন। তিনি পড়াশুনোকে মর্যাদা দিতেন এবং তাঁদের বাড়িতে তাই প্রচুর বইয়ের সমাহারে বিশাল একটি লাইব্রেরি গড়ে উঠেছিল। ওয়্যাং ঝেনিইর শিক্ষা শুরু হয় এই পারিবারিক লাইব্রেরি থেকেই। অন্যদিকে ওয়্যাংয়ের পিতা ওয়্যাং জিচেন, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে না গিয়ে চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন। চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব গবেষণা-সমৃদ্ধ একটি চারখণ্ডের গ্রন্থাবলীও সেই সময়ে প্রকাশিত হয়। সেই গ্রন্থাবলীর নাম ‘ইফ্যাং ইয়ানচাও’ (অনুবাদেঃ কালেকশন অব মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশনস)। এমন একটি পরিবেশে বড় হতে হতে ওয়্যাং ঝেনিই তাঁর ঠাকুর্দার কাছে প্রথম জ্যোতির্বিদ্যার পাঠ নিতে শুরু করেন। ঠাকুমার কাছে তিনি কাব্যশিক্ষা করেন, এবং তাঁর পিতৃদেব তাঁকে শেখাতে থাকেন ভূগোল, অঙ্কশাস্ত্র এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান।
১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ঠাকুর্দা ওয়্যাং ঝেফুর মৃত্যুর পরে ওয়্যাং ঝেনিইর পরিবার জিলিং প্রদেশে চলে আসে। এখানে চীনের প্রাচীরের কাছেই ওয়্যাং ঝেফুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এরপর এই জিলিং প্রদেশেই পাঁচ বছরের জন্য থেকে যায় ওয়্যাং ঝেনিইর পরিবার। এখানেই তাঁর ঠাকুর্দার সংগৃহীত সমস্ত বই থেকে ওয়্যাং ঝেনিই ক্রমশ ধনুর্বিদ্যা, অশ্বারোহণ এবং মার্শাল আর্টসে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। শোনা যায় এক মঙ্গোলীয় যোদ্ধার কাছ থেকে তিনি মার্শাল আর্টস শেখেন। এরপর ষোল বছর বয়সে বাবার সঙ্গে ওয়্যাং ঝেনিই ইয়াংজে অববাহিকার আরও দক্ষিণে চলে আসেন। পথে তিনি শাংক্সি, হুবেই এবং গুয়াংডং ভ্রমণ করেন। এই সমস্ত শহরগুলি থেকেও তিনি নানা বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। আঠেরো বছর বয়সের পর থেকেই ক্রমশ, প্রথমে তাঁর কবিতার মাধ্যমে তিনি জিয়ানজিং প্রদেশের অন্যান্য বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করেন। এখানেই ওয়্যাং ঝেনিই গণিতবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যাকে নিয়ে আবারও নতুন করে পড়াশুনো শুরু করেন। পঁচিশ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয়। বিবাহ-পরবর্তীতে তিনি একাধিক পুরুষ ছাত্রকেও অঙ্ক এবং জ্যোতির্বিদ্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
মাত্র ঊনত্রিশ বছরের জীবন, কিন্তু তার মধ্যেও প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় নিজেকে চিনিয়েছিলেন এই মহীয়সী। মহাবিষুব এবং জলবিষুবের মতো দুটি মহাজাগতিক ঘটনার বিষয়ে তিনি ‘ডিসপিউটস অব দ্য প্রসেশন অব দ্য ইকুয়িনক্সেস’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। দুই বিষুবের গতিপ্রকৃতি এবং তাদের সময় ও গতিপথ নির্ধারণের বিষয়ে তিনি পারদর্শী ছিলেন। মহাবিশ্বে নক্ষত্রের সংখ্যা, সূর্য এবং চাঁদের ঘূর্ণনপদ্ধতি, এমনকি শুক্র, বৃহস্পতি, মঙ্গল, বুধ এবং শনিগ্রহের অবস্থান এবং তাদের ঘূর্ণনপ্রকৃতির বিষয়েও তিনি জ্ঞাত ছিলেন। বিশেষ ভাবে তিনি সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণের বিষয়দুটিতে উৎসাহী ছিলেন। এমনকি নিজের বাড়ির বাগানে গোলাকৃতি একটি টেবলের উপরে লন্ঠন বা মোমবাতি জ্বালিয়ে, বিভিন্ন ব্যাসার্ধের গোলক এবং একটি দর্পণের সাহায্য নিয়ে তিনি গ্রহণের বিষয়টিকে হাতেকলমে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিলেন। এই অধীত পারদর্শীতাই ভাষায় লিপিবদ্ধ হয়েছিল তাঁর প্রবন্ধ ‘দ্য এক্সপ্ল্যানেশন অব সোলার এক্লিপস’-এর পাতায়। গণিতবিদ্যার ক্ষেত্রে ওয়্যাং ঝেনিই ত্রিকোণমিতি এবং জ্যামিতিতে পারদর্শী ছিলেন। পিথাগোরাসের উপপাদ্য সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন। এর উপরেও তিনি ‘দ্য এক্সপ্ল্যানেশনস অব পিথাগোরিয়ান থিওরেম এ্যান্ড ট্রিগনোমেট্রি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। গণিতবিদ্যার বিষয়ে ওয়্যাং ঝেনিই, তাঁর পূর্বসূরী মেই ওয়েন্দিংয়ের অনুরাগী ছিলেন। কুয়িং রাজতন্ত্রের আমলে এই মেই ওয়েন্দিং ‘প্রিন্সিপলস অব ক্যালকুলেশন’ নাম্নী একটি গ্রন্থ রচনা করেন। অধ্যাপক মেই ওয়েন্দিংয়ের এই গ্রন্থটিকে ওয়্যাং ঝেনিই পুনরায় সহজবোধ্য ভাষাতে প্রকাশ করেন। এই পরিমার্জিত গ্রন্থটির নাম হয় ‘দ্য মাস্টস অব ক্যালকুলেশন’। ছাত্রমহলে মেই ওয়েন্দিংয়ের বইটিকে তাঁর সহজবোধ্য পুনর্লিখনের সাহায্যে ওয়্যাং ঝেনিই আরও জনপ্রিয় করে তোলেন। অভিজ্ঞজনেরা নিশ্চিত বুঝবেন বিষয়ের ব্যুৎপত্তি সম্পর্কে কতখানি পারদর্শীতা থাকলে, তবে একটি বিজ্ঞানগ্রন্থকে তথ্যবিকৃতি না ঘটিয়ে আরও সহজবোধ্য ভাষাতে সাধারণের জন্য পুনর্লিখন করা চলে। চব্বিশ বছর বয়সে ওয়্যাং ঝেনিই প্রকাশ করেন গণিত বিষয়ে তাঁর আরও একটি গ্রন্থ, যার নাম হয় ‘দ্য সিম্পল প্রিন্সিপলস অব ক্যালকুলেশন’।
এও ভাবতে অবাক লাগছে যে - গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, ও কবি ওয়্যাং ঝেনিই যে সময়ে চীনদেশে কর্মরত – সেই একই সময়ে ভারতবর্ষে এসে পড়েছেন স্যার উইলিয়াম জোন্স। এই ধারাবাহিক রচনাটির ক্ষেত্রেও কত দ্রুত আমরা সময়কে পেরিয়ে এসেছি। ... আমরা উপলব্ধি করেছি যে ওয়্যাং ঝেনিইর চরিত্রের মধ্যেও ছিল এক মহান পণ্ডিতের সমতুল এক তীব্র দর্শনক্ষমতা। এই দর্শনক্ষমতা যা কেবল তাঁর পূর্বের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার বিষয়েই কেবল প্রকাশিত হয়নি – মূর্ত হয়ে উঠেছে তাঁর কবিতার পংক্তিগুলিতেও। এক গ্রামীণ জীবনের কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন,
“গ্রাম থেকে আর রান্নার ধোঁয়া উঠছে না,
বড়লোকেরা তাদের শস্যকে জমা করে রেখেছে, আর পচিয়েছে,
ঘুণ ধরে গেছে মানুষের চেহারাতে, কঙ্কালসার হয়েছে তারা,
তবুও লোভী অফিসারেরা ট্যাক্স বসাতে চেয়েছে ...”
[স্বকৃত অনুবাদ]
হ্যাঁ, অষ্টাদশ শতাব্দীতে লেখা এক চৈনিক পুরনারীর বক্তব্য। যাঁরা পর্যবেক্ষণে সক্ষম, কোনোকিছুই তাঁদের দৃষ্টিকে এড়িয়ে যেতে পারে না। তাঁদের অনুভূতি, তাঁদের অনুভব – সর্বত্র চলাফেরা করে। তিনি তাঁর আরও একটি কবিতাতে লিখেছিলেন,
“আমাদের বিশ্বাস করা উচিত,
যে নারীও পুরুষেরই সমান,
তোমরা কি এখনও নিজেরা নিশ্চিত হয়ে উঠতে পারোনি ?
যে আমাদের মেয়েরাও আজ, সমানভাবে গৌরবশালিনী হবার যোগ্য ?” [স্বকৃত অনুবাদ]
ওয়্যাং ঝেনিই বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষা এবং বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে দীর্ঘদিন নারীকে অপাংক্তেয় করে রাখা হয়েছে। তাই তিনি বলেছিলেন, নারী ও পুরুষ প্রত্যেকেই মানুষ – আর কেবল মাত্র সেই কারণেই প্রত্যেকেরই শিক্ষার সমান অধিকার রয়েছে। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন, শুক্রগ্রহের উপরে একটি গহ্বরকে ওয়্যাং ঝেনিইর নামে নামাঙ্কিত করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রয়াত হন উইলিয়াম জোন্স। ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে মারা যান ওয়্যাং ঝেনিই। তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না। কেবল জ্ঞানান্বেষণের পবিত্র কর্তব্যে তাঁরা নিজেদেরকে নিজেদের মতো করে নিয়োজিত করেছিলেন। পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। একেকজন এমন মানুষ, একেকজন এমন মহীয়সী, তাঁদের সমস্ত কাজের মাধ্যমে, তাঁদের অসাধারণ একেকটি অবদানের মাধ্যমে – অন্তরালে থেকেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন। কেবল অনেক বছর পরের কোনও এক পৃথিবীতে, কোনও আরেক অনুসন্ধিৎসু পাঠক বিস্ময় ভরে তাঁদের লেখা পড়বেন বলেই তাঁদের অস্তিত্বের সার্থকতা। তাঁরা আসলে কেবল মানুষকে মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করেন।
সূত্রঃ
১) উইলিয়াম জোন্স, ‘এশিয়াঃ মানব ও প্রকৃতি’, (অনুবাদঃ অমিতা চক্রবর্তী) এশিয়াটিক সোসাইটি, সেপ্টেম্বর, ২০১১
২) বারবারা পিটারসন বেনেট, ‘নোটেবল উইমেন অব চায়নাঃ শাং ডাইন্যাস্টি টু দ্য আর্লি টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি’, নিউ ইয়র্ক এম. ই. শার্প, ২০০০
৩) ইয়ু উ শেন, ‘ফিমেল সায়েন্টিস্টস ইন কুয়িং ডাইন্যাস্টি’, ঝেইজিয়াং এডুকেশন প্রেস, ২০১১
৪) জিগ্যাং লি, ‘হিস্ট্রি অব আনহুই’, পৃষ্ঠা ৬৭১ (উইকিপিডিয়া)
৫) লিলি ঝিয়াও হং লি, ‘বায়োগ্রাফিক্যাল ডিকশনারি অব চাইনিজ উইমেনঃ দ্য কুয়িং পিরিয়ড ১৬৪৪-১৯১১’ এম. ই. শার্প
0 Comments
Post Comment