- 15 July, 2021
- 1 Comment(s)
- 929 view(s)
- লিখেছেন : সরিতা আহমেদ
পোষাক জিনিসটার সৃষ্টি মানুষের আব্রু হিসেবে শুরু হলেও কালক্রমে তা মানুষের রুচি, সামাজিক অবস্থান ও পারিবারিক সংস্কৃতির পরিচায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবকিছুরই বিবর্তন পরিবর্তন হলেও মেয়েদের পোষাকবিধি নিয়ে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির আজও পরিবর্তন যে হয়নি তা এই একুশ শতাব্দীতেও পদে পদে মেয়েদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষত সেই মেয়ে যদি কর্মরতা হয়, বাসে-ট্রেনে বাইরে যাতায়াত করে, পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রোজগার করে— তবে আলাদা করে তার চলনবলনের সাথে পরিধানের বিষয়টিও সমাজ নামের খুড়োর কলের নীতিবাগীশ চালকেরা নির্ধারণ করে দেয়।
ঘটনাটি আমার চাকরিজীবনের গোড়ার দিকের। আজ থেকে বছর দশেক আগের। গ্র্যাজুয়েশনের পরে হুগলীর এক গ্রামের স্কুলে ইংলিশের দিদিমণি হয়ে চাকরিতে সবে ঢুকেছি। দূরশিক্ষা মাধ্যমে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করছি। তখনো কর্মস্থলের কাছাকাছি কোনও হস্টেল, পেইংগেস্ট, মেস কিংবা ঘর ভাড়া কিছুই পাইনি। বর্ধমানে মাসীর বাড়ি থেকে রোজ যাতায়াত। মনে আছে প্রথমবার স্কুলের ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে বিরাট তিনতলা বিল্ডিং দেখে আমি যতটা অবাক হয়েছিলাম, আমার পোশাক দেখে স্কুলের বয়ঃজেষ্ঠ ‘অভিভাবকরা’ও ঠিক ততটাই অবাক হয়েছিলেন।
কারণ সেটি ছিল—চুড়িদার। ‘এই মেয়ে স্কুলের দিদিমনি হবে! দিদিমনিরা সালোয়ার-কামিজ পরে?’— গোছের বিস্ময় ছিল চোখেমুখে।
যাইহোক, যেহেতু শিক্ষিকার পোষাকবিধি নিয়ে একটা প্রাথমিক আন্দাজ ছিলই, তাই শাড়ি পরেই কাজে যোগ দিয়েছিলাম। রিকশ, ট্রেন, অটো ইত্যাদিতে টানা যাতায়াতও করেছি। তখন প্রায়দিন কাগজের হেডলাইন হত নানা স্কুলে শিক্ষিকাদের পোষাকের ‘শালীনতা’ নিয়ে বিক্ষোভ। সেসব নিয়ে রসালো চর্চাও হত স্কুলের স্টাফরুমের আলো-আঁধারিতে। সেখানে স্কুল সার্ভিসের মাধ্যমে আসা শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন লক্ষ্মণরেখা টানা ছিল আপাত ছিমছাম হৈচৈয়ে ভরা বিদ্যানিকেতনের অলিন্দে। তাদের আলাদা স্টাফরুম, আলাদা লবি, আলাদা রাজনীতির ঘাঁতঘোঁত। তবুও নতুন শিক্ষিকাদের নিয়ে টিপ্পনীগুলো কীভাবে যেন দরজা-দেওয়ালের প্রাচীর ভেঙে আমাদের কানে ঠিকই চলে আসত। রাগ হত, কিন্তু প্রমাণের অভাবে অপমানগুলো সহ্য করা ছাড়া উপায়ও ছিল না।
ভাড়াবাড়ি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেরোল সেই মহার্ঘ্য নির্দেশ— সালোয়ার কামিজ মোটেও কোনও অশালীন পোষাক নয়, কোনো শিক্ষিকাকে পোষাক বিধি নিয়ে অযথা হয়রানি করা চলবে না। এই সুখবরটা যেদিন বেরোল সেদিনই একজন সিনিয়র দিদি প্রথম আমাকেই বললেন, ‘এবার তো অন্তত খোলামনে বাঁচো। চলো হেডস্যারের কাছে গিয়ে বলি। কেউ পাশে থাকুক না থাকুক আমি থাকব।’ জানি না এরকম সাপোর্টিভ ও বড় মনের সিনিয়র কলিগ ক’জনের ভাগ্যে জোটে! আমার অবদমিত ইচ্ছের ধুনোয় বাতাস দেওয়ার মূল হোতা ছিলেন ওই দিদি।
কিন্তু খোলামনে বাঁচব বললেই তো বাঁচতে দেওয়া হয় না মেয়েদের। এরমধ্যেই কাছাকাছি স্কুলের এক শিক্ষিকাকে কিছুদিন আগেই স্কুল থেকে সাসপেন্ড করেছে পোষাক ফতোয়া নিয়ে। অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রীরাও নাকি খুব ক্ষুব্ধ। কেস চলছে। আমাদের মধ্যে সুপ্রিম আদেশ যেমন আশার বাতি জ্বালিয়েছিল, তেমনি আইন-আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহিলাদের উপর সমাজের ঠিকাদারদের মানসিক হয়রানির খবরগুলো হতাশও করছিল সমানতালে। তারমধ্যেই একদিন জনা চারেক শিক্ষিকা হেডস্যারের কাছে আমাদের চুড়িদার পরে ক্লাস নেওয়ার ইচ্ছেটা জানালাম। এটা জানাবার মত কোনো বিষয় না। কিন্তু তবু প্রাচীন প্রথার অবসান ঘটিয়ে নতুন কিছুর শুভারম্ভটা হুট করে করতে চাইছিলাম না অনেকেই। স্কুলের পরিবেশ, বাচ্চাদের উপর প্রভাব— সবদিক বাঁচিয়ে গণতান্ত্রিক মৌখিক আলোচনার মাধ্যমেই এগোনো ভাল বলে মনে হয়েছিল। বলাবাহুল্য আমাদের সেই আলোচনা পত্রপাঠ খারিজ হল এই বাক্যবন্ধ দিয়ে— “ দেখ, তোমরা আমাদের ঘরের লক্ষ্মী। শাড়িতেই মানায় আদর্শ নারী।”
তবে আমাদের বিদেয় দেওয়াতেই বিষয়টি মিটল না। পরদিন ক্লাসেও শুনলাম বাচ্চাদের মধ্যে গুঞ্জন। দুই মেয়ে কিছু একটা নিয়ে বেশ তর্ক করছে চাপাস্বরে। ক্লাস থামিয়ে অগত্যা তাদের ঝগড়া মেটাতে নামলাম। কী ব্যাপার?
“দেখুন না দিদি, ও তখন থেকে বাজে কথা বলছে।“
কী কথা ?
ছাত্রী চুপ। অনেক সাধ্যসাধনার পরে অত্যন্ত কুণ্ঠিত স্বরে সে জানাল একজন বয়ষ্ক শিক্ষক নাকি টিপ্পনী কেটে বলেছেন ‘এবার স্কুলটা তোদের দিদিমনিদের ফ্যাশান দেখানোর জায়গা হবে। ওনারা খুকি সেজে স্কুলে আসবেন।’
সরাসরি হেডস্যারের কাছে অভিযোগ জানাতেই উলটে আমাদেরকেই কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন— “পাশের স্কুলে কী কী হয়েছে জানো নিশ্চয়। তোমরা সব বাইরে থেকে চাকরি করতে আসছ। রাস্তার বাঁকে কেউ যদি আক্রোশের বশে কিছু অঘটন ঘটায়— তার দায় কিন্তু স্কুল নেবে না। গ্রামের লোক যদি খেপে যায়, তখন বাচ্চাদের গার্জেনদের রাগ থামাতে পারবে তো?”
বুঝলাম ঝড় একটা আসছে এবং সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে গেলে প্রথমেই বাচ্চাদের মতামত নেওয়া জরুরি। পড়ানোর ফাঁকেই সব ক্লাসের ছেলেমেয়েদের এই পোষাক ফতোয়া নিয়ে গল্পের ছলে নানা মতামত আদায় করলাম। জানা গেল ‘ছাত্র বা লোক খেপানো’র ভয়টা স্রেফ মিথ্যা জুজু। বড়দের চেয়ে অনেকগুণ বেশী মানবিক ছোটরা। চুড়িদার কিংবা শাড়ির ভাঁজে তারা তাদের দিদিমনিদের সম্মান গুঁজে রাখে না। আমরা থাকি তাদের হৃদয়ে।
এরপর যেদিন আমরা তিনজন সটান চুড়িদার পরে স্কুলে ঢুকলাম ছেলেমেয়েদের চোখে ছিল বিষ্ময় আর সম্ভ্রম। অন্যদিকে বয়ষ্ক শিক্ষকদের চোখে তখন প্রকট রাগ ও বিরক্তি। সারাটা দিন গোটা বিদ্যালয় ভবনের বাতাস ভারী হচ্ছিল। যদিও ছাত্রছাত্রী কিম্বা অভিভাবকদের তরফে কোনো ঝামেলা উপস্থিত হয়নি তবু আমাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের নোটিশ বোর্ডে স্কুলের অন্দরমহল থেকে আগত দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিল পুরোমাত্রায়। এরমধ্যে আমি কিছু মিডিয়াকে বিষয়টা জানিয়ে রেখেছিলাম। বিরোধিতার আবহাওয়া এবং থ্রেটগুলোর ব্যাপারে ওনারা সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
ক’দিন বাদে এক অনুষ্ঠানে শাড়ি পরে স্কুলে গেছি। সিঁড়ি দিয়ে উঠছি, ওদিক থেকে একজন শিক্ষক নামছেন। পাশ দিয়ে যেতে যেতে ফুট কাটলেন “এই তো! আজ চুড়িদার ছেড়ে শাড়ি পরেছেন। ক্যামন সুন্দর দেখাচ্ছে দিদিমনিকে!” মনে পড়ল এই ব্যক্তিই বাচ্চাদের ক্লাসে অত্যন্ত কু-ইঙ্গিতে বলেছিলেন ‘দিদিমনিরা অশালীন পোষাকে ফ্যাশনে নামবেন,... খুকি সাজবেন’...ইত্যাদি।
“তাই! সামনে থেকে নাকি পেছন থেকে – কোন অ্যাঙ্গেলে দেখলেন ?” রিফ্লেক্স অ্যাকশানের তুরীয় গতিতে আমার বাচাল মুখ দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে গেল কথাটা।
সামনে উনি মরা মাছের দৃষ্টি নিয়ে আমায় মাপছেন , ওদিকে বাচ্চাকাচ্চাদের আনাগোনা, আর এদিকে আমার মাথায় তখন আগুন জ্বলছে। শমন আসতে দেরি হল না। আমার নামে ম্যানেজিং কমিটির কাছে নাকি ‘মানহানী’র রিপোর্ট হয়েছে।
পরদিন রীতিমত খাপ বসল ম্যানেজিং কমিটির সভায়। চুড়িদার-বিরোধী পক্ষর সাথে আমাদের তর্ক হল নিম্নরূপ—
১। পাড়ায় প্রচুর নিন্দেমন্দ হচ্ছে চুড়িদার পরা দিদিমনিদের নিয়ে। রাস্তায় যদি হেনস্তা হয় তাহলে কিন্তু সেটা শিক্ষিকাদেরই সইতে হবে। স্কুল কোনও দায় নেবে না।
- শিক্ষক অশিক্ষক সবরকমের স্টাফের সাথে স্কুল অথারিটি জড়িয়ে আছে। কাউকে যদি বিনা কারণে স্কুলপাড়ায় হেনস্তা করা হয় তাহলে আইনের ফাঁসে স্কুল জড়িয়ে পড়বেই। আর যদি কেউ দায় ঝেড়ে ফেলতে চায় তার মানে সেইই ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান এসব হয়রানির আসল কারিগর। তখন আদালতে দেখা হবে।
২। আদালত অনেক কিছুই আদেশ, নির্দেশ দেয়। কিন্তু সবকিছু কি আর হাতেকলমে করতে হয়? সমাজেরও তো নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে নাকি?
- কেউ যদি আদালতের রায় না মেনে নিজেদের খেয়ালখুশি মর্জি মাফিক হুকুম চালায়, অথবা আইন নিজ-হাতে তুলে নেয়, কিংবা অপদস্ত করে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘আদালত অবমাননা’র দায়ে কেস হয় সেটা জানা আছে কি?
৩। আপনাদের শাড়িতে এত আপত্তি কিসের? চিরকাল তো দেখে এলাম ,আপনারাও দেখেছেন মহিলা শিক্ষকদের একটা অলিখিত ড্রেসকোড থাকে— শাড়ি। তাহলে আপনাদের কেন অসুবিধা?
- আমরা তো একবারও বলিনি আপত্তি আছে বলে। হ্যাঁ, যাতায়াতের পথে অসুবিধাটা অবশ্যই আছে, ছিলও। তা নিয়ে কোর্ট-রুম চত্ত্বরে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তিতর্ক হয়ে গেছে উকিলে উকিলে। এবার রইল ‘অলিখিত ড্রেসকোড’— সেটার ভিত্তি ও যুক্তিটা কীসের? শিক্ষিকাদের পোষাক বিধিটা কোথায় জানানো আছে? নাকি ‘অলিখিত’ শব্দের আড়ালে আপনাদের নিজস্ব ইচ্ছে-অনিচ্ছেটাই চাপাতে চাইছেন সুপ্রিম আদেশকে অমান্য করে?
৪। শাড়ি বা চুড়িদার কোনটা অশালীন না হলেও- এটা তো মানবেন যে, চুড়িদার তো অনেকটাই আধুনিক পোষাক। স্কুলের মত পবিত্র জায়গায় হাল ফ্যাশানের পোষাক ঠিক...
- আমরা তো নাকি চিরকাল ট্র্যাডিশানাল পোষাক শাড়ি পরেই ঘরে-বাইরে সামলেছি। আধুনিক হওয়ার জন্য একবারও জেহাদ করিনি। তাহলে আপনারা কেন এতগুলো বছর ধরে শার্ট-প্যাণ্টের মত আধুনিক এবং ওয়েস্টার্ন পোষাক পরে মাস্টারি করছেন? ধুতি–ফতুয়া তো ভারতের আদর্শ পুরুষালি পোষাক ছিল। সেটা পরে আসুন, আমরাও শাড়িতে ফিরব। নিজেদের মধ্যে বৈষম্য রাখলে বাচ্চারা কী শিখবে বলুন!
আমার এই শ্লেষের জবাব শুনে এতক্ষণ ধরে হালকা চালে বলা কথার ভার হঠাৎ যেন গম্ভীর হয়ে গেল। একটা অন্তর্ভেদী কটাক্ষের সাথে হেডস্যারের তীব্র ব্যাঙ্গক্তি ছিটকে বেরোল—
—‘গত এগারো মাস ধরে মমতা ব্যানার্জী শাড়ি পরে রাজ্য চালিয়ে ফেললেন, আর এরা নাকি শাড়ি পরে স্কুল করতে পারবে না!! যত্তসব ন্যাকামো’।
মাথার দুপাশের রগ দপদপ করলেও যথাসম্ভব শান্ত স্বরে বললাম,— “এগারো মাসটাই দেখলেন স্যার! ওদিকে আপনাদের পছন্দের দল যে চৌত্রিশ-টা বছর ধরে ধুতি-ফতুয়া পরে রাজ্য চালিয়ে ফেলল— তাদের মনে রাখলেন না!! আমাদের যেমন দিদির কাছে শাড়ি-মাহাত্ম্য শেখার আছে, আপনারাও তো দাদাদের থেকে দিশি পুংপোষাক মাহাত্ম্য শিখলে পারতেন। স্কুলে জাতীয়তাবাদের সাথে লিঙ্গসাম্যেরও একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত। যাহোক এতকাল যা হয়নি, কাল থেকে শুরু করি আসুন।”
পরের ঘটনা অতি সংক্ষিপ্ত। জোঁকের মুখে নুন পড়েছিল বলেই সেদিনের খাপ দ্রুত পাততাড়ি গুটিয়েছিল। আমাদেরও আর কেউ ঘাঁটায়নি।
যেটা বলার জন্য ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ, তা হল সজাগ থাকা। শিক্ষিত হলেই যে সচেতন হয় সবাই— তা কিন্তু নয়। একটা সত্তর বছরের স্বাধীন দেশে লিঙ্গবৈষম্যের ভিত্তিতে মধ্যযুগীয় হান্টার চালানোটা অন্যায় শুধু না অপরাধও। এর বিরোধিতার সচেতনতাই প্রধান হাতিয়ার। আমাদের চারপাশে চাকুরিরতা প্রচুর আছেন, কিন্তু নিজের অধিকার নিয়ে, বৈষম্য নিয়ে সচেতন ক’জন! এমনিতেই মেয়েদের জন্য সমাজ, রাষ্ট্র, আইন আদালতের দুয়ার হাজারো কাঁটায় সাজানো। অধিকার নিয়ে লড়াইটা মেয়েদের জন্মের সাথেসাথেই শরীরে লেপ্টে যায়। সেখানে যে দু’একটা রায় মেয়েদের বৈষম্য দূরীকরণের অধিকারে অক্সিজেন জোগায় সেগুলো সম্বন্ধে শিক্ষিত মেয়েদের ওয়াকিবহাল হতে হবে। সচেতনভাবে সেগুলোকে প্রয়োগ করতে হবে লড়াইয়ের ময়দানে। এমন যেন না হয় যে, তূণে সবরকমের তীরই পর্যাপ্ত ছিল— শুধু ধনুকটা চালাতে শিখিনি বলেই রণে ভঙ্গ দিতে হল।
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, কবি
ছবি: সংগৃহীত
1 Comments
শৌভিক সান্যাল
15 July, 2021
আমি লেখাটা, একবার নয়, তিন তিন বার পড়লাম। দারুন চপেটাঘাত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অলিখিত ফতোয়ার বিরুদ্ধে। যা, আজও চলছে সমান তালে।
Post Comment