ঘেরাটোপ (পর্ব-৩)

  • 23 May, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 243 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
 অনেক দূর থেকে একটা ঘন নীলের পরত। ক্রমশ এগিয়ে আসছে। বোম্মাইয়ের অভিজ্ঞ চোখ দেখে বুঝতে পারে। পুব দিক থেকে কালো মেঘের জমায়েত শুরু হয়েছে। যদিও তা মাথার উপরে আসতে এখনও দেরি অনেক। তবু মেঘ আসছে। রোদের তেজ এখনও খুব। কিন্তু দিগন্তে ওই ভারী নীলের আভাস মেজাজী এক পরিবেশ তৈরি করেছে। আলো-আঁধারির এক অসামান্য সুর। বোম্মাইয়ের কানে যেন নূপুরের বাজনা বেজে ওঠে। মেঘ আসছে। আলোর দিকে আঁধার আসছে। হাওয়া পড়ে গেছে একেবারেই। বোম্মাই মাটিতে নাক ঠেকায়। গন্ধ নিতে চেষ্টা করে। হিসেবে ভুল হয়নি তার। (ধারাবাহিক রচনা, পর্ব ৩)

[৩]

 

আকাশ কালো করে এসেছে। বোম্মাই দিগন্তের দিকে দেখছিল। সবুজ মখমলে ঢাকা মাঠ বহুদূরে গিয়ে যেখানে আকাশে মিশতে চায়, ঠিক সেই জায়গা থেকেই ঘন নীলের আরম্ভ। বোম্মাই মনে মনে ভাবছিল। পূর্ণিমার শহর থেকে ফিরতে রাত হবে। সেই কোন সকালে উঠে তাকে বেরতে হয়েছে। তবু সে যাবার আগে বোম্মাইয়ের দুপুরের খাবার দিয়ে যেতে ভোলেনি। মাঠের কাজ পরিশ্রমের। বোম্মাইয়ের পিঠ বেয়ে, হাত বেয়ে ঘাম ঝরে পড়ে। দক্ষিণী গরমকাল। ভ্যাপসা ভাব বাংলাকেও টেক্কা দেয়। বোম্মাই কপালের ঘাম মোছে। সে মনে মনে ভাবে, তবু তো আজকাল মানুষের মতো কাজ জুটছে। বোম্মাইয়ের বাপ-ঠাকুর্দারা ভাবতে পারত এসব? যতই আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে বন্ধুমাধবের ‘বিষের রুটি’ অথবা দলিত প্যান্থার দলের ইতিহাস নিয়ে শহুরে, শিক্ষিত মানুষেরা হাতাহাতি-লাফালাফি করুক, নিজে নায়কন হয়ে বোম্মাইরা হাড়ে হাড়ে জানে, এই কাট্টুনায়কন জনজাতির একজন সদস্য হয়ে আজকেরও এই তামিল সমাজব্যবস্থায় টিকে থাকা বলতে কি বোঝায়। এখনও – এই আজকের সময়েও, সেই উপলব্ধির কোনও পরিবর্তন নেই। বোম্মাইরা তবু বিরক্ত হয়ে, ক্ষুব্ধ, অবসন্ন হয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে না। এদেশের মানুষ সহিষ্ণু। তারা মুখ বুজে, পিঠ পেতে মার খাবে, পেটের দেওয়াল পিঠে গিয়ে ঠেকবে, তবুও তারা মুখ খোলবার সাহস দেখাবে না। সে অধিকার ভারতীয় সমাজে নেই। কারণ তারা পূর্বজন্মে বিশ্বাস করে আসা মানুষ। অদৃষ্টকে তারা বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে পূর্বজন্মের কোনও অন্যায়ের কারণেই এজন্মে তাদের এই দুঃখভোগ। এই বলে তারা নিজেদের শান্ত রাখে। অন্যায়কে পিঠ পেতে নিয়ে চলতে চায়। অস্পৃশ্যতার চরম অভিশাপটুকুর বদলে, অর্ধেক মজুরিতে হলেও স্রেফ একটু মুনিশ খাটবার অধিকার, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উচ্চবর্ণের জুতোর তলা থেকে যৎসামান্যের চেয়েও যৎসামান্য মজুরিটুকুকে কুড়িয়ে-খাবলে তুলে নেওয়ার অধিকার, এইটুকুকেই তারা অনেক বলে মনে করতে চায়। এর বেশি তাদের চিন্তার সুযোগ নেই।

 

পূর্ণিমা বাসে বসে অপেক্ষা করছিল। ছাড়তে এখনও দেরি আছে খানিক। চেন্নাই শহরে যাতায়াত করতে গেলে টানা এই দু’বারের বাস বদল। পূর্ণিমার ক্লান্ত লাগতে শুরু করে। তবু সে নিজেকে গুছিয়ে নেয়। রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মোছে। সে যা হোক, আজকের কাজটা তো মিটেছে ভালোভাবেই। কেবল আধারের ব্যাপারটা, যদিও আজকাল নাকি অনলাইনেই ওসব করে ফেলা যায়। অন্তত সরকারি অফিসের লোকটাও তো তেমনই বলল পূর্ণিমাকে। গ্রামে ফিরে নাহয় বোম্মাইয়ের ফোন থেকে রাজাপ্পা অথবা কার্থিক কারোকে দিয়ে কালপরশুর ভিতরেই সে কাজটা করে ফেলবে। দেরি করে ফেলে রাখবে না। পূর্ণিমা মনে মনে স্থির করে নেয়। যদিও আরও একদিন তাকে চেন্নাই আসতে হবে। সেও তো এখন দিন পনেরোর আগে তো নয়। তারই মধ্যে কাজটা হয়ে যায় যদি। পূর্ণিমা এবারে মনে মনেই নিজেকে ধমক দেয়। এত চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। দেবী জাকাম্মা যখন তাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন তাহলে বাকিটুকুও তিনিই উতরিয়ে দেবেন। সে হাতজোড় করে কপালের মাঝখানে ঠেকায়। বাসে ওঠার আগে অল্পদামে সরকারি ক্যান্টিন থেকে পেট ভরে পড্ডু-সম্বর খেয়ে নিয়েছে পূর্ণিমা। একটা স্বস্তির শ্বাস পড়ে। সে নিজের পরনের লাল শাড়িটাকে ভালো করে দেখে। বোম্মাই তাকে খুব ভালোবাসে। সে আঁচলের উপর হাত বোলায়।

 

গতবার নতুন বছরে এই শাড়িটা বোম্মাই তাকে শহর থেকে এনে দিয়েছিল। পূর্ণিমা রাগ করে বলেছিল, “এনে তো দিলে, তাহলে এ’মাসে মহাজনের সুদ কে গুণবে?” বোম্মাই তার গলা জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিয়ে বলেছিল, “হুহ, ওই মহাজনকে আমি থোড়াই কেয়ার করি। বলে এসেছি তো, এ’মাসে সুদ দিতে পারব না।” পূর্ণিমাও পালটা গলা জড়িয়ে ধরে বলেছিল, “খুব তো সাহস, একেবারে ভৈরব হয়ে উঠেছো যে কত্তামশাই!” কিন্তু পূর্ণিমাও জানত এই সুদ না দেওয়ার জন্য অন্তত দু-থেকে-চার দিন বোম্মাইকে বিনা মজুরিতে মহাজনের বাড়ি মজুরি খেটে দিতে হয়েছে। গোয়াল সাফ করা থেকে শুরু করে মুরগির ঘর পরিষ্কার করা, সবকিছুই। তবুও সে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। সে জানে জিজ্ঞেস করলে বোম্মাইয়ের ভালোবাসাকে ছোট করা হবে। কেবল যেদিনগুলো মাঠের কাজের পর, আরও অনেক রাত করে বোম্মাই ফিরেছে, গা শুঁকে তার দেহ থেকে পূর্ণিমা মুরগির বিষ্ঠার গন্ধ পেয়েছে। সে মুখে কিছু বলেনি। কেবল স্নানের পর নিজে হাতে বোম্মাইয়ের হাত, পা, পিঠ ডলে ডলে মুছিয়ে দিয়েছে। অল্প একটু তেল মাখিয়ে দিয়েছে। সাততাড়াতাড়ি ঘরের প্রদীপ নিভিয়ে যতটুকুকে কেবল ওই পলতের ভিতর ধরে রাখা যায়, ঠিক সেইটুকুই। মনে পড়ে পূর্ণিমার। তারপর পূর্ণিমা সারা রাত ধরে সেই তেলতেলে গায়ের গন্ধ নিয়েছে। বোম্মাইকে সে ভালোবাসে। হঠাৎই এক কর্কশ কণ্ঠে তার সম্বিৎ ফিরে আসে। পূর্ণিমা কণ্ঠস্বরের মালিকের দিকে তাকায়।

 

বোম্মাই সারি দিয়ে ধানগাছের চারাগুলো রুয়ে যাচ্ছিল। তার হাতেপায়ে কাদার ছোপ। গোড়ালির উপরে জল। সে ধান রুইছিল। ভ্যাপসা মাটির গন্ধ নাকে এসে লাগে। সে কপালে হাত দিয়ে ভেজা ঘাম মোছে। মনে মনে ঠিক করে নেয়, আর দুই সারি রুয়ে নিয়েই হাতমুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসবে। বেলা হয়ে গেছে অনেক। আকাশ ঝকঝকে নীল, দু-এক পশলা সাদা মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে অলসতায়। সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়না। কেবল ঝকঝকে নীলের বুকে ধবধবে সাদার আমেজ চোখের আরাম দেয়। অনেক দূর থেকে একটা ঘন নীলের পরত। ক্রমশ এগিয়ে আসছে। বোম্মাইয়ের অভিজ্ঞ চোখ দেখে বুঝতে পারে। পুব দিক থেকে কালো মেঘের জমায়েত শুরু হয়েছে। যদিও তা মাথার উপরে আসতে এখনও দেরি অনেক। তবু মেঘ আসছে। রোদের তেজ এখনও খুব। কিন্তু দিগন্তে ওই ভারী নীলের আভাস মেজাজী এক পরিবেশ তৈরি করেছে। আলো-আঁধারির এক অসামান্য সুর। বোম্মাইয়ের কানে যেন নূপুরের বাজনা বেজে ওঠে। মেঘ আসছে। আলোর দিকে আঁধার আসছে। হাওয়া পড়ে গেছে একেবারেই। বোম্মাই মাটিতে নাক ঠেকায়। গন্ধ নিতে চেষ্টা করে। হিসেবে ভুল হয়নি তার। সে হাতের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে থাকে।  কিন্তু মেঘের গতি খানিক যেন শ্লথ বলে মনে হয়। তিন সারি রুইবার পর বোম্মাই তাই হাত-মুখ ধুয়ে খেতে বসে যায় আলের উপর। ছায়া পেতে গেলে এখন আবার সেই মাঠ পেরুতে হবে। দরকার পড়বে না। ঝটপট খাওয়াটা সেরে নিয়ে বাকি সারিগুলো রুয়ে দিলেই নিশ্চিন্দি। কেবল জল যেন বেশি না হয়। বোম্মাই সদ্য-রোয়া চারাগুলোর দিকে তাকায়। কচি সবুজ রঙ।

 

বোম্মাই পুরনো কাপড়ের ভাঁজ খুলে কলাপাতায় মোড়ানো ভাত আর শুকনো কাঁচকলার তরকারিটাকে বের করে আনে। অল্প টক, অল্প ঝাল। সে তরিবত করে খায়। মাটির উপরে আসনপিঁড়ি হয়ে বসে, একমনে বোম্মাই খেয়ে চলতে থাকে। তার মাথার উপরে তাপ। তিরতির করে মাঠের জল কাঁপে। বোম্মাই দু’চারটি কাঠপিঁপড়েকে চলতে দেখতে পায়। আলের উপর সামান্য ঘাস-আগাছার প্রলেপ। খুরপি দিয়ে তুলে দিতে হবে। এখনও হাওয়া ওঠেনি। বোম্মাই গোগ্রাসে খায় এবার। খুব খিদে পেয়েছিল। কলাপাতার উপর ভাত-তরকারির সাজিয়ে রাখা মণ্ডগুলো একে একে তার মুখের ভিতরে ঢুকে যেতে থাকে। আলাদা করে অল্প একটু কলাপাতা ছিঁড়ে তার মধ্যে শুকনো মতো ঝাল চাটনিটাও পূর্ণিমা দিয়ে রেখেছিল। বোম্মাই চেটে নিতে থাকে। সে আকাশের দেবতাকে ধন্যবাদ দেয়। অনেক পেয়েছে সে। এতখানি সুখ, পরিশ্রম অথচ দিনশেষে যাওয়ার মতো একটা জায়গা। বোম্মাই মনে মনে ভৈরবের উদ্দেশ্যে হাত জড়ো করে। ঠিক তখনই সে কার্থিককে দেখতে পায়।

 

বৃষ্টি এসে গিয়েছে। পূর্ণিমার সঙ্গে ছাতা নেই। জায়গাটা কোথায় তাও সে জানে না। রাগে-ক্লান্তিতে সে চোখে অন্ধকার দেখছে। কিন্তু এছাড়াও আর কোনও উপায় নেই। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সে একপাশে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ বসতে বলবে না এখন। আশপাশের মানুষগুলো একনাগাড়ে কথা বলে চলেছে। নিজের উপর রাগ হয় পূর্ণিমার। আবার হয়ও না বোধহয়। সে বোম্মাইয়ের কথা ভাবছে। বোম্মাইয়ের সাথে অনেকক্ষণ দেখা হয়নি তার। কর্কশ কণ্ঠে কেউ একজন তার নাম জিজ্ঞেস করে। পূর্ণিমার মুখ দিয়ে কথা সরছে না। “স্পষ্ট করে কথা বলতে পারিস না?” আবারও সেই কর্কশ কণ্ঠস্বর। কেন এভাবে পূর্ণিমা নিজেকে হেনস্থা হতে দেবে? উপায় নেই তার। “আইডেন্টিটি আছে কিছু?” আবারও প্রশ্ন। “আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, যা চাও আছে।” পূর্ণিমা বিরক্তি ভরে জবাব দেয়। তার চোখে ভয়। “এখন আছে?” “এখন তো নেই!” আবারও খেঁকিয়ে ওঠে সেই কণ্ঠস্বর, “এখন আছে কি না জানতে চাওয়া হয়েছে তো। তোরা এমন বোকার মতো কথা বলিস কেন?” গালিগালাজ দিতে গিয়েও লোকটা থেমে যায় হঠাৎ। পূর্ণিমা অল্প অল্প কাঁপতে শুরু করে। লোকটা কেমন বীভৎস হয়ে উঠেছে। চেয়ার ছেড়ে উঠে সে দাঁড়িয়ে থাকা পূর্ণিমার দিকে এগিয়ে আসে। অনেকক্ষণ ধরে যেন কিছু জরিপ করতে চায়।

 

বোম্মাই কার্থিককে দেখে অবাক হয়। এসময়ে তো কোনও দিন কার্থিক লেবারের কাজ ছেড়ে মাঠে আসবে না। বোম্মাইয়ের খাওয়া প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। সে খাবার পাতাটাকে হাতে নিয়েই উঠে দাঁড়ায়। জল খাবে। সঙ্গে ঘটি রয়েছে। কিন্তু জল আনতে গেলে আবারও মাঠ পেরুতে হয়। এখন সে সময় নয়। বোম্মাই কেবল চোখ চেয়ে দেখে বড় বড় পা ফেলে কার্থিক এগিয়ে আসছে। ছুটেই আসছে প্রায়। রোদের চড়া ভাব ক্রমশ কমে আসতে থাকে। বোম্মাই খেয়াল করে না। এখন আর তার মাথার উপর রোদের হলকানি নেই। হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দূরে কোথাও ক্কড়ক্কড়াৎ করে বাজের শব্দ হয়। মাঠ ছাড়তে হবে। বোম্মাই হাত নেড়ে কার্থিকের দিকে ইঙ্গিত করে। তারই দিকে ফিরতি পথে জোরে পা চালায়। দুর্যোগ এসে পড়েছে। বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হয়। মেঘটা এত তাড়াতাড়ি কাছে এসে পড়ল? অভিজ্ঞ বোম্মাই জোরে হাঁটতে হাঁটতেই অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকায়। কোনও ভুল নেই। ঝড় এসে পড়েছে। কার্থিকের কাঁধে কাঁধ রেখে বোম্মাই আলপথ ধরে হাঁটতে থাকে। সে নিজের কোমরের গামছাটাকে দু’জনের মাথার উপর বিছিয়ে নেয়। বৃষ্টি কারোকে রেয়াত করে না। আলপথ শেষে বড় রাস্তায় উঠতে না উঠতেই দু’জনে সপসপে হয়ে ভিজে গিয়ে পরস্পরের দিকে তাকায়। কার্থিক যা বলেছে বোম্মাই চোখেমুখে বৃষ্টির জল নিয়ে, অবসন্ন শরীরে আরও একবার বিশ্বাস করতে চায়। তার মুখ দিয়ে আর কথা সরছে না।

 

একইসময়ে ঝকঝকে রোদ মাথায় নিয়ে খাস কলকাতা শহরে সাংবাদিক সুবর্ণ সেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ৩ নং কোর্টরুমের বাইরে এসে দাঁড়ায়। চেনা কয়েকজনকে দেখা যাবে বলে আন্দাজ করে এলেও, বিশেষ একজনের চেনামুখটিকেই যে সুবর্ণ আজ এই চত্বরে দেখতে পাবে, তা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। কাজেই কোর্টরুমের বাইরে সে এখন সেই চেনা মানুষটিরই বেরুনোর অপেক্ষায়। খপ করে সে হাত বাড়িয়ে ভিড়ের ভিতর থেকে পরিচিত হাতটাকে মুঠিতে ধরে ফেলে হঠাৎ। “আপনি?” সুবর্ণ সরু চোখে প্রশ্ন করে ফেলা অবয়বটার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর হাত ধরে একপাশে সরিয়ে আনতে চায়। হাতের মালিক বাধা দেয় না। হয়তো সেও কিছু বলতে চায়। সুবর্ণ এখন তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। দূর থেকে কেবল সুদীপ সেনগুপ্ত নামে কেউ দুজনকে লক্ষ্য করতে থাকে।

 

(চলবে)

 

আগের পর্বের ঠিকানা –

 

প্রথম পর্বঃ https://nariswattwo.com/welcome/singlepost/the-siege-serialised-novelette-bengali

 

দ্বিতীয় পর্বঃ https://nariswattwo.com/welcome/singlepost/the-siege-serialised-novelette-series-two-

লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক 

ছবি : সংগৃহীত 

0 Comments

Post Comment