যুক্তির পথে এ্যারিস্টটলের অনুগামিনী

  • 08 February, 2021
  • 0 Comment(s)
  • 664 view(s)
  • লিখেছেন : ​​​​​​​অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সে’যুগের পুংসর্বস্ব পরিমণ্ডলে একজন নারী গবেষক ‘লরিয়া’র মতো খেতাবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক পরীক্ষায় বসছেন— এমন একটি ঘটনার ফলে চারিদিকে আলোড়ন পড়ে যায়। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজকার শ্রেণীকক্ষের বাইরে, পাদুয়া গির্জাকে এই পরীক্ষা বা এলেনা করনারোর বক্তৃতা প্রদানের মঞ্চ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তারিখটা ছিল ২৫ জুন, ১৬৭৮। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মহিলা ‘পিএইচডি গবেষক’-এর কাহিনী। নারীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে ধারাবাহিক। (পর্ব ৯)

২৫ জুন ১৬৭৮। পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গির্জাতে সেদিন অনেক মানুষ ভিড় করেছেন। আমন্ত্রিতদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অধ্যাপক ও ছাত্রবৃন্দ, ভেনিসের মাননীয় রাজপুরুষেরা, এমনকি বোলোনা, পেরুজিয়া, রোম এবং নেপলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা আমন্ত্রিত পণ্ডিতেরা সবাই। সময়টা দুপুর নাকি বিকেল, ইতিহাসের পাতায় সে সব খুঁটিনাটিকে নিয়ে বরং আর পাঁচজনে কাটাছেঁড়া করুক। আমরা কেবল ভাবতে চেষ্টা করি সেই ভেনিসীয় রৌদ্রকরোজ্জল একটি দিন। গির্জার মধুর সঙ্গীত। নাকি সেদিন পাদুয়া গির্জাতে কোনও সঙ্গীত বাজেনি? সেদিন কেবল রঙিন কাচের নকশাকাটা জাফরিগুলোর ভিতর দিয়ে অল্প করে চুঁইয়ে পড়েছিল মধ্যাহ্ন সূর্যের আলোকরশ্মিবিধৌত কোনও পরম সত্যের প্রথম আশীর্বাদ। সেই আশ্চর্য মুহূর্তটিতে সেদিন বক্তার মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এলেনা করনারো, জন্ম ১৬৪৬, মৃত্যু ১৬৮৪— পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মহিলা ‘পিএইচডি গবেষক’। অন্যতম প্রথমা নারী যিনি কিনা সেই সময়ের কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি ডিগ্রি-প্রাপ্তা হয়েছিলেন।

এলেনা করনারো পিস্কোপিয়া, তাঁর জন্ম হয়েছিল ৫ জুন ১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দে, ভেনিস শহরে। তিনি ছিলেন তাঁর পিতৃদেব জিয়ানবাতিস্তা করনারো পিস্কোপিয়া এবং প্রেমিকা জানেত্তা বনি’র তৃতীয় সন্তান। যেহেতু জন্মের সময় তাঁর পিতৃদেব ও জন্মদাত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন না, তাই করনারো বংশের সন্তান হিসেবে তিনি স্বীকৃতি পাননি। যদিও ১৬৫৪তে তাঁর পিতৃদেব জিয়ানবাতিস্তা করনারো সমস্ত নিয়ম মেনে জানেত্তাকে বিবাহ করেছিলেন, তবুও তাঁদের সন্তানাদিকে সমাজ স্বীকৃতি দেয়নি। এলেনার লড়াইটা তাই প্রথম থেকেই ছিল এই সমাজের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মা জানেত্তা ছিলেন অত্যন্ত গরীব কৃষক পরিবারের মেয়ে। জিয়ানবাতিস্তা করনারো পরবর্তীতে সেন্ট মার্ক’স ক্যাথেড্রালের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। এই নিয়োগের পর থেকেই ক্রমশ এলেনা সমাজের উচ্চস্তরে প্রবেশাধিকার পেতে শুরু করেন। যদিও তারই মধ্যে তিনি নিজের আশ্চর্য মেধারও পরিচয় দিতে শুরু করেছিলেন। নিজের মেধার যোগ্যতাতেই ক্রমশ তিনি সমাজের বুকে জায়গা করে নিতে থাকেন।

শোনা যায় মাত্র সাত বছর বয়সের মধ্যেই এলেনা ল্যাটিন, গ্রিক, ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষাতে পারদর্শী হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে হিব্রু এবং আরবি ভাষাতেও তিনি পড়াশোনা করেন। তাঁর ভালোবাসার বিষয় হয়ে ওঠে দর্শন, গণিতশাস্ত্র ও ধর্মতত্ত্ব। শুধু ভাষা অথবা শাস্ত্রপাঠেই নয়, এলেনার প্রতিভার স্ফূরণ দেখা গিয়েছিল তাঁর সঙ্গীতচর্চায়। হার্প, বেহালা-সহ একাধিক যন্ত্রে তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়াও, আরও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা এমনকি ভাষাতত্ত্বের মতো বিষয়েও চর্চা শুরু করেছিলেন। এই শাস্ত্রচর্চাই তাঁকে ক্রমশ পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরুতে সহায়তা করেছিল। প্রথমে পুরোহিত জিওভান্নি ফেব্রিস, পরবর্তীতে অধ্যাপক কার্লো রিনালদিনি এবং ফেলিস রোটন্ডি’র অধীনে তিনি শাস্ত্রচর্চা এবং দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে তাঁর গবেষণা চালাতে থাকেন।

১৬৭০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ভেনিসের পন্ডিতমহলে এলেনা ক্রমশ সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। এই সময় দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক কার্লো রিনালদিনির অনুরোধে, অধ্যাপক ফেলিস রোটন্ডি পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এলেনা করনারোকে ধর্মতত্ত্বে ‘লরিয়া’ অথবা স্নাতক-সমতুল ডিগ্রি প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন। পাদুয়ার বিশপ, কার্ডিনাল গ্রেগোরিও বারবারিগো যখন জানতে পারেন যে এলেনা একজন মহিলা হয়েও ধর্মতত্ত্বের মতো বিষয়ে ডিগ্রি লাভের জন্য মনোনীত হয়েছেন, তিনি এই মনোনয়নে অসম্মতি জানান। যদিও পরবর্তীতে এই একই বিশপের অনুমোদনক্রমে এলেনা দর্শনশাস্ত্রে তাঁর গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং সবশেষে এই বিষয়ে ‘লরিয়া’ (ইং লরেল বা জয়মাল্য) খেতাবের জন্য মনোনীত হন। নিয়ম অনুসারে এই খেতাব প্রাপ্তির জন্য বিশেষজ্ঞদের সামনে একটি মৌখিক পরীক্ষার প্রথা ছিল। সে’যুগের পুংসর্বস্ব পরিমণ্ডলে একজন নারী গবেষক ‘লরিয়া’র মতো খেতাবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক পরীক্ষায় বসছেন— এমন একটি ঘটনার ফলে চারিদিকে আলোড়ন পড়ে যায়। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজকার শ্রেণীকক্ষের বাইরে, পাদুয়া গির্জাকে এই পরীক্ষা বা এলেনা করনারোর বক্তৃতা প্রদানের মঞ্চ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তারিখটা ছিল ২৫ জুন, ১৬৭৮।

পস্টিরিয়র এ্যানালিসিস, এ্যারিস্টটলের গ্রন্থ অর্গ্যাননের একটি অন্যতম অধ্যায়। এই অধ্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে, বর্ণনা, সংজ্ঞা এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের মতো বিষয়কে। এই গ্রন্থেরই পূর্ববর্তী অধ্যায়, প্রায়র এ্যানালিসিসে এ্যারিস্টটল সিলজিসম পদ্ধতির ধারণ দিয়েছিলেন। পস্টিরিয়র এ্যানালিসিসে এই সিলজিসম পদ্ধতির বিষয়ে আরও দীর্ঘতর আলোচনা রয়েছে। স্বতঃসিদ্ধসমূহ এবং নির্ণীত ঘটনাগুলি থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর বিষয়টিতে সিলজিসম কি ভাবে সাহায্য করবে সেই নিয়েই এ্যারিস্টটল এখানে তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর মধ্যে দিয়েই বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের জন্ম হয়। সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে, মূল বক্তব্য বা পর্যবেক্ষণগুলি যদি কোনও কারণে নিখুঁত বা নিশ্চিত না হয়, তবে দ্বন্দ্বমূলক সিলজিসমের উৎপত্তি ঘটে। পস্টিরিয়র এ্যানালিসিস যুক্তিবিদ্যা এবং দর্শনশাস্ত্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।

 এ্যারিস্টটল, তাঁর আরও একটি গ্রন্থ ‘ফিজিকা’, বা ‘প্রকৃতির বিষয়ে বক্তৃতামালা’য় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ‘ফিজিক্স’ বা ‘পদার্থবিদ্যা’র ধারণা দিতে চেষ্টা করেছিলেন। এই গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাকৃতিক সজীব ও জড় বস্তুসমূহের স্থান বা অবস্থার পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণামূলক অনুসন্ধান। মূল ‘ফিজিকা’ গ্রন্থটি আটটি খন্ডে বিভক্ত ছিল। এই খন্ডগুলির প্রত্যেকটিতে আবার একাধিক অধ্যায়ের অবতারণা ঘটেছে। প্রথম খন্ডের সপ্তম অধ্যায়ে যেমন এ্যারিস্টটল প্রথমবারের জন্য পদার্থ বা ‘ম্যাটার’ শব্দটিকে (গ্রিক পরিভাষাতে ‘থাইল’ শব্দটিকে) উপস্থাপন করেছেন। দ্বিতীয় খন্ডে প্রাকৃতিক বস্তুসমূহের অবস্থা, তাদের বেড়ে ওঠা, অবস্থার পরিবর্তন, বিভিন্ন অবস্থার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চারিত্রিক বৈশিষ্ট অর্জন— ইত্যাদির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এভাবে টানা আটটি খন্ডে ‘ফিজিক্স’ বা ‘পদার্থবিদ্যা’র একটি ধারণা তৈরীতে এ্যারিস্টটল সচেষ্ট হয়েছিলেন।

এ্যারিস্টটলের এই দুটি গ্রন্থ বা সেগুলিতে আলোচিত বিষয়সমূহকে নিয়ে সামান্য ধারণা দিতে হল কারণ, ২৫ জুন ১৬৭৮-এ বিদূষী এলেনা করনারো এই দুটি গ্রন্থের উপরে ভিত্তি করেই নিজের মূল গবেষণাকে পাদুয়া গির্জায় সমবেত পণ্ডিতবর্গের সামনে তুলে ধরেছিলেন। সমবেত শ্রোতৃবর্গ সেদিন আশ্চর্য ধৈর্য এবং নীরবতা সঙ্গে শুনেছিলেন, কিভাবে এই বিদূষী— মহামতি এ্যারিস্টটলের প্রণীত গ্রন্থদ্বয়ের একেকটি অধ্যায়কে অনায়াসে তুলে আনছেন এবং প্রাঞ্জল ভাবে সেগুলিকে ব্যাখ্যা করছেন। সেগুলির ভিতরকার বিষয়কে তাঁর বর্ণনার মধ্যে দিয়ে, উদাহরণের মধ্যে দিয়ে আরও সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পৃথিবীতে নারীশিক্ষার ইতিহাসে সে এক উজ্জ্বল দুপুর। রোদ চুঁইয়ে আসা ভেনিসীয় জাফরির রঙিন আলোর চুমকিগুলোর মধ্য দিয়েই তখন হয়তো ভেসে আসছিল এ্যারিস্টটলের নীরব আশীর্বাদ। হয়তো বা সময়ের ওপারকার কোনও সময় থেকেই। জ্ঞানের চেয়ে সুন্দর আর কিছুই নেই। ভাষার চেয়ে সুন্দর আর কিছুই হয় না। যুক্তির চেয়ে সহজ আর কিছুই নেই।

শোনা যায় যে এলেনার বক্তৃতা শেষ হলে পরে, প্রথা ভেঙে পরীক্ষকেরা সর্বসমক্ষেই এলেনাকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন। তাঁর মাথায় পাতার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়, উপহার দেওয়া হয় দর্শনশাস্ত্রের একটি বই, আঙুলে পরিয়ে দেওয়া হয় একটি দামী অঙ্গুরীয়, উত্তরীয়ে সম্বর্ধিত করা হয়। কেবল ‘লরিয়া’ নয়, এই দিনেই এলেনা করনারো পিস্কোপিয়াকে ‘মাজিস্ত্রা এ ডকট্রিক্স ফিলজফি’ অথবা অধ্যাপক এবং দর্শনশাস্ত্রে ‘ডক্টরেট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে অবধি কোনও নারীকেই কোনোদিন ‘ডকট্রিক্স ফিলজফি’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়নি। এলেনা করনারোই হলেন পৃথিবীর প্রথম মহিলা ডক্টরেট, বা ‘পিএইচডি’।

এই উপাধি লাভের পরেও আরও সাত বছর বেঁচেছিলেন এলেনা। আজীবন তিনি জ্ঞানের চর্চাতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। সংসার বা বিবাহের কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে এই পাদুয়াতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এলেনার ডক্টরেট প্রাপ্তির কয়েকমাস পরে পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিদ্যার এক অধ্যাপক নিজের কন্যাকে পাদুয়ার কোনও একটি ডিগ্রি পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এলেনার মতো সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সমাজকে যে একদিনে, কেবল একেকটি ঘটনার মাধ্যমে পালটানো চলে না। সমাজে প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য চাই ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস, সততা ও পরিশ্রম। এলেনা যে পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন, পরবর্তীতে সেই পথের অনুবর্তিনী হয়েছেন অসংখ্য মহীয়সী। কিন্তু তার জন্যেও অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছে শতকের পরে শতক। অপেক্ষা এখনও চলছে, পূর্ণতার অপেক্ষায়। এলেনার পর দ্বিতীয় বিদূষী হিসেবে ‘ডক্টরেট’ পেয়েছিলেন বোলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লরা বাসি, প্রায় ৪৫ বছর পর— ১৭৩২ খ্রিস্টাব্দে। মৃত্যুর পর এলেনার নামে শোকবার্তা এসেছিল সারা ইতালি থেকে। ভেনিস, পাদুয়া, সিয়েনা এবং রোম শহরে তাঁর জন্য শোকসভা আয়োজিত হয়েছিল। একাধিক শিক্ষাসমিতি এলেনার নামে শোকপুস্তিকা প্রকাশ করে যেখানে তাঁর কাজ ও গবেষণাকে তুলে ধরা হয়। ১৬৮৫ খ্রিস্টাব্দে পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেনার একটি মর্মরমূর্তি স্থাপিত হয়।

 “... এলেনার বক্তৃতা শেষ হলে পরে, প্রথা ভেঙে পরীক্ষকেরা সর্বসমক্ষেই এলেনাকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন। তাঁর মাথায় পাতার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়, উপহার দেওয়া হয় দর্শনশাস্ত্রের একটি বই, আঙুলে পরিয়ে দেওয়া হয় একটি দামী অঙ্গুরীয়, উত্তরীয়ে সম্বর্ধিত করা হয় ...” পাদুয়া গির্জার সেই মুহূর্তটিকেই যেন আরেকটিবার স্মরণ করতে ইচ্ছে হল। শতাব্দী আগের সেই মহীয়সী সেদিন যে পথ দেখিয়েছিলেন, যে মেধার দীপ্তিকে নিজের যোগ্যতায় তদানীন্তন পুংসর্বস্ব পৃথিবীতে অক্ষয় প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন— যুক্তিতত্ত্বে এ্যারিস্টটলের সেই অনুগামিনীকে বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য আমাদের। আজ আকাশের পূর্ণতার পথেই, তাঁদের মতো একেকজনের অমলিন অনুপ্রেরণা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তাঁরা যে সবদেশের, সবকালের ...

সূত্রঃ

[১] জে. জে. নরউইচ, ‘এ হিস্ট্রি অব ভেনিস’

[২] এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা

[৩] মারিয়া রোসা দে সিমোনে, ‘ইউনিভার্সিটিজ ইন আর্লি মডার্ন ইউরোপ (১৫০০-১৮০০)’, কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস

[৪] গ্যাব্রিয়েল ফোরবুশ, ‘দ্য লেডি অন দ্য উইন্ডো’, ভাসার কোয়ার্টার্লী, ১৯৭৬

[৫] জেন হাওয়ার্ড গুয়ার্নসে, ‘দ্য লেডি করনারোঃ প্রাইড এ্যান্ড প্রডিজি অব ভেনিস’, ১৯৯৯

লেখক: গবেষক , প্রাবন্ধিক

ছবি সৌজন্য : ইন্টারনেট

0 Comments

Post Comment