- 31 May, 2024
- 0 Comment(s)
- 827 view(s)
- লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
“... শোনো বলি, লগ্ন হয়ে এসেছে। ধ্বজাপুজোয় রাজাকে বেরোতেই হবে। তাঁকেই জিজ্ঞাসা করো। আমরা শুরুটা জানি, শেষটা জানিনে। ...”
[‘রক্তকরবী’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
নিরবিচ্ছিন্ন যে রক্তস্রোত, কোথাও কি এর সমাপ্তি আছে ? কোথাও বা এতটুকুও শান্তির আভাস, এতটুকুও বা ভালোবাসা। মানুষের প্রতি মানুষের, চিরন্তন। ধর্মের বেদিমূলে যুগ যুগ ধরে যে নরবলির আয়োজন করে আসা হয়েছে, সে রক্ত মানুষের, সে রক্ত মানবতার। ... কোনো উত্তর নেই কোথাও। বারংবার অবিশ্যি সেই রক্তকে মোছবারও চেষ্টা হয়েছে। কেবল সর্বসাধারণের শক্তিতে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। সেই রক্তাক্ত ইতিহাস, মানুষের ধর্মান্ধতার, (নাকি আদতে মানবসভ্যতার (?)) সেই যে ইতিহাস, সে বোধকরি সব দেশের, সব কালের।
জনৈক ঐতিহাসিকের জবানিতে, “হাইপ্যাশিয়ার জীবন সম্পর্কে আমরা যতটুকুও বা জানতে পেরেছি, সেটুকুর মধ্যে আমরা কেবল তাঁর মৃত্যু-বিষয়ক ভয়াবহ বিবরণগুলিই অনেকটা বেশি করে খুঁজে পেয়েছি।” আসলে, আমরা তাঁর জীবনকে যত-না জেনেছি, হয়তো-বা তাঁর মৃত্যুকেই তার চেয়ে অনেকটা বেশি করে জেনেছি। হয়তো-বা তাঁকে দিয়েই, চিনেছি ধর্মের নগ্ন উল্লাসমঞ্চকে। শুনেছি তদানীন্তন পুরুষের সহর্ষ, নির্লজ্জ শীৎকার। আলেকজান্দ্রিয়ার শেষতম অধ্যাপক, বিদুষী হাইপ্যাশিয়ার নির্মম-নিষ্ঠুর সেই মৃত্যুর ভিত্তিতে রচিত এক নীরব শূন্যতার উপাখ্যানে নিজেদেরকে যুগে যুগে সকরুণ উপলব্ধি করেছি। পাঁচ লক্ষ কেতাবের আগুন-পাহাড়ে, নির্জীব-নির্বাক নিজেদেরকে সঁপে দিতে চেষ্টা করেছি। শীতার্ত রাতের চেয়েও নিঃসীম, সেই স্তব্ধতায়।
আলেকজান্দ্রিয়ার জাদুঘর, আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিস্তম্ভ, আলেকজান্দ্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। রোমের উত্থানের পূর্বে, আশ্চর্য গ্রিক সভ্যতার সার্থক ধারক ও বাহক হয়ে উঠেছিল আলেকজান্দ্রিয়া। ৩৩১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে স্বয়ং সম্রাট আলেকজান্ডার এই শহরের পত্তন করেছিলেন। সেনাপতি ক্লিওমেনেসকে তিনি আলেকজান্দ্রিয়ার শাসনভার দিয়েছিলেন। এরপর, আলেকজান্ডারের মৃত্যুতে ইজিপ্টের শাসনভার এসে পড়ে প্রথম টলেমির উপর (৩২৩-২৮২ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ); আর এই টলেমির রাজত্বেই উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছোয় আলেকজান্দ্রিয়া। প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বখ্যাত গ্রন্থাগার ও মিউজিয়াম। এই প্রসঙ্গে বলা উচিত, মিউজিয়াম বা জাদুঘর বলতে আমরা যা বুঝি, আলেকজান্দ্রিয়ার জাদুঘর কিন্তু তেমনটা ছিল না। তখনকার দিনে জাদুঘর বলতে বোঝানো হত উৎকর্ষকেন্দ্রকে। সেগুলিকে গণ্য করা হত জ্ঞানচর্চার পবিত্র ক্ষেত্র বা মন্দির হিসেবে। এই জাদুঘর বা মিউজিয়ামে সে যুগের কলাশাস্ত্র বা দর্শনশাস্ত্রসমূহের তাবড় ব্যক্তিত্বেরা মিলিত হতেন। লেখক, কবি, বিজ্ঞানী, দার্শনিকদের আলোচনায় জাদুঘরে জ্ঞানের বিকাশ ঘটত। এই সমস্ত বিদ্বজ্জনেরা রীতিমতো সরকারি খরচে এই সমস্ত জাদুঘরে থেকে পূর্ণ জ্ঞানচর্চার অবকাশ পেতেন। প্রথম টলেমির আমলেই আলেকজান্দ্রিয়ার জাদুঘরের পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটে। টলেমি বংশের প্রথম দুই শাসকের রাজত্বকালে আলেকজান্দ্রিয়ায় গুণী মানুষদের প্রতিভার যে বিচ্ছুরণ ঘটেছিল, তার প্রমাণ দিতে গেলে সামান্য কয়েকটি নামই যথেষ্ট। ২৮৭ থেকে ২১২ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ অবধি আলেকজান্দ্রিয়াতেই জ্ঞানচর্চায় নিবিষ্ট ছিলেন পণ্ডিত অ্যারিস্টটল। ২৭৬ থেকে ১৯৪ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ অবধি জীবৎকালে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়েই অধ্যাপনা করেছিলেন ভৌগোলিক এরাটোস্থেনেস। আলেকজান্দ্রিয়াতে অবস্থানকালেই পণ্ডিত এরাটোস্থেনেস পৃথিবীর পরিধি নির্ধারণ করেন। ৩০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে গণিতজ্ঞ ইউক্লিড এবং খ্রিস্টাব্দের প্রথম শতকে গণিতজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদ হেরন (ভিন্ন-উচ্চারণে হেরো) আলেকজান্দ্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধে আলেকজান্দ্রিয়ার পতন হয়। পরবর্তীতে সম্রাট কনস্ট্যানটাইনের আমলে শহরের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে খ্রিস্টধর্মকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু হয় এক নিরবিচ্ছিন্ন টানাপোড়েন, যার শেষতম অধ্যায় হাইপ্যাশিয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড। কিন্তু তার আগেও অনেক জল গড়িয়েছে।
অ্যারিস্টটল, এরাটোস্থেনেস অথবা ইউক্লিডের যুগ শেষ হয়ে গেলেও আলেকজান্দ্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অথবা তৎসংলগ্ন গ্রন্থাগারের দীপ্তি তখনও ম্লান হতে পারেনি। আনুমানিক পাঁচ লক্ষেরও বেশি গ্রন্থ ও পুথির সমাহারে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার তখন সারা পৃথিবীর কাছেই এক বিস্ময়স্বরূপ। এই সময়ে আরও অনেক পণ্ডিতের সঙ্গে সেখানে অধ্যাপনা করতেন পণ্ডিত থিয়ন, যিনি ছিলেন একাধারে গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ। থিয়নের মৌলিক কাজ সম্পর্কে অতটাও জানা না গেলেও, তাঁর মূল খ্যাতি ছিল অধ্যাপক হিসেবে। প্লেটো, অ্যারিস্টটল, ইউক্লিডের মতো প্রাতঃস্মরণীয় মণীষীদের শিক্ষাকে সহজ করে ছাত্রদের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি ছিল না। শিক্ষক হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন আর তাঁরই কন্যা হিসেবে হাইপ্যাশিয়ার জন্ম। ৩৫০ (মতান্তরে ৩৭০) খ্রিস্টাব্দে জন্ম হয় হাইপ্যাশিয়ার। আজীবন কুমারীত্বকে বরণ করে নেওয়া এই বিদুষীকে থিয়ন সেকালের নিয়মে অনেকটাই অন্যরকম ভাবে মানুষ করেছিলেন। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সে যুগের উচ্চ গ্রিক আদর্শ অনুযায়ীও নারীর প্রধান কাজ ছিল গৃহস্থালি সামলানো, সন্তানের দেখভাল করা, ধাত্রী হিসেবে পরিষেবা দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু থিয়ন সে পথে হাঁটেননি। হাইপ্যাশিয়াকে তিনি তাঁর সার্থক উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। প্রাচীন ঐতিহাসিক দামাসিয়াসের জবানিতে, “ত্রিবন-এ (গবেষক/দার্শনিকদের পোশাক, মূলত পুরুষদেরই এই পোশাকে অধিকার ছিল) সজ্জিত হয়ে এই নারী শহরের কেন্দ্রস্থলে এসে দাঁড়াতেন। আগ্রহী মানুষকে জলের মতো সহজ করে বুঝিয়ে দিতেন প্লেটো, অ্যারিস্টটল অথবা আরও কোনো দার্শনিকের গূঢ়তম তত্ত্বকে। ... এ ছাড়াও তাঁর গৃহের সম্মুখে ভিড় উপচিয়ে পড়ত। কোথাও বা মানুষ, কোথাও বা অশ্বের গুঁতোগুঁতিতে দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও মিলত না। কাতারে কাতারে মানুষ সেই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে যাতায়াত করত, অপেক্ষা করত কখন বা সেই অসামান্য দার্শনিক হাইপ্যাশিয়া তাদের সামনেটায় এসে দাঁড়াবেন, এবং তাদেরকে দর্শনব্যাখ্যা করবেন। এ গৃহ যে তাঁরই।”
আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অধ্যাপক হিসেবে হাইপ্যাশিয়ার খ্যাতি আকাশ ছুঁয়েছিল। তাঁর কাজের ব্যাপ্তিতে আজ অবাক হতে হয়। গণিতশাস্ত্রের চর্চা করতে গিয়ে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতো ফলিত বিষয়কেও আয়ত্ত করেছিলেন। কেবল খাতায় কলমে নয়, বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে কিভাবে আকাশকে বৈজ্ঞানিক উপায় পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে সেই বিষয়েও তাঁর আগ্রহ ছিল। জ্যামিতি, কঠিন বীজগণিত এমনকি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে গণনাপদ্ধতি বা কমপিউটেশনাল টেকনিকের মতো বিষয়েও তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন। তাঁর পিতার মতোই, তিনি আলেকজান্দ্রিয়ার স্বর্ণযুগের প্রাচীন সমস্ত মণীষীদের কাজকে সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রচারের বিষয়েও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। এ ছাড়াও, দর্শন-গণিতবিদ্যার সঙ্গে সঙ্গে সংগীতের ক্ষেত্রেও তাঁর যথেষ্ট ব্যুৎপত্তির কথা জানা যায়। বিদুষী হাইপ্যাশিয়া যে অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং প্রতিভাময়ী হয়ে উঠেছিলেন, সে কথাকে আজ আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। খ্যাতির পাশাপাশি তখন চারপাশের শত্রুতাকেও তিনি ক্রমশই উপলব্ধি করতে পারছিলেন। প্যাগান হাইপ্যাশিয়াকে সেই সময়কার খ্রিস্টধর্মাবলম্বী উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরাও আর কোনোভাবেই বরদাস্ত করতে পারছিলেন না; আর সেই থেকেই হাইপ্যাশিয়াকে চিরতরে সরিয়ে দেবার বিষয়টিতে সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল।
আলেকজান্দ্রিয়ার শাসক ওরেস্তেস, হাইপ্যাশিয়ার অনুগ্রাহী ছিলেন। শহরের আর্চবিশপ সিরিলের পক্ষে তাই সরাসরি হাইপ্যাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়াটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এর সঙ্গে সঙ্গে, হাইপ্যাশিয়ার প্রতি অনুরক্ত হওয়ার কারণে শাসক ওরেস্তেস খ্রিস্টধর্মের প্রতিও এতটুকুও পক্ষপাত দেখাতে প্রস্তুত ছিলেন না। এমনকি, ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারের অভিযোগে শাসক ওরেস্তেস, সিরিল-ঘনিষ্ঠ জনৈক শহরবাসীকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। এই সব কিছুই ক্রমশ হাইপ্যাশিয়া ও ওরেস্তেসকে সিরিল ও তাঁর অনুগামীদের চক্ষুশূল করে তুলেছিল। সিরিল-ঘনিষ্ঠ হেইরাক্সকে ওরেস্তেস কারাগারে নিক্ষেপ করলে পরে সিরিল-অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শহরবাসী ইহুদিদের উপরে নিষ্ঠুর আক্রমণ চালানো হয়, তাঁদের উপাসনাগৃহগুলিতে অগ্নি-সংযোগ করা হতে থাকে। একের পর এক ইহুদি উপাসনাগৃহকে বলপূর্বক গির্জাতে রূপান্তরিত করা হয়। হাইপ্যাশিয়া ক্রমশই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন। এতৎসত্ত্বেও কিন্তু তাঁর দৈনন্দিন জীবন বা কার্যকলাপে কোনোরকমের কোনো বিরূপ প্রভাব পড়তে পারেনি। অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজ যেমনটা চলার, তেমনটাই চলছিল। কিন্তু একদিন, শমন এল সকলের অগোচরেই। বিভিন্ন প্রাচীন ও নবীন ঐতিহাসিকদের বর্ণনা থেকে যেমনটা জানা যাচ্ছে যে, সেই দুর্ভাগ্যের দিনেও হাইপ্যাশিয়া নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁর কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় প্রায় পাঁচশো জনতার একটি মিছিল হাইপ্যাশিয়ার শকটকে আক্রমণ করে। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে শকট থেকে নামিয়ে আনা হয়, এবং টেনে নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি গির্জার অভ্যন্তরে। ঐতিহাসিকেরা একেকজন বলেন, তাঁকে নাকি সন্ন্যাসিনী হয়ে ক্রিশ্চিয়ান ধর্মের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে তেমনটা করতে রাজি থাকলে পরে, অন্তত তাঁর জীবনকে ছাড় দেওয়ার একটা চেষ্টা করা হতে পারে। স্বভাবতই হাইপ্যাশিয়া এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন। নৃশংস সেই হত্যার বিবরণে যাব না। কেবল বলে রাখা যেতে পারে, উন্মত্ত জনতার হাতে হাইপ্যাশিয়াকে সেদিন নগ্ন হতে হয়েছিল – তাঁর দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। গির্জার মাটিতে, মার্বলে, এমনকি প্রভু জিশুর শুভ্রমূর্তিতেও হাইপ্যাশিয়ার রক্তের দাগ লেগেছিল সেদিন। দেবস্থানকে কলুষিত করার যে ইতিহাস, সে যে কেবল আজকের নয় – বহুকালের।
হাইপ্যাশিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল খ্রিস্টের জন্মের ৪১৫ বছর পরবর্তীতে। আর সেই হত্যার পরে পরেই শহরের সর্বেসর্বা হিসেবে আবিভূর্ত হয়েছিলেন ‘মহামতি’ সিরিল, যিনি আবার পরবর্তীতে ক্রিশ্চিয়ান নিয়মে সেন্ট বা ‘সন্ত’রূপে ভূষিত হবেন। বোধ করি, হাইপ্যাশিয়ার বিনাশের কারণেই তাঁর এই স্বীকৃতি। এই সিরিলের আমলেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে আলেকজান্দ্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রন্থাগার। পুড়িয়ে দেওয়া হবে অমূল্য সেই সমস্ত গ্রন্থরাজি। একের পর এক অধ্যাপক, কবি, দার্শনিকেরা আলেকজান্দ্রিয়া ছেড়ে যাবেন। অস্তাচলে সূর্য নেমেছে। হাইপ্যাশিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাবে আলেকজান্দ্রিয়ার গৌরব, আলেকজান্দ্রিয়ার সমস্ত উৎকর্ষ-ভাণ্ডার। শ্মশানের উল্লাসমঞ্চে তখন ধর্মান্ধতার নগ্ন-প্রদর্শন।
সূত্রঃ
১) ‘গ্রেট ফিলজফার্সঃ হাইপ্যাশিয়া’, ঋণস্বীকারঃ দর্শন বিভাগ, ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি
২) ‘দ্য মার্টিডম অব হাইপ্যাশিয়া অব আলেকজান্দ্রিয়া’, এম. এম. মাঙ্গাসারিয়ান, ২০১৯
৩) ‘হাইপ্যাশিয়া অব আলেকজান্দ্রিয়া’, মাইকেল ডেকিন্স, প্রমিথিউস বুকস, ২০০৭
৪) ‘হাইপ্যাশিয়া অব আলেকজান্দ্রিয়া’, এম. ৎজিয়েলস্কা, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৯৬
৫) ‘উইমেন আর্টিস্টস ইন হিস্ট্রি’, ডব্লিউ. স্ল্যাটকিন, পিয়ারসন, ২০০০
৬) ‘লাইব্রেরিজ ইন দ্য এ্যানশিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড’, এল. ক্যাসন, ইয়েল ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০২
পুনঃপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ ৩০ নভেম্বর ২০২০
লেখক বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক
ছবি সংগৃহীত
0 Comments
Post Comment