ধাত্রী‘দেবতা’

  • 29 June, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 853 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
এগনোদিস সত্যি, নাকি মিথ্যে – এগনোদিসের গল্পে আজ কতখানি সত্যতা, ইতিহাস খুঁড়ে বের করা হোক সেসব। কেবল মানুষ আজ এইটুকু জানুক, হাজার বছর আগেকার কোনো এক ইতিহাসে, অথবা গল্পেতেও, ভারতবর্ষীয় একলব্যের মতোই ছিল একজন ... সেকালের মেয়েদের সাহসের সাতকাহন! নারীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে ধারাবাহিক। (পর্ব ৫)

“আমি, আমার সর্বোচ্চ সামর্থ্য এবং বিচার দ্বারা এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার শপথ নিচ্ছিঃ আমি সেই পূর্বসূরি চিকিৎসকদের কঠোর সাধনা-লব্ধ বৈজ্ঞানিক উপলব্ধিসমূহকে শ্রদ্ধা করব যার খোঁজ অনুসরণ করে আমি ...

 

... ‘আমি জানি না’ বলতে আমি লজ্জা করব না, না আমি আমার সহকর্মীকে জানাতে কুণ্ঠিত হব যখন একজন রোগীকে আরোগ্য করতে অন্য কারোর দক্ষতার আবশ্যক হয়। ... (ক্রমশ)”

 

[‘হিপোক্রেটিসের শপথ’, আনুমানিক ৫০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ]

 

ফ্রাইনের নাম আপনারা শুনেছেন? আনুমানিক ৩৭১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে তার জন্ম। প্রাচীন গ্রিসের আথেন্স শহরে বসবাসকারী সামান্য একজন নগর-নর্তকী। শোনা যায় ‘ধর্মকে অশ্রদ্ধা’র অপরাধে তাকে প্রকাশ্য বিচারসভায় অপমানিত হতে হয়েছিল। সেই সময় ফ্রাইনের প্রেমিক তথা শহরের বিশিষ্ট বক্তা হাইরেপিডিস তার হয়ে সওয়াল করেছিলেন। দেবতা পোসাইডনের উৎসবের দিন এই ফ্রাইন নাকি নগ্নিকা হয়ে সমুদ্রে অবগাহন করেছিলেন। শোনা যায় সেই দৃশ্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই চিত্রকর আপেলেস তাঁর বিখ্যাত ‘আফ্রোদিতে’র ছবিটি অঙ্কন করেন। গ্রিস দেশের একাধিক জায়গাতে এমন একাধিক নগ্নিকা নারী অথবা ক্রমশ পোশাক ছাড়ছেন এমনতরো নারীমূর্তির হদিস পাওয়া গেছে। ভাস্কর্যে, চিত্রকল্পে, ম্যুরালে – এবং সেই ধারাটি ক্রমশ পরবর্তীতেও চলে আসতে পেরেছে। কিন্তু, এই ক্রমশ পোশাক ছেড়ে নগ্নতাকে বরণ করে নিচ্ছেন এমনতরো একেকটি নারীমূর্তির পিছনে কি কেবল ফ্রাইনেরই ইতিহাস লুক্কায়িত রয়েছে ? না কি, লুক্কায়িত রয়েছেন এগনোদিস ? ধাত্রী এগনোদিস, চিকিৎসক এগনোদিস – আথেন্স তথা পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্বীকৃত মহিলা-চিকিৎসক, নগ্নতাকেই যাঁকে বেছে নিতে হয়েছিল, নগ্নতার মাধ্যমেই যিনি প্রকাশিত হয়েছিলেন, জ্ঞাপিত করেছিলেন তাঁর আত্মপরিচয়।

 

চিকিৎসাবিদ্যার জনক বলা হয় হিপোক্রেটিসকে। কেমন ছিল সেই সময়ের আথেন্স শহরের চিকিৎসাব্যবস্থার হাল-হকিকৎ ? রোগ-চিকিৎসা ব্যাপারটা ছিল প্রায় হাট বসবার মতোই। কোনো চিকিৎসক যখন কোনো রোগীর চিকিৎসা করতেন, চারপাশে রোগীর আত্মীয় ছাড়াও উৎসাহী অনাত্মীয় দর্শক এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী চিকিৎসকেরাও ভিড় করে দাঁড়াতেন। চিকিৎসক-চিকিৎসকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কল্পনাতীত রকমে তীক্ষ্ণ। প্রসঙ্গত বলার যে, হিপোক্রেটিসের রচনাতে চিকিৎসার ব্যাপারে নারীদের অবদান বিষয়ে দু-চার কথার উল্লেখ থাকলেও, তাঁর বিদ্যাচর্চা-কেন্দ্রে নারীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রধানত পুরুষদের প্রাধান্য বজায় রাখতেই তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ইতিপূর্বে মূলত স্ত্রী-চিকিৎসা, ধাত্রীপদ্ধতি এমনকি কোনো-কোনো ক্ষেত্রে শিশুদের চিকিৎসার বিষয়েও একাধিক নারী প্রতিনিধি যথেষ্টই পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি প্লেটোর সুবিখ্যাত গ্রন্থ ‘রিপাবলিক’-এও নারী-চিকিৎসকদের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়। এঁদের পরিচয় ক্রমশ কালগর্ভে হারিয়ে গেলেও, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা যথেষ্টই পুরুষদের ঈর্ষাভাজন হয়েছিলেন। স্বভাবতই হিপোক্রেটিস প্রমুখ সত্যি সত্যি একজন নারীর চিকিৎসক হয়ে উঠবার পথটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির উদ্যোগে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। আথেন্স শহরে নারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইন বলবৎ হয়েছিল। জানানো হয়েছিল শহরের মধ্যে পুরুষ চিকিৎসকদের নজরদারি বা কর্তৃত্ব-ব্যতীত কোনো মহিলা স্বাধীন ভাবে চিকিৎসা বা ধাত্রী হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। সেই দুর্দম দেওয়াল ভাঙার কাজটিই প্রথম শুরু করেছিলেন এগনোদিস।

 

নারীদের বিরুদ্ধে কুৎসা, অন্ধ-সংস্কারের নজির সর্বত্র। সেই সময়কার গ্রিসেও, আধুনিক সভ্যতার ধাত্রীভূমি বলে যা পরিচিত, সেই আথেন্সেও আমরা একাধিক লোক-সাহিত্য, দর্শন, সমাজ-বর্ণনায় নারীদের প্রতি কুৎসার, অন্ধ-সংস্কারের ইঙ্গিত পেয়েছি। বাগ্মী ডিমস্থেনেসের বক্তৃতায়, ইসোক্রেতেসের বক্তৃতায়, ইউরিপিডিসের সাহিত্যে আমরা বারংবার নারী চিকিৎসকদের এবং পুরুষ-রোগীদের উপরে সেই চিকিৎসার ভয়াবহ প্রতিফলের উল্লেখ পেয়েছি। এই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতেই হিপোক্রেটিস বাধ্য হয়েছিলেন ‘একজন আদর্শ চিকিৎসকের গুণাবলী’তে বড়ো বড়ো করে আত্মসংযমের কথা উল্লেখ করতে। সঙ্গে সঙ্গে এও উল্লেখ করতে যে, এই আত্মসংযম স্বভাবগত ভাবে পুরুষদের আত্মিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট। নারীদের ক্ষেত্রে এই আত্মসংযমের বিষয়টিতে বিশেষ ঘাটতি রয়েছে, আর সেজন্যই – পুরুষ-কর্তৃত্ব ব্যতীত চিকিৎসায় নারীর অধিকারের বিষয়টি কখনও, কোনো সুদূর কল্পনাতেও কারোর ভাবা উচিত নয়। এমন একটি আবহতেই এগনোদিসের জন্ম আনুমানিক ৪০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দের কোনো এক সময়ে। বিখ্যাত রোমান লেখক জুলিয়াস হাইগিনাসের ‘ফেবুলা’ বা ‘লোককথা’ শীর্ষক গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই এগনোদিসের উল্লেখ পাওয়া যায়। এও সত্যি যে রাঢ়বাংলার খনার কিংবদন্তীর মতোই এই এগনোদিসের বৃত্তান্তের সম্পূর্ণ ঐতিহাসিক সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিছুটা গল্প আর কিছু ইতিহাসের মোড়কেই হয়তো-বা এগনোদিসের প্রকাশ। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি এতটাই সর্বগামী, বিভিন্ন শিল্পমাধ্যমে, রচনাতে তিনি এতটাই প্রকাশিত যে, তাঁর গল্পকে পূর্ণ ইতিহাস না বললেও একেবারে কিংবদন্তির ধোঁয়াশার গভীরতায় তাকে নিক্ষেপ করা চলে না। তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেনও, সমস্ত নারী-চিকিৎসকদের সার্থক অনুপ্রেরণা হিসেবে।

 

হিপোক্রেটিসের মতোই, সে যুগের আথেন্স বা আলেকজান্দ্রিয়ায় চিকিৎসাবিদ্যার প্রধান কেন্দ্রগুলিতে নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এগনোদিসকে আটকানো যায়নি। নিজের সাধের কেশগুচ্ছকে ছোটো ছোটো করে কেটে ফেলে পুরুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে তিনি আলেকজান্দ্রিয়ায় উপস্থিত হয়েছিলেন। আত্মপরিচয়কে লুকিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সেই প্রথম যুগের অ্যানাটমিস্টদের মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ, চিকিৎসক হেরোফিলসের চিকিৎসাকেন্দ্রে, ছাত্র হিসেবে। অধ্যয়ন করেছিলেন চিকিৎসাশাস্ত্রের গভীরতর প্রক্রিয়াগুলিকে। শোনা যায়, স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ হিসেবেও হেরোফিলসের প্রসিদ্ধি ছিল। এমনকি নারীর জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের প্রথম আবিষ্কর্তা বা বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষক হিসেবেও তাঁর কথাই অনেকে উল্লেখ করেন। এহেন হেরোফিলসের সান্নিধ্যে এসে ক্রমশই ধাত্রীবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক হয়ে ওঠেন এগনোদিস। পুরুষের ছদ্মবেশেই তিনি আথেন্সে তাঁর চিকিৎসার কাজ চালিয়ে যান। হাইগিনাসের বক্তব্য অনুযায়ীও মূলত ধাত্রীবিদ্যার বিষয়টিতেই অ্যাগনোদিসের খ্যাতির পরিমাণ ক্রমশ গগনচুম্বী হতে শুরু করে। শহরের প্রতিষ্ঠিত ধনী ব্যবসায়ীদের পরিবারে, শিক্ষিত উচ্চপদস্থ মানুষদের পরিবারে ক্রমশই তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ক্ষমতাবান ও অর্থবান পরিবারগুলিতে ক্রমশই যখন মহিলামহলে এই সুদর্শন কোমল-মুখের নবাগত ‘পুরুষ’ চিকিৎসকের পরিচয় ছড়াতে থাকে, ততই শহরের অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসকেরা ক্রমশ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়তে থাকেন। এখন এই এগনোদিস যদি কিংবদন্তীও হয়ে থাকেন - তৎকালীন লোকগাথায়, সমাজ-ইতিহাসে এঁর জীবনের সঙ্গে প্রায় সমান্তরাল, আশ্চর্য আরেকটি বর্ণনার অদ্ভুত সমাপতন দেখা যায় সমসাময়িক প্লেটোর জীবন-সংক্রান্ত একটি রচনাতে। প্লেটোর ছাত্রী ছিলেন এক্সিওথিয়া, যিনিও নাকি শিক্ষালাভের ইচ্ছেপূরণে অনামী পুরুষের ছদ্মবেশে গুরু প্লেটোর বিদ্যাচর্চা-কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন। তাহলে আমাদের এগনোদিসও কি তবে সত্যি ? এদিকে আথেন্সে, এগনোদিসের বিরুদ্ধে জমতে থাকা পাহাড়প্রমাণ (পুরুষালী (!)) হিংসের পরিমাণও কিন্তু ক্রমশই তিলে তিলে আরও বাড়তে শুরু করেছিল। একেকজন তাঁর ‘পুরুষত্ব’কে নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। এই সমস্ত যাবতীয় অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রকাশ্য বিচারসভায় আহুত হন এগনোদিস। শোনা যায়, বিচারক আরিওপাগাসের সামনেই তিনি বাধ্য হন তাঁর নারীত্বকে প্রকাশ করতে। নগ্নতার মাধ্যমে সেই প্রকাশ। তিনি তাঁর পোশাকের অংশবিশেষ বিচারক ও সকলের সামনে উন্মোচিত করেন। দেহপটের আবরণহীনতাতেই যে নারীত্বের পূর্ণতা, নারীত্বের সার্থক প্রকাশ! একেকজন গবেষক বলেন, সেই ঘটনা থেকেই নাকি গ্রিস দেশে ক্রমশ পোশাক ছেড়ে নগ্নতাকে বরণ করে নিচ্ছেন এমনতরো একেকটি নারীমূর্তির প্রচলন হতে শুরু করে। বিচারের ফলাফলে এগনোদিস মহিলা হয়েও পুরুষ চিকিৎসকদের নজরদারি বা কর্তৃত্ব-ব্যতীত স্বাধীন ভাবে চিকিৎসক বা ধাত্রী হিসেবে কাজ করার গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। কিন্তু, যে সমস্ত ক্ষমতাবান ও অর্থবান পরিবারগুলিতে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন, সেই সমস্ত পরিবারের ধনী, উচ্চবিত্ত, উচ্চশ্রেণীর মহিলারা এগনোদিসের সমর্থনে দাঁড়ান। অবশেষে সেই বিচারকমণ্ডলী এগনোদিসের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে বাতিল করতে বাধ্য হন। এর পরে পরেই আথেন্সে পুরুষ চিকিৎসকদের নজরদারি বা কর্তৃত্ব-ব্যতীত স্বাধীন ভাবে মহিলাদের চিকিৎসক বা ধাত্রী হিসেবে কাজ করার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল, সেটিকেও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এগনোদিসের এতদিনকার সংগ্রাম অবশেষে তার যথার্থ সার্থকতাকে অর্জন করে।

 

আজ ইউরিপিডিসের মেদেয়াকে মনে পড়ে ? অথবা আপোলোনিয়াস রোদিয়াসের মেদেয়াকে ? মেদেয়াকে গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী দেখানো হয়েছিল সাধারণ মানুষকে অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে এমন এক আশ্চর্য জাদুকরী ক্ষমতার অধিকারিণী হিসেবে। আপোলোনিয়াসের মেদেয়া প্রায় ডাকিনীরই সমতুল। তন্ত্র-মন্ত্র, গাছ-গাছড়ার ব্যবহারে যে মানুষের জীবনকে, তার শরীর-স্বাস্থ্যকে এক লহমাতেই বিষিয়ে তুলতে পারে। তুলনায় ইউরিপিডিস তাঁর রচনাতে কিছুটা হলেও একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে চেষ্টা করেছেন। ইউরিপিডিসের ‘মেদেয়া’তে, মেদেয়া তার আশ্চর্য শক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বিচারবুদ্ধির সাহায্য নেয়। যে কারণে আথেন্সের রাজাকে সে অসুস্থতা থেকে সুস্থ করে তুললেও করিন্থের রাজা ক্রেয়ন ও তাঁর রাজকন্যাকে সে বিষ-ওষুধের মাধ্যমে হত্যা করে। মেদেয়া ও এগনোদিস – সমসাময়িক সমাজ ও বাস্তব, আজ মুখোমুখি চিত্রার্পিত হোক। দুজনেই দেখুক আজ দুজনের দিকেই। একদিকে থাকুক সমাজের ধারণা, সমাজের প্রতিকৃতি, সমাজের অন্ধ-সংস্কার। অন্যদিকে বাস্তব, অনুশীলন, বিজ্ঞান, পরিষেবা, আধুনিকতা। আপোলোনিয়াসের মেদেয়া ও আমাদের এগনোদিস।

 

এগনোদিস সত্যি, নাকি মিথ্যে – এগনোদিসের গল্পে আজ কতখানি সত্যতা, ইতিহাস খুঁড়ে বের করা হোক সেসব। কেবল মানুষ আজ এইটুকু জানুক, হাজার বছর আগেকার কোনও এক ইতিহাসে, অথবা গল্পেতেও, ভারতবর্ষীয় একলব্যের মতোই ছিল একজন। কেবল যেখানে একলব্যের প্রতিবন্ধকতা ছিল তার জাতি-পরিচয়ে, এই গ্রিক একলব্যের প্রতিবন্ধকতা ছিল তাঁর নারীত্বে। কিন্তু সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে ছাপিয়ে কিংবদন্তীতে থেকে যায় কেবল প্রতিভার পরিচয়টুকুই। সেকালের মেয়েদের সাহসের সাতকাহন। ...

 

সূত্রঃ

 

১) ভি নুট্টন, ‘দ্য ড্রাগ ট্রেড ইন অ্যানটিক্যুইটি’, দ্য জার্নাল অব রয়্যাল সোসাইটি অব মেডিসিন, ১৯৮৫

২) হেলেন নর্থ, ‘সোফ্রোসাইনঃ সেলফ নলেজ এ্যান্ড সেলফ রিস্ট্রেন্ট ইন গ্রিক লিটারেচার’, ১৯৬৬

৩) মিশেল ফুকো, ‘দ্য ইউজ অব প্লেজার’, ১৯৯০

৪) এস. পমের‍য়, ‘দ্য এডুকেশন অব উইমেন ইন দ্য ফোর্থ সেঞ্চুরি এ্যান্ড ইন দ্য হেলেনিস্টিক পিরিয়ড’, আমেরিকান জার্নাল অব এ্যানশিয়েন্ট হিস্ট্রি, ১৯৭৭

৫) আর. ব্লন্ডেল, ‘উইমেন অন দ্য এজঃ ফোর প্লেজ বাই ইউরিপিডিস’, ১৯৯৯

৬) ই. বি. বঞ্জি, ‘হিরোয়িক এলিমেন্টস ইন দ্য মেদেয়া অব ইউরিপিডিস’, ট্রানস্যাকশনস অব দ্য আমেরিকান ফিলোলজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি, ১৯৭৭

পুনঃপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ 

লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক 

ছবি : সংগৃহীত 

 

0 Comments

Post Comment