- 20 October, 2021
- 0 Comment(s)
- 434 view(s)
- লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
(১)
আকাশটা কালো হয়ে এসেছে। মৈত্রেয়ী একদৃষ্টে মেয়েটাকে দেখছিলেন। দেখছিলেন কেমন অনায়াসেই বাবার ঢ্যামকুড়াকুড় বোলের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে প্রাণপণে মেয়েটা কাঁসর পিটে চলেছে। কপালের উপরে বিন্দু বিন্দু ঘাম। তবু ঝকঝকে হাসিটা যেন মুখে লেগেই আছে। চোখের উপরে একগাছি চুল এসে পড়েছে। সরাবার সময় নেই। দুর্গাপ্রতিমার দিকে একমনে চেয়ে থেকে মেয়েটা কাঁসর বাজিয়েই চলেছে। এতটুকুও ক্লান্তি নেই। এমন সময় তার মৈত্রেয়ীর দিকে চোখ পড়ে গেল। কোনও ভাবান্তর হলো না। যেমনটা হাসিভরা মুখ ছিল, তেমনটাই রইল। মৈত্রেয়ীই বরং চোখ ফিরিয়ে নিলেন। তোর্সা এসে গেছে। হাত ধরে টানছে মৈত্রেয়ীর।
-“আমরা ঠাকুর দেখতে যাব না মা ? অনেক বেলা হয়ে গেল তো।”
“ভারী মিষ্টি বটে মেয়েটি আপনার,” পাশ থেকে মিসেস গুপ্তা মন্তব্য করেন, “তা এবারে যেন কোন ক্লাস হলো ?” –“ক্লাস সেভেন,” মৈত্রেয়ী জবাব দেন। এপাড়াটা একদিক থেকে ভালো। বনেদী, সম্ভ্রান্ত পরিবার সকলে। অর্থোপার্জনের তাগিদে প্রত্যেকেই এত ব্যস্ত যে অন্যের সংসারে নাক গলানোর মতো ফুরসত মেলে না। ইউটোপিয়ান ? বোধহয় নয়। মৈত্রেয়ী মনে মনে হাসেন। তবু অস্বীকার করা চলে না, এই পাড়াই শেষ অবধি তাঁকে একটা আশ্রয় দিয়েছে। উঁচু সরকারি পদে চাকুরে হলেও স্রেফ অর্থের জোর দিয়েই সবসময় পরচর্চাকে আটকানো চলে না। মৈত্রেয়ী এপাড়ায় এসেছেন প্রায় তিন বছর। এতদিন অবধি কেউ তাঁকে বিরক্ত করেনি। বরং পাড়ার অনুষ্ঠানে, উদযাপনে তিনি দিব্যি নিজের একটা জায়গা করে নিতে পেরেছেন। সামাজিকতার দিক থেকে এই পাড়া তাঁকে ফেরায়নি। হয়তো বা অর্থবল, হয়তো বা পদের গৌরব। তবুও তো অস্তিত্বে অসুবিধে হয়নি মৈত্রেয়ীর। তিনি মেয়ের দিকে তাকান। “চলো মা, এই তো বেরুব এক্ষুণি।”
দেখতে দেখতে আজ অষ্টমী শেষ হতে চলল। আবারও একটা পুজো ফুরিয়ে এল। মৈত্রেয়ী আরও একটিবার সেই মেয়েটির দিকে ফিরে তাকালেন। একমনে সে তখনও কাঁসর বাজিয়ে চলেছে। ঢাকের আওয়াজে আর কোনকিছুই স্পষ্ট করে শোনা যাচ্ছে না। ধুনোর ধোঁয়ায়, ধূপের গন্ধে চারিদিক ভরে এসেছে। আকাশের মেঘটাও বোধহয় কেটে যাচ্ছে ফের। মৈত্রেয়ী তোর্সার হাত ধরে মণ্ডপের বাইরেটায় বেরিয়ে এলেন। আজ ওঁরা উত্তর কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাবেন। ড্রাইভার উজ্জ্বল গাড়ি নিয়ে এসে সেলাম ঠুকে দাঁড়াল।
(২)
-“এবারে তোমার ছেলেটি আসেনি ?” মৈত্রেয়ী বিশ্বনাথকে জিজ্ঞেস করেন। ঢাকি বিশ্বনাথ গত সাতবছর ধরে এপাড়াতে ঢাক বাজিয়ে আসছে। সাধারণত তার ছেলে পল্টুই প্রতি বছর তার সঙ্গে কাঁসর বাজাতে আসে। এবারেই প্রথম তার অন্যথা হলো।
-“পল্টুর যে পরীক্ষা গো দি’মণি,” বিশ্বনাথ একগাল হেসে বলে, “আর বছরেই যে পল্টুর মাধ্যমিক। ইস্কুলেও নাকি ভালো পড়াশুনো করতেছে আজকাল। তাই এবছরটা আর ...” মৈত্রেয়ী অবাক হয়ে তাকান। আসলে শহর আর গ্রামের মধ্যে এখনও যে এক দুস্তর মানসিক ভেদাভেদ, দৃষ্টিভঙ্গির চরম বৈকল্য অবস্থান করে - দুপ্রান্তেই। তাই অনেকের কাছেই এমন ভাবনা, বা এমন পরিকল্পনাকে আশ্চর্য, অদ্ভুৎ বলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবু মৈত্রেয়ী নিজেকে সামলে নেন। আর যাই হোক, সরকারি উঁচুপদে কাজ করার সুবাদে দেশের বেশ কিছুটা অংশকে, জনগণের বেশ কিছুটা অংশকে তিনি অন্তত কাছ থেকে দেখতে চেষ্টা করেন। দেখার সুযোগ পান। শিক্ষা অথবা প্রাচুর্য, দুয়ের কোনটিতেই যে শহুরে মানুষদের আর একচেটিয়া কায়েমী অধিকার নেই একথা তিনি জানেন। তিনি প্রসঙ্গান্তরে গেলেন।
-“এটি তোমার মেয়ে বুঝি ? ইস্কুলে যায় ?”
-“যায় বৈকি দি’মণি, ওর নাম প্রতিমা। ক্লাস সিক্স। মাস্টারেরা বলে ও’ও নাকি ওর দাদার মতোই পাকা মাথার হয়েছে।”
-“ওকেও পড়াবে তো ? মাধ্যমিক ? উচ্চ মাধ্যমিক ?”
-“ইচ্ছে তো আছে দি’মণি। ষোলো আনার উপরে আঠারো আনা। এবারে দেখা যাক। কপালে কি আছে আমাদের। আসলে - আমাদের তো আর ...” বিশ্বনাথ জিভ কেটে চুপ করে যায়।
-“তোমাদের কি ?” মৈত্রেয়ী জিজ্ঞেস করেন।
-“না - না গো দি’মণি। ভুল হয়ে যাচ্ছিল এক্কেরে! ওকথা বলার নয়।”
-“তবু শুনি,” মৈত্রেয়ী অভয় দেন।
-“ও কিছু না গো!” বিশ্বনাথ তবু এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে।
-“বলো,” মৈত্রেয়ী সোজাসুজি ওর দিকে তাকান। কড়া কিন্তু শান্ত একটা কর্তৃত্বের দৃষ্টি নিয়ে। আমলা হিসেবে যে দৃষ্টিটাকে প্রায়শই তাঁর চোখে তাঁর সহকর্মীরা, অন্যান্য স্টাফেরা দেখতে পায়। তার উপরে আর কারো কথা চলে না। বিশ্বনাথ চোখ নামিয়ে নেয়।
-“আসলে, আমাদের তো আর মাস গেলে মাইনে হয়না গো দি’মণি। আর এই কোরোনা অসুখ আর লকডাউন, সব শেষ করে দেছে। তবুও আশায় থাকি গো আমরা। আশায় বুক বেঁধে বাঁচি। নইলে আর ঢাকে বোল তুলব কি করে ?”
মৈত্রেয়ী চুপটি করে বসে ভাবছিলেন। ওপাশে সন্ধিপুজোর আয়োজন চলছে। অনেক রাত। তোর্সাও এতক্ষণ ছুটোছুটি করে মৈত্রেয়ীর পাশটিতে এসে বসেছে। “আইসক্রিম খাবি নাকি ?” মৈত্রেয়ী তোর্সাকে জিজ্ঞেস করেন। মেয়েও অমনি লম্বা করে ঘাড় নেড়ে সায় দেয়। মৈত্রেয়ী হেসে ফেলেন, “যা তো, ঝপ করে তাহলে বিশ্বনাথকাকুর পাশ থেকে ওই মেয়েটাকেও সঙ্গে করে একবারে ডেকে নিয়ে আয় তো দেখি। ওর নাম প্রতিমা। তোর থেকে এক ক্লাস নীচুতে পড়ে। একবারে ডেকে নিয়ে আসবি।” তোর্সা ছুটতে ছুটতে চলে গেল। সন্ধিপুজো লাগতে এখনও আধঘণ্টা মতো সময় বাকি আছে। মৈত্রেয়ী চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বিশ্বনাথকে হাত তুলে আশ্বস্ত করেন। আধঘণ্টার মধ্যে ওঁরা দিব্যি আইসক্রিম খেয়ে ফিরে আসতে পারবেন। প্রতিমার হাসিটা যেন মৈত্রেয়ীর বুক জুড়ে ফুটে ওঠে। তোর্সার সঙ্গেও এরমধ্যেই তার ভাব হয়ে গেছে।
(৩)
নবমীর সকালে হঠাৎই শুভব্রত এসে হাজির। শুভব্রত মৈত্রেয়ীর ভাই। কর্মসূত্রে প্রবাসী। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে বড় অফিসার হিসেবে দোহাতে সেটলড। নন-রেসিডেন্সিয়াল ইন্ডিয়ান। প্রতিমার কথা শুনে সে মিটিমিটি হাসল। “আই টেল ইউ দিদিভাই, পল্টু যদিও বা মাধ্যমিক পাশ করে – প্রতিমার জীবন সেই গতানুগতিক ধাঁচেই এগুবে। ক্লাস এইট উতরোলেই অনেক।” ভাইয়ের জন্য কাচের গেলাসে মৈত্রেয়ী জল ঢালছিলেন। খানিকটা জল চলকে পড়ল। “এভার এ্যাজ সারকাস্টিক, তাই না ?” মৈত্রেয়ীও পাল্টা জবাব দেন, “আসলে এনআরআইদের গড় দৃষ্টিভঙ্গিটাই এইরকম। চুড়ান্তরূপে দীন, আর অন্তঃসারশূন্য খোলস মাত্র।” মৈত্রেয়ী অনুভব করেন ওঁর শরীরের মধ্যে রাগটা ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে। কেবল ফেটে পড়ারই যেটুকু অপেক্ষা। উনি গেলাসটাকে ভাইয়ের দিকে বাড়িয়ে দেন।
-“ইউ টেল মি দিদিভাই, কতটুকু এগিয়েছি আমরা ? গার্লচাইল্ড রিমেনস এ্যাজ আনওয়ান্টেড এ্যাজ এভার। বিশেষ করে এই উপমহাদেশে। আমরা মেয়েদের নিয়ে কোনদিন ভেবেছি ? নাকি ভাবতে চেষ্টা করেছি ?” শুভব্রত গেলাসে চুমুক দিয়েছে।
-“এই কথাগুলো তো আট বছর আগেও তোর মুখে কখনও শুনিনি। ফর্ম্যালিটি করতে এসেছিস। ভালো লাগছে। তাই বলে খামোখা প্রোগ্রেসিভ সাজতে হবে কেন ?” মৈত্রেয়ী ঠান্ডা গলায় জিজ্ঞেস করেন। পরিবার, পরিজন, আত্মীয়তা – এগুলো আসলে মৈত্রেয়ীদের কাছে খুব সুদূর, সুদূরের শব্দ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থের জোরে, প্রতিপত্তির জোরে অথবা অদম্য মানসিকতায়, এঁরা কেবল নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখেন। উদ্যাপন করেন। আর পরিবার শব্দটা যখন সত্যিই দূরের হয়ে যায়, কারোর ‘থেকে’ বা কারোর ‘প্রতি’ দায়বদ্ধতাটা যখন আর টেকেন ফর গ্রান্টেড থাকে না, মানুষ তখনই সবচেয়ে সাহসী, সবচেয়ে বেশি করে সবল হয়ে ওঠে।
মৈত্রেয়ী মিষ্টি কটাকে প্লেটে সাজিয়ে দেন। “আমরা একটু বেরুব রে। তুই বরং আরেকদিন আসিস।” শুভব্রত বুঝতে পারে সে ভুল করে ফেলেছে। “তুই এখনও আমাদের,” –“ভুল বোঝার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ওইসময় চাকরিটা তোর সত্যিই প্রয়োজন ছিল। আমি যে তার পরের বছরই সরকারি চাকরি লাগিয়ে ফেলব এটাও আসলে তোরা আন্দাজ করতে পারিসনি। কি করে পেরেছিলাম, আমিও জানি না। কিন্তু সেই সময় দাঁড়িয়ে সত্যপ্রিয় সেনকে তোদের প্রয়োজন ছিল। আমি বুঝি সে’কথা।” সত্যপ্রিয় সেন মৈত্রেয়ীর স্বামীর নাম। আট বছর আগে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে। সত্যপ্রিয় সেন বেসরকারি কলেজের ডাকসাইটে অধ্যাপক। কন্যাসন্তান হওয়ার অপরাধে শ্বশুরবাড়ির তীব্র অত্যাচারে মৈত্রেয়ী সংসার ছাড়তে বাধ্য হন। কেউ টুঁ শব্দটিও করেনি। এমনকী, বাপের বাড়িতেও জায়গা হয়নি তাঁর। শুভব্রতর তখন চাকরির প্রয়োজন ছিল। আর দুদিকের পরিবারের কেউই তখন ‘সমাজে’ তাঁদের অবস্থানকে নষ্ট করতে চাননি। মেয়ে হয়ে মৈত্রেয়ী দুর্দান্ত সাহস দেখিয়ে সমাজে একলাটি এসে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিছু জমানো টাকা আর অনবদ্য মনের জোর, একবছরের মধ্যেই সরকারি চাকরিটা হয়ে যাওয়ায় মৈত্রেয়ীকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু মৈত্রেয়ী ভিতরে ভিতরে জানেন মানুষ কি ভয়ানক জীব, আবার এই মানুষের মধ্যেই ভগবানও আছেন। আসলে কারোকে বিশ্বাস করতে নেই। সকলকেই যাচাই করে নেওয়া উচিত। তবুও মৈত্রেয়ী ইউটোপিয়াতে বিশ্বাস করেন। প্যারাডক্স এটাই।
(৪)
মৈত্রেয়ী ফিসফিস করে আবৃত্তি করছিলেন,
তোর্সা পিছন থেকে এসে তাঁর গলা জড়িয়ে ধরল। তারও পিছন পিছন আরও একজন এসে হাজির। ফুটফুটে ফ্রকে কি সুন্দরই না লাগছে প্রতিমাকে। মৈত্রেয়ী মনে মনে একটা অনাবিল আনন্দ অনুভব করেন। হয়তো বা এজন্যই প্রবেশনের পরে যখন ডিপার্টমেন্ট বেছে নিতে বলা হল তাঁদের, মৈত্রেয়ী ‘নারী ও শিশুকল্যাণ’ দপ্তরের জন্য আবেদন করেছিলেন। মৈত্রেয়ী এরই মধ্যে প্রতিমার স্কুলেও খোঁজ নিয়েছেন। সত্যিই সেখানে সে জুয়েল ছাত্রী বলে পরিচিত। মৈত্রেয়ী দুহাত দিয়ে দুজনকে জড়িয়ে ধরেন। তোর্সাকে নিয়ে তাঁর যে লড়াই, একদিন তোর্সা সবটা জানবে। কিন্তু এখন তোর্সা আগে প্রতিমাকে চিনুক। প্রতিমা চিনুক তোর্সাকে। মানবতার ভবিষ্যৎ যে এরাই তৈরি করবে। সংগ্রাম আর পারস্পরিক ঘর্ষণের চেয়েও যেখানে দরকার হবে বন্ধনের, বন্ধুত্বের, বিশ্বাসের। আত্মপরিচয়ের আর বিশ্বপরিচয়ের। মৈত্রেয়ী এদেরকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেন। আজ বিজয়া সম্মিলনী উৎসব।
আর কেউ না জানলেও মিসেস গুপ্তা জানেন কেন বিশ্বনাথ এবারে বাড়ি যায়নি। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান অবধি তাকে ধরে রেখে দিয়েছেন মৈত্রেয়ী। সুন্দর ফুরফুরে কার্তিকের হাওয়ায় দামী পোশাকে সজ্জিত মিসেস গুপ্তা আজকের অনুষ্ঠানে ঘোষিকার দায়িত্ব পালন করছিলেন। ফুটফুটে ফ্রক পরে দুটি অবয়ব মঞ্চে উঠে এল। আবারও কি সেই ইউটোপিয়ার জগত ? এমন একটা অভিজাত অঞ্চলের চিরাচরিত পরিমণ্ডলে সত্যিই কি কারোর পক্ষে এমনটা হৃদয়বান হওয়া সম্ভব ? হয়তো বা সম্ভব। হয়তো নয়। হয়তো বা গান্ধীজির ট্রাস্টিশিপ তত্ত্ব ভুল ছিল। কিন্তু মৈত্রেয়ী যে স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে বাঁচেন। বাস্তবের মধ্যেও।
সকলে সেই সুন্দর সান্ধ্য অনুষ্ঠানটুকুকে প্রাণ দিয়ে উপভোগ করছিল। সাদাকালো, ডানবাম, হলুদসবুজকে ছাপিয়েও দুটি রিনরিনে গলায় তখন চতুর্দিকে ধ্বনিত হচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের কবিতা। মৈত্রেয়ীরা শুনছিলেন,
[কবিতা ও শিরোনাম সৌজন্যঃ ‘দুই আমি’, শিশু ভোলানাথ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক
ছবি: সৃজীতা গুপ্ত, পেশায় আইনজীবী, নেশায় চিত্রকর, আলোকচিত্রী ও বাচিকশিল্পী
0 Comments
Post Comment