- 26 June, 2022
- 0 Comment(s)
- 454 view(s)
- লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
আমরা এখনও জেনিফার জিওনের বেহালা শুনে চলেছি। জেনিফার ইউটিউব সেলিব্রিটি। ধর্মীয় সঙ্গীত, শাস্ত্রীয় মূর্ছনায় তুখোড় হাত। আশ্চর্য সাবলীল আওয়াজ। শুনতে ভালো লাগে। আরও বেশি করেই শুনতে ইচ্ছে হয়। মনোরম কোনও পার্ক বা পুকুরের সামনেটায় দাঁড়িয়ে জেনিফার তার বেহালা বাজিয়ে যায়। সুরগুলো নড়ে চড়ে, খেলা করে। মনটা কেমন শান্ত হয়ে আসে। সঙ্গীতকে কেউ কখনও ‘হারাম’ বলবে না। চেচনিয়াতে ওরা মুসলিম উগ্রপন্থীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। উগ্রপন্থার কোনও জাত হয় বলে শুনিনি। ধর্ম হয় বলে শুনিনি। আমরা জেনিফারের বেহালা শুনছিলাম। একেকটা করে স্বর, শরীরের প্রতিটা কোষ, প্রতিটা রন্ধ্রে গিয়ে যেন বা ছুঁয়ে দিচ্ছিল কোথাও। আমার জেনিফারের শরীরকে ভালো লাগছিল। ওর সঙ্গীতকে ভালো লাগছিল। আমার সহকর্মী ওলেগ একবার বলেছিল, “অমন সুন্দরপানা দেখতে বলেই না ইউটিউব সেলিব্রিটি হতে পেরেছে! লোকে শুনতে শুনতে দেখে, দেখতে দেখতে শোনে, ভালো লাগে ওদের।” পুরুষদের কাছে এখনও কি আমরা শরীর ভিন্ন আর কোনও কিছুই হয়ে উঠতে পারিনি? ইচ্ছে হচ্ছিল তাকে ঠাসিয়ে এক চড় কষিয়ে দিই। কিন্তু ওলেগও যে আমাকে ভালোবাসে। ভালোবাসে আমাদের দেশ রাশিয়াকেও। এখানে ইউটিউব নিষিদ্ধ হতে চলেছে। আজ নয়তো কাল। জেনিফারের বেহালাকেও অপছন্দ ওদের।
আমরা একটা ঘরের মধ্যে বসেছিলাম। আমি আর সিলভিয়া। সিলভিয়া ফিয়াদোরোভনা, নিঝনি নোভগরদের বাসিন্দা। আমার বয়স ২৮। সিলভিয়ার ২৯। আমরা দুজনেই খবরের কাগজে কাজ করি। আমাদের কাগজ, গেজেটা ইন্ডিপেন্ডেন্টকে সরকার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২, আমাদের কাগজের দপ্তর থেকে সমস্ত জিনিসপত্রকে সরকারি অফিসার ও পুলিশ বাক্স বন্ধ করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে। একই দিনে ক্রাউডফাণ্ডেড রেডিও স্টেশন, রেডিও ১০এরও সম্প্রচার ওরা বন্ধ করে দিয়েছে। ওলেগের বন্ধু আনাস্তাসিয়া সেখানে কাজ করত। পুলিশ ওর মুখে হাত রেখে জোর করে জামা ধরে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে অবধিও, সে মাইক্রোফোনের সামনেটায় বসে থেকে চড়া কণ্ঠে রেডিওর সম্প্রচার জারি রেখেছিল। চিৎকার করে সে বলে চলেছিল, “হ্যাঁ আমরা এটাকে যুদ্ধই বলব, যুদ্ধই বলতে চাই – এবং আমরা সেই যুদ্ধের বিরোধিতা করি! সব দিক থেকে তার বিরোধিতা করে চলেছি! ...” জেনিফারের বাজনা থেমে গিয়েছে। আমি সিলভিয়ার দিকে তাকালাম।
সময় হয়ে এসেছে। আমাদের কাগজের মালিক, এবং সেই একই লোক - যিনি কিনা এই কাগজের সম্পাদকও বটে, আমাদেরকে যখন এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তখন আমরা এতটুকুও অবাক হইনি। আদতে আমাদের জব ডেসক্রিপশন বলে কিছু থাকে না। আমরা আমাদের এই পেশাকে ভালোবেসে বেছে নিয়েছি। কথাটা আদর্শ-আদর্শ শোনালেও কিছু কিছু সত্যভাষণ বোধহয় এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও, বাস্তবের চেয়ে অনেক অনেক গুণে বেশি করেই - অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য বলে মনে হতে থাকে। সহকর্মী ওলেগ, আমাদের এই এ্যাসাইনমেন্টের কথা জানে না। জানলে সে নিশ্চিত করেই আজ আমাকে (বা আমাদেরকে) এই এ্যাসাইনমেন্টে যেতে বারণ করত। কিন্তু কোনও উপায় ছিল না। কোথাও একটা গিয়ে আমাদেরকে যে ফিরে তাকাতেই হবে; ফিরে দাঁড়াতেই হবে এবার। অনেকখানি রাস্তা পেরিয়ে এসেছি। বেহালার অনেকগুলি সরগম নিরুপদ্রবেই বেজে বেজে থেমে গিয়েছে। জেনিফার ...
আমাদেরও তো স্বপ্ন ছিল জেনিফার। তোমাদেরই মতো একেকজন হয়ে, হয়তো বা অভিবাসী হয়েও ঘর বেঁধে থাকব বস্টন কিংবা সিনসিনাটির অভিজাত কোনও পাড়ায়। বেহালায় তুলব সুর। লোকে তা দেখবে, শুনবে, উপার্জনে ঘর ভরে উঠবে। সত্যিই কি তোমাদেরও তাই ভরে ওঠে ? মানুষ বোধ করি অনেক সহজেই, মনে মনে ভেবে নিতে পারে আকাশকুসুম! আদতে যে চলার পথ, আদপেই কুসুমাস্তীর্ণ নয় – তাকে বোঝাবে কে ? সে তখন আপন খেয়ালেই চলেছে। সিলভিয়াও এখানে আমার মতন আবেগপ্রবণ নয়। দুটি পা’ই তার সাবলীল ভাবে মাটি ছুঁয়ে এগোয়। এজন্যই তার রিপোর্টাজগুলোয় যুক্তির ভাগ, তথ্যের ভাগ থাকে বেশি। আমারগুলিতে থাকে কেবল অন্তঃসারশূন্য মোনোলগ, খাপছাড়া চিন্তাদের অবিরাম ওড়াউড়ি, কাব্যিক যত লঘু চালের আলোচনা। সিলভিয়া তবুও পছন্দ করে আমায়। একই সঙ্গে আমরা কফির আড্ডাতে গিয়েছি, কত না বার।
সিলভিয়া কথা বলে। “মিসেস নাভালনির সঙ্গে গতকাল কথা হচ্ছিল আমার। ওরা এ্যালেক্সেইকে খুনী আসামীদের কুঠুরিতে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মিসেস নাভালনিকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, এসব নিয়ে আপনার চিন্তা হয় না ? তিনি উত্তর দিলেন, চিন্তার অবকাশটুকুও যে পাচ্ছিনে কোথাও। এখন কেবল এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ছুটে বেড়ানো। এখন কেবল এই লড়াইটাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া। যতদিন পর্যন্ত না সবকিছুই, সবকিছুই শেষ হয়ে যেতে থাকে।”
ঘর জুড়ে বিঠোফেন, মূর্ছনা তখন; সিলভিয়াই আমাকে প্রথম জেনিফারের বাজনা শুনিয়েছিল।
সাদা ধবধবে, লেসের কাজ করা সুদৃশ দুখানি গাউন ওরা আমাদেরকে পরিয়ে দিয়ে গিয়েছে। বেরুবার আধঘণ্টাটাক আগে এসে ওলেগ লাল রঙ আর মেকআপের বাক্সদুটোকে দিয়ে যাবে। কেবল তখনই ও জানতে পারবে আমাদের এই এ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ে। আমিই অনুরোধ করেছিলাম, যেন ওলেগকেই আজকের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজ বলতে রঙ আর মেকআপের বাক্সগুলোকে পৌঁছিয়ে দেওয়া। ওলেগ তখন আমাদেরকে আর নিরস্ত করতে পারবে না। শেষবারের মতোই একবার ছুঁয়ে নেব তাকে। হয়তো বা জীবনের মতো। ওলেগ রেগে যাবে। মন খারাপ করবে। কিন্তু দৃষ্টান্ত রেখে যাওয়ার এমনতরো সুযোগ আর আসবে না।
আমরা ভাবছিলাম পিটসবার্গের কথা। নিঝনি নোভগরদের কথা। লেনিনগ্রাদ! স্বপ্ন সফল হয়েছিল কি হয়নি, সেসব এখন অতীতের প্রসঙ্গ। কেবল এইটুকু জেনেছি, সাইবেরিয়ার ভয়াবহতা এতটুকুও কমেনি। কমতে পারেনি কখনও। না স্তালিন, না রাসপুতিন, অথবা গর্বাচভ – কিংবা আমাদের - আমাদেরই এই ভ্লাদিমিরের রাজত্বকাল, সাইবেরিয়া থেকেছে সাইবেরিয়াতেই। একবুক শীতলতা, একবুক অন্ধকারকে সম্বল করেই। ছোটবেলায় স্যাক্সোফোন বাজাতে চেয়েছিলাম। সঙ্গীত আমাকে চিরকাল টেনেছে। আর টেনেছে পাস্তেরনাক। ডক্টর জিভাগোর উপাখ্যান। আমাদের এই গোপন অপারেশন, গোপন এই মোনোলগ, জানিনা কতখানিই বা অর্থহীন বলে মনে হচ্ছে। কেবল দুর্দান্ত এক লৌহবলয়ের দ্বারা আবৃত এই রাশিয়াতে, আমরা দেখতে চেষ্টা করেছি অনেক অনেক মানুষের উপস্থিতি। অনেক নারী ও পুরুষের উপস্থিতি। ডনবাস অপারেশনের নাম করে প্রতিবেশী ইউক্রেনের উপর পূর্ণশক্তির এক আক্রমণ নামিয়ে আনাকে তারা অপছন্দ করেছে। তারা রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সাইবেরিয়ার প্রান্তরে আবার, আবারও অনেকগুলি করে লেবার ক্যাম্পকে গড়ে তোলার সময় এসেছে। পৃথিবীতে মানবতা ক্ষতিগ্রস্ত। রাষ্ট্রগুরুদের ভরসাতে থাকতে নেই। সাধারণ মানুষ, অনেক সাধারণ মানুষ – একদিন তারাই হয়তো বা গড়ে তুলবে লেনিনগ্রাদ, নতুন রাশিয়ার নতুন পিটসবার্গ। অথবা লেনিনের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে মানুষ, সাধারণ মানবতার স্রোত, অন্তহীন। বিপ্লব আসলে ইউটোপিয়ারই অভিমুখ মেনে এগোয়। সেই ইউটোপিয়াকেই একদিন বাস্তব করে তোলা যাবে। মস্কোর রাজপথে সিলভিয়াকেও তখন আমার প্রকাশ্যে চুম্বনের স্বাধীনতা থাকবে। বিপ্লব আসলে গণমনস্তত্ত্বকেই পরিবর্তনের লড়াই! এই উপলব্ধিকে অনেক দূর অবধি পৌঁছাতে হবে, অনেক গভীর অবধি পৌঁছাতে হবে। এখনও দীর্ঘ পথ। সা থেকে সরগম শুরু!
// তাতিয়ানার কথা //
বিকেল। তকতকে রাস্তাঘাট। বিদেশমন্ত্রকের আওতাভুক্ত এই এলাকাতে বড়ো একটা যানবাহন চলে না। তাতিয়ানা অবাক হয়ে ভাবছিল ওলেগও কতখানি শক্ত হয়ে গিয়েছে। লৌহবলয় আবৃত এই রাশিয়াতে মানুষ ভালোবাসতেও বোধ করি আশঙ্কা অনুভব করে। সবটুকু শোনার পর ওলেগ কেবল ওর হাতদুটোকে নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে অনেকক্ষণ(?) স্থির হয়ে বসেছিল। বোধহয় বুঝে নিতে চেষ্টা করেছিল, এমনতরো সময় আর কখনও ওর বা তাতিয়ানার জীবনে আসবে কিনা। তারপর সাবলীল হাতেই লাল রঙটুকুকে মাখিয়ে দিয়েছিল দুজনকার পোশাকে। মেকআপ করে দিয়েছিল। ওরা দুজনে গাড়ি থেকে নেমে এগোয়। ওলেগ গাড়িটাকে নিয়ে চলে গেল। বিদেশমন্ত্রকের সাদা চকচকে উঁচু বাড়িটাকে বেশ এইখান থেকেই স্পষ্ট করে দুচোখে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। উল্টোদিকের বাঙ্কারের দুপাশে বিদেশি প্রেস-মিডিয়া, আর নানান কাগজের সাংবাদিকদের আনাগোনা। তাতিয়ানাদের পোশাক ইতিমধ্যেই তাদের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করেছে।
সিলভিয়া আর তাতিয়ানা সেই নকল রক্তমাখা গাউন পরা অবস্থাতেই ওদের হাতের দুখানা পোস্টারকে উঁচু করে তুলে ধরল। যার একটাতে লেখা রয়েছে, “সে নো টু ওয়ার, আমরা ইউক্রেন আগ্রাসনের বিরোধিতা করি!”, আর অন্যটাতে লেখা রয়েছে, “ফ্রি স্পিচের সমর্থক পুতিন, গেজেটা ইন্ডিপেনন্ডেন্টকে বন্ধ করে দেওয়া হলো কেন?” ওদের দুজনেরই ছবি উঠতে শুরু করেছে। তাতিয়ানার জেনিফারকে মনে পড়ছিল। এমন ঝকঝকে বিকেল। এই রাস্তাতেই যদি বা এমনতরো সময়ে সুর বেজে ওঠে হঠাৎ ? গভীর, গভীর এক অনুভূতির খবর। কিন্তু এত তাড়াতাড়িই বা পুলিশ এসে পড়ল কেমন করে ? বিদেশমন্ত্রকের রাস্তার ওপাশে মূল প্রেস এনক্লোজারটাকেও বা এত তাড়াতাড়িই চাবি এঁটে, ব্যারিকেড ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হলো কোন প্রস্তুতি থেকে ? আরও বেশি করেই তো সংবাদমাধ্যমের এখানে উপস্থিত থাকার কথা এই সময় ...
সিলভিয়াকে চারজন পুলিশ ঘিরে ধরেছে। মোটা একটা বেটন দিয়ে কেউ ওর পেটে আঘাত করল। সমস্ত সাংবাদিককেই তড়িঘড়ি এই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাতিয়ানার মনে পড়ছিল, ‘নিয়ারার টু ইউ’, গ্রেগরিয়ান ধর্মসঙ্গীত ... ওর চোখের উপরে ঠিক সেই মুহূর্তটিতেই নিকষ কালো একটা কাপড়ের পর্দাকে যেন বা সজোরে টেনে নামিয়ে দিল কেউ। ওর দমবন্ধ হয়ে আসছে। চিৎকার শোনা যাচ্ছে। তাতিয়ানার আর কিছুই মনে পড়ছে না।
// কুঠুরি নং ১২৯ //
এখানে শীতকাল। আমার কুঠুরিতে কোনও জানালা নেই। কেবল ঘুলঘুলির মতো আছে একটা। সেখানে রোজ সকালে একটা পাখি এসে বসে। আমি তার কিচিমিচি শুনতে পাই। এখানে প্রবল শীত। আমি সিলভিয়াকে আর কোনোদিনও দেখিনি। শুনেছি শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয়ে সে মারা গিয়েছে। এখানে আমাকে কেউ জেনিফারের বাজনা শোনায় না। গল্পের শুরুতে এক বদ্ধ ঠিকানাহীন কুঠুরি থেকেই আমার যে মোনোলগের আরম্ভ, এখনও তা শেষ হতে পারেনি। শুনেছি ওলেগই নাকি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। নয়তো আমাদের প্রতিবাদ আরও অনেকটা সময় ধরে চলতে পারত। অনেক সাংবাদিকের কাছে পৌঁছাতে পারত। ওলেগই নাকি গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে যেতে হাত নেড়ে পুলিশকে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল।
এখানে শীতকাল। আমার কুঠুরিতে কোনও জানালা নেই।
ওরা আমাকে গরম কাপড় আনতে দেয়নি। ওরা আমাকে সাতদিন অন্তর বরফ ঠাণ্ডা জলে চুবোয়। রাত্তিরে আলো জ্বালিয়ে রেখে দেয় চোখের উপর। ঘুমোতে পারিনা। শুনেছি নাকি নাভালনি, এ্যালেক্সেই নামের সিলভিয়ার পরিচিত সেই বিশেষ বিপ্লবী বন্দিও রয়েছে আমাদেরই আশেপাশের, আরও কোনও অজানা নম্বরওলা কুঠুরিতেই ... এ্যালেক্সেই! আমার এই কুঠুরির নম্বর ১২৯। এখানে শীতকাল এখন। আমি বোধহয় মস্তিষ্কের স্থিরতা হারিয়েছি।
জেনিফার, বস্টনে কি বসন্ত এখন ? আজকেও কি তুমি তোমার বেহালাকে শোনাবে না ? এই কুঠুরির অভ্যন্তরেও কি ভেসে আসবে না সেই আওয়াজ ? তীব্র অথচ গভীর, সেই আশ্চর্য এক অনুভূতিকেই বহন করে নিয়ে আসবে না ? সঙ্গীতকে কেউ কখনও ‘হারাম’ বলতে পারে না। যদি বলে থাকে, আমি সেই ধর্মকে ঘৃণা করি। সেই ব্যক্তিকে ঘৃণা করি। সেই পুস্তককে ঘৃণা করি। ইউক্রেনে বোধহয় এখনও যুদ্ধ হয়ে চলেছে। সিলভিয়াকে আমি আর কোনোদিনও দেখতে পাব না। আমি তবুও সেই ঘুলঘুলির উপরে কিচমিচ করে যাওয়া পাখিটারই সঙ্গে আপন খেয়ালে কথা বলে চলি।
কথা বলে চলি। যেমনটা বলে এসেছি, এতগুলো বছর ...
0 Comments
Post Comment