- 14 April, 2025
- 0 Comment(s)
- 112 view(s)
- লিখেছেন : সরিতা আহমেদ
দুই ‘ভাইরাল’ নারী সম্মানহানীর ঘটনার ১০ বছর পেরিয়ে গেল। প্রথমটির ভিক্টিম ছিলেন কিছু ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া, অন্যটির ভিক্টিম খোদ HRD Minister ( মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ) শ্রীমতি স্মৃতি ইরানী ।
দুই ঘটনায় মিল কোথায় ?
--- দুটিই নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে একটা বড়সড় থাপ্পড়!
আসুন ফিরে দেখা যাক----
*ঘটনা ১।
"Naming and Shaming, / Victims in Sexual Violence !" -- এই শিরোনামে স্যানিটারি প্যাডে স্লোগান লিখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের নোটিশ বোর্ডে সাঁটিয়ে দেয় কিছু 'কলরবি' ছাত্রছাত্রী ('ভিসি হঠাও-ধর্ষণকাণ্ডের তুরন্ত বিচার চাই ' আন্দোলনে পাওয়া নাম)
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ, শুক্রবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাড-প্রতিবাদ কাণ্ড থেকে উদ্দিপীত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের নারীদের ক্রমাগত শ্লীলতাহানী, ক্যাম্পাসে মহিলাদের ইভটিজিং করা, সমাজে চলা লিঙ্গবৈষম্য, ঋতুস্রাব নিয়ে অযথা গোপনীয়তার বিরুদ্ধে, নারীস্বাধীনতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ করার লক্ষে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা এই অভিনব প্যাড প্রতিবাদ অভিযান শুরু করে ।
প্রতিবাদীরা খোলাখুলি স্বীকার করেছিলেন তাদের অ্যাজেন্ডা। তাঁদেরই একজন অরুমিতা মিত্র জানিয়েছিলেন, 'এই ধরনের প্রতিবাদ সংঘটিত করার জন্য ইতিমধ্যেই 'পিরিয়ডস' নামে একটি ফোরাম গঠন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কী ভাবছেন, কী করবেন না করবেন তা নিয়ে আমরা ভাবছি না। ভবিষ্যতেও এমন প্রতিবাদে আমাদের সংগঠন থাকবে ও লড়বে।'
এরপর থেকেই এই প্যাড নিয়ে প্রতিবাদের ঘটনা ছড়িয়ে দেয় আগুন। অবশ্য ওয়েবকুপা / আবুটা শিক্ষক সমিতি বা নানা রঙের ছাত্র সঙ্ঘরা প্রতিবাদীদের দুয়ো দিয়ে বলেছিলেন ‘দাবী বা প্রতিবাদ জানানোর অনেক পথ আছে, কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোনটা শোভনীয়।’
পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিবিধ ট্যাবুর অভিভাবকদের মতো এ দেশের বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবীগণ (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) মনে করেন ‘স্যানিটারি ন্যাপকিন’ কালো প্যাকেটে, কাগজে, ব্যাগের গোপন পকেটে ঢেকেচেপে রাখার জিনিস। ও জিনিস মেয়েদের ‘বদরক্তে’র ধারক - সুতরাং তা নিয়ে প্রতিবাদ এদেশের সংস্কৃতির সাথে খাপ খায় না। ২০১৫ সালেও যেমন যাদবপুরের উপাচার্য থেকে অন্যান্য শিক্ষকমহল এই বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন, আজও আছেন - "এমন প্রতিবাদ যা মেয়েদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয় তা কিছুতেই মানা যায় না।” আচ্ছা ভাবুন তো, আদৌ কি তা ‘মেয়েদের’ অস্বস্তির কারণ নাকি পুরুষের?
সেবার ইতিহাসের একজন অধ্যাপক শ্রী অমিত ভট্টাচার্য বলেন তাঁর এটাকে ন্যায্য প্রতিবাদের পথ হিসেবে মানতে আপত্তি নেই। গড্ডলিকা প্রবাহের বিপরীতে সাঁতরে তিনি জানান, "সব প্রতিবাদের পদ্ধতি সবার মনোমত নাও হতে পারে, কিন্তু মানুষের ভাবনাকে একটা ধাক্কা দিতে এ ধরনের পদ্ধতি কিন্তু প্রয়োগ করা হতেই পারে। আর ছাত্ররাই তো তাদের প্রতিবাদের উদ্ভাবনী শক্তি দেখাবে, তাই না?"
**ঘটনা ২।
'ফ্যাব ইন্ডিয়া' ভারতের একটি জনপ্রিয় মার্ট বা শপিং মল। দেশজুড়ে নানা শহরে এর ব্রাঞ্চ আছে। তেমনই এক ব্রাঞ্চে ড্রেস কিনতে গিয়েছিলেন ভারতের তদানিন্তন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রীমতি স্মৃতি ইরানী। ড্রেস পছন্দের পরে ট্রায়াল রুমে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন সেখানে একটি হিডেন ক্যামেরা আছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ম্যানেজারকে খবর দেন, শো’কজ করা হয় দোকানের মালিককে। জেরার মুখে যদিও প্রথমে কেউই এই অভিযোগ মানতে রাজী হননি। কিন্তু চিরুণিতল্লাশি তদন্তে জানা যায় সেই মার্টের একজন কর্মী লুকিয়ে মেয়েদের ড্রেসিং চেঞ্জের সময় মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও তোলার দোষে এর আগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ও শাস্তিও পেয়েছিল। কিন্তু কোনো পুলিশ কেস তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় নি।
তবে ব্যাপারটি যেহেতু সেবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে হলো সঙ্গে সঙ্গে সরকার তদন্ত কমিশন বসাল, রাজনীতির অন্দরমহল ও জনগনের আদালত সরগরম হল - "কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরই যদি কোনো সুরক্ষা না থাকে, তাহলে এদেশের বাকি সাধারন মেয়েদের কী অবস্থা!"
- এরকম নানাবিধ 'ক্লীশে' মন্তব্যে ভরে গেল মিডিয়ার ফ্রন্ট পেজ!
এই দুই ঘটনায় মোদ্দা কথাটি আর কিছু নয় ‘থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়’ -
নারীর কোনো সুরক্ষিত দেশ নেই, রাজ্য নেই, জায়গা নেই, ঘর নেই, ক্যাম্পাস নেই, শিক্ষাঙ্গন নেই। কিচ্ছু নেই ।
আমাদের সভ্য সংস্কৃতির ধুঁয়ো তুলে যাঁরা তখন বলেছিলেন ও আজও বলে চলেছেন, স্যানিটারি প্যাড নিয়ে প্রকাশ্যে আসা মেয়েদের অস্বস্তিতে ফেলে’ কিংবা ‘এটা ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে মেলে না।’ তাঁদের কেউ প্রশ্ন করুক ‘গোপনে মেয়েদের নগ্ন ছবি নেওয়াটা আমাদের 'পশ' সভ্যতার সাংস্কৃতিক বিধানের কত নং ধারায় / উপধারায় আছে ?’
দশ বছর পেরিয়ে গেল। একাধিক ভোট এল-গেল, করোনা এল-গেল, তবু মেয়েদের ‘মাসিক’ নিয়ে সামাজিক ট্যাবু তার অবস্থান বদলালো না।
আজও স্যানিটারি প্যাড কিনতে গেলে কাগজের ঢাকনা চাপা লাগে ,
মেয়েদের বাইরে বেরোতে হলে বোরখা বা হিজাবের ঢাকনা লাগে ,
সী-বিচে বেড়ানোর সময়ও মেয়েদের বুকে আলাদা একটা ঢাকনা দেওয়া লাগে,
পোষাক কিনতে গেলে ট্রায়াল রুম মার্কা একটা আলাদা ঢাকনা ঘর লাগে ।
উল্টোদিকে, ছেলেদের কন্ডম অথবা জাপানী তেল কিনলে প্যাকেটে কাগজের ঢাকনা চাপা লাগে না। কারণ ওসব থেকে 'মেল' 'মেল' গন্ধ আসে আর ‘ম্যান শুড বি ম্যান’।
ওগুলো কেনা মানেই উদ্ধত পুরুষালি ঘোষণা দেওয়া 'look, whatever my ‘size’ is, I am able to have sex or fun with anyone, anywhere. Therefore I or my partner, simply, don't care."
মেয়েদের প্যাড কেনাও তো একইভাবে অমোঘ সত্যটা উচ্চারণ করে, "See, I am able to give birth of a baby. I may not have wish to do so, but I can."
তাহলে এ’বেলায় এত রাখঢাক গুড়গুড়ে ঢাকনা চাপা কেন? কেন এইসব ঢাকনা কেবলই ফেমিনাইন জেন্ডারে প্রযোজ্য?
প্রতিবাদে যদি পুরুষ তার জামার বুকের উপর লিখতে পারে , "Do Or Die!"
বা আণ্ডার ওয়্যারের স্ট্রিপে লিখতে পারে "Justice delayed is Justice denied" ইত্যাদি, এবং সেগুলো দিব্বি 'অ্যাংগ্রী 'মাচো ম্যানলি ইমেজের' বিপ্লবী প্রতীক হয়ে উঠতে পারে, তাহলে মেয়েরা তাদের নিজস্ব ব্যবহার্য বস্তু ব্রার উপরে, প্যান্টির উপরে, প্যাডের উপরে কিছু লিখে প্রতিবাদ জানায় - সেটা কেন কালো তালিকাভুক্ত হবে ?
তাহলে কি ধরে নেব, এদেশের ম্যান-মেড কৃষ্টি অনুযায়ী 'প্রতিবাদ' শব্দটিও জেন্ডার বায়াসড, বড্ড পুং ! 'পুরুষের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ' – স্লোগানের পালটা হিসেবে গলা চেপে দিব্যি ইয়ার্কি চলে 'মেয়েদের রক্ত লজ্জায় আরক্ত'!!
একেই কি বলে সভ্যতা!
মন্ত্রী স্মৃতি ইরানীই যদি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তাহলে আমরা কোথায় যাই ?--- বলছিলেন যারা তারা বোধহয় ভুলে গেছেন উনি মন্ত্রী হতে পারেন কিন্তু আগে মহিলা। আর মহিলা মাত্রেই সে ভোগের সামগ্রী ।
স্পাইক্যামেরা তো আর অত 'ভিআইপী প্রোটোকল' বোঝে না!
এই প্রসঙ্গে ২০২৫ সালে উন্মোচিত হওয়া আরেকটি ঘটনায় আসি। সুনীতা উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফিরেছেন দীর্ঘ ৯ মাসের মহাকাশ জীবন কাটিয়ে। প্রতি মুহূর্তে তাঁদের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী থেকে আহ্লাদে বারোখানা হয়েছে গোটা ভারত (কারণ তাঁর নাম সুনীতা, যাতে ভারতীয় গন্ধ স্পষ্ট)। পুজোপাঠ, যজ্ঞের আদিখ্যেতা এবং অভিনন্দন বার্তার পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় একশ্রেণীর ভারতীয় পুরুষদের অর্বাচীন কিছু প্রলাপ প্রশ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল – ‘আচ্ছা, সুনীতার পিরিয়ডস হলে রক্তটা নিচ দিয়ে না বেরিয়ে মুখ দিয়ে বেরোত অভিকর্ষহীন মহাকাশ যানে?”
ঠিক এই বিষয়েই দেখি ‘এই সময় পত্রিকা’ খবর করেছে “সুনীতাই প্রমাণ -নাসা ডাজ়’নট নো এনিথিং অ্যাবাউট উইমেন!” সেখানে মৃন্ময় চন্দ জানাচ্ছেন -
“মহিলা মহাকাশচারীদের নিয়ে নাসা বা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি বরাবর উদাসীন, পক্ষপাতদুষ্ট। ১৯৭৮-এ শ্যালি রাইড বা ডক্টর রিয়া শেডন মহিলা হিসেবে প্রথম যখন মহাকাশে পাড়ি দেন, নাসা শ’খানেক ট্যাম্পন তাঁদের ব্যাগে ভরে দিয়েছিল। বলে দিয়েছিল, ঋতুস্রাবের এক ফোঁটা ‘বদরক্ত’ও যেন ফাঁকফোকর গলে মহাকাশের পরিবেশ ‘অশুচি’ না করে। মহাকাশের ‘কৌমার্য’ মহিলাদের! নাসার ‘মেন উইল বি মেন’ পুরুষপ্রবর ট্যাঁশগরুদের মাথায় ঢোকেনি, জ়িরো বা মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে রজঃস্রাবের রক্ত নীচে না নেমে ওপরে ওঠার কথা, পেরিটোনাইটিসে মৃত্যুও হতে পারে। কাজ না-ও করতে পারে ওসি-পিল!”
নাসার নির্বোধ, অশ্লীল ভাঁড়ামোকে খিল্লি করে মার্সিয়া বেলস্কি তুমুল জনপ্রিয় এক জীবনমুখী গান বাঁধেন: ‘প্রুফ দ্যাট নাসা ডাজ়নট নো এনিথিং অ্যাবাউট উইমেন’।
শ্যালি-রিয়া’রা মহাকাশ জয় করে পৃথিবীতে ফিরে এসে নাসার ঘাড় ধরে তৈরি করিয়েছিলেন ডায়াপারের মতো দেখতে ‘ম্যাক্সিমাম অ্যাবজ়রবেন্সি গার্মেন্ট (ম্যাগ)’। ডায়াপার ‘ম্যাগ’ সফল ভাবে তৈরি হলেও মহাকাশযাত্রী পুরুষের দেহের গঠনের ভিন্নতায় প্রয়োজন পড়ে স্মল-মিডিয়াম-লার্জ ‘ম্যাগ’। মাইকেল কলিন্সের মতো অ্যাপোলো ১১-এর চার বার ‘হল অফ ফেম’-জয়ী তারকা মহাকাশচারীরা ধুয়ো তুললেন, স্মল-মিডিয়াম-লার্জ বললে পুরুষ মহাকাশচারীদের সম্ভ্রমহানি হবে। বলতে হবে ‘এক্সট্রালার্জ’- ‘ইমেন্স’- ‘আনবিলিভেবল’। আহা, কি বিচিত্র(বীর্য) পুরুষালি দিমাগ! বর্তমানে উক্ত নামের নিজস্ব সাইজ অনুযায়ী ‘ম্যাগ’-এই প্রাতঃকৃত্যাদি সারছেন পুরুষ ও মহিলা মহাকাশচারীরা। সুতরাং বোঝা গেল তো ভারতের বিভিন্ন দপ্তরের মতোই পুরুষ প্রভাবিত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানের গবেষণাগারও কতটা সেক্সিস্ট! বিজ্ঞানের নোবেল আমেরিকার ঝুলিতেই সব থেকে বেশি। তবু তাদের সর্বোন্নত মহাকাশ যাত্রার ডায়রি প্রমাণ করে সেটি ‘স্ট্রাকচারাল সেক্সিজ়ম’-এর আঁতুড়ঘর, যা মহিলাদের ব্যাপারে আদপেই কিস্যু জানে না, জানার চেষ্টাও করে না। সেইজন্যই সুনীতারা ফিরে এসেও টিপ্পনীর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এদিকে বিজ্ঞান বলছে- ছ’মাস মহাকাশে কাটালে ‘মাসল মাস’ ৩০% কমে। প্রতি মাসে ‘বোন মাস’ কমে ২.৫%। অসাবধানে হাড়গোড় ভেঙে শয্যাশায়ী হওয়া নিয়তি তখন। জ়িরো গ্র্যাভিটিতে মস্তিষ্কে রক্ত বেশি সঞ্চালিত হয়, অপটিক নার্ভ বা চোখে রক্তচাপ বেড়ে পরে অন্ধত্বের শিকারও হতে পারেন মহাকাশচারীরা। মস্তিষ্কের রাইট ল্যাটারাল ও থার্ড ভেন্ট্রিকলে রক্তচাপ বেড়ে মোটর ফাংশন বিপর্যস্ত হয়। ফলে, পেশির শৈথিল্য থেকে পক্ষাঘাতের আশঙ্কাও বাড়ে। মহাকাশে দু’মাস কাটালে ডিএনএ-র টেলোমিয়ার-এর দৈর্ঘ্য বাড়ে। কোষ-বিভাজনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় অকাল বার্ধক্য ও ক্যানসারের থাবা প্রশস্ত হয়। মহাকাশের রেডিয়েশন সুনামিতে শরীরের উপকারী বা কমেনসাল ব্যাকটেরিয়া মারা পড়ে। ফলে পৃথিবীতে ফিরে অবাঞ্ছিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণে জেরবার হন তাঁরা। শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমায় তাঁদের ইমিউন সিস্টেমও ধসে পড়ে।
অবশ্য এসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা-অজানার কথা ভারতীয় পুরুষ মহল শুনবে জানবে কেন? তারা মধ্যযুগীয় ট্যাবুর গোড়ায় তেল দিতে ব্যস্ত! তবে ক্যালেন্ডাররে পাতার সঙ্গে সময়ের ভাষাও বদলাচ্ছে। মানুষের চিন্তাধারায় ক্রমাগত হাতুড়ী চালাবার জন্য ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও অনেক 'পিরিয়ডস' ফোরাম গড়ে উঠুক, চাই। তাদের নেক্সট অ্যাজেন্ডাগুলোও এমন আরো নতুন প্রতীকী প্রতিবাদের সৃজন করতে পারবে বলে আশা রাখি। কারণ যতদিন দুনিয়ায় মানুষ জীবটি টিকে থাকবে, ততদিন অন্যায় অবিচারের পাশাপাশি শুভবুদ্ধির কারবারিরাও থাকবে প্যারালাল ইউনিভার্সে তাঁদের ছকভাঙা তাক লাগানো বিপ্লব নিয়ে।
সময়ের দাবীতে ক্যালেন্ডার বদলাবে, অথচ আন্দোলনের চেহারা বদলাবে না, তাই হয় নাকি!
0 Comments
Post Comment