ঘেরাটোপ (পর্ব-৬)

  • 07 July, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 152 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সুবর্ণ এবারে সরাসরি সুখেনের দিকে তাকায়, “আচ্ছা। কিন্তু,” এবারে একটু কড়া গলায় কথা বলে সুবর্ণ, “এভাবে আর রাখঢাক না করে স্পষ্ট করে বলো দেখি আমায়, বিশেষ করে তুমি কাদের প্রতি ইঙ্গিত করতে চাও?” সুখেন পালটা তাকিয়ে রয়েছে। খানিক নিস্তব্ধতা। “ওরা সবাই এতে জড়িয়েছে দিদি। আপনি সাহস করে সবটা লিখবেন তো বলুন?” কেমন যেন এক অদ্ভুৎ আকুতি ঝরে পড়ে তার গলায়। সুখেনকে দেখে অবাক মনে হয় সুবর্ণের। মালতীর প্রতিই বা তার এত টান কিসের? (ধারাবাহিক রচনা, পর্ব ৬)

[৬]

অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। তখন দুপুরের কাছাকাছি। ফোন ধরতেই চেনা গলার স্বর। “দিদি, আমি বলছিলাম।” সুবর্ণ এদিক থেকে জবাব দেয়, “হ্যাঁ বলো, মিহির।” অফিসে বসে কাজ করতে করতে এভাবে একদিন সত্যিই মিহিরের ফোন আসবে সে ভাবেনি। কেবল মালতীর কেসটা সে আগের শুক্রবারের শুনানি অবধিও নিয়মিত খবর নিয়েছিল। পরপর দুটো হিয়ারিংয়েও জামিন হয়নি তার। সুবর্ণের মনে খটকা জাগছিল। কিন্তু মিহিরের ফোন নম্বর না থাকায় যোগাযোগ হয়ে উঠছিল না। শেষবারের শুনানিতে সুদীপ সেনগুপ্তকেও সে কোর্ট চত্বরে দেখেনি। মনে মনে সুবর্ণ কয়েকদিন ধরেই ভাবছিল একদিন সোজাসুজি গোখেল রোডে গিয়ে মিহিরের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করবে। কিন্তু নানান কাজের চাপে সে আর হয়ে উঠছিল না। কিন্তু এসবেরই মধ্যে আজ মিহিরের ফোন। সুবর্ণ সোজা হয়ে নিজের চেয়ারে উঠে বসে। “বলো মিহির, শুনছি,” সে বলে আবার। “দিদি,” মিহির ওপাশ থেকে চাপা গলায় কথা বলছে, “ওরা তো মালতীদিকে এখনও ছাড়ল না।”

 

-“তাই তো দেখছি,” সুবর্ণ এপাশ থেকে জবাব দেয়, “আচ্ছা এক মিনিট ধরো তো ফোনটা,” সুবর্ণ ডেস্ক ছেড়ে উঠে পেজ-এডিটর সোনালী সামন্তের টেবলের দিকে তাকায়। সে তার কাজে ব্যস্ত। গোছানো নিউজ-কেবিন ছেড়ে বেরিয়ে সুবর্ণ বাইরের বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। এসি থেকে বেরিয়ে আসার কারণে তার চশমায় ভাপ জমে ওঠে। একহাতে চশমাটা খুলে নিয়ে জামায় ঘষতে ঘষতে সে ফোনে সাড়া দেয় আবার, “বলো মিহির, কি বলতে চাও।”

 

-“দিদি, সুখেনদা আপনার সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলতে চায়,”

-“সুখেন, কে সুখেন?” এই নাম আগে শোনেনি সুবর্ণ।

-“আমাদেরই এলাকার লোক। আপনি রাজি হলে ও যতটুকু জানে আপনাকে জানাবে বলেছে।”

 

সুবর্ণ বারান্দার রেলিংয়ে হাত রেখে নীচের শহরের দিকে তাকায়। এই নাম তার অচেনা। কিন্তু ‘যতটুকু জানে’ বলতে, মালতীকে জেলে বন্দি করে রাখার পিছনে তাহলে কি সত্যিই চুরির চেয়ে বড় আরও কোনও কারণ জড়িয়ে রয়েছে? এই স্টোরিটা যখন প্রথম নিয়েছিল সুবর্ণ তখন সে অতটাও তলিয়ে ভাবেনি। কেবল সাধারণ গরিব-বড়লোকের শোষক-শোষিতের সমস্যা বলেই ঘটনাটাকে মনে হয়েছিল তার। কিন্তু মিহিরের সেদিনের ব্যবহার, এবং আজকের গলার স্বর সুবর্ণকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। সে মনে করে দেখে প্রথমদিনের শুনানির সময় কিভাবে মিহিরের কথামতো স্থানীয় কাউন্সিলরের একাধিক সহচর কোর্ট-চত্বরে সকলের উপর নজর রেখেছিল। কিন্তু সেই বিষয়টা সুবর্ণের মনে তখন অতটাও দাগ কাটতে পারেনি। সে জিজ্ঞেস করে, “বেশ। কথা বলব আমি। কিন্তু কিভাবে তিনি কথা বলতে চান?” মিহির ওপাশ থেকে জবাব দেয়, “আপনার ফোনে একটা লোকেশন আসবে একটু পর। চারটে, সোয়া-চারটে নাগাদ আপনি সেই জায়গায় চলে আসতে পারবেন? জায়গাটা কালীঘাটের কাছেই। মালতীদি থাকত সেখানে,” এক নিঃশ্বাসে মিহির বলে যায়। সুবর্ণ হাতঘড়ির সময় দেখে। গাড়ি নিয়ে গেলে পৌঁছে যাওয়া যাবে ঠিক। কিন্তু সোনালীদিকে বললেই কি আর গাড়ি পাওয়া যাবে আজ? কোনও স্টোরির কথা বললে তো তাকে ফিরে এসে একটা না একটা রাইট-আপও জমা করতে হবে। কিন্তু মিহির বা সুখেন যেমনটা বলছে, তাতে আজকেই হয়তো কোনও ছাপবার মতো স্টোরি-আইডিয়া নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু, সুবর্ণের মন তাকে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে বারণ করে। তার মন বলছে এই ঘটনাকে ‘চেজ’ করা দরকার। ‘চেজ’ শব্দটা মনে পড়তেই এক ঝলক মুম্বই মনে পড়ে সুবর্ণের। তার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসে হঠাৎ।

 

“চেজ করতে হবে সুবর্ণ! তোমাকে স্টোরিগুলোকে চেজ করতে হবে – যে করেই হোক, ইউ আণ্ডারস্ট্যাণ্ড!” চেনা গলার স্বর। কিন্তু পরের মুহূর্তটাকেই আর মনে করতে চায় না সুবর্ণ সেন। সে চমকিয়ে উঠে বাস্তবে ফিরে এসে দাঁড়ায়।

 

-“আমি আসছি মিহির। একটু দেরি হলেও দাঁড়িও। আর লোকেশনটা পাঠাও। আমার যেতে সময় লাগবে।” সে ফোন রেখে দেয়। উবের নিয়েই নাহয় চলে যাওয়া যাবে। একচুমুক চা দরকার এখন।

 

কালীঘাট। ঠিকই বলেছিল মিহির। কালীঘাট ফায়ার স্টেশন পেরিয়ে গোপালনগর, আলিপুরের দিকে যেতে গেলে আদিগঙ্গার উপরে যে ব্রিজ, তারই ডানদিকের রাস্তা ধরে সুবর্ণ ঢুকে পড়ল। জায়গাটা মুখ্যমন্ত্রীর বাসস্থান বলে পরিচিত। তাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। রাস্তার উপরে গার্ডরেল। মানুষ এখানে বহুকাল যাবৎ অভ্যস্ত এই ব্যবস্থায়। সুবর্ণ সেসব ছাড়িয়ে এগিয়ে যায়। এক-আধটা বাঁক নিতেই সে আদিগঙ্গার সঙ্গে একেবারে সমান্তরাল একটা রাস্তায় এসে পড়ে। পথে দু-একটা নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বাকি বেশিরভাগই পুরনো, রঙময়লা কাঠামো। কোনও কোনও বাড়ির বয়স চল্লিশ বা পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি হলেও অবাক হবে না কেউ। আদিগঙ্গার পাড় বেয়ে কয়েকটা ঝুপড়ি। ময়লা জল। মশা বিনবিন করে। ক্লাবঘর, মন্দির। সুবর্ণ একটা বাঁধানো ঘাটের সামনে এসে দাঁড়ায়। সরু একটা গলির ভিতর দিয়ে সেই ঘাটে পৌঁছতে হয়। আগাগোড়া গলির দুপাশে দুটি পাশাপাশি বাড়ির দেওয়াল চলে গিয়েছে। ঘাটে পৌঁছলে দেখা যায় একটি বাড়ির দালানে চওড়া চাতালের শেষ মাথায় একখানি মন্দির। ভিতরে বোধহয় কালীমূর্তি বসানো। দূর থেকে অন্ধকারে সুবর্ণ ঠাহর করে উঠতে পারে না। গলি দিয়ে আসতে আসতে সেই বাড়ির দেওয়ালে পাশাপাশি, খানিক দূরে দূরে মোট তিনটি দরজা লক্ষ্য করেছিল সুবর্ণ। সেগুলো এককামরার ঘর বলেই মনে হয়। সুবর্ণ আন্দাজ করে এরই মধ্যে কোনও একটিতে ছিল মালতীর সংসার।

 

যথেষ্ট ময়লা ঘাট। জলের দিকে তাকাতে প্রবৃত্তি হয় না সুবর্ণের। পচা জলের গন্ধ উপর অবধি না এলেও, হালকা গাঁজার গন্ধ তার নাকে আসে। এই জায়গাটা যে আদতে পাড়ার অকর্মণ্যদের আড্ডাস্থল তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। একটা লোক গলির শেষ মাথায় এসে দাঁড়িয়েছে।

 

-“সুবর্ণ সেন, ডেইলি রিভিউ?” লোকটা জিজ্ঞেস করে। সে কাছে এগিয়ে এসেছে।

-“সুখেন?”

 

চারপাশ ভালো করে দেখে নিয়ে লোকটা কথা বলে।

 

-“হ্যাঁ আমিই সুখেন। সুখেন বেরা আমার নাম। আমাকে মিহির আপনার কথা বলেছে।”

-“কি বলেছে মিহির?” সুবর্ণ জিজ্ঞেস করে।

-“বলেছে আপনি মালতীকে সাহায্য করতে চান।”

 

সুবর্ণ একটু থমকায়। মিহির মনে মনে এতটা ভেবে নিয়েছে? সে ঠাহর করে উঠতে পারে না। একটু থেমে সে বলে, “সাহায্য কি না জানি না, তবে সত্যিটা প্রকাশ করতে চাই।” “হ্যাঁ, মিহির তাই বলেছে। আপনি সাংবাদিক,” সুখেন জবাব দেয়।

 

-“একটু বসবেন ওখানে? ঘাটের পৈঠাগুলো অতটাও নোংরা নয়,” সুখেন সামনের দিকে হাত বাড়িয়ে ঘাটটাকে দেখায়। একটু অবাক হয় সুবর্ণ। এগোতে এগোতেই সে জিজ্ঞেস করে, “গোখেল রোডের বদলে এই চত্বরে আমায় দেখা করতে বললেন কেন?”

 

-“আমাকে আপনি করে বলবেন না প্লিজ, আপনার থেকে আমার বয়স অনেক কম,” সুখেনের গলার স্বর, ব্যবহার, সবেতেই স্পষ্ট ভদ্রতার ছাপ। “আপনি ওপাড়ায় গেলে আমি এভাবে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। ওরা ওখানে সবকিছু এখন নজরে রাখছে। এই চত্বরে বরং কারোর এসে পড়ার সম্ভাবনা কম।” সুখেন সঙ্গে করে একটা খবরের কাগজ নিয়ে এসেছে। সেটা বিছিয়ে বসতে বসতেই সুবর্ণ জিজ্ঞেস করে, “এখানে সম্ভাবনা কম কেন? মালতীও তো এই চত্বরেই থাকত বলে শুনেছিলাম।” “তা থাকত। ওই মাঝের ঘরটাতেই,” সুখেনের জবাবে সুবর্ণেরই আন্দাজ সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, “কিন্তু এখন সে ঘরে কেউ নেই। প্রথম কিছুদিন এই ঘরের উপরও নজরদার রাখা হয়েছিল। এখন উঠে গেছে।”

 

সুবর্ণ এবারে সরাসরি সুখেনের দিকে তাকায়, “আচ্ছা। কিন্তু,” এবারে একটু কড়া গলায় কথা বলে সুবর্ণ, “এভাবে আর রাখঢাক না করে স্পষ্ট করে বলো দেখি আমায়, বিশেষ করে তুমি কাদের প্রতি ইঙ্গিত করতে চাও?” সুখেন পালটা তাকিয়ে রয়েছে। খানিক নিস্তব্ধতা। “ওরা সবাই এতে জড়িয়েছে দিদি। আপনি সাহস করে সবটা লিখবেন তো বলুন?” কেমন যেন এক অদ্ভুৎ আকুতি ঝরে পড়ে তার গলায়। সুখেনকে দেখে অবাক মনে হয় সুবর্ণের। মালতীর প্রতিই বা তার এত টান কিসের?

 

সে পকেট থেকে তার মোবাইল বের করে এনে রেকর্ডার এ্যাপটা চালিয়ে দেয়।

 

কথা বলতে বলতে কখন যে বিকেল গড়িয়ে আলো কমে এসেছে কারোর খেয়াল হয়নি। হঠাৎই সুখেন ধড়মড় করে উঠে দাঁড়ায়। “দিদি, ওরা এসে গেছে!” সরু গলিটার সামনে আরও দুজন লোক এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারা সুখেন বা সুবর্ণকে দেখে ফেলার আগেই সুখেন হাত ধরে টেনে সুবর্ণকে উঠিয়ে এনেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় সুবর্ণেরও রিফ্লেক্স কাজ করেছে ঠিক। সেও সুখেনের হাত ধরেই এক নিঃশ্বাসে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাটের ডানদিকটায়। আরও ঘন অন্ধকারের ভিতর।

 

পচা জলের গন্ধটা যেন নাকের একেবারে ভিতরে এসে ধাক্কা মারতে চায়। সামান্য নড়তে চড়তেও বোধহয় সুবর্ণ ভুলে গেছে এবার। লোকদুটো কাছে এগিয়ে আসছে। গন্ধ-শোঁকা শিকারী কুকুরের মতো। তারা মালতীর দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। আশপাশ নজর করে খানিক। সুবর্ণ বুঝতে পারে ঘাটে তাদের বসে থাকা নজর করেনি কেউ। কেবল পৈঠার উপরে পড়ে থাকা চকচকে নতুন খবরের কাগজটার দিকেই আশঙ্কার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সুবর্ণ। এই চত্বরে চট করে কেউ অতখানি পরিষ্কার কাগজ নিয়ে এসে এই পৈঠাতে পেতে বসবে না। কপাল বলতে হয় তাদের। লোকদুটো নজর করে না। ঘাটের দিকেও তারা আসেনা প্রায়। মালতীর ঘর থেকেই তারা আবার পিছনে ফিরে গলির মোড়ের দিকে মিলিয়ে যায়। সুবর্ণেরা নিজেদের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসে।

 

-“ওরা কারা ছিল সুখেন?”

-“শোভন আর সুনীল। লক্ষণ মজুমদারের লোক,” জবাব পায় সুবর্ণ।

 

“সাবধানে বাড়ি ফিরুন দিদি। একটু দাঁড়িয়ে যান। ওরা খানিক দূরে চলে যাক বরং,” বুদ্ধিমানের মতোই সুবর্ণকে বলে সুখেন। “সে যাচ্ছি,” সুবর্ণ নিজের হাতব্যাগটাকে গুছিয়ে নেয়, “কিন্তু একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়নি তোমায়।”

 

-“সেদিন রাত্তিরে তুমি যে বলছ হঠাৎ মালতী কাউকে দেখে তোমার কাছে ছুটে এসেছিল – কার কথা মালতী বলেছিল সেদিন, মনে আছে তোমার?” সুখেন কপাল কুঁচকে ভাবতে চেষ্টা করে। “নামটা কিছুতেই মনে পড়ছে না দিদি। সেই নাম তার আগে কখনও মালতীর মুখে শুনিনি। কিন্তু তাকে দেখে মালতীর যে এতটাই খারাপ লেগেছিল – ভয়ে ওর মাথা কাজ করছিল না সেদিন। ওকে দেখে মনে হচ্ছিল পারলে তখনই একটা কিছু করে বসে বোধহয়।” সুবর্ণ ঘাড় নাড়ে। “বুঝলাম, কিন্তু এই মানুষটার সম্পর্কে আরও জানতে না পারলে তো আর এগোনো যাবে না,” সুবর্ণ উঠে পড়ে। সরু গলিটার মুখের দিকে হাঁটতে শুরু করে। “নামটা কোনও ভাবে মনে পড়লে জানিও তো আমায়।” সুবর্ণ মোবাইলে গাড়ি বুক করতে চেষ্টা করে। দৈবক্রমে আজ কোনও উবের যদি এই ভিতর অবধিও আসতে চায়।

 

বুকিং নিয়ে নিয়েছে। সুবর্ণ অপেক্ষা করতে থাকে। গাড়ি আসতে আরও পাঁচ মিনিট।

 

গাড়ি এসে পড়েছে। গাড়িতে উঠে বসতে বসতেই পিছন থেকে সুখেন বলে ওঠে হঠাৎ। “মনে পড়েছে দিদি নামটা। মালতী বলেছিল, মেয়েটার নাম …” ততক্ষণে সুবর্ণের গাড়ির ড্রাইভার মাথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করেছে, “আপনার পিনটা বলবেন ম্যাডাম।” সুবর্ণ নামটা শুনে নিতে নিতেই মোবাইলে চোখ ফেরায়।

(চলবে)

 

আগের পর্বের ঠিকানা – https://nariswattwo.com/welcome/singlepost/the-siege-serialised-novelette-series-five-

লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক 

ছবি : সংগৃহীত 

 

0 Comments

Post Comment