তুর্কি মহিলাদের লড়াই যৌন হিংস্রতার বিরুদ্ধে

  • 22 June, 2021
  • 0 Comment(s)
  • 564 view(s)
  • লিখেছেন : সিউ প্রতিবেদক
“ইস্তানবুল কনভেনশন” নামে পরিচিত নারীদের প্রতি হিংস্রতা রোধের জন্য বিশ্বের প্রথম বাধ্যতামূলক চুক্তি থেকে সরে আসেন এরদোগান মার্চ মাসে। এটা তুরস্কের নারীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।

শনিবার ১৯ জুন ইস্তানবুলে কয়েক শতাধিক মহিলা একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়িপ এরদোগানকে একটি হিংস্রতা বিরোধী চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব জানান।

“ইস্তানবুল কনভেনশন” নামে পরিচিত নারীদের প্রতি হিংস্রতা রোধের জন্য বিশ্বের প্রথম বাধ্যতামূলক চুক্তি থেকে সরে আসেন এরদোগান মার্চ মাসে। এটা তুরস্কের নারীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। তুরস্ক জুড়ে এক হাজারেরও বেশি মহিলা শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেন বহু পুলিশ উপস্থিতির মাঝে।

কেউ কেউ রামধনু পতাকা নিয়ে, আবার কেউ কেউ প্ল্যাকার্ড ধরে বলেছেন: "ইস্তানবুল কনভেনশন আমাদের।” ৭০ টি প্রদেশ থেকে মহিলারা ইস্তানবুলে এসেছিলেন এই প্রতিবাদ সভাতে অংশ নিতে।

তুরস্ক “ইস্তানবুল কনভেনশন” থেকে ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের মহিলারা ১ জুলাই অবধি বিভিন্ন ছোট বড়ো সভার আয়োজন করেছেন। 

উইমেনস কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশনের মেলেক ওন্দাস বলেছেন, "আমাদের সংগ্রাম আমাদের জয়ের আশায় উজ্জীবিত করছে।"

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ৪৫ টি দেশ ২০১১ সালে এই “ইস্তানবুল কনভেনশন”-এ স্বাক্ষর করে। কনভেনশন অনুযায়ী, সরকারকে বৈবাহিক ধর্ষণ, গার্হস্থ্য হিংসা এবং মহিলা যৌনাঙ্গে হিংস্রতার (female genital mutilation) বিরুদ্ধে আইন পাস করাতে হবে।

মহিলা অধিকার সংস্থাগুলির অভিযোগ যে সরকার রক্ষণশীলদের সন্তুষ্ট করতে এই চুক্তি থেকে সরে এসেছে। এই কনভেনশন পারিবারিক ঐক্যকে ক্ষতি করবে বলে মনে করে রক্ষণশীলরা।

গত বছর, উই উইল স্টপ ফেমিসাইড প্ল্যাটফর্ম অনুসারে তুরস্কে ৩০০ নারীকে হত্যা করা হয়েছিল, আর এ বছর এখন পর্যন্ত ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত

0 Comments

Post Comment