সালের্নো শহরের কয়েকজন

  • 13 July, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 748 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
আদিপাপের যে অভিশাপ নারীকে অদ্ভুত এক যন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দিতে চেয়েছিল, শেষমেশ নারীদের মধ্যে থেকেই তার প্রত্যুত্তর এসেছিল। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীর অধিকার নিয়ে খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ সময়ের অ্যাগনোদিস যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, সালের্নোর কয়েকজন তাকে পূর্ণতা দিলেন। অর্ধেক আকাশের সীমাবদ্ধতা নয়, স্ত্রী-চিকিৎসা বা ধাত্রীবিদ্যার বিশেষ ক্ষেত্রটুকুকেও ছাপিয়ে গিয়ে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এমনকি শেষ অবধি ব্যবহারিক শল্যচিকিৎসার প্রয়োগেও সালের্নোর মহীয়সীরা তাঁদের অবদান রেখে গেলেন। (পর্ব ৬)

আদিপাপের পরবর্তীতে ঈশ্বর অভিশাপ দিয়েছিলেন আদিতম নারীকে, সে বড়ো যন্ত্রণার অভিশাপ। গর্ভযন্ত্রণার অভিশাপ। ক্রিশ্চান মত অনুযায়ী, শিশুর জন্মের সময় যে অবর্ণনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে এবং শারীরিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে নারীকে যেতে হয়, সেটি আসলে তার আদিপাপের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ। যদিও ঈশ্বর করুণাময়, এবং তাঁর করুণার জোরেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এই যন্ত্রণার অনেকটাই উপশম ঘটে। এখন যেহেতু এই যন্ত্রণা ধর্মশাস্ত্রের বয়ান অনুযায়ী ঈশ্বরপ্রদত্ত অনুভূতি, তাই, বহুদিন অবধি জন্মের সময়ে নারীর যন্ত্রণার উপশমের জন্য কোনোরকমের ডাক্তারি প্রচেষ্টা করা হত না। সংজ্ঞাহীন বা চেতনাহীন করা, অথবা যন্ত্রণা উপশমে কোনোরকমের ওষুধের ব্যবস্থা তৎকালীন চিকিৎসকেরা করতেন না। সর্বপ্রথম, এই যন্ত্রণার বিরুদ্ধে যিনি রুখে দাঁড়ালেন, তিনিও সেই নারীসমাজেরই একজন প্রতিনিধি। দ্বাদশ শতাব্দীতে ইতালীয় নারী-চিকিৎসক ত্রোতা জানালেন যে তিনি এই ঐশ্বরিক যন্ত্রণার বিধান মানতে অস্বীকার করছেন। তিনিই সর্বপ্রথম চালু করলেন সন্তান জন্মের সময়ে জন্মদাত্রী মায়েদের উপরে চেতনানাশকের প্রয়োগ। নতুন এক যুগের সূত্রপাত হল সেদিন।

মধ্যযুগ বলতেই আমাদের চোখের সামনেটায় অন্ধকার নেমে আসে। কারণ ইউরোপ বা অন্য সব দেশেরই মধ্যযুগ ছিল অনেকটাই অন্ধকারে নিমজ্জিত। রেনেসাঁস অর্থে নবজাগরণের তখনও দেরি আছে অনেক। কিন্তু কোথাওই, কোনো অন্ধকারই কখনোই চিরন্তন নয়, চিরস্থায়ীও নয়। বারেবারে, প্রতিবারেই তেমন একেকটি গাঢ়তর অন্ধকারের মধ্যে থেকেই একেকটি করে আলোর ফুলকির উৎপত্তি ঘটেছে। অন্ধকারের বিপরীতে, প্রতিবারের সেই একেকটি আলোর উন্মেষই যে আদতে চিরন্তন। নবম শতাব্দীতে দক্ষিণ ইতালির সালের্নো শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্কোলা মেডিকা সালের্নিতানা অথবা সালের্নো স্কুল অব মেডিসিন। তদানীন্তন পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাচর্চা কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই বিদ্যালয়। ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর শহর হবার কারণে, জলপথে দেশ-বিদেশ থেকে, গ্রিক, আরব ও বাইজানটাইন সভ্যতার মহামূল্য চিকিৎসা-গ্রন্থরাজি সালের্নোতে নিয়ে আসা হয়। দেশ-বিদেশ থেকে অধ্যাপকেরা আসেন। একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে আরও একটি নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে যায়। এই সালের্নো স্কুল অব মেডিসিনেই, ইউরোপের মধ্যে প্রথম নারীদেরকে এমন একটি উচ্চতর বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। এমনকি ক্রমশ সালের্নোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও অধ্যাপক পদে বরণ করে নেওয়া হতে থাকে। এঁদের মধ্যেই অন্যতম একজন ছিলেন ত্রোতা অথবা ত্রোতুলা দে রুগিয়েরো। ছিলেন কনস্ট্যানস কালেন্দা, রেবেকা গুয়ার্না, আবেল্লা, এবং মারকিউরিয়েদ। এঁদের প্রত্যেকের সপক্ষে বলতে হয়, রীতিমতো তাঁদের দ্বারা লিখিত চিকিৎসা-সংক্রান্ত গ্রন্থ অথবা গবেষণার বিবরণ আজ আবিষ্কৃত হয়েছে। সালের্নো শহরের সেই কয়েকজন, কয়েক শতাব্দী পেরিয়েও, এখনও আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।

এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করে যাঁর সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তিনি ত্রোতা অথবা ত্রোতুলা দে রুগিয়েরো। আনুমানিক দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তিনি সালের্নোতে কর্মরত ছিলেন। এই সময়কার ‘ত্রোতুলা’ নামের একটি পুস্তিকা বা সংক্ষিপ্ত চিকিৎসা-গ্রন্থ সবার প্রথমে আবিষ্কৃত হয়। তাতে নারীর চিকিৎসা বিষয়ে অনেক কথাই লেখা ছিল, কিন্তু স্পষ্ট করে লেখক বা লেখিকার বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করা ছিল না। কাজেই পরবর্তীতে নানা ভাবে ত্রোতার পরিচয়কে এই পাণ্ডুলিপি থেকে সরিয়ে দেওয়ার বা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এমনকি পাণ্ডুলিপির কয়েক জায়গাতে ত্রোতার নামকে বদলে ত্রোতাস করে দিয়ে তাতে পুরুষত্ব আনারও অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি এসবের কোনটিই ত্রোতার আসল পরিচয়কে লুকিয়ে রাখতে পারেনি। যদিও, পরবর্তীতে জানা গিয়েছে যে এই ‘ত্রোতুলা’ বইটি কিন্তু ত্রোতার একার অবদানে রচিত হয়নি। অন্তত তিনজন চিকিৎসক, এবং হয়তো তাঁরা তিনজনেই নারীসমাজের প্রতিনিধি, তাঁরা সকলে মিলেই এই বইটিকে লিখেছিলেন। অবশ্য এই সহলেখক বা সহলেখিকাদের খবরেও ত্রোতার নিজস্ব কৃতিত্ব কিন্তু এতটুকুও ম্লান হতে পারে না। ত্রোতাই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন যে একজন নারীর শারীরিক গঠন বিষয়ে নারীদেরকেই একটি চিকিৎসা গ্রন্থ রচনা করতে হবে। কারণ, নারীর শারীরিক গঠন বিষয়ে পুরুষদের সম্যক ধারণার যথেষ্টই অভাব রয়েছে।

এদিকে কেবল ‘ত্রোতুলা’র আবিষ্কারেই কিন্তু ত্রোতার কৃতিত্ব শেষ হয়ে যায়নি। ১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক জন এফ. বেন্টন একটি স্প্যানিশ পাণ্ডুলিপির মধ্যে থেকে ত্রোতার নিজস্ব, পূর্ণাঙ্গ প্রথম কাজটির সন্ধান পান। বইটির নাম ‘প্র্যাক্টিকা সেকন্ডাম ত্রোতান’ অর্থে ‘প্র্যাকটিক্যাল মেডিসিন (ত্রোতার বক্তব্য অনুযায়ী)’। আশ্চর্য এই বইটির ভিতরে যা আছে, তা বিশেষজ্ঞদের চমৎকৃত করে তোলে। এতে রয়েছে সন্তানহীনতার সমস্যা, ঋতুকালের সমস্যা, সর্পাঘাতের চিকিৎসা এমনকি কসমেটিক চিকিৎসার উল্লেখ। মূলত স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হলেও (এই বিষয়ে কিছু বিতর্ক থাকলেও, সম্ভবত ত্রোতাই পৃথিবীর প্রথম সার্থক স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ) ত্রোতার রোগীপরিমণ্ডল কিন্তু কেবল নারীসমাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নারীর পাশাপাশি পুরুষদের নানাবিধ রোগের চিকিৎসা, জ্বরের চিকিৎসা, ক্ষতস্থানের চিকিৎসা এবং আরও নানা রকমের সাধারণ রোগচিকিৎসার কথাও ‘প্র্যাক্টিকা সেকন্ডাম ত্রোতান’-এ লিপিবদ্ধ রয়েছে। ১৯৯৫ সালে ‘প্র্যাক্টিকা সেকন্ডাম’এর একটি পূর্ণাঙ্গ ল্যাটিন ট্রান্সক্রিপশন প্রকাশিত হয়েছে। বইটির কোনো ইংরেজি অনুবাদ এখনও অপ্রকাশিত। ‘ত্রোতুলা’র যে অংশটুকুকে আজ ত্রোতার রচনা বলে মনে করা হয় তাতে জটিল জরায়ু-সম্পর্কিত রোগের বিষয়ে ও তার চিকিৎসার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে, আর এই ‘ত্রোতুলা’র মূল সংস্করণে ত্রোতাকে ম্যাজিস্ত্রি (পুং – ম্যাজিস্ত্রা) বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তখনকার ইতালীয়তে যার অর্থ শিক্ষক বা অধ্যাপক। সালের্নোর চিকিৎসাচর্চা কেন্দ্রে যে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে অধ্যাপক পদে বৃত হয়েছিলেন, এটিই তার প্রমাণ।

সালের্নোতে ত্রোতা ছাড়াও ছিলেন কনস্ট্যানস কালেন্দা। ছিলেন রেবেকা গুয়ার্না, আবেল্লা, এবং মারকিউরিয়েদ। কনস্ট্যানস কালেন্দা ছিলেন চক্ষুরোগবিশেষজ্ঞ ও সালের্নো স্কুলের নিয়মিত অধ্যাপক। পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি অব নেপলসেও অধ্যাপনা করেন। রেবেকা গুয়ার্না জ্বরজারি এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রূণবিষয়ক রোগচিকিৎসার উপরে মূল্যবান একাধিক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। তাঁর গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখ্য ‘দো ফেব্রিয়স (অর্থে জ্বর-সম্পর্কিত)’, ‘দো ইউরিনিস (অর্থে মূত্র-সম্পর্কিত)’ এবং ‘দো এমব্রিওন (অর্থে ভ্রূণ-সম্পর্কিত’)। এতখানিই বিষয়ভিত্তিক বা বলা ভালো বিষয়কেন্দ্রিক গবেষণায় সালের্নোর মহিলারা তাঁদের কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। পিত্তরোগের বিষয়ে গ্রন্থ প্রণয়ন করেন চিকিৎসক আবেল্লা। কীটপতঙ্গ-জনিত জ্বরজারির চিকিৎসা সম্পর্কে অবদান রাখেন মারকিউরিয়েদ। ব্যবহারিক শল্যচিকিৎসার দিক থেকে দেখতে গেলে, শিশুর জন্মের সময়ে মায়ের গর্ভযন্ত্রণা উপশমে ত্রোতাই সর্বপ্রথম চেতনানাশকের ব্যবহার শুরু করেন। চর্মরোগ এবং অন্যান্য রোগের লক্ষণ নিরূপণ, তাদের ব্যবহারিক চিকিৎসা, এবং আরও জটিল শল্যচিকিৎসার বিষয়েও সালের্নোর মহীয়সীরা দক্ষতা অর্জন করেন। কাজেই আদিপাপের যে অভিশাপ নারীকে অদ্ভুত এক যন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দিতে চেয়েছিল, শেষমেশ নারীদের মধ্যে থেকেই তার প্রত্যুত্তর এসেছিল। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীর অধিকার নিয়ে খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ সময়ের অ্যাগনোদিস যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, সালের্নোর কয়েকজন তাকে পূর্ণতা দিলেন। অর্ধেক আকাশের সীমাবদ্ধতা নয়, স্ত্রী-চিকিৎসা বা ধাত্রীবিদ্যার বিশেষ ক্ষেত্রটুকুকেও ছাপিয়ে গিয়ে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এমনকি শেষ অবধি ব্যবহারিক শল্যচিকিৎসার প্রয়োগেও সালের্নোর মহীয়সীরা তাঁদের অবদান রেখে গেলেন। আকাশের চেয়েও তাঁদের প্রতিভা তখন আরও আরও উচ্চতার অভিমুখে।

এক রাজপুত্র আর এক রাজকন্যার গল্প দিয়ে শেষ করি। শোনা যায় জার্মানির রাজপুত্র হেনরি একবার সুন্দরী রাজকন্যা এলসির প্রেমে পড়েছিলেন। বিয়ের কথাবার্তা তখন সব প্রায় পাকা হয়ে এসেছে, এমন সময় হেনরি দুরারোগ্য কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হলেন। এলসি শোকে নিমজ্জিতপ্রায়। তখন সেই হেনরির স্বপ্নে স্বয়ং শয়তান আবিভূর্ত হয়ে নির্দেশ দিলেন, একমাত্র সালের্নোর চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে হেনরির চিকিৎসা করালে পরেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু এর জন্য হেনরির বিনিময়ে কোন একজন কুমারীকে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে। এলসি বিনা বাক্যব্যয়ে আত্মত্যাগে প্রস্তুত হলেন। কিন্তু লোককথায় উঠে আসে যে, অবশেষে রুগীকে সালের্নোতে নিয়ে গেলে পরে সেখানকার চিকিৎসকদের চিকিৎসায় প্রায় অলৌকিক ভাবেই হেনরি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং এলসিকেও আর প্রাণ বিসর্জন দিতে হয় না। পরবর্তীতে তাঁরা দুজনে বিয়ে করে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে দিনযাপন করেন। কবি এইচ ডব্লিউ লংফেলোর ‘দ্য গোল্ডেন লেজেন্ড’ গীতিকাব্যটি এই লোককথারই আঙ্গিকে রচিত। কে বলতে পারে, হয়তো-বা স্বয়ং ত্রোতুলা দে রুগিয়েরোই রাজপুত্র হেনরির প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। মহীয়সীদের মেধার দৌলতেই আবেগাপ্লুতা রাজকন্যা আবার তাঁর স্বপ্নের রাজপুত্রকে ফিরে পেয়েছিলেন। সহস্র বছরের মহীয়সীদের একেকটা সাফল্যের কাহিনি যে রূপকথার চেয়েও সুন্দর হতে পারে, সে কি আজ আর জানতে বাকি আছে কারোর ?

             

সূত্রঃ

 

১) মনিকা গ্রিন, ‘উইমেন’স মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এ্যান্ড হেলথকেয়ার ইন মেডিভ্যাল ইউরোপ’, সাইনসঃ জার্নাল অব উইমেন ইন কালচার এ্যান্ড সোসাইটি, আইএসবিএনঃ ০০৯৭-৯৭৪০

২) ‘ত্রোতুলা অ্যান্ড দ্য লেডিস অব সালের্নো’, নেচার, ভল্যুম ১৪৫, পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫০৭-০৮, মার্চ, ১৯৪০

৩) উইকিপিডিয়া ও ব্রুকলিন মিউজিয়ম সহ অন্যান্য কোষগ্রন্থ/ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি

পুনঃপ্রকাশ, প্রথম প্রকাশ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

 

লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক 

ছবি সৌজন্য : ইন্টারনেট

0 Comments

Post Comment