অঙ্কশাস্ত্রের এক অনন্য বিস্ময় : বিদূষী এমি নোয়েদারের কাহিনী

  • 13 September, 2021
  • 0 Comment(s)
  • 533 view(s)
  • লিখেছেন : ​​​​​​​অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশিষ্ট গণিতবিদ কার্ল থিওডর উইলহেলম উইয়ারস্ট্রাস বলেছিলেন, “একজন গণিতবিদের মধ্যে যদি সামান্যতম পরিমাণে হলেও কবিত্বপ্রতিভাকে খুঁজে পাওয়া না যায় – তবে সেই গণিতবিদ তখনও অবধি সার্থক গণিতবিদ হয়ে উঠতে পারেননি।” আজকে যাঁর কথা শোনাতে বসেছি, সেই মানুষটির সম্পর্কে আরেক গণিতবিদ নরবার্ট ওয়াইনার মন্তব্য করেছিলেন, “গণিতবিদ্যার ক্ষেত্রে তাঁর (এমি নোয়েদারের) অবদানের বিস্তৃতিকে একমাত্র মাদাম কুরির গবেষণার সঙ্গেই তুলনা করা চলে।” নারীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে ধারাবাহিক (পর্ব ২৮)

অঙ্কের প্রতি আমার একটা অবুঝ টান রয়েছে। ‘অবুঝ’ বললাম এই কারণে, পেশাগত ভাবে আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দুনিয়াতে বসবাস করলেও অঙ্কের বিষয়ে আমাকে ‘দারুণ একটা কিছু’ ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং ‘অঙ্ক জানা’র ক্ষেত্রে আমাকে অত্যন্ত সাধারণ মেধারই একজন বলা যেতে পারে। তবু, দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে আমি আমার পিতৃদেবের একটি কথাকে আক্ষরিক অর্থে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছি – সেটি হল, অঙ্ক এবং কবিতা দুয়ের মধ্যেই এক অপরূপ সৌন্দর্য বিরাজমান। দুয়ের মধ্যেই এক আশ্চর্য প্রফুল্লতা আছে। না জেনেই সেই প্রফুল্লতাকে কেবল মধ্যে মধ্যে অনুভব করতে পারি। অনেক পরে জেনেছিলাম বিশিষ্ট গণিতবিদ কার্ল থিওডর উইলহেলম উইয়ারস্ট্রাস বলেছিলেন, “একজন গণিতবিদের মধ্যে যদি সামান্যতম পরিমাণে হলেও কবিত্বপ্রতিভাকে খুঁজে পাওয়া না যায় – তবে সেই গণিতবিদ তখনও অবধি সার্থক গণিতবিদ হয়ে উঠতে পারেননি।” আজকে যাঁর কথা শোনাতে বসেছি, নিজক্ষমতা অনুযায়ী যদি, গণিতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে ব্যাখ্যা অথবা পরিমাপ করতে বসি – কেবল বিনীত, সামান্য অথবা ক্ষুদ্রতর জীব বলে নিজেকে মনে হওয়া ছাড়া আর কিছুই ঘটবে না। উইকিপিডিয়াতে অন্ততপক্ষে এমন পনেরোটি রাশি, উপপাদ্য, হাইপোথিসিস, অথবা স্বতঃসিদ্ধের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলির নামের সঙ্গে একেবারে সরাসরি ভাবে এমি নোয়েদারের নাম জড়িয়ে রয়েছে। আধুনিক বীজগাণিতিক গবেষণায় দিগন্তের পরে দিগন্ত উন্মোচন করতে করতে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর বিপুল গাণিতিক অবদানের বিষয়ে আলোচনার মতো অবকাশ অথবা বিদ্যে - এই দু’য়ের কোনটিই আমার নেই। কেবল সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এমন এক নক্ষত্রের জীবনের উত্থান পতন এবং নারী গবেষক হিসেবে তাঁর জীবনে এগিয়ে চলার প্রসঙ্গে কিছু রুদ্ধশ্বাস গল্পকেই আজ ফিরে দেখতে চেষ্টা করব। এমি নোয়েদার – যাঁর সম্পর্কে আরেক গণিতবিদ নরবার্ট ওয়াইনার মন্তব্য করেছিলেন, “গণিতের ক্ষেত্রে তাঁর (এমি নোয়েদারের) অবদানের বিস্তৃতিকে একমাত্র মাদাম কুরির গবেষণার সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে।”

তাঁর পিতাও ছিলেন ডাকসাইটে গণিতজ্ঞ ম্যাক্স নোয়েদার। তিনি জার্মানীর বিখ্যাত গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ২৩শে মার্চ, ১৮৮২ – এই ম্যাক্স নোয়েদারের প্রথম সন্তান এমির জন্ম হয়। এমিরা চার ভাই বোন ছিলেন। বড় ভাই এ্যালফ্রেড রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক হন। মেজো ভাই ফ্রিৎজ দিদির মতোই গণিতশাস্ত্রের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনও অজ্ঞাত কারণে সোভিয়েত রাশিয়ায় থাকাকালীন স্তালিনের সন্ত্রাসের সময় তাঁকে হত্যা করা হয়। বিশ্বযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে জার্মানী ও রাশিয়াতে এমন একেকটি ঘটনার ফলে কত প্রতিভাময়ের জীবন যে অকালে বিনষ্ট হয়েছে আমরা আজও তা পরিমাপ করতে পারি না। সে যা হোক,

ছোটবেলা থেকেই ছাত্রী হিসেবে এমির সুনাম ছিল। ১৯০০ সালে অনেক বাধাবিপত্তিকে পেরিয়ে শেষমেশ যখন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নারীর প্রবেশাধিকার স্বীকৃত হল, তখন সুপরিচিত আরল্যাংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে স্নাতকবর্ষের ছাত্রী হিসেবে ভর্তি হন এমি নোয়েদার। সেই বছরেরই হিসেব বলছে, তখন আরল্যাংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৯৮৬জন ছাত্রের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল ২। এতেই শেষ নয়, বিদ্যাশিক্ষার ‘পবিত্র’ অঙ্গনে এমন সব ‘কলুষিত নারী’দের আগমনে একেকজন পুরুষ অধ্যাপক এতটাই বিতৃষ্ণা প্রকাশ করেছিলেন যে, মেয়ে-ছাত্রদেরকে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অধ্যাপকের ক্লাসে হাজির থাকতে গেলে আগে থেকে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকের অনুমতি জোগাড় করতে হত। এত সব বিপত্তি, অসুবিধাকে পেরিয়ে ১৯০৩ সালে এমি নোয়েদার স্নাতক পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ একটি কোর্স করতে গেলে পরে, সেখানে তাঁর সঙ্গে হারম্যান মিনকাউস্কি, ফেলিক্স ক্লেইন, ডেভিড হিলবার্ট প্রমুখ দিকপাল গণিতজ্ঞদের পরিচয় ঘটে। ১৯০৪ সালে তিনি আরল্যাংগেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপক পল গর্ডানের কাছে পিএইচডি করতে শুরু করেন। ১৯০৭ সালে তাঁর পিএইডি সম্পন্ন হয়। এই থিসিসটি তখন ওয়াকিবহাল মহলেও অত্যন্ত সমাদৃত হয়েছিল। যদিও, অনেক পরে নিজের এই পিএইচডি থিসিসের সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমি নোয়েদার নাকি বলেছিলেন, “দূর দূর, ওটা আবার কোনও কাজ হয়েছিল নাকি!” এককালে স্বয়ং আইনস্টাইন মুগ্ধ হয়ে উচ্ছসিত প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন এমিকে। নিজের প্রতিটি কাজের বিষয়ে খুঁতখুঁতেমি না থাকলে যে উৎকর্ষে পৌঁছানো চলে না।

আরল্যাংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতবিভাগেই অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন এমি। যদিও, এরজন্য তিনি কোনওরকম পারিশ্রমিক পেতেন না। এরও কিছুদিন পর ১৯১৫ সালে অধ্যাপক ডেভিড হিলবার্ট, এমিকে গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার জন্য আহ্বান করেন। গটিনজেনের অধ্যাপকেদের একাংশ মেয়ে হয়ে এমির এই অধ্যাপক পদে নিয়োগকে মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের যুক্তি ছিল, “প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে জার্মানীর বীর সেনানীরা যদি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে দেখে, তাঁদেরকে এক মহিলার পায়ের তলায় বসে পড়াশোনা করতে হবে – তাহলে তার চেয়ে বেশী অপমানকর আর কি হতে পারে!” ডেভিড হিলবার্ট এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়েই অনেকদিন অবধি এমি নোয়েদার ডেভিড হিলবার্টের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

জুলাই ১৯১৬তে এমি নোয়েদার তাঁর বিখ্যাত ‘নোয়েদারের উপপাদ্য’ প্রকাশ করেন। মহিলা হওয়ার কারণে জার্মানীর রয়্যাল সোসাইটি অব সায়ান্সসের বার্ষিক সভায় এমি নিজের এই কাজটিকে নিজে সকলের সামনে পড়তে পারেননি। পরিবর্তে অধ্যাপক ফেলিক্স ক্লেইন এমির গবেষণাকে সংগঠনের সবার সামনে উপস্থাপিত করেন। একাধিক গণিতজ্ঞের মতে এই ‘নোয়েদারের উপপাদ্য’ আধুনিক পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে প্রায় পিথাগোরাসের উপপাদ্যের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে পরে, অবশেষে এমি নোয়েদারকে গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ করে এবং তিনি বেতন পেতে শুরু করেন।

আগেই বলেছি যে, নোয়েদারের গাণিতিক কৃতিত্ব বা অবদানকে নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতা আমার নেই। বীজগণিত থেকে শুরু করে পদার্থবিদ্যার জটিলতর একেকটি বিষয়ের ক্ষেত্রে এমি নোয়েদার নীরবে তাঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এর পাশাপাশি, অধ্যাপক হিসেবে তাঁর পড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা খামখেয়ালীপনা, কিছুটা অগোছাল ভাব পরিলক্ষিত হত। এরজন্য তিনি ছাত্রছাত্রীদের একাংশের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে উঠলেও, অঙ্কের প্রতি যাঁদের স্বাভাবিক ভালোবাসা তাঁরা এমন সজীব, প্রাণবন্ত, ‘বিজ্ঞানে সঁপেছে প্রাণ’ মানুষটির সম্পর্কে অপার শ্রদ্ধার মনোভাব নিয়ে ক্লাস করতে আসতেন। নিজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও এমি অনেক সময়েই তাঁর কোনও নতুন উপপাদ্য অথবা আরও কোনও গবেষণা প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের মৌলিক কাজগুলিকে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বিলিয়ে দিতেন। অনুরোধ করতেন যে তাঁরা যেন সেই কাজগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। এভাবে তিনি শুধু নিজেকেই নন, নিজের ছাত্রছাত্রীদেরকেও আন্তর্জাতিক গবেষণাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। প্রতিটি পূর্ণসংখ্যাকে যে একাধিক মৌলিক সংখ্যার গুণফল হিসেবে প্রকাশ করা যায়, এমি নোয়েদারের গবেষণা থেকেই এই বিষয়টি প্রথম সামনে এসেছিল। কাজের সূত্রে তিনি ১৯২৮-২৯ সালে রাশিয়া যান এবং মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। এই সময় তিনি সরাসরি রাজনীতির মানুষ না হয়েও সেদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার বিষয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। রুশ বিপ্লবের প্রতিও তিনি তাঁর সমর্থন জ্ঞাপন করেন। স্বভাবতই একাধারে ইহুদী এবং অন্যপক্ষে রুশ বিপ্লবের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ হওয়ার কারণে জার্মানীতে এমি নোয়েদারের বিষয়ে ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করে। তাঁকে ‘ইহুদী বলশেভিক’ বলেও দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। যদিও পরবর্তীকালে এই সোভিয়েত রাশিয়াতেই স্তালিন-জমানার দীর্ঘ কুকীর্তির সময়ে এমির ভাই ফ্রিৎজকেও হত্যা করা হয়েছিল।

জানুয়ারি, ১৯৩৩ - এ্যাডলফ হিটলার প্রথমবারের জন্য জার্মানীর ক্ষমতায় আসীন হন। দিকে দিকে ইহুদী বিদ্বেষের বীজ বপন করা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তরফে দাবি তোলা হয়, “ইহুদী গণিত নয় তাঁরা খাঁটি আর্য-সভ্যতার গণিতের বিষয়ে জানতে আগ্রহী!” এমি নোয়েদারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর আলবার্ট আইনস্টাইন এবং আরও অনেকের সাহায্যে এমি নোয়েদার আমেরিকা পাড়ি দেন। সেখানে ব্রাইন ম্যর কলেজে তিনি গণিতশাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩৪ সালে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন।

১৯৩৫ সালের বসন্তকালে এমি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পেলভিস হাড়ে একটি টিউমারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর অস্ত্রোপচারের সময়ই এমির জরায়ুতে আরও দুটি টিউমারের সন্ধান মেলে। যদিও সে দুটিকে পরীক্ষানিরীক্ষার পরে বিপজ্জনক নয় বলে জানা গেলে, এমির শরীরের উপর আর দ্বিতীয়বারের জন্য সার্জনের ছুরি চালানো হয়নি। ১১, ১২, এবং ১৩ই এপ্রিল – এই কয়েকদিনে এমির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। কিন্তু সব লড়াইকে তুচ্ছ করে দিয়ে, ১৪ই এপ্রিল তাঁর শারীরিক অবস্থার ফের দ্রুত অবনতি হতে শুরু হয়। চিকিৎসকেরাও এই আকস্মিক বিপর্যয়ের কারণ বুঝতে ব্যর্থ হন। সেই দিনই প্রয়াত হন গণিতবিদ এমি নোয়েদার। পিছনে রেখে যান বীজগাণিতিক জটিলতা থেকে শুরু করে নাম্বার থিওরির মতো জটিলতর বিষয়ের উপরে তাঁর অগণিত কাজ, উপপাদ্য, গবেষণা ও একাধিক গ্রন্থকে। অঙ্কের মহাসমুদ্রে এমন এক আশ্চর্য নাবিকের সন্ধান মেলে যখন, কেবল পাড়টুকুতে বসে থাকতে থাকতে, সেই অবিশ্বাস্য নেয়ে’র আরও অবিশ্বাস্য এক যাত্রাপথকে দেখে চলতে হয়। নারীর বিজ্ঞানের জয়যাত্রাকে দেখতে দেখতে, কেবলই তখন আরও বেশি করে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে পড়তে হয়। সেই আকাশ তখন আর অর্ধেক নয় একেবারেই, সেই আকাশ তখন সম্পূর্ণতার পরিচায়ক।

সূত্রঃ

[১] ক্লার্ক কিম্বারলিং, ‘এমি নোয়েদার, গ্রেটেস্ট উওম্যান ম্যাথেমেটিশিয়ান’, ম্যাথেমেটিকস টিচার, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টিচার্স অব ম্যাথেমেটিকস, খন্ড ৮৪, সংখ্যা ৩, ভার্জিনিয়া, মার্চ ১৯৮২

[২] এডনা ক্রেমার, ‘দ্য নেচার এ্যান্ড গ্রোথ অব মডার্নম্যাথেমেটিকস’, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮২

[৩] সন্ডার্স ম্যাকলেন, ‘ম্যাথেমেটিকস এ্যাট গটিনজেন আন্ডার দ্য নাজিস’, আমেরিকান ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি, খন্ড ৪২, সংখ্যা ১০, ১৯৯৫

[৪] গটফ্রিড ই. নোয়েদার, ‘উইমেন অব ম্যাথেমেটিকস’, নিউ ইয়র্ক গ্রিনউড প্রেস, ১৯৮৭

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

ছবি: সংগৃহীত

0 Comments

Post Comment