- 24 May, 2020
- 0 Comment(s)
- 724 view(s)
- লিখেছেন : সিউ প্রতিবেদক
রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতির যাত্রা শুরু ২০০৭ সাল থেকে। মুসলিম মেয়েদের উন্নয়নের কথা ভেবে নানান কাজে যুক্ত আছে এই সমিতি। তাঁদের জন্য আইনি অধিকারের লড়াই, আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা, তালাকপ্রাপ্ত ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের অথবা তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়া, এই কাজগুলি ক্রমাগত করে চলেছে সমিতি। করোনাকালের লকডাউনেও তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত। সমিতি এখন মুর্শিদাবাদ জেলার বহু গ্রামে ত্রাণ বণ্টন করে চলেছে। ৪ মে ভগবানগোলার একশোটি পরিবারের হাতে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেয়। খড়িবোনা, শিবনগর পদ্মার নদী ভাঙন এলাকায় পাঠানো হয় ত্রাণ।
১১ মে বেলডাঙ্গা ১ নং ব্লকে ১০০ টি পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি পরিবার পায় পাঁচ কেজি চাল, দু’কেজি আলু, দু’কেজি আটা, এক কেজি ডাল, এক লিটার সরিষার তেল, দুটো সাবান। ১৩ মে জলঙ্গী এবং ডোমকল ব্লকের দুশো পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছোয়। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তাঁতশিল্পী ও বিড়ি শ্রমিক। ১৪ মে ডোমকল ব্লকের সারাংপুর গ্রামের দুশো পরিবার রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতির উদ্দ্যোগে সংগৃহীত ত্রাণ পায়। ১৯ মে হরিহর পাড়ার হুমাইপুর, রায়পুর অঞ্চলের একশোজনের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। ২৩ মে ত্রাণ যায় রানীনগর ২ নং ব্লকের একশো পরিবারের কাছে। সমিতি চেষ্টা করছে দু’হাজার থেকে আড়াই হাজার নিরন্ন পরিবারের দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার।
রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক খাদিজা বানু বললেন, ‘এই সংকটময় পরিস্থিতিতে জাতীয় স্তরে আমরা যেন ভারতের একই পরিবারের লোক। আসুন মানবিকভাবে আমরা এই সংকটকে মোকাবিলা করি হাতে হাত মিলিয়ে। করোনার মৃত্যুর পাশাপাশি অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।’
ছবি: রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতি
0 Comments
Post Comment