ঘেরাটোপ (পর্ব-১৫)

  • 28 November, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 61 view(s)
  • লিখেছেন : অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
 সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুসারে আবারও রাজ্যে নিজেদের অবস্থান জোরালো করেছে শাসকদল। হইচই আর বিজয় সমাবেশের উচ্ছ্বাস এখনও মিটে উঠতে পারেনি। মালতী এখনও কার্যত বিনা বিচারে জেলবন্দি হয়ে রয়েছে। তদন্তের গতিপ্রকৃতিও একচুল এগোয়নি কোথাও। ছকু মাইতিকে ওভাবে সরিয়ে দেওয়াটা, সেও যে আদতে লক্ষণ মজুমদারেরই ষড়যন্ত্র ছিল, হলফ করে বলতে পারে সুবর্ণ। কিন্তু আদালত অনুমানে বিশ্বাস করে না। সে প্রমাণ চায়। এর বিপরীতে অনুমান আর ষষ্ঠেন্দ্রিয় ব্যতীত সুবর্ণের হাতে আর কোনও প্রমাণ নেই। (ধারাবাহিক রচনা, পর্ব ১৫)

[১৫]

 

-“সোনালীদি? ডেকেছিলে আমায়?” টেবলের পাশে দাঁড়িয়ে সুবর্ণ জিজ্ঞেস করে। এই সাতসকালেই সে অফিসে চলে এসেছে। কাঁধের ব্যাগটা অবধি এখনও নামায়নি। অফিস থেকে একটু পরেই সে ছুটবে শেয়ালদায়। তারপর ব্যাঙ্কশাল। আজই মালতীর জামিনের হিয়ারিং রয়েছে। কিন্তু তার আগে সাতসকালেই সোনালীর ‘ইম্পর্ট্যান্ট’ লেখা হোয়াটস্যাপ। তার সঙ্গে দেখা না করা অবধি, সুবর্ণ যেন কোথাও না যায় আজ। মেসেজ বলতে এইটুকুই। বেশ একটু অবাকই হয় সুবর্ণ। তাই সে সকাল-সকালই অফিসে চলে এসেছে। সোনালী কম্পিউটার থেকে মাথা তোলে, “আরে ব্যাগটা নামাও। শান্ত হয়ে এসো দেখি। তারপর কথা বলছি।” সোনালী যেন তাকে আশ্বস্ত করতে চায়। সুবর্ণ তারপরেও হুড়মুড় করে কিছু বলতে যায়। কিন্তু তাকে থেমে যেতে হয়। সোনালী হাত তুলে বলে এবার, “কাম ডাউন সুবর্ণ। তুমি বরং ব্যাগটা নামিয়ে এস। আমরা এডিটরের কিউবিকলটায় বসব। স্যর তো দেরী করে আসেন। আমরা ওখানে বসেই কথা সেরে নিতে পারব।” সে উঠে দাঁড়ায়, “একটু কফি বলি?” সোনালী জিজ্ঞেস করে। কিছু না বুঝে সুবর্ণও ঘাড় নেড়ে সায় দেয় কেবল। তার মন বলছে বিস্তর গণ্ডগোল। তবু সে মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের ডেস্কের দিকে এগিয়ে যায়।

 

‘ডেইলি রিভিউ’এর কলকাতার অফিস আর অন্য সব বাণিজ্যিক খবরের কাগজের অফিসের মতো ঝাঁ চকচকে, আধুনিক নয় একেবারেই। বরং বেশ পুরনো ধাঁচের এক বাড়িতেই আস্তানা তাদের। একটা বিরাট বড় ঘরকে আধুনিক ফ্যাশানে কতগুলি ডেস্ক-কিউবিকলে ভেঙে নেওয়া হয়েছে। এডিটরের জন্য আলাদা একটি ঘর। আরও দুটি ঘর রয়েছে বিশেষ অতিথিদের জন্য। সাক্ষাৎকার অথবা অন্যান্য প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করা হয়। এডিটরের জন্য রাখা ঘরটাতে গিয়েই তারা দুজনে বসল। সোনালী সুবর্ণের দিকে তাকায়।

 

-“স্টোরিলাইনটা আমি উপর উপর দেখছিলাম সুবর্ণ। কাজটা ভালো হয়েছে,” সুবর্ণের চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। “কিন্তু যথেষ্ট বিপজ্জনক।” সোনালী বলে চলেছে, “এবং বিতর্কিত তো বটেই,” সে আরও বলে। সুবর্ণের দৃষ্টি থেকে তার চোখ সরে না। “আমাদের একটু সাবধানে এগোনোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।” থেমে যায় সোনালী। সুবর্ণ এবারে সংশয়গ্রস্ত হয়। “ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলবে প্লিজ সোনালীদি, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।” সোনালী গলা খাঁকরায়। “আমাদের স্টোরিটা একটু হোল্ড করতে হচ্ছে সুবর্ণ। উই জাস্ট কান্ট পাবলিশ ইট রাইট নাও।”

 

সে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সুবর্ণও বাইরের দিকে তাকায়। কারণটা সে আন্দাজ করতে পারে। তবু সে জিজ্ঞেস করতে চায়। “কারণটা কি ভোটের ফল সোনালীদি? তুমি বলতে পারো আমায়।”

 

-“জলে থেকে কি কুমিরের সঙ্গে সামনাসামনি হাতাহাতি লড়াই করা চলে সুবর্ণ? তুমিই বলো আমায়?” সোনালী চোখ ফিরিয়েছে আবার, “কিন্তু তার বাইরেও কিছু অসুবিধে রয়েছে। স্টোরিটাতে একটা বেসিক গণ্ডগোল থেকে যাচ্ছে।”

-“কি গণ্ডগোল?” অবাক হয় সুবর্ণ।

-“মালতী এখনও জামিনে মুক্ত নয়। অর্থাৎ খাতায়-কলমে সে একজন অভিযুক্ত বন্দি। শুধুমাত্র তার অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা শাসকদলের অত্যন্ত ক্ষমতাশালী একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অন্য ধরনের এবং তাছাড়াও যেটা বলা উচিত, অত্যন্ত সংবেদনশীল অভিযোগ আনতে চলেছি। কাগজের সম্মানের পক্ষে ব্যাপারটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে সুবর্ণ। আমাদের আরও সাক্ষীর প্রয়োজন।”

-“কিন্তু ছকু মাইতিরও বয়ান – সেটা না পেলেও, আমরা তো সুখেন-মিহিরের কাছ থেকে তার কথা,” বলতে বলতেও চুপ করে যায় সুবর্ণ। সে ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পারে। পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে নয়।

 

জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সামান্য’ কাউন্সিলর হলেও রাজ্য-রাজনীতির বৃহত্তর পরিসরে কিং-মেকার হিসেবে লক্ষণের পরিচিতি রয়েছে। শাসকদলের একটা বড় অংশের উপর তিনি যথেষ্টই কর্তৃত্ব ফলানোর মতো খুঁটির জোর রাখেন। এহেন লক্ষণ মজুমদার অথবা তাঁর পৃষ্ঠপোষক অম্বরীশ মিত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি একজন সাধারণ পরিচারিকার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে খবর সাজানো চলে না। বড় অসহায় বোধ হয় সুবর্ণের। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুসারে আবারও রাজ্যে নিজেদের অবস্থান জোরালো করেছে শাসকদল। হইচই আর বিজয় সমাবেশের উচ্ছ্বাস এখনও মিটে উঠতে পারেনি। সময় কিভাবে পেরিয়ে যায়। অথচ মালতী এখনও কার্যত বিনা বিচারে জেলবন্দি হয়ে রয়েছে। তদন্তের গতিপ্রকৃতিও একচুল এগোয়নি কোথাও। ছকু মাইতিকে ওভাবে সরিয়ে দেওয়াটা, সেও যে আদতে লক্ষণ মজুমদারেরই ষড়যন্ত্র ছিল, হলফ করে বলতে পারে সুবর্ণ। কিন্তু আদালত অনুমানে বিশ্বাস করে না। সে প্রমাণ চায়। এর বিপরীতে অনুমান আর ষষ্ঠেন্দ্রিয় ব্যতীত সুবর্ণের হাতে আর কোনও প্রমাণ নেই। নিজেকে তখন এক অদ্ভুৎ গণ্ডিবদ্ধ অবস্থায় কল্পনা করে সুবর্ণ। যার ভিতরে সে, যে কোনওভাবেই হোক, ঢুকে পড়তে পেরেছে। এখন আর তার বেরনোর উপায় নেই।

 

-“কিন্তু,” সে বলতে চেষ্টা করে, “অন্তত মালতীর জামিন হয়ে গেলেও তো, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল – এই বলে সে অভিযোগগুলোকে সামনে আনতে পারে? পারে না কি?” সুবর্ণ তবুও গলায় জোর পায় না তেমন।

-“তা পারে হয়তো,” এই সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও, সোনালীর গলাও কি খানিক থমকে যায়? “সেদিকটাও কি আমি ভাবিনি ভেবেছ? আমি সবদিকই ভেবে দেখেছিলাম। এমনকি,” একটু থামে সোনালী, “স্যরকেও আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, মালতীর জামিন হচ্ছে না আজ।” সোনালী থেমে যায়। সে মাথা নামিয়ে নিয়েছে।

-“হোয়াট!” মৃদুস্বরে হলেও গলার চূড়ান্ত বিস্ময়ের ভাবটুকু চাপা দিতে পারে না সুবর্ণ, “জামিন হচ্ছে না মানে? কোর্টে মামলা ওঠার আগেই তুমি সেকথা জেনে যাচ্ছো কিভাবে? হাও!” সুবর্ণের গলা নিভে আসে। সে আর এতটুকুও গলার জোর পাচ্ছে না।

-“কাল সিনিয়র লিডারদের কেউ স্যরকে ফোন করেছিলেন। ওভার দ্য ফোন তিনিই খবরটা দেন, আর বলেন – ম্যাটারটা একটু কম সিরিয়সলি ডিল করতে। বাকিটুকু,” সোনালী সামন্ত অসহায় ভাবে কাঁধ ঝাঁকায়, “ইউ ক্যান আণ্ডারস্ট্যাণ্ড সুবর্ণ।” ঘরের ভিতরে তখন পিন-পতনের নিস্তব্ধতা। ঘেরাটোপের দমবন্ধ করা পরিস্থিতিটাকে সম্পূর্ণ বুঝতে পারে সুবর্ণ সেন। প্রতিষ্ঠানেরই বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে থেকে লড়াই করা চলে না। সংবাদমাধ্যম আর সাংবাদিকতা – গণতন্ত্রের চতুর্থ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখন যে তারাও কেবলই সুযোগ কুড়োতে চায়। বিরক্ত ও বিব্রত বোধ হয় সুবর্ণের। কিন্তু কিছুই করার থাকে না। জুডিশিয়ারির অন্দরমহলেও অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছে। কোথায় শেষ হবে এই অবক্ষয়?

 

টুংটাং শব্দ হয়। কাচের গেলাসে উজ্জ্বল হলুদ রঙ।

 

শহরের আরও কোথাও সুদীপ, শোভন আর সুনীল, একসঙ্গে বসে মদ খাচ্ছিলেন। ডিউটিতে থাকলে সুদীপ মদ্যপান করেন না। কিন্তু এখন তাঁর ডিউটির বাইরের সময়। উর্দি পরে তিনি মদ খাবার মানুষ নন। সুদীপ সেনগুপ্ত প্রিন্সিপল মেনে চলেন। একদিক থেকে আজ অন্তত তিনি নিশ্চিন্ত। মালতীর জামিন হয়নি। মাসখানেকের জন্য আবারও বিষয়টাকে ঠাণ্ডা ঘরে পাচার করে দেওয়া গেছে। তিনি মদে চুমুক দেন। যদিও এত সহজে তাঁর নেশা হয় না। অন্যদিকে শোভন আর সুনীল বেসামাল অনেকক্ষণ। আলগা মন্তব্যটা শোভনই করে বোধহয়। একের পর এক ছাপার অযোগ্য বিশেষণে সে সুবর্ণকে সম্বোধন করে বসে হঠাৎ।

 

-“বাঁচা গেল শালা,” কাগজের প্লেট থেকে খাবলা মেরে চাট তুলতে তুলতে সবশেষে বলে শোভন, “আর বেটি এখন বেশ কিছুদিন আমাদের জ্বালাবে না বোধহয়!”

ঘাড় নেড়ে জড়ানো গলায় সায় দেয় সুনীল, “একদম ঠিক কথা। হিক - দাদা বলেছেন, এডিটরকে দিয়ে নাকি ধমকি দেওয়া হয়েছে অফিসে। এখন মাগি একদম চুপ করে থাকবে ক’দিন।” সে গেলাসের পানীয়ে চুমুক দেয়। চোখ কুঁচকে সুদীপ সেনগুপ্ত তাকান, “আজ দেখলাম আসেওনি কোর্টে। আজকেও আগ বাড়িয়ে প্রশ্ন করতে এলে,” হাতে লেগে থাকা চানাচুর তিনি প্লেটের উপরে ঝেড়ে ফেলেন, “ঝেড়ে কাপড় পরিয়ে দিতাম। বহুৎই ঝামেলাবাজ পাবলিক।” তিনিও আরেক চুমুক পানীয় গলায় নেন। মাথাটা দু’পাশে নাড়ান। এইবারে অল্প অল্প নেশা জমেছে। তবু এখনও মস্তিষ্ক সজাগ তাঁর। সুনীল তাঁর দিকে তাকায়। সে ফিক করে হেসে ফেলে হঠাৎ। শোভন গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে, “এই শালা, হাসলি কেন রে তুই?” সে জিজ্ঞেস করে।

 

সুনীল সুদীপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। “আমি কিন্তু জানি ম্যাডামের প্রতি দাদার একটা সফট কর্নার রয়েছে,” চোখ টিপে জড়ানো গলায় বলে ওঠে সুনীল, “কি দাদা তাই না?” সুদীপ জবাব দেন না। তিনিও স্থির দৃষ্টিতে পালটা তাকিয়ে থাকেন। সেই চাউনি হিমশীতল। সুনীল কিন্তু ইঙ্গিতটা ধরতে পারে না। সে ভিতরে ভিতরে আরও একটু উসকিয়ে যায়। সে আবারও বলে, “কি দাদা, তাই না? আমি কিন্তু জানি ভিতরের ব্যাপার! একদম গরম গরম! বলে দেব নাকি – হিক!” অল্প হেসে আবারও হেঁচকি তোলে সুনীল। শোভন তার দিকে আরও ঘন হয়ে এসেছে, “এই শালা,” ছাপার অযোগ্য ভাষা বেরোয় আবার, “বল না বেশি ছেনালি না করে, স্যরের সাথে আবার কি কেস ম্যাডামের?” সুদীপের দিকে চোখ টেপে শোভন। “বলি? বলি তাহলে?” নেশায় অল্প দুলতে দুলতে পকেট থেকে মোবাইল বের করে সুনীল। ফোনে কিছু খুঁজতে থাকে বোধহয়।

 

সুদীপ সেনগুপ্ত আর মদে চুমুক দিচ্ছেন না। তিনি এখনও স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। এক হাত টেবলের উপর। অন্য হাতে গেলাস ধরা রয়েছে। ছবিটা বের করে ফেরেছে সুনীল। ঘোলাটে চোখে আরও জোরে হাসতে হাসতে সে ফোন ঘুরিয়ে ছবিটা সুদীপের দিকে মেলে ধরে। তারপর শোভনের দিকে ঘোরায়। হাসিতে তার শরীরটা দুলে দুলে উঠছে। শোভন চোখ কুঁচকে ছবিটা দেখে। “আরে পাগলা, এ আবার কিসের ছবি বে!” সে হাত ওলটায়, “একটা বাইকে তিনজন লোক, দূর!” সুনীল ফ্যাকফ্যাক করে হেসে তাড়া দেয় এবার, “দূর গাধা, ক্যাপশনটা পড় না আগে – তারপর বাইকের নম্বরটা দ্যাখ! আইন,” ফোন ঘোরানো অবস্থায় কষ্ট করে নিজেই যেন ক্যাপশনটা মনে করে সুনীল, “আইনরক্ষকই, হিক – ভোলেন আইন!” হাহা করে হেসে ফেলে সুনীল। ঘড়ঘড় করে তার গলায় বিশ্রী শব্দ হয়। সুদীপ সেনগুপ্তের মাথাটা গরম হচ্ছে। তিনি হাতের গেলাসটা নামিয়ে রাখেন। জোরে একটা শব্দ হয়।

 

সুদীপের ওই এক চড়েই চেয়ার থেকে মাটিতে ছিটকে পড়ে সুনীল। তার হাতে ধরা প্লাস্টিকের মদের গেলাসটাও মেঝেতে উলটে যায়। সুদীপ সেনগুপ্ত উঠে দাঁড়ান। ঘর ছেড়ে বেরুনোর আগে সপাট এক লাথিতে তিনি গোটা টেবলটাই উলটিয়ে ফেলেন। ঘরে আর কোনও শব্দ নেই। মুখে কোনও গালাগালি দেন না সুদীপ। তিনি মাথা ঠাণ্ডা রেখে হাতের কাজে বিশ্বাস করেন। হতভম্ব অবস্থায় বাকি দু’জনকে ঘরে ফেলে রেখেই তিনি বেরিয়ে যান।

 

(চলবে)

 

আগের পর্বের ঠিকানা – https://nariswattwo.com/welcome/singlepost/the-siege%C2%A0serialised-novelette-series-fourteen-

লেখক : বিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক 

ছবি : সংগৃহীত 

0 Comments

Post Comment